সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র, গীতিকার ও সাংবাদিক ওমর ফারুক

আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় নরসিংদী থেকে মোটরসাইকেল যোগে ঢাকার পথে সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র ওরম ফারুক বিশাল এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
জানা গেছে এক কাভার্ডভ্যানের সাথে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ফলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে তরুন মেধাবী ছাত্র ছিলেন একাধারে তিনি ছিলেন সাংবাদিক ও গীতিকার ।
তার অকাল মৃত্যুতে সরকারি তিতুমীর কলেজের সাথারণ শিক্ষার্থী- শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলেই শোকাহত।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ইবি জিয়া পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

এম. এন, মুনিম, ইবি প্রতিনিধি: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ ভবন থেকে র্যালি বের করে সংগঠনটি। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় থানা গেট সংলগ্ন ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান, সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন। এছাড়া অধ্যাপক ড. নজিবুল হক, অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম, জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ ও অধ্যাপক ড. রুহুল আমীনসহ বিএনপিপন্থি অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।অধ্যাপক ড. মিজানূর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে যে দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা স্বল্পকালীন মেয়াদে তিনি তার লক্ষ্যে অনেকটা পৌঁছে গিয়েছিলেন। নিয়তির পরিহাস দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশ অনেক পিছিয়ে গিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী যার যে কাজ সে কাজটা যদি দায়িত্ব নিয়ে পালন করি তাহলে মনে করব আমরা আমাদের নেতার প্রতি সম্মান দেখাচ্ছি।
পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সংগঠনটির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার্থীদের নিদের্শনাবলি

অনার্স (২০২০-২০২১) সেশনের প্রথম বর্ষ ২০২১ সনের যারা নতুন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন, সেসব পরীক্ষার্থীদেরজন্য ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ থেকে প্রয়োজনীয় নিদের্শনাবলিঃ
প্রথমে সবার উপরে ডান কোনায় নিজ বিভাগের নাম লিখতে হবে ইংরেজিতে Capital latter বড় অক্ষরে। যেমন " DHAKA "
তাপর ধাপে ধাপে বাকি সব কাজ করতে হবে।
point -1 প্রথমে " Honours First Year" লিখতে হবে। এবং ★ পরীক্ষা " 21" লিখতে হবে।
Point -2 বিষয়ঃ বিভাগের নাম লিখতে হবে। যেমন -Math, Accounting,Economic. যার যে পত্রের পরীক্ষা ।
point -3 তাপর আপনি যে পরীক্ষা দিবেন শুধু ওই দিনের পত্র কোড লিখবেন। যেমন - "( 2223501/ Acc - 251001.)" এটা কোশ্চেনে বা এডমিট কার্ডে থাকবে।এবং কোড এর পাশাপামি বিষয় এর নাম থাকবে যেমন ( principle Of Accounting)। বিষয় লিখতে হবে না হলে খাতা হারিয়ে যাবে।
Point -4 কেন্দ্রঃ এডমিটে যা লিখা থাকবে তাই লিখতে হবে। যেমন -" ( Govt Titumir college - Govt bangla College) "
Point -5 রোল নাম্বারঃ ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় থেকে যার যে রোল দেওযা হয়ছে এডমিট কার্ডে রোল নাম্বার লিখত হবে। যেমন -( 2010173)। ভুলে হলে খাতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
Point -6 ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় থেকে যে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার এডমিট কার্ডে দেওয়া থাকবে সেই রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার খাতায় লিখতে হবে। যেমন - ( 2020404686).। ভুল হলে খাতা বাতিল বলে গণ্য হবে। এবং রেজাল্ট "F" আসবে।
point - 7 শিক্ষাবর্ষঃ নতুন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বর্ষ (২০২০-২০২১) হবে। আর যারা অনিয়মিত , মনোনয়ন দিবেন তাদের এডমিট কার্ডে যা থাকে সেশন সে অনুয়ায়ী লিখবেন।
Point-8 তারিখঃ যে দিন পরীক্ষা হবে সেই দিনের তারিখ লিখতে হবে। ভুল তারিখ লিখতে খাতা "ফ্রট "বলে গণ্য হবে। পরবতী সময়ে কতৃপক্ষ কোনো রুপ দায়ী থাকবে না।
Point -9 Extra লুজ শীট নিলে সেখানে ক্রমিক নং ১ রোল, রেজিষ্ট্রেশন , সেশন অতিরিক্ত খাতার নাম্বার এডমিট কার্ড অনুয়ায়ী লিখবেন। ভুল হলে অতিরিক্ত লুজ বাতিল বলে গণ্য হবে।
এবং সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ কথা এটাই যে হাজিরা খাতা / শীটে নিজ স্বাক্ষর করবেন পত্র কোড লিখবেন তারিখ দিবেন। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না দিলে খাতা বাতিল হবে। পরবর্তী তে ফলাফল প্রকাশ হলে ফলাফল W/ I /Abs শো করবে।
বিঃদ্র এই নিদের্শনাবলি অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত প্রক্রিয়াধীন থাকবে। ( ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের)।
বাংলাদেশের সেরা কয়েকজন উদ্দোক্তা

আসুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের সেরা কয়েকজন উদ্দোক্তা ও তাদের উদ্দোগের বিষয়ে।
কামাল কাদির, যিনি কিনা বিকাশের স্বপ্নদ্রষ্টা। এর আগে তিনি সেলবাজার.কম এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রায় ৭০ ভাগ বিকাশের দখলে আছে।
রাইসুল কবির, যিনি কিনা ব্রেইনস্টেশন ২৩ এর প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নেদারল্যান্ডস, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, ইসরাইল সহ বিশ্বের নানা জায়গায় সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছে।
হুসেইন এম ইলিয়াস, পাঠাও এর সহ প্রতিষ্ঠাতা। পাঠাও বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সিস্টেমে এক বিপ্লব বয়ে এনেছে। বর্তমানে এটি নেপালেও সার্ভিস চালু করেছে।
আফিফ জামান, সিফাত সারওয়ার ও আতাউর রহিম চৌধুরী, , শপআপের সহঃপ্রতিষ্ঠাতা। বন্ধুরা মিলে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া বিজনেস মডেল ও পরে বি টু বি মডেলে মুদি দোকানীদের স্মার্ট সলিউশন দেওয়ার ব্যবসা বেছে নেন। দেশের শীর্ষ একটি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান রেডএক্স তাদের শপআপের মালিকানাধীন। সম্প্রতি তারা ১০৫ মিলিয়ন ডলার বিদেশী বিনিয়োগ হিসেবে পেয়েছে।
মাহমুদুল হাসান সোহাগ, অন্যরকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। উদ্ভাস কোচিং দিয়ে শুরু করে রকমারি.কম, টেকশপ বিডি, অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে এই গ্রুপের ভেতর।
ফাহিম মাশরুর, বিডিজবস, আজকের ডিল এর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের অন্যতম উদ্যোক্তা। চাকরির জন্য সবচেয়ে বড় পোর্টাল বিডিজবস ও ইকমার্স আজকের ডিল বাংলাদেশের দুটি বড় অনলাইন প্রতিষ্ঠান।
শিশির আসাদ, দ্য ফিউচার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। দ্য ফিউচার বাংলাদেশ অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। এছাড়াও তিনি শিক্ষা বিষয়ক নানা কলাম লেখেন। এছাড়াও দ্য ফিউচার বাংলাদেশ অসহায় মানুষদের নিয়ে কাজ করে।
আয়মান সাদিক, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। টেন মিনিট স্কুল বাংলাদেশের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। এছাড়াও তিনি শিক্ষা বিষয়ক নানা ভিডিও বানান ও বই লিখে থাকেন। সম্প্রতি টেন মিনিট স্কুল ২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।
ওয়াসিম আলিম, চালডাল.কমের প্রতিষ্ঠাতা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নাজমুল শেখ, সিনথিয়া শারমিন ইসলাম ও মিল্কি মাহমুদ, সাজগোজের সহঃপ্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশে অথেনটিক বিউটি প্রোডাক্ট সেকশনে তারা মার্কেট লিড করছে।
কাওসার আহমেদ, জুমশেপারের প্রতিষ্ঠাতা। জুমলাভিত্তিক শীর্ষ চারটি কোম্পানির একটি হল জুমশেপার। ২০১৬ সাল নাগাদ তাদের ৪.৫ মিলিয়ন টেম্পলেট ডাউনলোড হয়েছে
বিপ্লব ঘোষ রাহুল, ই কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা। কুরিয়ার ভিত্তিক সেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশী বিনিয়োগও পেয়েছে সম্প্রতি কাজের জন্য।
শাহরিয়ার হাসান, রাজিবুল ইসলাম, রাহাত আহমেদ, পেপারফ্লাই কুরিয়ারের সহঃপ্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশে কুরিয়ারের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
হাবিবুল মোস্তফা, খাস ফুডের সহ প্রতিষ্ঠাতা। নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত খাদ্যের জোগান দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
সিলভিনা কাদের সিনহা, প্রাভা হেলথ এর প্রতিষ্ঠাতা। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবায় একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
জিসান হক, সিন্দাবাদ.কমের প্রতিষ্ঠাতা। হোলসেলে পণ্য কেনার একটি বিটুবি প্লাটফর্ম।
আহমেদ এডি, হাংরি নাকির সহ প্রতিষ্ঠাতা। হোম ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি দারাজ এদেরকে কিনে নিয়েছে।
আদনান ইমতিয়াজ হালিম, সেবাএক্সওয়াইজেড এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৮ সালে ১৬০০ সার্ভিস প্রভাইডার সফলভাবে ৬০ হাজারেরও বেশি সার্ভিস প্রদান করে সেবা এপের মাধ্যমে
আইভি হক রাসেল, মায়ার প্রতিষ্ঠাতা। ডিজিটাল কাউন্সেলিং ও হেলথ প্লাটফর্ম।
বাকৃবির গবেষককে ৭১ টিভির টকশোতে হেনস্থা করায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

