ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫ ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

মাইক্রোসফটে চাকরি পেলেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী নাজমুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাইক্রোসফটে চাকরি পেলেন নোবিপ্রবি  শিক্ষার্থী নাজমুল

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কম্পিউটার প্রযুক্তি কর্পোরেশন মাইক্রোসফটে কাজ করার সুযোগ পেলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থী জিএম নাজমুল হোসেন সম্রাট । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

গত মার্চে মাইক্রোসফটের অফিশিয়াল মেইল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আগামী নভেম্বরে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রে মাইক্রোসফট ক্যাম্পাসে যোগদান করবেন।

মাইক্রোসফটে কাজের সুযোগ পাওয়াকে জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে করছেন নাজমুল।

অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি সবসময় চেয়েছি বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোতে কাজ করার। শুরুতে আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করে সাহস নিয়ে প্রতিটি স্টেপ পার করেছি। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এ পর্যন্ত এসেছি।আমি মাইক্রোসফটে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সবার সাথে কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে হবে। ভয়কে সাহসের সাথে জয় করতে অনেকবেশি পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের যারা কোডিং, সফটওয়্যার ভিত্তিক কাজগুলো করতে চাই তাদের সঠিক ডাটা স্ট্রাকচার এন্ড অ্যালগরিদম জানাটা জরুরি। আমি আশা করি নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা একদিন সাহসের সাথে দক্ষতা নিয়ে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোতে কাজ করবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সংসারের হাল ধরতে দিনে ৬টি টিউশনি করা মেয়েটিই বিসিএসে পুলিশের এএসপি

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৩৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সংসারের হাল ধরতে দিনে ৬টি টিউশনি করা মেয়েটিই বিসিএসে পুলিশের এএসপি

    অভাবের সংসারে সচ্ছলতার জন্য হাওরে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দিনে রাতে মিলিয়ে ৬টি টিউশনি করিয়ে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন। পাশাপাশি সংসারেও টাকা পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাও করেছেন সমান তালে। রসায়নে অনার্স-মাস্টার্সে ফার্স্টক্লাস পেয়েছেন। এর মধ্যে অনার্সে তিনি ফার্স্টক্লাস সেকেন্ড হয়েছেন। অথচ বইয়ের অভাবে একসময় তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। অদম্য মেধাবী সেই ছাত্রীটি এখন ৩৮তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই গল্পটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ডলি রানী সরকার। জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের ঘাসী গ্রামের কৃষক বাবার সন্তান ডলি রানী সরকার।

    নবম শ্রেণি পর্যন্ত বাবার সঙ্গে হাওরের মাঠে কৃষিকাজ করেছেন। বর্ষাকালে পড়াশোনা আর হেমন্তে বাবার সঙ্গে হাওরে ধান কাটা, ফসল লাগানোসহ সব ধরনের কাজে বাবাকে সহযোগিতা করেছেন ডলি। তবে ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী ছিলেন তিনি। শিক্ষাজীবনের শুরুতে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার ঘাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মেধাবী হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুরু থেকেই স্বপ্ন দেখতেন প্রাথমিকে বৃত্তি পাবেন ডলি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় বৃত্তি পাওয়ার সুবিধার জন্য গাইডবই কিনে দিয়েছিলেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুকুল।

    আরো পড়ুনঃ বাবার সাথে কুলির কাজ করা ছেলেটি আজ ৩৪০ কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানের মালিক!

    ওই শিক্ষকের কথা রেখেছেন, প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছেন ডলি। এরপর বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন ডলি। ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর তার বাবা অসুস্থ হন। এজন্য পরিবারে দুঃসময় চলে আসে তাদের। এ অবস্থায় সংসার চালানোর ভার পড়ে তার ওপর। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সেবা-যত্ন, জমিতে কৃষিকাজ ও কষ্ট করে সংসার চালানোর সব দায়িত্ব এসে পড়ে ডলির কাঁধে। হাওর অঞ্চলের সন্তান হওয়ায় বর্ষাকালে পানির সঙ্গে বসবাস। সেজন্য অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এ নিয়ে আক্ষেপ ছিল না তার। সবকিছু সামলে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বই কিনতে পারেননি।

    এ অবস্থায় শিক্ষক ও সহপাঠীদের দেয়া পুরাতন বই নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এমন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পান ডলি। জানা গেছে, মা-বাবার স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবেন, এমনকি ডলিও স্বপ্ন দেখতেন শিক্ষক হবেন। সেই লক্ষ্য নিয়ে নেত্রকোনার কলমাকান্দা সরকারি কলেজে ভর্তি হন। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর অর্থের অভাবে টিউশনি শুরু করেন। সেই সঙ্গে লজিং মাস্টার হিসেবে মানুষের বাড়িতে থেকেছেন। কলেজের প্রথম বর্ষের শেষ দিকে ইভটিজিংয়ের শিকার হন ডলি। শিক্ষকদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেও বিচার পাননি তিনি। মনে কষ্ট নিয়ে প্রথমবর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি চলে যান। কিছুদিন পর পরিবারের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে চলে যান তিনি। তিন মাস পর দেশে চলে আসেন তারা।

    দেশে ফিরে কলেজের কোনো পরীক্ষায় অংশ নেননি। পরবর্তীতে শিক্ষকদের উৎসাহে কলেজের টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখানে ভালো ফলাফল করে উত্তীর্ণ হন। ২০০৮ সালে অসুস্থ অবস্থায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফলাফল করেন ডলি। পরে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চান্স পান ডলি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর মেসে উঠেন। আর্থিক সঙ্কট থাকায় পড়াশোনার পাশাপাশি একসঙ্গে ৫-৬টা টিউশনি করেছেন। পরবর্তীতে মেস ছেড়ে দেন। এরপর পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিলেটে একটি ভাড়া বাসায় উঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড হয়ে অনার্স শেষ করেন। ২০১৬ সালে ফিজিক্যাল রসায়নে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে মাস্টার্সে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করেন। এবার তিনি ৩৮তম বিসিএসে এএসপি হলেন।

    আরো পড়ুনঃ মাইক্রোসফটে চাকরি পেলেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী নাজমুল

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      কিউএস র‌্যাঙ্কিং : সেরা ৬০০-তে স্থান পেলো ঢাবি

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৪৯
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      কিউএস র‌্যাঙ্কিং : সেরা ৬০০-তে স্থান পেলো ঢাবি

      যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং সাসটেইনিবিলিটি-২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবস্থান ৫৫১-৬০০ এর ভিতর। আর ৬০০+ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। গতকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর) এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়।

      র‌্যাঙ্কিং ঘেঁটে দেখা যায়, ১০০ নম্বরের সাসটেইনেবল ইন্সটিটিউশনসে ২৯.৭, সাসটেইনেবল এডুকেশনে ১০০ এর মধ্যে ৩৭ ও সাসটেইনেবল রিসার্চে ১০০ এর মধ্যে ২ পেয়ে ঢাবি আছে ৫৫১-৬০০ তম অবস্থানে। অন্যদিকে একই ক্যাটাগরিগুলোতে যথাক্রমে ৭.৮, ৩০.৫ ও ৩.৫ পেয়ে ৬০০+ অবস্থানে আছে বুয়েট।

      এবারের তালিকায় সাসটেইনেবল ইন্সটিটিউশনসে ১০০, সাসটেইনেবল এডুকেশনে ১০০ ও সাসটেইনেবল রিসার্চে ৯৩. ৯ পেয়ে সবার ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে। তিন ক্যাটাগরিতে ৮৮ .১, ৯৩.৬ ও ৯২.২ পেয়ে কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টো হয়েছে দ্বিতীয় এবং ৮৪ দশমিক ৭, ৯১ দশমিক ৭ ও ৯২ দশমিক ৫ পেয়ে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ ক্যালিফোর্নিয়া তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

      কিউএস র‌্যাংকিংয়ে জায়গা পেতে হলে পরিবেশগত প্রভাব বিভাগে তিনটি কর্মক্ষমতা সূচক মূল্যায়ন করা হয়। সেগুলো টেকসই প্রতিষ্ঠান, টেকসই শিক্ষা এবং টেকসই গবেষণা। এছাড়া সামাজিক প্রভাব বিভাগ পাঁচটি সূচক বিবেচনা করা হয়েছে। তা হলো- সমতা, জ্ঞান বিনিময়, শিক্ষার প্রভাব, কর্মসংস্থান, সুযোগ এবং জীবনের মান।

      আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিউএস র‌্যাংকিং ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের’ তালিকা প্রকাশ করছিল করে আসছিলো।  ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যায় কিউএস। স্থায়িত্বের বৈশিষ্ট্যে প্রকাশিত এবারের এ তালিকায় দেশের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা হয়নি।

      আরো পড়ুনঃ র‌্যাংকিংয়ে নর্থ সাউথের সমপর্যায়ে আসতে পারায় ঢাবিকে নর্থ সাউথের ভিসির অভিনন্দন: বিতর্কের সৃষ্টি

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দশমিক ভগ্নাংশে ইনকোর্স নম্বর, ক্ষোভ-অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৪৮
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দশমিক ভগ্নাংশে ইনকোর্স নম্বর, ক্ষোভ-অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

        কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম পরীক্ষায় দশমিক ভগ্নাংশে (শুণ্য থেকে বেশি একের চেয়ে কম) নম্বর প্রদান করেছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মুর্শেদ রায়হান। স্নাতক ৮ম সেমিস্টারের ইনকোর্সের অন্তভুর্ক্ত ১০ নম্বরের মিডটার্ম পরীক্ষায় দুই জন শিক্ষার্থী যথাক্রমে পেয়েছে ০.৩৩ ও ০.৬৭ নম্বর করে।

        অভিযোগ উঠেছে সেশনজট নিরসন, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করায় শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষোভ থেকিই এমন অদ্ভুত নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট তৈরি করেছেন তিনি।

        প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ট্যুরিজম অ্যান্ড হেরিটেজ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ের ক্লাস নেন মো: মুর্শেদ রায়হান। জানাগেছে সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার দেড় মাসেও ইনকোর্সের রেজাল্ট দিতে পারেননি কোনও শিক্ষক।

        এর ভিতর গত ২৩ অক্টোবর উক্ত কোর্সের ইনকোর্স ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায় ১০ নম্বরের মিডটার্ম পরীক্ষায় ২ শিক্ষার্থী যথাক্রমে ০.৩৩ ও ০.৬৭ নম্বর পেয়েছেন। দুই নম্বরের নিচে পেয়েছেন ১৩ জন, ২১ জনকে দেওয়া হয়েছে তিন-চার নম্বরের নিচে ।

        নম্বরপত্রের এমন অস্বাভাবিক নম্বর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সব মহলে। রাতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদ জনান শিক্ষার্থীরা।

        শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, বিভাগের সেশনজট নিয়ে বারবার আন্দোলন করায় টার্গেট করে নম্বরপত্রে এমন বৈষম্য করেছেন শিক্ষক।

        আরো পড়ুনঃ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম তাজিনঃ তার মুখোমুখি বসে আমরা আজ শুনবো তারই সাফল্যগাথা

        আরো জানা যায়, বিভাগটিতে শুরু থেকে সেশনজট রয়েছে। এনিয়ে ২০১৯ ও ২০২১ সালে দুই দফা আন্দোলনও করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। সেসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে সেশনজট নিরসনের আশ্বাস দেয় বিভাগটি।

        বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আন্দোলন ও ফেসবুকে লেখালেখি করায় ১১তম ব্যাচের ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ করে বিভাগটি। এনিয়েও সেসময় প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা।

        শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সেশনজট নিয়ে আন্দোলন, দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি, শিক্ষকদের সিন্ডিকেট রাজনীতির কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া পরিচিত একটি কোর্সের মিডে ০.৩৩, ০.৬৭ নম্বর দেওয়া মূলত শিক্ষকের ব্যক্তিগত ক্ষোভ-আক্রোশ বলে মনে করছেন তারা।

        এবিষয়ে শিক্ষক মুর্শেদ রায়হান বলেন, "এটা শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বিষয়, সাংবাদিকদের কাছে গেলো কেন? শিক্ষার্থীরা যা লিখেছে সে অনুযায়ী নম্বর পেয়েছে। এবিষয়ে যদি তাদের কোনো অভিযোগ থেকেও থাকে তাহলে বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা আছে, চেয়ারম্যান আছে এবং কোর্স টিচার আছে, বিষয়টি অ্যাকাডেমিকভাবে সমাধান হতে পারতো।"

        আরো পড়ুনঃ নকল রুখতে আজব পদ্ধতি ! অন্তর্বাস, ডিমের খোলা মাথায় পরিয়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষা নিলেন শিক্ষক

        অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেমিস্টারটি জুলাই মাসে শেষ করতে হবে বলা থাকলেও বিভাগটিতে তা সেপ্টেম্বরে শেষ হয়।

        এবিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. মাহামুদুল হাসান খান বলেন, “এসময় দুটি বন্ধ থাকায় একমাস পেছাতে হয়। সেমিস্টারটি যথাসময়ে শেষ করতে আমি সবোর্চ্চ চেষ্টা করেছি।”

        এদিকে অভিযোগ উঠেছে সেমিস্টার ফাইনালের আগেই ইনকোর্সের রেজাল্ট দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানেননি কোনও কোর্স শিক্ষক। এনিয়ে ড. মাহামুদুল বলেন, ইনকোর্সের রেজাল্ট শিট প্রদান করেই ওই শিক্ষক সেমিস্টারের খাতা নিয়েছে। এখানে নিয়মের ব্যতয় ঘটেনি।

        জানতে চাইলে বিভাগটির সভাপতি ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, "শিক্ষকরা অভিভাবকের মতো। আমার মনে হয় না, কোন শিক্ষক তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ শিক্ষার্থীর ওপর তুলবে। ওরা আমাদের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ছোট ভাই-বোনও। তবে কোর্স টিচারের এখতিয়ার আছে কেমন নম্বর দিবে। শিক্ষার্থীরা যেরকম লিখেছে হয়তো সেরকম নম্বরই পেয়েছে। এ ব্যাপারে কোর্স টিচারই ভাল বলতে পারবে।"

        বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, "ইনকোর্সের  পরীক্ষায় এমন রেজাল্ট তো অস্বাভাবিক। শিক্ষকের এমন  আচরণ কাম্য নয়। আমি বিভাগের চেয়ারম্যান ও কোর্স টিচারের সাথে কথা বলে ব্যাপারটি জানার চেষ্টা করব এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করব।"

        আরো পড়ুনঃ সিত্রাংয়ে স্থগিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময়সূচী…

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          কিডনি রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর পাশে নোবিপ্রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ৭:৪০
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          কিডনি রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর পাশে নোবিপ্রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

          নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিদুল ইসলাম ছোটনের চিকিৎসার জন্য ১৫,২৪,০০০ টাকা উপহারস্বরূপ তার বড়ভাই ডা. মামুন আহমেদ ভূইয়ার নিকট হস্তান্তর করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।

          বুধবার(২৬ অক্টোবর) নোবিপ্রবি উপাচার্যের দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অর্থ তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. আব্দুল বাকী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক ড. ফিরোজ আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ ফান্ড গঠন নিয়ে কাজ করা শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

