ঢাবি অধিভুক্ত কলেজের প্রশ্নফাঁস: সাবেক অধ্যক্ষসহ গ্রেপ্তার ৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত নার্সিং কলেজের বিএসসি ইন নার্সিং কলেজের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেএ গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাবি অধিভুক্ত নার্সিং কলেজের বিএসসি ইন নার্সিং পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়। এ ঘটনায় একটি নার্সিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্রের আরও ৫ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব। এ বিষয়ে আজ সোমবার কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি আছে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ

পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত, শান্তিপূর্ণ দেশ নিউজিল্যান্ড। চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিমণ্ডিত এই দেশটি এখন সেখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। তাই এটি এখন অনেকেরই পছন্দের শীর্ষ তালিকায়।
নিউজিল্যান্ডে মাত্র আটটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর প্রতিটি উচ্চমানের গুণগত শিক্ষা দিয়ে থাকে। বৈশ্বিক ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান রয়েছে শীর্ষ সারিতে।
টিউশন ফি উচ্চশিক্ষার খরচ এখানে তুলনামূলক বেশি। তবে খরচ প্রধানত নির্ভর করে পছন্দের প্রতিষ্ঠান, বিষয় ও কোন পর্যায়ে পড়াশোনা করবেন, তার ওপর। স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার খরচ পড়বে সাধারণভাবে বছরে ১৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। আর স্নাতকোত্তরে খরচ দাঁড়াবে বছরে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। তবে শিক্ষার্থীকে তাঁর অথবা তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেখাতে হবে। শুধু টাকা দেখালেই হবে না, টাকার উৎস, সরকারি কর ও অন্যান্য কাগজপত্রও দেখাতে হবে।
বৃত্তি পড়াশোনার খরচ কমানোর জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। দেশটির সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উৎস থেকে তাঁরা বৃত্তি পেতে পারেন। এখানে স্কলারশিপের সুযোগ থাকলেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে স্কলারশিপ পাওয়া একটু প্রতিযোগিতামূলক। কারণ বাংলাদেশের পড়াশোনার মানের সঙ্গে এখানের পড়াশোনার মানের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তবে ডক্টরেটের ক্ষেত্রে অনেক বড় সুযোগ থাকে।
সুযোগ-সুবিধা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে এক বা দেড় বছর পড়াশোনার পর একজন শিক্ষার্থী এক বছরের জন্য চাকরি খোঁজার অনুমতি পেয়ে থাকেন। যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন সে বিষয়ের ওপর যেকোনো একটি চাকরি পেলেই দুই বছর পূর্ণ সময় কাজ করার অনুমতি দেয় নিউজিল্যান্ড সরকার। মোট চার থেকে সাড়ে চার বছর অবস্থানকালীন দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা হলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব থাকলে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব একদম বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।
আবেদনের নিয়ম উচ্চমাধ্যমিকের পরেই নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনার জন্য আবেদন করা যাবে। তবে এসএসসি ও এইচএসসির প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে। বিবিএ, ব্যাচেলর অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস, ডিপ্লোমা ইন আইটি, ডিপ্লোমা ইন হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, আর্থ সায়েন্স, ইকোলজি, ইকোনমিকস, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিএ ইত্যাদি নিয়ে এখানে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ৬ বা ৬.৫ আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় বিরতি থাকলে তাঁকে অবশ্যই যথাযথ কারণ এবং প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তির সময় এবং মেধার ভিত্তিতে অফার লেটার দেয়।
আবেদন করার নিয়ম যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানকার ঠিকানায় সরাসরি আবেদন করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র অনলাইনেও পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত সব কাগজসহ মার্কশিট, আবেদনপত্রের ফি পরিশোধের রসিদ, পাসপোর্টের ফটোকপি, স্পনসরের কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক দায়দায়িত্বের চিঠি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি। উল্লেখ্য, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে।
আবেদন করতে দেখুন নিচের ওয়েবসাইটগুলো-
www.cornell.ac.nz
www.uunz.ac.nz www.regent.ac.nz www.waiariki.ac.nz www.nzse.ac.nz www.edenz.ac.nz www.nznc.ac.nz
কওমি মাদ্রাসা বড় চ্যালেঞ্জ: শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। কওমি মাদ্রাসা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এখানে বড় সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। আমরা এ থেকে উত্তরণে কাজ করছি।
রোববার (২১ আগষ্ট) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কর্তৃক ‘শিক্ষাব্যবস্থায় সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুজিত সরকার।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, পড়াশোনা বিষয়টি এখনও জোর জবরদস্তিমূলক হয়ে আছে। পরীক্ষা ভীতি, অতিরিক্ত বইয়ের বোঝায় জর্জরিত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। আমরা এ অবস্থার পরির্বতন চাই। সেজন্য নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময় তিনি নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে বর্তমান শিক্ষা-ব্যবস্থাকে আনন্দময় করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, গবেষণায় দেখেছি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে যে সরকার এসেছে তারা প্রত্যেকেই পাঠ্যসূচি পরিবর্তন করেছে। এর মধ্য দিয়ে অনেক সরকারই পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি করছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের বের হতে হবে
নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি দরকার নৈতিক শিক্ষা। তাই পাঠ্যসূচিতে নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই।
অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পড়ালেখা শেষ করতে পারে না। এখানে বেশিরভাগই গরিবদের ছেলেমেয়েরা পড়ে। তাই আমাদের এ দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। একই সঙ্গে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যেন প্রযুক্তিবান্ধব হিসেবে বেড়ে ওঠে সে জন্যও পদক্ষেপ দিতে হবে। তাদেরকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ চান শিক্ষাবিদরা। একই সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে অসাম্প্রদায়িকতা, মানবিকতা ও নৈতিক শিক্ষার যুক্ত করার দাবি করেন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি কোর্স বন্ধে ইউজিসিকে চিঠি

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অ্যাগ্রিকালচার (বিএসসি.এজি) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে চিঠি দিয়েছে কৃষি গ্রাজুয়েটদের সংগঠন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন।
কোর্স বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের চিঠির প্রেক্ষিতে বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কৃষি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
কৃষি গ্রাজুয়েটদের মতে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশেষ শ্রেণিকে পাঠদান করানো হয়। তাদের ক্লাস হয় অনলাইনে। এই ধরনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি গ্রাজুয়েটের ডিগ্রি দেওয়া হলে এর মান হবে অনেক নিম্নমানের। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্স চালু করা হলে কৃষিবিদদের মান-মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হবে। দেশের কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সদস্যরা বলছেন, দেশে গ্রাজুয়েশনের আরও অনেক কোর্স রয়েছে। সেগুলোতে কোর্স চালু না করে কৃষি কোর্সই কেন চালু করছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এমবিবিএস এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো কোর্স তো চালু করতে পারবে না। তাহলে কৃষিই কেন?
এ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশনের সভাপতি এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল রশীদ ভূঁইয়া জানান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি সস্তা মাসের ডিগ্রি দেওয়ার পায়তারা করছে। এই ডিগ্রির ফলে কৃষির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এই কোর্স উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতেই পারে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) স্কুল অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্টের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফরিদ হোসেন বলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কৃষি কোর্স চালুর বিষয়টি বলা আছে। আমরা সেই আলোকেই শিক্ষার্থী ভর্তির সার্কুলার দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই কোর্সের ক্লাস অনলাইনে না অফলাইনে হবে। সপ্তাহে চারদিন গাজীপুরে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস করানো হবে। এছাড়া আমরা ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক ল্যাবরেটরিও করেছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি গ্রাজুয়েট তৈরি করতে পারলে আমরা কেন পারবো না?
পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশের সিদ্ধান্ত হয়নি

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপ ও বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তরা পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনটিআরসিএ বলছে, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়ার এখতিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এই ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।
এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানান, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি এবং তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্তদের অনেকেরই যোগ্যতা নেই। তবুও তারা সুপারিশ পেয়েছেন। এনটিআরসিএ’র যে সফটওয়্যার সেখানে এটি ধরার সুযোগ নেই। সেজন্য তারা প্রার্থীদের নিবন্ধন সনদ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জমা দিতে বলেছেন। এটি যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে যোগদানের ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। এটি নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর। মন্ত্রণালয় চাইলে ভেরিফিকেশন চলমান রেখে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এদিকে এনটিআরসিএ’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি এবং তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্তদের ভেরিফিকেশন চলমান রেখে যোগদানের বিষয়ে এখনই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিতে চায় না এনটিআরসিএ। আগে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের সনদ যাচাই করবেন তারা। এরপর মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হতে পারে। তবে এটি সময় সাপেক্ষ বলেও জানান কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ সচিব বলেন, প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের কাগজপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। এটি যাচাই-বাছাই শেষে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান মহোদয় চাইলে ভেরিফিকেশন চলমান রেখে যোগদানের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাতে পারেন। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মন্তব্য