বাকৃবি প্রতিনিধি:সম্প্রতি একাত্তর টেলিভিশন আয়োজিত একাত্তর জার্নালের এক টকশোতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে তার গবেষণামূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল এবং কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতি।
রবিবার (৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত স্ব স্ব প্রতিবাদ লিপিতে ওই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয়, গত ২ নভেম্বর একাত্তর টেলিভিশনে আয়োজিত একাত্তর জার্নালের একটি টকশোতে বাকৃবির গবেষক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথি দ্বারা অশোভন ও আক্রমণাত্বক আচরণ এবং প্রক্রিয়াধীন গবেষণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। টকশোতে গবেষকের গবেষণামূলক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করায় কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতি হতবাক ও মর্মাহত হয়েছে। একাত্তর টেলিভিশনের ঐ সাংবাদিকদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে ক্ষমা চাওয়া এবং গবেষণা সম্পর্কিত সঠিক প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়েছে কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতি।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয়, অধ্যাপক ড. জাকিরের গবেষণা দল কিন্তু কখনো বলেননি যে বেগুন খেলে ক্যান্সার হবে। কিন্তু একাত্তর টেলিভিশনের ওই টকশোতে উপস্থাপকসহ আরও দু’জন সাংবাদিক যেভাবে তাঁকে জেরা করলেন তা কোনক্রমেই শিষ্টাচারের পর্যায়ে পড়ে না। ওই সাংবাদিকরা সাইন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালটির মান, প্রকাশক, কিভাবে গবেষণা হয়, কিভাবে জার্নালে প্রকাশ করতে হয় ইত্যাদি সম্মন্ধে ন্যূনতম জ্ঞানও রাখেন না বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
প্রতিবাদ লিপিতে আরও জানানো হয়, গবেষণার বিষয় সম্পর্কিত ন্যূনতম জ্ঞান না থাকা স্বত্বেও ৭১ টিভির সাংবাদিকদের টকশোতে অসৌজন্যমূলক আচরণ কখনোই কাম্য নয়। অসৌজন্যমূলক কর্মকান্ড গবেষক ও জনমনে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। নীল দল এবং ছাত্র সমিতি গবেষক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ও তার গবেষণার উপর একাত্তর টেলিভিশনের ঐ সাংবাদিকদের ভিত্তিহীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে।
সম্প্রতি ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ বিশ্বখ্যাত জার্নালে বাকৃবির কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বেগুনে ভারী ধাতুর উপস্থিতি শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। ড. জাকির বেগুন নিয়ে যে গবেষণা করেছেন যেটি সাদা চোখে খুবই সাদামাটা একটি গবেষণা মনে হলেও মানব দেহের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিলে গবেষণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় জামালপুরের জেলার কিছু এলাকার চাষকৃত বেগুনে কয়েকটি ভারী ধাতু যেমন- লেড, ক্যাডমিয়াম এবং নিকেলের উপস্থিতি পেয়েছেন যা মানবদেহের সহনীয় মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় রয়েছে। এসব ভারী ধাতু ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অতিরিক্ত মাত্রায় এসব ভারী ধাতুর উপস্থিতি মানব শরীরের জন্য হুমকিস্বরূপ ও মরণব্যাধি রোগ ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ তৈরি করতে সক্ষম।
মন্তব্য