বিনা খরচে স্নাতকোত্তর করুন থাইল্যান্ডে

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ফুল-ফ্রিতে দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তরের সুযোগ দিচ্ছে থাইল্যান্ডের চুলভর্ন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ (CGI) । বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।
চুলাভর্ন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট (CGI) ২০০৫ সালে প্রফেসর ড. হার রয়্যাল হাইনেস প্রিন্সেস চুলভর্ন মাহিদলের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। চুলাভর্ন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট হল একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি স্নাতকোত্তর একাডেমিক ইনস্টিটিউট, যার মধ্যে চুলাভর্ন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং থাইল্যান্ডের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সারা বিশ্বের একাডেমিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ফ্যাকাল্টি সদস্য রয়েছে।
সুযোগ-সুবিধাসমূহঃ- • টিউশন ফি এবং অন্যান্য একাডেমিক খরচ প্রদান। • ভিসা ফি প্রদান। • মাসিক ভাতা প্রদান। • রাউন্ড এয়ার ট্রিপের সুবিধা প্রদান। • বিনাখরচ আবাসন সুবিধা প্রদান। • শিক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য আলাদা ভাতা প্রদান। • হেলথ ইনস্যুরেন্স, ভিসা ফি সহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান। যোগ্যতাসমূহঃ- • আবেদনকারীর বয়স ৩০ বছরের কম হতে হবে। • ইংরেজী ভাষায় দক্ষ হতে হবে । (আইএলটিএস বা টোফেল সনদ)। • আবেদনকারীকে অন্তত চার বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রীধারী হতে হবে এবং সিজিপিএ অন্তত ২.৭৫/৪.০ থাকতে হবে। • যে প্রোগ্রামে আবেদন করতে চাইবেন, সেই প্রোগ্রামের দেয়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
যে সকল বিষয়ে আবেদন করা যাবে- ১. বিজ্ঞানঃ- রসায়ন, জীববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, আণবিক জীববিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান। ২. চিকিৎসা বিজ্ঞানঃ- মেডিসিন, চিকিৎসা প্রযুক্তি ,ফার্মাসি বা ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স। ৩. ফলিত জৈবিক বিজ্ঞানঃ- পরিবেশগত স্বাস্থ্য।
প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ- ১) আবেদন ফরম। ২) সম্পূর্ণ একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট। ৩) তিনটি সুপারিশপত্র। ৪) মেডিক্যাল রিপোর্ট। ৫) স্টেটমেন্ট অব পারপাস। ৬) আবেদনকারীর ছবি। ৭) অন্যান্য নত্রিপত্র (যদি থাকে)।
আবেদন পদ্ধতিঃ- আবেদনকারীদের চুলাভর্ন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আবেদন ফর্মটি পূরণ করে নিম্নলিখিত পদ্ধতির মাধ্যমে নথিগুলো জমা দিতে হবে।
ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদনপত্রের স্ক্যান ফাইল এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি এখানে পাঠাতে হব। থাইল্যান্ড ইমেল: cgi_academic@cgi.ac.th
তারপরে উল্লেখিত ঠিকানায় ডাক পরিষেবার মাধ্যমে সমস্ত মূল নথি পাঠাতে হবে। চুলাভর্ন রয়্যাল একাডেমি, চুলভর্ন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট (সিজিআই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম) 906 কামফাংফেট 6 রোড, তালাত ব্যাং খেন, লক্ষী, ব্যাংকক 10210 ।
আবেদন ফরম পেতে এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য ক্লিক করুনঃ- https://www.cgi.ac.th/admissions/cgi-af-scholorship/ ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইট লিঙ্ক- https://www.cgi.ac.th/
ফুল-ফ্রি স্কলারশিপে মাস্টার্স করুন নেদারল্যান্ডসে

আন্তজার্তিক শিক্ষার্থীদের নেদারল্যান্ডসের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল-ফ্রিতে স্নাতকোত্তর এবং বিভিন্ন শর্ট কোর্সে অধ্যায়নের সুযোগ দিচ্ছে অরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রাম (ওকেপি) স্কলারশিপ । বাংলাদেশসহ বিশ্বের আরো ৪০টি দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১১ অক্টোবর।
অরেঞ্জ নলেজ প্রোগ্রাম স্কলারশিপটি নেদারল্যান্ডসের ডাচ মন্ত্রণালয় দ্বারা অর্থায়নকৃত। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা নেদারল্যান্ডস’র শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে থাকে। এছাড়া স্কলারশিপটি এক হাজারেরও বেশি কোর্স অফার করে।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামের সময়কাল সাধারণত ১২ মাস হয় এবং অনলাইন কোর্সের বিভিন্ন সময়কাল থাকে। যেমন ২ মাস, ৬ মাস আবার ১২ মাসও হতে পারে।
সুযোগ-সুবিধা: ১. সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে । ২. ভিসা খরচ। ৩. ভ্রমণ খরচ। ৪. স্বাস্থ্য বীমা।
যোগ্যতা সমূ: ১. ওকেপি দ্বারা নির্ধারিত দেশের হতে হবে। ২. বৈধ পরিচয়পত্র থাকতে হবে। ৩. বিগত ডিগ্রিগুলোর একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে। ৪. সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকতে হবে। ৫. ইংরেজি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদন করার আগে অনলাইনের মধ্যমে ওকেপি যোগ্যতাসমূহ পূরণ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং ওকেপি’র তালিকা থেকে কোর্স নির্ধারণ করে নিতে হবে। কোর্সের তালিকা দেখুন লিংকে (https://www.studyinnl.org/dutch-education/studies?scholarship=Orange+Knowledge+Programma+%28OKP%29)।
আবেদন করতে এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন (https://www.studyinnl.org/finances/orange-knowledge-programme#countries)
উচ্চশিক্ষায় কানাডার সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ কানাডা। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান, স্কলারশিপ প্রাপ্তি, বাৎসরিক টিউশন ফি, আবাসন সুবিধা বিষয়সমূহের আধিক্যতার কারণে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কানাডায় উচ্চশিক্ষার আগ্রহ ক্রমশ বেড়েই চলছে। এছাড়া বিশ্বের সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটিই কানাডার দখলে। আজ আমরা কানাডার সেরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানবো।
University of Toronto
১৮২৭ সালের ১৫ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়। এটি কানাডার অন্টারিও প্রদেশের টরন্টোতে অবস্থিত। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কানাডার পাবলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যাচেলরের জন্য প্রায় ৭০০টি এবং মাস্টার্সের জন্য ২০০টি কোর্স অফার করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬১ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসকল অনুষদ রয়েছে:
Faculty of Applied, Science and Engineering, Arts and Science, Dentistry, Information, Management, Music, Pharmacy, Architecture, Landscape and Design, Continuing Studies, Education, Law, Medicine, Nursing, Public Health.
McGill University
কানাডার আরেকটি গবেষণা ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার কুইবেক প্রদেশের মন্ট্রিয়াল শহরে অবস্থিত। কানাডার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ২য়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩৯ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৫০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রতি বছর হাজারো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৪০০টির বেশি প্রোগ্রাম রয়েছে।
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসকল অনুষদ রয়েছে:
Faculty of Arts, Faculty of Education, Faculty of Dentistry, Faculty of Engineering, Faculty of Law, Faculty of Medicine and Health Sciences, Faculty of Science, Desautels Faculty of Management, Faculty of Agricultural and Environmental Sciences.
University of British Columbia
কানাডার অন্যতম একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া।এটি কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় অবস্থিত। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানটি ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার দুইটি ক্যাম্পাস রয়েছে। ২টি ক্যাম্পাস মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থী প্রায় ২২ শতাংশ।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় যেসকল অনুষদ রয়েছে:
Applied Science, Dentistry, Arts, Education, Forestry, Medicine, Science, Music, Nursing, Land and food systems.
University of Montreal
১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিইয়াল। এটি সর্বজনীনভাবে অর্থায়িত গবেষণা ভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৯ হাজার ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রছাত্রীসহ মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৫৯ জন।
Arts and Science, Education, Dentistry, Environmental Design, Kinesiology, Law, Medicine, Music, Optometry, Nursing, School of Public Health, Pharmacy, Veterinary, Continuing Education.
University of Alberta
ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা কানাডার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি এবং বিশ্বের নেতৃস্থানীয় পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এটি একটি। মানবিক, বিজ্ঞান, সৃজনশীল শিল্প, ব্যবসা, প্রকৌশল এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বেশ খ্যাতি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির। ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির দুইটি শহরে মোট পাঁচটি ক্যাম্পাস রয়েছে। ব্যাচেলরে ২০০ এবং মাস্টার্সে প্রায় ৫০০টির উপরে কোর্স চালু রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০ হাজার ৬১ জন (প্রায়)।
McMaster University
ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি ২৩ এপ্রিল, ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার অন্টারিও প্রদেশের হ্যামিল্টন শহরের একটি সরকারি গবেষণা ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়। ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটিতে যেসকল অনুষদ রয়েছে:
Arts & Science, Business & Commerce, B.Tech, B.Com Integrated Humanities, Business & Engineering Health, Engineering Science & Entrepreneurship, Engineering & Management, Engineering, Computer Science, Engineering and Health Sciences, Biomedical, Engineering, Humanities, Midwifery, Science/Kinesiology, MELD, Nursing, Medical Radiation, Science, Social Sciences.
University of Waterloo
১৯৫৭ সালের ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়টি কানাডার অন্টারিওর ওয়াটারলুতে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৪২,০০০ থেকেও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪ হাজার পাঁচশত। শুধুমাত্র ৭৪ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ১৯৫৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির পথচলা শুরু হয়েছিল।
ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসকল অনুষদ রয়েছে:
Arts, Engineering, Environment, Health, Mathematics, Science.
Western University
ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও কানাডার অন্যতম অন্যতম প্রাচীন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি অন্টারিও অঙ্গরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থিত। ৭ মার্চ, ১৮৭৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ১% এর মধ্যে স্থান পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ১২৮টি দেশের ৫ হাজার আটশত ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রছাত্রীসহ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ হাজার।
ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসকল অনুষদ রয়েছে:
Faculty of Music, Faculty of Social Science, Faculty of Arts and Humanities, Faculty of Education, Faculty of Engineering, Faculty of Health Sciences, Faculty of Information and Media Studies, Faculty of Law, Faculty of Science.
University of Ottawa
অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম দ্বিভাষিক (ইংরেজি-ফরাসি) বিশ্ববিদ্যালয়। কানাডার রাজধানী অটোয়ায় এটি অবস্থিত। ইউনিভার্সিটি অব আটোয়া ১৮৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ হাজারেরও বেশি।
ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার অনুষদসমূহ:
Faculty of Arts, Faculty of Engineering, Faculty of Law - Civil Law Section, Faculty of Medicine, Faculty of Social Sciences, Faculty of Education, Faculty of Health, Sciences, Faculty of Law - Common Law Section, Faculty of Science, Telfer School of Management.
University of Calgary
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগারি কানাডার শীর্ষ গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৬ সালের আগ পর্যন্ত এটি আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালগারি শাখা হিসাবে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৪টি অনুষদের অধীনে প্রায় ২৫০টিরও বেশি প্রোগ্রাম রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসের সংখ্যা পাঁচটি। মজার বিষয় হচ্ছে, প্রধান ক্যাম্পাসটির আয়তন প্রায় ৪৯০ একর। যা ক্যালগারির পুরো ডাউনটাউনের চেয়েও বড় এলাকা।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগারির অনুষদসমূহ:
Faculty of Arts, Cumming School of Medicine, Faculty of Graduate Studies, Faculty of Kinesiology, Haskayne School of Business, Faculty of Law, Faculty of Nursing (Qatar), Faculty of Nursing, Schulich School of Engineering, Faculty of Science, Faculty of Social Work, Faculty of Veterinary Medicine, Werklund School of Education.
উপরোক্ত বর্ণিত সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কানাডায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। যেগুলোর পড়াশোনার পরিবেশ এবং মান অনেক উন্নত। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রদানকৃত স্কলারশিপ সম্পর্কে জানতে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ভালোভাবে তথ্য জেনে নিতে হবে।
স্কলারশিপ নিয়ে বিনা খরচে ভারতে পড়ার সুযোগ

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর স্কলারশিপের মাধ্যমে বিনা বেতনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেয় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)। শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষা নয় বরং ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক ও নানা আকর্ষণীয় স্থান ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে থাকে এই স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের।
যার ফলে শিক্ষার্থীরা ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়ে থাকেন। এর ফলে দিন দিন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে স্কলারশিপের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে এবং প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে থাকেন।
ভারত সরকার বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকা-এশিয়ার মোট ৭৩টি দেশের শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপ দিচ্ছে। বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপ স্কিমের আন্ডারে বছরে একবার স্কলারশিপ পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০০ জন বাংলাদেশী এ স্কলারশিপটি পেয়েছেন।
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ভারতের নামকরা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে শুধু মেডিকেল বিষয়ক সাবজেক্টে স্কলারশিপ দেওয়া হবে না। মেডিকেলের যাবতীয় ডিগ্রি নিজ খরচে করতে হবে। প্রতি বছর ICCR-এর আওতায় মোট ২০০ জন স্কলারকে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে ১০০টি ইঞ্জিনিয়রিং সাবজেক্টের জন্য আর ১০০টি নন-ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের জন্য। যেমন- স্নাতক ১৪০টি, স্নাতকোত্তর ৪০টি এবং এমফিল ও পিএইচডি’র জন্য ২০টি।
সুযোগ-সুবিধা
সম্পূর্ণ টিউশন ফ্রি। হোস্টেল এবং খাবার খরচ। প্রতি মাসে উপবৃত্তি ১৮ হাজার ভারতীয় রুপি। যাওয়া-আসার ফ্লাইট ভাড়া। যোগ্যতাসমূহ
বিগত সকল পরিক্ষায় কমপক্ষে ৬০% মার্ক থাকতে হবে। ভেলিড পার্সপোর্ট ও বিগত সকল পরিক্ষার সার্টিফিকেট থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় অভিজ্ঞ হতে হবে এবং দক্ষতার সনদ সরবরাহ করতে হবে।
পরিক্ষা পদ্ধতি
অনলাইনে ২০০ মার্কের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যা সরাসরি হাইকমিশনার ডিল করে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ছবি। সকল একাডেমিক মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট। পাসপোর্ট। এন আই ডি বা জন্ম সনদের ইংরেজি কপি। ফিজিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট। আবেদন প্রক্রিয়া
আইসিসিআর প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন গ্রহণ করে থাকে এবং অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করা যায়।ভারত সরকারের আইসিসিআর পোর্টালে নিজের একাউন্ট খুলে আপনি খুব সহজেই এ আইসিসিআর স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। মনে রাখবেন আইসিসিআর স্কলারশিপটি পাওয়ার জন্য আগের রেজাল্টের চেয়ে পরীক্ষা ও ভাইভা ভালো করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন প্রক্রিয়া এবং আইসিসিআর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ডাড (DAAD) স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা

উন্নত এবং বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানাদিক দিয়ে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় দেশ এটি। বিশেষ করে জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা অনেক আধুনিক ও যুগোপযোগী। এছাড়াও রয়েছে বিশ্বের অনেক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। জার্মানির বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে থাকেন। বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকেই ছাত্র ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে প্রতি বছর জার্মানি আসে। এর মূল কারণ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য রয়েছে না ধরনের নজরকাড়া কতগুলো স্কলারশিপ। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডাড(DAAD) স্কলারশিপ। জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্যে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ হলো এটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডাড (DAAD)স্কলারশিপ সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য । German Academic Exchange Service অথবা ডাড (DAAD) তাদের কার্যক্রম শুরু করে ১৯২৫ সালে। এই স্কলারশিপ প্রতিবছর প্রায় ১৫০,০০০ ছাত্রছাত্রীদের অর্থায়ন করে থাকে। যারা স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য ডাড (DAAD) স্কলারশিপটি একটি দারুণ সুযোগ।
যারা আবেদন করতে পারবেনঃ- ডাড (DAAD) স্কলারশিপের জন্য সাধারনত ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পি এইচ ডি, পোস্ট ডক্টোরাল ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারে।
ডাড(DAAD) স্কলারশিপে যেসকল বিষয়ে আবেদন করা যায়ঃ- 1.অর্থনৈতিক বিজ্ঞান (Economic Sciences)। 2.রাজনৈতিক অর্থনীতি (Political Economics)। 3.উন্নয়ন সহযোগিতা (Development Cooperation)। 4.ব্যবসা প্রশাসন (Business Administration)। 5.চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য (Medicine and public health) 6.কৃষি ও বন বিজ্ঞান (Agricultural and Forest Sciences) 7.প্রাকৃতিক এবং পরিবেশ বিজ্ঞান (Natural and Environmental Sciences) 8.ম্যাথমেটিক্স প্রকৌশল সম্পর্কিত বিজ্ঞান (Engineering and related sciences)। 9.মিডিয়া স্টাডিজ (Media Studies)। 10.আঞ্চলিক ও নগর পরিকল্পনা (Regional and Urban Planning)। 11.সামাজিক বিজ্ঞান (Social Sciences) শিক্ষা ও আইন (Education and Law)।
সুযোগ-সুবিধাঃ- জার্মানিতে অন্যান্য স্কলারশিপের তুলনায় ডাড(DAAD) এর সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশী। এই স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা যে সকল সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে,
•টিউশন ফি ও পরীক্ষার ফি । •মাসিক ভাতা (পি এইচ ডি = ১২০০ ইউরো, মাস্টার্স = ৮৬১ ইউরো) । •বিমান ভাড়া। •স্বাস্থ্যবীমা। •বাড়ি ভাড়া এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা।
আবেদনের যোগ্যতাসমূহঃ- ডাড(DAAD) স্কলারশিপের জন্য আপনার নিম্নোক্ত যোগ্যতা থাকতে হবে, •ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রী থাকতে হবে। •কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ২ বছরের। •আইএলটিএস (IELTS) স্কোর ৬.৫ থাকা লাগবে । তবে বেশ কিছু প্রোগ্রামে আবেদন করতে Medium Instruction English থাকলেই চলবে। তাই অবশ্যই আবেদনের সময় জেনে নিতে হবে আসলে আপনার কি কি লাগছে। •প্রার্থীকে উন্নয়নশীল দেশের হতে হবে। •স্টাডি গ্যাপ যেন ৬ বছরের কম থাকতে হবে।
ডাড(DAAD) স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য যেসকল নথিপত্রের প্রয়োজন হবেঃ- •Online আবেদন ফর্ম। •পাসপোর্ট। •এনাইডি (NID)। •Euro Pas Formatted CV । •সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট। •সকল একাডেমিক মার্কশীট । •মোটিভেশন লেটার (SOP) সাইন ও সিলসহ রিকোমেন্ডেশন লেটার (২টি)। •আইএলটিএস (IELTS)। •কাজের অভিজ্ঞতা সাটিফিকেট । •অফার লেটার (যদি থাকে) ।
আবেদন প্রক্রিয়া ও সময়সীমাঃ- আপনাকে প্রথমে ডাড (DAAD) স্কালারশিপের আওতাভুক্ত কোর্স থেকে কোর্স নির্বাচন করে আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করে আবেদন করতে হবে। আপনি সর্বোচ্চ তিনটি কোর্সে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করবে এবং আপনি যদি নির্বাচিত হোন তাহলে তারাই আপনাকে ডাড (DAAD) স্কলারশিপে আবেদন করতে বলবে। এরপর আপনাকে এই লিংকের মাধ্যমে (https://www.mydaad.de/en/) আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে। ডাড (DAAD) স্কলারশিপের বিভিন্ন ফিল্ডের বিভিন্ন সাবজেক্টের আবেদনের সময়সীমা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনাকে ডাড এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত সকল তথ্য জেনে আবেদন করতে হবে। ডাড এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটঃ- https://www.daad.de/en/
মন্তব্য