ঢাকা, বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ৫ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যায়ে ওষুধের প্রাপ্যতা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যায়ে ওষুধের প্রাপ্যতা জরুরি

বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। তবে, উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূল পর্যায়ের সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একইসাথে নিরবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে টেকসই অর্থায়ন জরুরি। আজ (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়” শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব মতামত তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৬জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে অসংখ্য জীবন বাঁচানোসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপের পরীক্ষা ও ওষুধের পিছনে ১ টাকা ব্যয় করলে সামগ্রিকভাবে ১৮ টাকার সুফল পাওয়া সম্ভব।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার জানান, “আমরা ইতোমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।”

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, এখন টিভির সিনিয়র নিউজ এডিটর রাশেদা আক্তার শিমুল এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা অ্যাস্ট্রাজেনেকার

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৮ মে, ২০২৪ ১০:৩৬
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা অ্যাস্ট্রাজেনেকার

    অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরস্থিতিতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

    এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

    বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের। কিন্তু বর্তমানে মূল করোনাভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে  এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে অনেক পরিবার।

    তেমনই একজন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা গ্রহণ করেন তিনি। পরে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। জমাট বেঁধে যায় রক্ত। এ নিয়ে মামলা করেন তিনি। একই অভিযোগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা করা হয়েছে।

    এর পরই যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে, করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      যেভাবে বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:২৩
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      যেভাবে বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন

      তীব্র দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ। সারা দেশেই চলছে তাপপ্রবাহ। গরমের পাশাপাশি সূর্যের মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ের অতিবেগুনি রশ্মি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার জন্য। প্রতি বছরই এই মৌসুমে অতিবেগুনি রশ্মির তীব্রতা বিপজ্জনক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়।

      আবহাওয়ার বার্তা অিনুযায়ী, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় আগামী কয়েক দিন অতিবেগুনি রশ্মির সর্বোচ্চ মাত্রা থাকবে ৭, যা অতিবেগুনি রশ্মির সূচক অনুযায়ী উচ্চমাত্রার হিসেবে বিবেচিত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে পরের এক সপ্তাহে প্রতিদিন সর্বোচ্চ মাত্রা ১২ পর্যন্ত উঠতে পারে, যা সূচক অনুযায়ী উচ্চপর্যায়ের মাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে।

      অতিবেগুনি রশ্মির তীব্রতা মানবদেহে নানা রকম রোগ তৈরি করে। মানুষের ত্বকের ক্যানসার থেকে শুরু করে চোখের বিভিন্ন রকম সমস্যা, অকালে চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি হতে পারে অতিবেগুনি রশ্মির কারণে।

      সূর্য থেকে নিঃসৃত অতিবেগুনি রশ্মির তীব্রতা আন্তর্জাতিকভাবে পরিমাপের মানদণ্ডটিই অতিবেগুনি রশ্মির সূচক নামে পরিচিত। এই সূচক শূন্য থেকে শুরু হয় এবং এর মাত্রা ১০-এর ওপর উঠতে পারে। এই সূচকে মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, ত্বক ও চোখে ক্ষতির সম্ভাবনা তত বাড়তে থাকে। সাধারণত দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে এই মাত্রা সর্বোচ্চ হয়ে থাকে।

      সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমাদের রোদ ও সূর্যালোক প্রয়োজন, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু অতিরিক্ত রোদের কারণে শরীরে অতিবেগুনি রশ্মির নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অতিবেগুনি রশ্মির ফলে সবচেয়ে মারাত্মক যে রোগ হতে পারে তা হলো ত্বকের ক্যানসার। মুখমণ্ডল, ঘাড়, গলা, হাত সেসব জায়গার ত্বকে ক্যানসার সেল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

      অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা—

      ১. দুপুরের (বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে) রোদে বাইরে বের না হওয়া ও ত্বকে রোদ না লাগানো।

      ২. আঁটসাঁট কাপড় পরা। কারণ কাপড়ের সেলাইয়ের মধ্যে থাকা ছিদ্র ভেদ করে ইউভি রশ্মি ত্বকে আঘাত করতে পারে। তাই ঘাড় ঢাকা ও লম্বা হাতাওয়ালা জামা পরা উচিত।

      ৩. শতভাগ ইউভি সুরক্ষা দেয়, এমন সানগ্লাস পরা।

      ৪. চওড়া হ্যাট বা টুপি পরা, যেন টুপি মুখমণ্ডল, ঘাড় ও চোখে রোদ লাগতে না দেয়। টুপি বা হ্যাটের পরিবর্তে চাইলে ছাতাও ব্যবহার করা যাবে।

      ৫. ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন ও ঠোঁটের জন্য লিপ বাম ব্যবহার করা।

      সূত্র: বিবিসি

      [প্রিয় পাঠক, আপনিও রাইজিং ক্যাম্পাসের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন- newseditor.trc@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামেই প্রকাশ করা হবে।]
       

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        হিট স্ট্রোক কি? এই গরমে হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:১৫
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        হিট স্ট্রোক কি? এই গরমে হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

        গরমের সময় খুবই কমন একটি রোগের নাম হিট স্ট্রোক। অতিরিক্ত গরমে বেশিক্ষণ থাকা বা পরিশ্রম করলে এই সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হঠাৎ করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে ফলে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

        হিট স্ট্রোক নিয়ে আজকের কলাম লিখেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক- ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, এমবিবিএস(ঢাবি), এমএসসি(যুক্তরাজ্য), সিসিডি(বারডেম), ফেলোশিপ ইন ডায়াবেটিস (সিএমসি হাসপাতাল- ভারত)।
        হিট স্ট্রোক কি? হিট স্ট্রোক হচ্ছে যখন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স বা তার চেয়ে বেশি হয় এবং একইসাথে মস্তিষ্কে কিছু সমস্যা-যেমন অবচেতন হওয়া, অর্ধচেতন হওয়া কিংবা অজ্ঞান হওয়া। কারও এই অবস্থা সৃষ্টি হলে তাকে আমরা হিট স্ট্রোক বলি।

        হিট স্ট্রোক এর ঝুঁকি বেশী কাদের? সাধারণত দীর্ঘ সময় বাইরে কিংবা গরম পরিবেশে যারা কাজ করে থাকেন যেমন কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক,খেতমজুর ইত্যাদি, তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা খুব বেশি। কেউ দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে আছে-তারও হিট স্ট্রোক হতে পারে। এতে মাথাঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন অনেকেই। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃত্যুও হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বাচ্চা, বয়স্ক ও যারা ওবেসিটিতে ভুগছে তারা হিট স্ট্রোকে সহজেই আক্রান্ত হয়।

        হিট স্ট্রোক কিভাবে হয়? একটানা রোদে থাকলে গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। আমাদের শরীরের ভেতরে নানা রাসায়নিক ক্রিয়ার কারণে সব সময় তাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ঘামের সাহায্যে সেই তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয়। ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যাওয়াতে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে শরীরকে করে তোলে অবসন্ন ও পরিশ্রন্ত। যখন আমাদের শরীর বেশি গরম হয়ে যায় তখন এক পর্যায়ে দেখা যায় আর শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে না।

        হিট স্ট্রোকের লক্ষণ কি কি? হিট স্ট্রোক হওয়ার আগে শরীরের কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন:- -তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়; -মাথা ব্যথা হয় -দুর্বল লাগে -ঝিমুনি -বমি বমি ভাব হয়। -এছাড়াও চামড়ার রং লালচে হয়ে যায়। -অনেক সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে -খিঁচুনি হতে পারে। -হৃদপিন্ডের গতি বেড়ে যায়।

        হিট স্ট্রোক হলে করণীয় কী? যথাসময়ে চিকিৎসা না করলে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ফলে বিষয়টিকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১০০ জন হিট স্ট্রোক রোগীর মধ্যে ৩০ জন রোগী মারা যাচ্ছে। কারও হিট স্ট্রোক হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। তবে হিট স্ট্রোক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির আগে রোগীর জন্য প্রাথমিকভাবে যা করণীয় তা হচ্ছে:

