ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইসরায়েল, ৩টি ড্রোন ধ্বংস করল ইরান

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইসরায়েল, ৩টি ড্রোন ধ্বংস করল ইরান

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনাও রয়েছে। তবে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।

একইসঙ্গে ইসফাহানের ওপরে ৩টি ড্রোন ধ্বংস করার কথাও জানানো হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন শনাক্ত করা হয় এবং রয়টার্সের মতে, দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরে সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

আল জাজিরা বলছে, ‘গ্রিনিচ মান সময় প্রায় ১২:৩০ টায়’ ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা গেছে, এরপর ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয় এবং এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘আকাশেই ওই ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়’।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।

ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।

এদিকে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘নিরাপদে’ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী আইআরআইবি ‘নির্ভরযোগ্য সূত্র’ উদ্ধৃত করে বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সংবাদদাতা বলেছেন, ইসফাহান শহরও ‘নিরাপদ’ রয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সংস্থা আইআরআইবি টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ওই ভিডিওতে তাদের একজন সাংবাদিককে ইসফাহান শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি ভবনের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ‘শহর নিরাপদ এবং অক্ষত রয়েছে, মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘কয়েক ঘণ্টা আগে আকাশে শব্দ শোনা গিয়েছিল। আমরা যা জানি, ইসফাহানের আকাশে সেসময় একাধিক মিনি ড্রোন উড়ছিল, তবে পরে সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’

আইআরআইবির ওই সাংবাদিক বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত, প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনও তথ্য দেয়নি। কিছু আউটলেট বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, কিন্তু আমাদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বলছি, এই তথ্যটি মিথ্যা, কোনও স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।’

এদিকে ইরানের আধা-সরকারি মেহর নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট জানিয়েছে, শহরের বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর ইসফাহান শহর ‘সম্পূর্ণ শান্ত এবং সুরক্ষিত’ রয়েছে। মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলাচল করছে বলেও জানানো হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ইসরাইলে ৪৫০ কেজি ওজনের ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরান

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:১৮
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ইসরাইলে ৪৫০ কেজি ওজনের ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরান

    ইসরাইলে গত শনিবার প্রায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। এ হামলা ঠেকাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তেলআবিবের, খরচ হয়েছে বিলিয়ন ডলার।

    এবার জানা গেলো, ওই হামলায় ৪৫০ কেজি ওজনেরও ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ইরান। এ বিষয়ে ইসরাইলের গণমাধ্যম চ্যানেল-টুয়েলভ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে ৪৫০ কেজি ওজনের একটি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে। মৃত সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এটি। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইলে হামলার সময় এটি মৃত সাগরে পড়েছে।

    সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার রাতে ইরান তিন শতাধিক ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরানে।

    এদিকে এ মুহুর্তে নেতানিয়াহুকে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কারণ এ অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে কারো স্বার্থ হাসিল হবে না। বরং মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়বে। তাই শান্ত হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ইরানের এ হামলার জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরাইল। তবে কবে নাগাদ হামলা হতে পারে তা এখনো জানা যায়নি

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ইসরায়েলকে সহায়তা করায় জর্ডানে ব্যাপক বিক্ষোভ

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩৯
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ইসরায়েলকে সহায়তা করায় জর্ডানে ব্যাপক বিক্ষোভ

      সপ্তাহান্তে ইরান থেকে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা করা হয়। তবে এগুলো যেন ইসরায়েল পর্যন্ত না পৌঁছে সেই চেষ্টা করেছে জর্ডান। আত্মরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জর্ডান সরকার।

      বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এগুলো আমাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল।’

      কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জর্ডানের নাগরিকেরা তাদের সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত৷’

      বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি।

      তিনি বলেন, ‘এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না। আমরা ইরানকে সমর্থন করি না এবং গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে কোনও পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি।’

      মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি।’

      জর্ডানের রানিসহ প্রতি পাঁচজনের একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত।

      আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ বলেন, সপ্তাহান্তে যে ঘটনা ঘটেছে তাকে ‘কখনও ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য করা হয়েছে তেমনটা বলা যাবে না, বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে’৷ কারণ, ড্রোন বা মিসাইল কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

      এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, ‘এটা ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়।’

      গাজা নিয়ে আম্মানে বিক্ষোভ শুরুর পর অনেকে জর্ডান থেকে মার্কিনিদের তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতে শুরু করেন বলে জানিয়েছেন মুস্তফা।

      গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আম্মানে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তারা ১৯৯৪ সালে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে সই হওয়া শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানান।

      সূত্র: ডয়চে ভেলে

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        এবার ইসরাইল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পালটা হামলা করবে ইরান

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:১৪
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        এবার ইসরাইল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পালটা হামলা করবে ইরান

        নজিরবিহীন হামলার পর এবার ইসরাইলকে কঠোর হুমকি দিল ইরান। ইরানের স্বার্থের ওপর যেকোনও ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে তেহরান। মঙ্গলবার ইরানের রাজনীতিবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি এই হুমকি দিয়েছেন। খবর এবিসি নিউজের।

        আলি বাঘেরি কানি বলেন, ইসরাইল যদি পাল্টা হামলা চালায়, ইরান কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে।

        বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।

        বদলা হিসেবে ইরান গত শনিবার রাতভর ইসরাইলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয় বলে দাবি তেল আবিবের।

        ইসরাইলে হামলার মধ্য দিয়ে বদলার বিষয়টির রফাদফা হয়ে গেছে বলে মনে করছে ইরান। তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে।

        ইরানের হামলার জবাবে ইসরাইল ঠিক কী পদক্ষেপ নেবে, তা নির্দিষ্ট করেননি জেনারেল হারজি। তা ছাড়া কবে, কখন ইসরাইল এই জবাব দেবে, তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।

        ইসরাইলের মিত্ররা ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে তারা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ইরানের হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগীতা করেছে সৌদি!

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৩৭
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ইরানের হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগীতা করেছে সৌদি!

          ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে সৌদি আরব। সৌদিতে ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ।

          সৌদি রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সৌদি আরব নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের পাশাপাশি ইসরায়েল,যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক জোটকে সহযোগিতা করেছে।

          এই সহযোগিতার কারণ হিসেবে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাত থেকে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালিত করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ।’

          ‘সৌদি আরব কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। সেই সঙ্গে যেসব দেশ যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তাদেরকেও সমর্থন করে না।’

          গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রহিমিও ছিলেন।

          হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল— তা পরিষ্কার।

          গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন— এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

          তারপর শনিবার রাত ও রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

          ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে।

          সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত