ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫ ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

হাসনাতের ওপর হামলাকারী কী এই নাসির মোড়ল?

অনলাইন ডেস্ক
৫ মে, ২০২৫ ১৪:১১
অনলাইন ডেস্ক
হাসনাতের ওপর হামলাকারী কী এই নাসির মোড়ল?
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় আলোচনায় এসেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল। আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নাসির মোড়লের নাম সামনে আসে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাসির মোড়ল গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, হামলা ও ত্রাসের অভিযোগে তার নামে শ্রীপুর থানায় মামলা রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট শ্রীপুর উপজেলার প্রশিকা মোড়ে এক যুবলীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুর এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগে নাসির মোড়লসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলারও আসামি তিনি।

আরও জানা গেছে, নাসির মোড়লের বাবা শফিক মোড়ল। তার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের‌ টেপিরবাড়ি মোড়ল পাড়া এলাকায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সম্প্রতি শফিক মোড়লকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার পর তাকে উদ্দেশ্য করে নাসির মোড়ল নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘মবমারানীর থ্রেট দিছিলা মনে আছে? এখন কী হইলো। থ্রেট লাইক করি না মাইন্ড ইট।’

অন্যদিকে রাত ১০টা ৪১ মিনিটে ফেসবুকে এক পোস্টে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের প্রশ্ন করেন, ‘হাসনাতের উপর হামলাকারী কি এই নাসির মোড়ল?’ ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে নাসির মোড়লের বিভিন্ন পোস্টের স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করেন তিনি।

 

মন্তব্য

কে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক?

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ১৭:৪৭
অনলাইন ডেস্ক
কে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক?

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি একসময় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন তিনি। 

আব্দুর রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪৪ সালে। কর্মজীবনে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। পরে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ দিন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের পক্ষে আইন লড়াই করেন। যাদের পক্ষে আইনি লড়ান করেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মহাসচিব আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহেদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা। 

২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন। সেসময় তিনি যুক্তরাজ্যে ছিলেন। ই-মেইলের মাধ্যমে দলত্যাগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।

ওই পদত্যাগ বার্তায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তার পদত্যাগ নিয়ে জামায়াত ছাড়াও বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সেসময় তাকে অনুসরণ করে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা দলত্যাগ করেছিলেন বলে জানা যায়।

পরে ব্যারিস্টার রাজ্জাক ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’র (এবি পার্টি) প্রধান উপদেষ্টা হন। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৫ সালের ১৭ আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। 

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ত্যাগ করে যুক্তরাজ্যে চলে যেতে হয়েছিল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে। দীর্ঘ ১১ বছর পর গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফিরে আবারও সক্রিয়ভাবে আইন পেশায় যুক্ত হন। 

গত মাসের ২১ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি হন আব্দুর রাজ্জাক। আজ বিকাল চারটা ১০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মন্তব্য

চলে গেলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ১৭:২
অনলাইন ডেস্ক
চলে গেলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

রোববার (৪ মে) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

 আব্দুর রাজ্জাক ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, আব্দুর রাজ্জাক ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সেখানে আজ বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।
 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পিতা হত্যার বদলা নিতে গিয়ে হাসিনা দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন : টুকু

    অনলাইন ডেস্ক
    ৪ মে, ২০২৫ ১৬:২৫
    অনলাইন ডেস্ক
    পিতা হত্যার বদলা নিতে গিয়ে হাসিনা দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন : টুকু

    বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পিতা হত্যার বদলা নিতে গিয়ে দেশ ও জাতিকে শেষ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা মানেই ইতিহাস বিকৃতি শুরু করা।

    তিনি আজ শনিবার বিকেল ৪টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের তৃতীয় তলার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেমোরিয়াল লাইব্রেরী মিলনায়তনে সিরাজগঞ্জের সূধীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। 