        -রোগীকে অপেক্ষাকৃত শীতল কোনো স্থানে নিয়ে যেতে হবে -ফ্যান ছেড়ে দিয়ে বা বাতাস করতে হবে। -ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। -মুখে যদি রোগী খেতে পারে সেক্ষেত্রে প্রচুর পানি বা খাবার স্যালাইন পান করাতে হবে। -কাঁধে-বগলে অথবা কুঁচকিতে বরফ দিতে হবে তারপর যতদ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। -হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক স্যালাইন দেয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

        হিট স্ট্রোক থেকে প্রতিরোধের উপায়: গরমের দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচা যায়-

        ● ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, হালকা রঙের সুতির কাপড় হলে ভালো

        ● যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন

        ● রোদে বাইরে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার করুন

        ● প্রচুর পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করতে হবে

        ● রোদে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি করবেন না।

        ● গ্রীষ্মকালে তীব্র শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।

        দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও হাসপাতালে ভর্তি করে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া গেলে বেশির ভাগ হিট স্ট্রোকের রোগীই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেবে ভুটানের ডাক্তার-নার্সরা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৬ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৩৩
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেবে ভুটানের ডাক্তার-নার্সরা

          ভুটানে একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বানিয়ে দেবে বাংলাদেশ। এজন্য দেশটির ডাক্তার ও নার্সরা বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

          মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

          এর আগে সকালে এ ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ।

          স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটানের রাজা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ আজ আমাদের হাসপাতালে প্রথম আসেন। তারা অনেকক্ষণ ছিলেন। হাসপাতালটি ঘুরে দেখেছেন, বিভিন্ন ওয়ার্ড দেখলেন, বিভিন্ন কার্যক্রম সম্বন্ধে আমাদের সঙ্গে আলাপ করলেন।

          তিনি বলেন, ভুটানের রাজার সঙ্গে যেটুকু কথা হয়েছে আপনারা জানেন গতকাল (সোমবার) আমরা একটা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি যে ভুটানে আমরা একটি বার্ন ইউনিট বানিয়ে দেব, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি। সেই আদলেই আমাদের মেইন কথা। আমরা ওখানে কি কার্যকলাপ করব, আমরা যেটা উনাকে বলেছি ডাক্তারদের ট্রেনিংয়ের একটা প্রোগ্রাম করব। ভুটান থেকে ডাক্তাররা আমাদের দেশে আসবে, নার্সরাও আমাদের দেশে আসবে। আমাদের এ হাসপাতালে ট্রেনিং নেবে।

          ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ভুটানের রাজা এত খুশি হয়েছেন, আমাদের ডাক্তারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। উনি বলেছেন যে আমি এত খুশি হয়েছি যে এরকম প্রোগ্রাম ভবিষ্যতে আরও করব এবং এটাও শেষে বলে গেছেন আবার যখন বাংলাদেশে আসব। আমি আবার এ হাসপাতাল দেখতে আসব।

          হাসপাতালটি কখন চালু করা যাবে– জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজ ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো। উনারা একটি জায়গা ঠিক করে আমাদের জানাবেন। তারপর হয়ত আমরা যাব। এরপর গিয়ে দেখব যে জায়গাটি কোথায়। কাজ শুরু করতে তো সর্বনিম্ন দুই বছর লাগবেই।

          তিনি বলেন, ভুটানের চিকিৎসকরা আমাদের দেশে এসে ট্রেনিং করবে। এটা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি দিয়ে শুরু করব। শুধু এটাই নয়, মেডিসিন, সার্জারিসহ সব জায়গায় যেন আমরা একটা ভালো সম্পর্ক করতে পারি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি সেটিই বলছি।

          ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আর আমাদের সায়মা ওয়াজেদ কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হয়েছেন। উনার সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আমরা কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নতি করতে পারি, আমাদের ভ্যাকসিন প্ল্যান যেটা আছে সেটা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে একটি প্রতিনিধি দল আসবে, অন্যান্য কথাবার্তাও হয়েছে; যাতে আমরা হেলথ সিস্টেমটাকে আরও উন্নত করতে পারি।

          সায়মা ওয়াজেদ এ হাসপাতাল দেখে খুব খুশি হয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উনি আমাকে বললেন যে আরও কীভাবে উন্নতি করতে পারি, বাইরে বার্ন ইউনিট কীভাবে বাড়াতে পারি, যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনো সহায়তা লাগে, উনারা করবেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত