বিএনপি মাঠ গরম করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন রাজনীতির মাঠ গরম করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৯ মার্চ) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে এখন গলাবাজি করে রাজনীতির মাঠ গরম করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
‘সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে’- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপিরই সময় শেষ হয়ে এসেছে, সরকারের নয়।
বিএনপি নেতারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রচার করছে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনি, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস রাজনীতির প্রতিভূ বিএনপির সময় শেষ হয়ে এসেছে।
‘বিএনপি দেশে ভালো যা কিছু অর্জন করেছিল তা সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, বিএনপির কোনো অর্জনই নেই।
বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, বিএনপি এদেশের কোন অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছে? এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভাগ্যোন্নয়নে বিএনপির অবদান কী? আসলে তাদের কোনো অর্জনই নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে স্বৈরতন্ত্রের গর্ভে জন্ম নেওয়া স্বার্থান্ধগোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতি।
বিএনপির শাসনামলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবনের আধিপত্য এবং দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি বলেও বিএনপি নেতাদের স্মরণ করিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।
‘সরকার ক্ষমতায় থাকলে নাকি দেশের অস্তিত্ব থাকবে না’- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য ‘পাগলের প্রলাপ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের মানুষের ভাষার অধিকার, স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, ভাত ও ভোটের অধিকার এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, রেলপথ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌযোগাযোগসহ সব খাতেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন, এলএনজি টার্মিনাল, এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণ, উপবৃত্তি ও শিক্ষাবৃত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দারিদ্র্য বিমোচন, গৃহহীনদের জন্য বিনামূল্যে জমি ও গৃহ প্রদান এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টিসহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মাইলফলক স্পর্শকারী বাংলাদেশের অসংখ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, যার ফলে এক সময়র মঙ্গা, খরা, দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ কবলিত ও দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। বিএনপি আজ যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবেই। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা বিএনপি তার কথামালার চাতুরী দিয়ে কখনো ঠেকাতে পারবে না।
প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবা যাবে না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়। আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবারও জনগণের ভোটে জয়লাভ করবে। তবে প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবা যাবে না, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সু-সংগঠিত করে নির্বাচনমুখী করা। দলনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ত্যাগীরাই দলের নেতৃত্বে আসবেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান সভাপতিত্ব এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।
সম্মেলনে সভাপতি পদে চারজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।
বিএনপিকে শান্তির ভাষায় কথা বলার আহ্বান কাদেরের

বিএনপিকে শান্তির ভাষায় কথা বলার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তা না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। বিএনপির হাঁকডাকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতারা ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জনগণের কাছে একটা দৃশ্যমান উন্নয়নের চিত্র নেই, তাই জনগণ বিএনপির সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যারা সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেরাই যদি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাহলে দেশের সব উন্নয়ন বিনষ্ট হয়ে যাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের গর্ব নিয়ে আরেকটি নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ।
যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে, তাদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন খাদে পড়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপির লাফালাফি কোনো কাজে আসবে না।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, বিএনপি ততই হাঁকডাক শুরু করছে—বিএনপির হাঁকডাকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ত্যাগীরাই হলো আওয়ামী লীগের প্রাণ।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।
যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বিএনপির চিঠি সাংবাদিকদের দেখালেন তথ্যমন্ত্রী

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বিএনপির চিঠি উপস্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নেতারা যে প্রচণ্ড মিথ্যাচার করেন, দেশের বিরুদ্ধে তাঁরা যে ষড়যন্ত্র করছেন, এগুলো হচ্ছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে বিএনপি প্রচণ্ড মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশিদের কাছে বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক চিঠি লেখার কারণে দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে আত্মরক্ষার জন্য তারা প্রচণ্ড মিথ্যাচার করছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো বিএনপি মহাসচিব স্বাক্ষরিত চিঠিপত্র ও বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে বিএনপির ঢাকা অফিসের ঠিকানা-সংবলিত চুক্তিনামার কপি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে সাহায্য প্রদান বন্ধ করা, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করা, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, দেশকে বিদেশিদের কাছে বিব্রত করার জন্য বিদেশিদের কাছে বিএনপি যে চিঠি লিখেছে এবং লবিস্ট নিয়োগ করেছে, এ জন্য দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে গতকাল (মঙ্গলবার) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলন করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে বিদেশিদের কাছে চিঠি লিখেছেন, সেটি শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছেন। কিন্তু সাহায্য বন্ধ করার জন্য যে কথা বলেছেন, সেটি অস্বীকার করেছেন।
হাছান মাহমুদ এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্যবিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান ও বৈদেশিক প্রোগ্রাম বরাদ্দবিষয়ক সিনেট কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে ১৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে লেখা এবং বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান ও নিকট পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া এবং কাউন্টারটেররিজমবিষয়ক সিনেট সাবকমিটির চেয়ারম্যানের কাছে ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে লেখা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুল স্বাক্ষরিত চিঠির কপিগুলো তুলে ধরেন। মন্ত্রী চিঠিগুলোর শেষ অনুচ্ছেদ পড়ে শোনান এবং বলেন, সেখানে বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য দেওয়াকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা; অর্থাৎ প্রকারান্তরে সাহায্য বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
তথ্যমন্ত্রী লবিস্টদের সঙ্গে বিএনপির চুক্তিপত্রগুলো দেখিয়ে উল্লেখ করেন, বিএনপি কয়েকটি চুক্তিতে তাদের কার্যালয়ের ঠিকানা ২৮ ভিআইপি রোড, নয়াপল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ দিয়েছে। তাদের পক্ষে আবদুস সাত্তার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং একই ধরনের চুক্তি তারা বিদেশের ঠিকানা দিয়ে করেছেন, সেখানে স্বাক্ষর করেছেন জিয়াউল ইসলাম।
‘মির্জা ফখরুল সাহেব এই ডকুমেন্টগুলো কীভাবে অস্বীকার করবেন,’ প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপির নেতারা যে প্রচণ্ড মিথ্যাচার করেন, দেশের বিরুদ্ধে তাঁরা যে ষড়যন্ত্র করছেন, এগুলো হচ্ছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েও ক্রমাগতভাবে মিথ্যাচার করেছেন, গতকাল খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার মাধ্যমেই তা প্রমাণিত হয়েছে; অর্থাৎ তাঁদের পুরো রাজনীতিটাই মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। জলজ্যান্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সংবাদ সম্মেলন করে মির্জা ফখরুল সাহেব মিথ্যাচার করেছেন, সেই প্রশ্ন আমারও।’
অব্যাহতভাবে দেশের বিরুদ্ধে বিএনপির মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র এবং লবিস্ট নিয়োগ করে দেশকে বিব্রত করার অপচেষ্টা সত্ত্বেও সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতিসংঘের পিস বিল্ডিং কমিশন; অর্থাৎ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সেই কমিশনের সদস্য, জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য ও পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে। তাই বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য।’
এমপি একরামুলকে আ.লীগ থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কারে সুপারিশের সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পদ-পদবি থেকে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার এবং অব্যাহতির জন্য দলীয় হাইকমান্ডে সুপারিশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হওয়া সভায় দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এ সুপারিশ পাঠানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিগত ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সভায় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে এই সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামীকাল এ সংক্রান্ত চিঠি আওয়ামী লীগ দলীয় সভানেত্রী/সাধারণ সম্পাদক বরাবরে পাঠানো হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির এই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্লাহ খান সোহেলসহ জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্য।
সভায় সব বক্তা তাদের বক্তব্যে একরামুল করিম চৌধুরীর দল বিরোধিতার বিষয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন। এ সময় সবাই একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। পরে উপস্থিত সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একরামুল করিম চৌধুরী এমপিকে আওয়ামী লীগ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার এবং অব্যাহতির জন্য দলীয় হাইকমান্ডে সুপারিশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শিহাব উদ্দিন শাহীন আরও বলেন, ‘সভায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যেসব নেতা বিগত ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের তালিকা করে স্ব-স্ব সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।’
আহ্বায়ক খায়রুল আনম সেলিম বলেন, ‘একরামুল করিম চৌধুরী আমাদের দলের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েও সদ্য সমাপ্ত পৌর ও ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্তিকর অবস্থায় ফেলেছেন। তাই আজকের সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি এবং চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, জেলার কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইলিয়াছ চৌধুরীকে সমর্থন দেন এমপি একরামুল। এরপর নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সহিদ উল্লাহ খান সোহেলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে লুৎফুল হায়দার হায়দার লেলিনকে সমর্থন দেন। এ ছাড়া আসন্ন সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবিলী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ খসরুর পক্ষে অবস্থান নেন। গত বুধবার অডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খসরুর আনারস প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
অপরদিকে, একই উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. তরিকুল ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের আনারস প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নেন।
মন্তব্য