মিয়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমারের বিমানবাহিনীর জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্তাকে লক্ষ্য করে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের জান্ত ক্ষমতা দখলের পর গত প্রায় ২ বছর ধরে বেসামরিক লোকজনের ওপর যে বিমান হামলা চালাচ্ছে , যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিমান হায়লায় সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়। তাকে আমলে নিয়েই জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিত ট্রেজারি বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিবৃতি প্রদান করা হয়। বৃবিতি অনুসারে এবারের নিষেধজ্ঞায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২ ব্যক্তি ও ৬টি প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়। এরা সবাই জান্তাকে যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সরবরাহ করা এবং তা আমদানি ও মজুত করতে সহায়তা করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অবিরাম বিমান ও বোমা হামলা চালাতে সক্ষম করে তুলেছে।’
মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রমজানে রোজা রাখছেন এই দম্পতি

বছর ঘুরে আবারও শুরু হয়েছে রহমত বরকত ও নাজাতের মাস রমজান। এই মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখেন মুসলিমরা। তেমনই রমজানের প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছু অমুসলিমও এই মাসে রোজা রেখে থাকেন।
এমনই একজন অমুসলিম প্রবাসী আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে, যিনি গত ১২ বছর ধরে রমজানে রোজা রাখছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।
আমিরাত প্রবাসী ডা. জেরামি উমালি। ফিলিপিনো এই প্রবাসী গত চার বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছেন। তিনি এমনই একজন ব্যক্তি যিনি অমুসলিম হয়েও রমজানের প্রায় ৩০ দিনই রোজা রাখেন।
খালিজ টাইমস বলছে, প্রাথমিকভাবে রোজা রাখার স্থানীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞাত হওয়ায় ডা. জেরামি উমালি ভাবতেন কেন মানুষ একটি নির্দিষ্ট মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনও খাবার খায় না। কিন্তু শিগগিরই তিনি রমজানের সারমর্ম এবং এর তাৎপর্যের প্রশংসা করতে শুরু করেন।
জেরামি উমালি বলছেন, ‘আমি যখন সৌদি আরবে দন্তচিকিৎসক হিসেবে কাজ করতাম, তখন দেখতাম যে আমার আশপাশের মুসলিম সহকর্মীরা খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকতেন। আমি প্রথমে আশ্চর্য হয়েছিলাম, কেন (এমনটা তারা করেন)। কিন্তু এরপর বেশ দ্রুতই ইসলামের এই ঐতিহ্য সম্পর্কে আমি জানতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার আগে আমি আট বছর সৌদি আরবে কাজ করেছি। কিন্তু এখানে এসেও আমি (রমজানে না খেয়ে থাকার অভ্যাস) অব্যাহত রেখেছি।’
খালিজ টাইমস বলছে, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসে অমুসলিমদেরও জনসমক্ষে খাওয়া, মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। আর তাই কর্তৃপক্ষের প্রতি সাধারণ আনুগত্য হিসেবেই এই নিয়ম পালন করা শুরু করেন ডা. জেরামি উমালি। মুসলিম সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা থেকে শুরু হওয়া এই অভ্যাসই পরে ফিলিপিনো এই প্রবাসীর আজীবন অভ্যাসে পরিণত হয়।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জেরামি উমালি বলছেন, ‘আমি রমজানের ৩০ দিনই রোজা রাখি। যথাসম্ভব পানি পান থেকেও বিরত থাকি। গত তিন বছর ধরে রমজানও কমবেশি লেন্টের সাথে মিলে যাচ্ছে। লেন্ট এমন একটি সময় যখন অনেক খ্রিস্টান উপবাস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকেন।’
কর্মীদের ৬৩ মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান

তাইওয়ানের জায়ান্ট শিপিং কোম্পানি এভারগ্রিন তাদের ৩১'শ কর্মীদের বিশাল বোনাস দিচ্ছে। গত বছরের শেষ দিকে ৫২ মাসের বেতনের সমান বোনাস দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বেশ আলোচনায় আসে।
এভারগ্রিন আবারও কর্মীদের ১০-১১ মাসের বেতনের সমান বোনাস দেওয়া ঘোষণা দিয়েছে। দুই দফায় এই বোনাস দাঁড়াচ্ছে ৬৩ মাসের বেতনের সমান। অন্যভাবে বললে, প্রায় ৫ বছরের বেতনের সমান কর্মীদের বোনাস দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন> হোটেল ম্যানেজমেন্ট : কোথায় পড়বেন, কী শিখবেন, আয়-রোজগার কেমন
মূলত ২০২২ সালে কর্মীদের পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে এই বোনাস দিচ্ছে তাইওয়ান বেসড শিপিং কোম্পানিটি।
এ নিয়ে এভারগ্রিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, কর্মীদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স উপর ভিত্তি করে এই বোনাস ভাগ করে দেওয়া হবে। এ জন্য কোম্পানিটির ব্যয় হচ্ছে ৯৪ মিলিয়ন ডলার।
বিভিন্ন দেশ থেকে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় ও বিশ্বজুড়ে পরিবহন খরচ বাড়ায় জাহাজে পণ্য পরিবহন সেবা প্রদানকারী বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ৩৯ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।
ইফতারের সময় জানান দিতে প্রতিদিন ৮টি কামন থেকে গোলা ছুড়বে দুবাই

বছর ঘুরে আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে বুধবার বা বৃহস্পতিবার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পবিত্র এই মাসটি শুরু হতে যাচ্ছে। আর এ উপলক্ষে দেশটিতে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির রাজধানী দুবাইয়েও নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। সেখানে ইফতারের সময় জানান দিতে একসঙ্গে আটটি কামান থেকে ছোড়া হবে গোলা। দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে এর প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে দুবাই।
সোমবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোলাবর্ষণের মাধ্যমে ইফতারের সময় জানান দিতে দুবাই পুলিশ আমিরাতের বিভিন্ন অংশে ৮টি কামান স্থাপন করেছে।
এসব কামানের মধ্যে সাতটি কামান ফিক্সড এবং অন্যটি ভ্রাম্যমাণ কামান। ভ্রাম্যমাণ এই কামানটি পবিত্র রমজান মাসজুড়ে দুবাইয়ের ১৫টি এলাকায় ভ্রমণ করবে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১৯৬০ এর দশকের শুরু থেকে আমিরাতে ইফতারের সময় জানান দিতে কামান থেকে গোলাবর্ষণ রমজানের একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে।
হৃদয় ভাঙার বীমা: প্রেমিকা ছেড়ে যাওয়ায় মিলল ২৫ হাজার টাকা

হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ড বা হৃদয় ভাঙার জন্য বীমা! শুনে অবাক হচ্ছেন? এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে জানা গেল এমনটি। ব্রেকআপের ফলে প্রতিক আরিয়ান নামের এক প্রেমিক হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ড বা হৃদয় ভাঙার বীমার কল্যাণে পেয়েছেন ২৫,০০০ টাকা।
এখন প্রশ্ন হল, এমনটা কেমন করে সম্ভব?
গোটা বিষয়টি টুইটারে খোলাসা করেছেন বীমার অর্থ পাওয়া ওই যুবক নিজেই।
প্রতীক ও তার প্রেমিকা একটি ব্যাংকে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন। ঠিক করেন, দু’জনেই প্রতি মাসে ওই অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে জমা রাখবেন। অর্থাৎ মাস প্রতি অর্থের পরিমান হবে ১০০০ টাকা। এইসঙ্গে উভয়ের সম্মতিতেই ঠিক হয়, প্রেমিকা ভালবাসায় ধোকা দিলে প্রেমিক ওই টাকা পাবেন, একইভাবে প্রেমিক ধোকা দিলে যাবতীয় অর্থ পাবেন প্রেমিকা। ওই তহবিলের নামকরণ করা হয় ‘হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ড’।
টুইটার পোস্ট প্রতীক জানিয়েছেন, আমি সম্প্রতি ২৫ হাজার টাকা পেয়েছি। কারণ প্রেমিকা আমাকে ঠকিয়েছে। আমরা ‘হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ডে’ ৫০০ টাকা করে জমিয়েছিলাম। চুক্তি মতো সেই টাকাই পেয়েছি।
মন্তব্য