    তিনি বলেন, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী আওয়ামী লীগ প্রথম ক্ষমতায় এসে মাত্র পাঁচদিনে দেড় হাজার মানুষ হত্যা করেছিল। সিরাজগঞ্জে মানুষ মারার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা সাতটি ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেসব ক্যাম্পে নির্বিচারে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে।

    টুকু আরো বলেন, কেউ কেউ বলে আওয়ামী লীগ যা করেছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাই করবে- এমন কথা বিএনপির বেলায় মানায় না। 

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির তুলনা যারা করে তারা বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।

    আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যত জঘন্য কাজ করেছে, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে তার ছিটেফোঁটাও করেনি। আওয়ামী লীগের নেতারাই বলেছিল, ক্ষমতাচ্যুত হলে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ লোক মারা যাবে। ৫ আগস্টের পরে বিএনপির হাতে একজন  লোকও মরে নাই। কারণ আমরা শান্ত থেকেছি। আমরা শান্তিপ্রিয়। 

    আওয়ামী লীগের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে টুকু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া পায়ে হেটে জেলে গিয়েছিলেন, হুইল চেয়ারে বেরিয়ে এসেছেন। 

    জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাকিল মোহাম্মদ শরিফুর হায়দারের (রফিক সরকার) সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহ- সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। 
    এসময় বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, আইনজীবিসহ সর্বস্তরের পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৩ মে, ২০২৫ ২৩:৫৯
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

    নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করা হলে অন্য কমিশনগুলোর রিপোর্টও বাতিলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

    শনিবার (৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

    উমামা ফাতমা লিখেছেন, ‘জুলাই এর পর মেয়েদের সাইডে বসায় দিয়ে এখন রাজনৈতিক পাড়ায় নারী অধিকার নিয়ে সালিশ বসছে দেখছি। হায়রে নাটক! সরকার তো একটা ঐকমত্য কমিশন বানালো সংস্কার নিয়ে আলাপ করার জন্য। সবগুলো সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট ঘেঁটে দেখলেই অনেক অবাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবনা চোখে পড়বে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রায়োরিটি বেসিসে সংস্কার প্রস্তাবনার পক্ষে/বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারবে।’

    জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম পরিচিত এ মুখ বলেন, ‘এর মধ্যে নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে সর্বস্তরের নারীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রস্তাবনা ঠিক মনে না হলে মত-দ্বিমতের সুযোগ রয়েছে। সেটা না করে পুরো কমিশন বাতিলের কথা তোলা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্যে?! আর নারীদের কতটুকু অধিকার থাকবে সেটা নিয়ে তো নারীদের তুলনায় পুরুষদের মাথাব্যথা বেশি। এই কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে বাকি সব সংস্কার কমিশনের রিপোর্টও বাতিলযোগ্য।’

    উমামা লিখেছেন, ‘নারীরা কোনো ব্যবহারের বস্তু না যে আপনার গদি সিকিউর করে রান্নাঘরে ফিরে যাবে। অভ্যুত্থানের পর দেশের ৫০ শতাংশ জনগণের অধিকারের প্রশ্ন যাদের কাছে উটকো ঝামেলা লাগে তারা আসলে কোন ধরনের রাজনীতি করতে চায় তারাই জানে। নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু জনসম্মুখে সভা-সমাবেশ করে যে সকল বক্তৃতা ঝাড়া হচ্ছে তাতে আপনাদের বিরোধের পরিবর্তে নারীবিদ্বেষটাই বেশি প্রকাশ পায়।’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘স্পষ্ট করেই বলতে চাই, নারীদের অধিকার, সুযোগ সুবিধার প্রশ্ন বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি মেইনস্ট্রিম হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে তা পরিষ্কারভাবেই বোঝা গেছে। স্টেজে গলাবাজি করে, চোখ রাঙানি দিয়ে নারীদের প্রান্তিক করা সম্ভব না।’

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য
      সর্বশেষ সংবাদ
        সর্বাধিক পঠিত