বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন ইবির ১৬ শিক্ষার্থী

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৬ জন শিক্ষার্থী।
শনিবার (১ জানুয়ারি) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৪ জন শিক্ষার্থী এবং জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে ১১ জন ও নবায়ন গ্রুপে একজন শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছেন।
জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে ফেলোশিপ পেয়েছেন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাব্বির আহমেদ, মো. আল-আমিন মিলন, মেহরাব হোসেন ফাহিম, জহুরুল হক, মো. মাসুদুর রহমান, মো. নাজমুল হুদা এবং হুমায়রা আফিয়া। ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের তানিয়া আক্তার, তামান্না খাতুন, রিক্তা খাতুন এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তানিয়া আফরোজ তমা।
ভৌতবিজ্ঞান গ্রুপের আওতায় ফেলোশিপ পেয়েছেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের তহমিনা খন্দকর মিতু ও মুবাসসিরা মুক্তা, বায়োটেকনোলজি বিভাগের মো. শাহিদুল ইসলাম এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রামপ্রসাদ দেবনাথ। নবায়ন গ্রুপের আওতায় ফেলোশিপ পেয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. নাসির উদ্দীন খান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এই তিন ক্যাটাগরিতে এবার ফেলোশিপ পাচ্ছেন মোট ২ হাজার ৪৪৬ শিক্ষার্থী। নবায়ন ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন ৪২ জন শিক্ষার্থী।
সরাসরি মাস্টার্সে ভর্তি বন্ধ করতে চায় ইউজিসি

অনার্স পাসের পর সরাসরি মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ না রেখে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ প্রস্তাব করেছে। গত বৃহস্পতিবার ইউজিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির হাতে এ প্রতিবেদন তুলে দেওয়া হয়।
ইউজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে উচ্চশিক্ষাস্তরে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রিকে প্রান্তিক ডিগ্রি হিসেবে গণ্য করা হয়। মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম বাছাই করা মেধাবী স্নাতকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা প্রয়োজন। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠোমোগত সুযোগ-সুবিধা এবং যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক না থাকলেও সেখানে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর সরাসরি মাস্টার্স ডিগ্রিতে ভর্তির সুযোগ না রেখে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা দরকার। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর গবেষণা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্কলারশিপ-টিচিং অ্যাসিস্টেন্টশিপ-ফেলোশিপের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি সফটওয়্যার প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণে ইচ্ছে মতো আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান আর্থিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটছে। ইউজিসিতে এ ধরনের প্রমাণ মিলেছে। একটি সমন্বিত আর্থিক নীতিমালা ও ম্যানুয়েল প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, দেশে উচ্চশিক্ষা খাতে সরকারি বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের মাত্র ০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা যেকোনো বিচারে অপ্রতুল। কাজেই জাতীয় বাজেটে উচ্চশিক্ষায় খাতওয়ারী বরাদ্দ চিহ্নিত করে ইউজিসিকে ২০২২ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে জাতীয় কাজের ২ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব, উচ্চশিক্ষার মানবৃদ্ধিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন, সুপরিচিত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসে সীমিত আকারে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, এমফিল-পিএইচডি করার অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি বন্ধে একটি নীতিমালা প্রণয়ন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স বন্ধ করে ডিপ্লোমা, শর্ট কোর্স, ভোকেশনাল ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালুসহ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মূল ধারায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর রোববার বলেন, ইউজিসি বার্ষিক প্রতিবেদনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন হবে।
কুবির ৫১ শিক্ষার্থী পেল ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রথমবারের মতো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৫১ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস্ অনার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে আট শিক্ষাবর্ষের ১৮ জন ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ছয় শিক্ষাবর্ষের ৩৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
জানা যায়, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের স্নাতক ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ এবং স্নাতকোত্তরে ২০১০-১১ থেকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মোট ৫১ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস্ অনার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ের আট শিক্ষাবর্ষের সর্বমোট ১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা হলেন-গণিত বিভাগের হোমায়রা দিল আফরোজ ও ফারহানা ইয়াসমিন; পরিসংখ্যান বিভাগের উম্মুল খায়ের সুমি ও সোনিয়া আকতার; অর্থনীতি বিভাগের নয়ন তারা ও স্বর্ণা মজুমদার; ব্যবস্থাপনা বিভাগের সংগীতা বসাক, মো. রফিকুল ইসলাম ও শাকিলা ফেরদৌস; এআইএস বিভাগের অরূপা সরকার ও রাবেয়া জামান; মার্কেটিং বিভাগের নাসরিন আকতার ঝুমুর ও তানজীনা ইয়াসমিন; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের রিপা আকতার; সিএসই বিভাগের নয়ন বণিক; আইসিটি বিভাগের আমেনা বেগম, মো. কামরুল হাসান এবং পিন্টু চন্দ্র পাল।
স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছয়টি শিক্ষাবর্ষ থেকে সর্বমোট ৩৩ জনকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন-গণিত বিভাগের সামিয়া তাহের, খাদিজা বেগম, পারভীন আকতার, হোমায়রা দিল আফরোজ ও মাহিনুর আকতার; পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সানজিদা হক ও অন্তরা তাজরীন তৃণা; পরিসংখ্যান বিভাগের কনকন আচার্য; রসায়ন বিভাগের শারমিন আক্তার রুপা ও মো. আলাউদ্দিন হোসাইন; অর্থনীতি বিভাগের মো. মাসুদ রানা, মো. সাইফুল ইসলাম, স্বর্ণা মজুমদার ও সায়েদা সুরাইয়া সুলতানা; নৃবিজ্ঞান বিভাগের ইসরাত জাহান লিপা; ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের মো. জাহিদ হাসান, সঙ্গীতা বসাক, মো. রফিকুল ইসলাম ও শাকিলা ফেরদৌস; এআইএস বিভাগের ফাহমিদা হোসাইন, তৃণা সাহা, ফাহিমুল কাদের সিদ্দিকী ও মো. কাউসার খান; মার্কেটিং বিভাগের মো. আওলাদ হোসেন, নাসরিন আকতার ঝুমুর, খালেদা আকতার, জাহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী ও তানজীনা ইয়াসমিন; সিএসই বিভাগের মেশকাত জাহান ও তাপসী গোস্বামী এবং আইসিটি বিভাগের আমেনা বেগম, নাবিলা মেহজাবিন ও মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
এ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। সভাপতিত্ব করেন ডিনস্ অনার অ্যাওয়ার্ড উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান।
সেমিস্টার ফির ৭০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপ

আপনি যদি উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য ইউরোপের দেশগুলোয় যেতে চান, তাহলে ফিনল্যান্ড হতে পারে আপনার সুন্দর ঠিকানা। দেশটির বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন-প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে–
উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে চলেছেন শিক্ষার্থীরা। নির্দিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনার জন্য তাঁরা বেছে নিচ্ছেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে থাকা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ পাড়ি জমাচ্ছেন আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোয়। আপনি যদি উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য ইউরোপের দেশগুলোয় যেতে চান, তাহলে ফিনল্যান্ড হতে পারে আপনার সুন্দর ঠিকানা। উন্নত জীবনযাপন ও সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য দিয়ে থাকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা। চির সবুজে ঘেরা দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সহজ করতে নিয়মিত রাখছে নির্দিষ্ট কাজের সময় ও সুযোগ।
উল্লেখ্যযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়
ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড, ইউনিভার্সিটি অব হেলসেঙ্কি, মেট্রোপোলিয়া ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস ইত্যাদি।
যেসব অনুষদে ভর্তি হতে পারবেন
ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এডুকেশন ফরেস্ট সায়েন্সেস হিউম্যানিটিজ হেলথ সায়েন্সেস ল ন্যাচারাল সায়েন্সেস সোশ্যাল সায়েন্সেস শিক্ষাগত যোগ্যতা
মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই চার বছরমেয়াদি স্নাতক (সম্মান) কোর্স শেষ করতে হবে।
তবে যাঁদের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়নি, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন; তবে ভর্তির প্রক্রিয়া চলাকালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে
অবশ্যই ট্রান্স ক্রিপ্ট জমা দিতে হবে।
ভাষাগত দক্ষতা
ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডে ভর্তির জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ জমা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বা টোফেলের ফলাফল গ্রহণ করা হবে। আইইএলটিএস স্কোর সব মিলিয়ে ন্যূনতম থাকতে হবে ৭ এবং লিখিত অংশে ন্যূনতম ৬.৫ হতে হবে। টোফেলের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ন্যূনতম ১০০ ও লিখিত অংশে ২৪ থাকতে হবে। এ ছাড়া পিটিই, সিএই, সিপিই পরীক্ষার ফলাফলও গ্রহণযোগ্য হবে।
স্কলারশিপ
শিক্ষার্থীদের মোট সেমিস্টার ফির ৭০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিটি অনুষদের প্রতিটি বিভাগ থেকে মেধাবী ও সেমিস্টার ফি প্রদানে অপারগ দুজন শিক্ষার্থীকে ফিনল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ বৃত্তিতে ৫ হাজার ডলার দেওয়া হবে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪২ টাকা।
ছাত্র সংসদ
শিক্ষার্থীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ব্যবস্থা করে ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড। ছাত্র সংসদের জন্য খুবই কম পরিমাণ ফি শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষাবর্ষে দিতে হবে। তবে এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দূরপাল্লার যোগাযোগ, সরকারি সেবা ও রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়ার খরচ বহুলাংশে কমে যাবে।
শিক্ষার্থীর মেধাক্রম প্রক্রিয়া
ভাষা দক্ষতার ওপর ২০% লিখিত পরীক্ষার ওপর ২০% একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ৪০% মোটিভেশন লেটারের ওপর ২০% আবেদনের শেষ তারিখ
১৯ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ

সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টাডি গ্রুপ ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে উত্তর আমেরিকায় একটি নতুন অংশীদারত্ব ঘোষণা করেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনকারী আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থী ও অংশীদার উভয়ের জন্যই সাফল্য নিশ্চিতে কাজ করছে।
ইউএস নিউজ ও ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি শীর্ষস্থানীয় পাবলিক হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে। উদ্ভাবন ও বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতির কারণে একে দ্রুত বর্ধনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩০ হাজার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার আটশো’রও বেশি ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দেয়। বিশ্বের নামীদামি এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুগল, অ্যাপল, জেনারেল মোটরস, প্রাইসওয়াটারহাউসকুপার্স। স্টাডি গ্রুপ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু করবে এবং ২০২২ সালের ফল সেমিস্টারে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করবে।
এ নিয়ে স্টাডি গ্রুপের সিইও এমা ল্যানকাস্টার বলেন, ‘ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির মূল ক্যাম্পাস বোকা রেটনে অবস্থিত। এখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত (এসটিইএম) বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। যারা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে আমি মনে করি। আমরা বিশ্বের সকল প্রান্তের শিক্ষার্থীদের কাছে এ রকম অত্যাধুনিক ও উন্নতমানের পাঠদান করা হয় এমন বিশ্ববিদ্যালয়টির কথা জানাতে চাই। স্টাডি গ্রুপের আন্তর্জাতিক মার্কেটিং, স্টুডেন্ট রিক্রুটমেন্ট ও ভর্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটিকে তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে। এটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করবে। এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ। কারণ, তারা সম্পূর্ণভাবে কানেক্টেড বিশ্বে অন্যদের কাছ থেকে শিখতে পারবে।’
স্টাডি গ্রুপের সাউথ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক স্রিনি বান্দারা বলেন, ‘ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি’র সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ অংশীদারত্ব বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বের সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করতে সাহায্য করবে।’
শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা বিকাশে ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির কৌশলগত লক্ষ্যের সঙ্গে কাজ করে স্টাডি গ্রুপ। বৈশ্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে দক্ষতা এবং বিশ্বব্যাপী ৫০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের সুনামের কারণে নিজেদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে সহায়তায় অংশীদার হিসেবে স্টাডি গ্রুপকে নির্বাচন করেছে ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি। স্টাডি গ্রুপ সম্প্রতি গ্লোবাল এডুকেশন ইনভেস্টর অ্যাওয়ার্ডস-এ পাথওয়ে প্রোভাইডার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছে।
মন্তব্য