          ফান্ড গঠন নিয়ে কাজ করা শিক্ষার্থীরা জানান, নোবিপ্রবির শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত ২০ লক্ষাধিক টাকার মধ্যে ১৫,২৪,০০০ টাকা উপহারস্বরূপ মাহিদের বড়ভাই ডা. মামুন আহমেদ হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ৪০ লাখ টাকা ব্যবস্থা হয়ে যাওয়ায় নোবিপ্রবি পরিবারের প্রদত্ত টাকার উদ্ধৃত প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা পরর্বতীতে কোনো শিক্ষার্থী এমন বিপদে পড়লে তাকে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবিলে মাহিদের পক্ষ থেকে উপাচার্যের নিকট প্রদান করেন ডা. মামুন।

          আরো পড়ুনঃ বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম তাজিনঃ তার মুখোমুখি বসে আমরা আজ…

          এ বিষয়ে ফান্ড গঠন নিয়ে কাজ করা নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহমাদ উল্লাহ শিমুল বলেন, আমরা নবম ব্যাচ প্রথম থেকেই মাহিদের ভাইয়ের সাথে কথা বলে সর্বাত্মক চেষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে ক্যাম্পেইন পরিচালনা ও সে অনুযায়ী স্বচ্ছ আপডেট দিয়ে সবার সহযোগিতায় আমাদের কাঙ্ক্ষিত সময়ের পূর্বেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি এজন্য সকলের প্রতি আন্তরিকতা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। মাহিদকে সুস্থ করার প্রয়াসে যাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও তত্বাবধানে আমরা এগোতে পেরেছি তাদের কয়েকজনের কথা না বললেই নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের আসাদুজ্জামান আসাদ ভাই, চতুর্থ ব্যাচের রাশেদ ভাই, পিনাক ভাই, পঞ্চম ব্যাচের মাশফি ভাই ও অতুন দাদা, ষষ্ঠ ব্যাচের এ কিউ এম সালাউদ্দিন পাঠান ভাই, ইশতিয়াক আশরাফ ভাই ও অষ্টম ব্যাচের মাহমুদুল হাসান শিবলু ভাইসহ অসংখ্য অপ্রকাশিত এলামনাইবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় ও উপ-উপাচার্য মহোদয়, প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর স্যার, রিমন স্যার, ফিরোজ স্যার ও ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সর্বোপরি মঙ্গল কামনা করি।

          তিনি আরো বলেন, এ যাত্রায় মাহিদের কল্যাকামী হিসেবে সর্বদা শারিরীক, মানসিক ও বুদ্ধিভিত্তিক শ্রম দিয়েছে নবম ব্যাচের সকলেই। তারপরও যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রয়োজনীয় অনুদান তোলা সহজ হয়েছে তাদের কয়েকজন বিশেষ করে আসাদুজ্জামান নূর, উম্মে হাবিবা সুইটি, ইকবাল, আসাফ সুজন, প্রিয়া বণিক,শোয়াইব,রাফিউজ্জামান রাফি,মাহমুদুল ইসলাম শাকিল, জামশেদ, মাইনুল, আশরাফ, জাভেদ হোসেন সবুজ, রিমন সাইদ রাইয়ান, সাজ্জাদ প্রমেল, সুতীর্থ সরকার অভি, শুভ আহমেদসহ প্রেগ্ন্যাসির তৃতীয় ট্রাইমস্টার চলাকালীন সময়েও বিবিএ এর মাহফুজা আক্তার বিনাদের এই ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার ধন্যবাদ জানানোর উপমা আমার কাছে নেই। এই মানুষগুলোর ভালোবাসা সৃষ্টিকর্তা কবুল করুক। আর জুনিয়র তানিম আব্দুল্লাহ, রাহী রহমান, শাহরিয়ার নাসের, মাইনুদ্দিন পাঠানসহ নাম অপ্রকাশিত যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও স্নেহাশিস রইলো।

          আরো পড়ুনঃ মার্কিন দূতাবাসে চাকরি, বেতন ছয় অংকের ডিজিটে

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত