ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫ ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

আর্জেন্টিনার-ব্রাজিল নয়, দ. কোরিয়ার ৪ কিমি দীর্ঘ পতাকা টানিয়ে তাক লাগালেন তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
আর্জেন্টিনার-ব্রাজিল নয়, দ. কোরিয়ার ৪ কিমি দীর্ঘ পতাকা টানিয়ে তাক লাগালেন তিনি

বিশ্বকাপ ফুটবলের আর মাত্র  বাকি কয়েকদিন। ফুটবল উন্মাদনার ঢেউ বরাবরের মত এবারও লেগেছে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে। ফুটবলপ্রেমীরা পছন্দের দল ও দেশের পতাকা নিয়ে কত পাগলামীই না করে থাকেন। ফুটবল নিয়ে এমন একটি আবেগ আর উন্মাদনার ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার নয়, তিনি তাক লাগিয়েছেন বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রায় অখ্যাত দক্ষিণ কোরিয়ার চার কিলোমিটার পতাকা বানিয়ে।

শখের আম বাগান বিক্রি করে এবং স্ত্রীর ব্যাংকে জমানো টাকা দিয়ে এই পতাকা তৈরি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দক্ষিণ কোরিয়াফেরত আবু কাউছার মিন্টু। তিনি নিজের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকাজুড়ে পতাকা তৈরি করে পুরো এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। মিন্টুর এই কাজে সহযোগীতা করেছেন তার স্ত্রীও। দেশটির প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই কাজ করেছেন বলে জানান মিন্টু। এমন কাজে এলাকাবাসীসহ স্বজনেরা মিন্টুকে উৎসাহিত করছেন

জানা গেছে, জীবিকার তাগিতে ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা গ্রামের বাসিন্দা আবু কাউছার মিন্টু। ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটি তিনি গ্যালারিতে বসেই দেখেছেন। সেবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার এক ফুটবলারের নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন। এরপর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলের ভক্ত হয়ে যান তিনি। পরে ২০১৩ সালে দেশে ফেরেন। নিজের ব্যবসা শুরু করেন গাজীপুরে। তবে প্রবাস থেকে ফিরলেও দক্ষিণ কোরিয়া দলের প্রতি তার ভালোবাসা কমেনি বিন্দুমাত্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের সময় রাজধানীর বিমানবন্দরের ওভারব্রিজ এলাকায় দেশটির একহাজার মিটার দৈর্ঘ্যের পতাকা টানিয়ে ছিলেন। কিন্তু পূর্বের সেই পতাকা নিয়ে নিজেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই ২০২২ বিশ্বকাপের আসর শুরুর আগেই নিজের বাড়ি থেকে পাশের ইউনিয়ন তেজখালি পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পতাকা তৈরির পরিকল্পনা করেন। তার স্ত্রী সাবরিনাও একই দলের সমর্থক। তারা গত বিশ্বকাপের পর থেকে অর্থ সঞ্চয়ের চিন্তা করেন। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা যুক্ত আটটি মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো শুরু করেন সাবরিনা।

সেখানে জমা হয় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। অন্যদিকে, কাউছার তার একটি আম বাগান বিক্রি করেন। সেখান থেকে আরও তিন লাখ ২০ হাজার টাকা যুক্ত করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে তৈরি করেন দীর্ঘ এই পতাকা। শুধু তাই নয়, তাদের ব্যবহৃত পানি ও চা-পান করার কাপ প্লেটেও দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকার ছবি রয়েছে।

রত্না বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মিন্টু ভাই কোরিয়া থেকে আসার পর থেকেই সেই দেশের প্রতি তার টান বেড়ে যায়। এরপর থেকে কোরিয়ার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এর অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে তিনি মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো শুরু করেন। পৈতৃকভাবে পাওয়া নিজের শখের আম বাগানটি বিক্রি করেন। এবার পুরো এলাকায় প্রায় পৌনে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোরিয়ার পতাকা টানান। আমরাও তাকে উৎসাহ দিচ্ছি। আমরা চাই, কোরিয়া এবারের বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল করুক।

হাসিবুল আলম নামে এলাকার এক যুবক বলেন, তিনি (কাউছার) অনেক দিন ধরেই বলছিলেন, কোরিয়ার জন্য নজিরবিহীন একটি পতাকা বানাবেন। কারণ তিনি দীর্ঘদিন দেশটিতে ছিলেন। সে দেশের প্রতি তার আলাদা টান ও ভালোবাসা আছে। এরপর থেকেই পতাকা বানানোর জন্য টাকা জমাতে থাকেন। আজকে সেই নিজের বাড়ি খাল্লা থেকে পাশের ইউনিয়ন তেজখালি পশ্চিম পাড়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় পতাকা লাগিয়েছেন। মিন্টু ভাই, কোরিয়ার একজন বিরাট সাপোর্টার। আমরাও চাই তার মনের আশা যেন পূরণ হয়।

সাবরিনা বলেন, মিন্টু যখন কোরিয়া থেকে দেশে এসেছিল, তখন দেশটি সম্পর্কে আমাদেরকে অনেক কিছুই বলতো। এরপর থেকে কোরিয়াকে আমারও ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই এই পতাকা বানানো হয়েছে। পতাকাটি বানানোর জন্যে আমি মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো শুরু করি। সেখান থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এই টাকায় যখন কিছু হচ্ছিল না। তখন আম বাগানটি বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে পাওয়া টাকা খরচ করে এই পতাকা তৈরি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক আগেই একবার আমাকে কোরিয়া নেওয়ার কথা বলেছিল। তবে নানা কারণে সেটি আর সম্ভব হয়নি। আমারও স্বপ্ন আছে, দেশটিকে নিজ চোখে একবার দেখার। এ ছাড়া কয়েকদিন পর ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হবে। সে জন্য কোরিয়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই পতাকা লাগানো হয়েছে।

কাউছার বলেন আমি ১৯৯৮ সালে প্রথম কোরিয়া গিয়েছিলাম। ২০০২ সালে সেখানে আমি ফুটবল বিশ্বকাপ দেখেছিলাম। সে এক ফুটবলার খুব ভালো খেলতেন। সেখান থেকে আমি কোরিয়ার অনেক বড় ভক্ত। পরে ২০০৩ সালে দেশে এসে বিয়ে করে আবারও কোরিয়া যাই। ২০১৩ সাল পর্যন্ত আমি সেখানেই অবস্থান করে দেশে ফিরে আসি। পরে ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে রাজধানীর বিমানবন্দর ওভারব্রিজ এলাকায় একহাজার মিটার দৈর্ঘ্যের দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা লাগিয়েছিলাম। এরপরে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের পর আমার স্ত্রী বলেছিল, কোরিয়ার জন্য আমরা কিছু করতে পারি কি-না। এরপরে স্ত্রী মাটির ব্যাংকে অল্প অল্প করে টাকা জমানো শুরু করে।

তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুবই আবেগি। সেই আবেগ বিশ্বকাপের আগে বিভিন্ন জায়গাতেই দেখা যায়। অতিরিক্ত আবেগ থেকেই তিনি এমনটা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু বলার বা করার নেই। এবার শহরের বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় বিশ্বকাপের খেলা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।

 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    কাতার বিশ্বকাপের জানা অজানা দশ ঘটনা

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১১ নভেম্বর, ২০২২ ২১:২৬
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    কাতার বিশ্বকাপের জানা অজানা দশ ঘটনা

    রিয়ান বিন কবিরঃ বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র ৯ দিন। আগামী ২০ নভেম্বর পর্দা উঠতে যাচ্ছে দ্যা গ্রেটেষ্ট শো অন আর্থের। এর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটা জানা অজানা ঘটনা।

    ১. এশিয়া মহাদেশে দ্বিতীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বিশ্বকাপ।

    ২. এইবারই প্রথম গ্রীষ্মকালের (মে-জুলাই) পরিবর্তে শীতকালে (নভেম্বর-ডিসেম্বরে) অনুষ্টিত হচ্ছে দ্যা গ্রেটেষ্ট শো অন আর্থ।

    ৩. জনসংখ্যা এবং আয়তন দুইদিক থেকেই এখন পর্যন্ত কাতার সবচেয়ে ছোট আয়োজক দেশ।

    ৪. এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে ওয়েলস।এর আগে তারা শেষ বিশ্বকাপ খেলেছিলো ১৯৫৮ সালে।

    ৫. এবারের আসরে প্রতিটি স্টেডিয়ামে রয়েছে এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি কোনো ফুটবল আসরে।

    ৬. ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ আয়োজন।যা ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আয়োজিত ৭টি বিশ্বকাপের যৌথ ব্যায়কেও ছাড়িয়ে গেছে।কাতার কর্তৃপক্ষ প্রায় ২২০ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ করেছে বিশ্বকাপ আয়োজনে।গেলো বিশ্বকাপ আয়োজনে যেখানে রাশিয়ার খরচ হয়েছিলো প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার।

    ৭. কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে পারলে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪২ মিলিয়ন ডলার।বাংলাদেশী অর্থমূল্যে যা প্রায় ৩৬১ কোটি টাকা।যেটা ব্রাজিল বিশ্বকাপের তুলনায় ৮০ গুণ।২০১৮ বিশ্বকাপের সময় যেটা ছিল ৩৮ মিলিয়ন ডলার।রার্নার আপ দল পাবে বাংলাদেশি অর্থমূল্যে ২৯০ কোটি টাকা।কাতার বিশ্বকাপের মোট প্রাইজমানি ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা।

    ৮. এইবার বিশ্বকাপের ৩২ দলের মধ্যে ইউরোপ থেকে অংশ্রহন করছে ১৩ দল।এশিয়া থেকে ৬,দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৪,মধ্য আমেরিকা থেকে ৪, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে ৫টি দেশ।

    ৯. এই আসরে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া কোচদের মধ্যে একমাত্র কোচ ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশঁম যিনি প্লেয়ার এবং কোচ উভয়ক্ষেত্রে বিশ্বকাপ জিতেছেন।

    ১০. কাতার এক মাত্র আয়োজক দেশ যারা এর আগে কখনোই ফুটবল বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে পারেনি।

     

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      সেমিফাইনালের আগে কোহলির চোট, ভারতের কপালে ভাঁজ

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১০ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৬
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      সেমিফাইনালের আগে কোহলির চোট, ভারতের কপালে ভাঁজ

      আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনিতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড ও ভারত। কিন্তু ইংলিশদের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে দুঃসংবাদ ভারতীয় শিবিরে।

      অনুশীলনে চোট পেয়েছেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার। মঙ্গলবার অনুশীলনের চোট পান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। জানা যায়, বুধবার অ্যাডিলেডে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পান পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক বিরাট কোহলি। তবে শেষ খবর তার চোট গুরুতর নয়।

      নেটে হর্ষল প্যাটেলের বিরুদ্ধে ব্যাট করছিলেন কোহলি। হঠাৎই একটি বল আচমকা লাফিয়ে তার কুঁচকিতে আঘাত হানে। এ সময় কোহলিকে সাময়িকভাবে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। নেটের ধারে ব্যাটের উপর ভর দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। তার পরেই হাত নাড়িয়ে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন তার কিছু হয়নি।

      মঙ্গলবার রোহিতকে থ্রো ডাউন দিচ্ছিলেন এই রঘুই। সেই অনুশীলনের সময় রোহিতের হাতে বল লাগে। পুল মারতে গিয়ে ফস্কেছিলেন তিনি। বল এসে লাগে তার কব্জিতে। রোহিতেরও বেশ বড় চোট বলেই মনে করা হয়েছিল। অনুশীলন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

      রোহিতের ডান হাতে বরফ বেঁধে দেয়া হয়। তার মুখ দেখে মনে হচ্ছিল বেশ যন্ত্রণা করছে। অনুশীলনের জায়গায় পাশে একটি আইস বক্সের উপর বসেছিলেন তিনি। রোহিতের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন দলের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কোচ প্যাডি আপটন। বেশ কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর রোহিত আবার ব্যাটিং করতে আসেন। কিন্তু তখন তাকে শুধু রক্ষণাত্মক শট খেলতেই দেখা যায়। থ্রো ডাউন দিলেও খুব বেশি জোরে বল ছোড়া হচ্ছিল না রোহিতকে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        পবিপ্রবিতে পর্দা উঠলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১০ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:২১
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        পবিপ্রবিতে পর্দা উঠলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের

        সাব্বির হোসেন, পবিপ্রবিঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) পর্দা উঠলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২।

        ১০ ই নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টায় পবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণমূলক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট- ২০২২ শুভ উদ্বোধন করেন পবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।

        টুর্ণামেন্টে সর্বমোট ৩২ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম রাউন্ডে ১৬ টি ম্যাচ, দ্বিতীয় রাউন্ডে ৮ টি,কোয়ার্টার ফাইনালে ৪টি, সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ,ফাইনাল ম্যাচ।

        আজ বেলা ১১ টায় উদ্বোধনী ম্যাচে অংশগ্রহণ করে স্বাগতিক পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্বোধনী ম্যাচে ১-০ গোলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ ই নভেম্বর কাঙ্ক্ষিত ফাইনালের মধ্যে দিয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ সমাপ্তি ঘটবে।

        উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ক্রীড়া সুস্থ এবং মানসিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম।তিনি উপস্থিত সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে খেলোয়াড় সুলভ আচরণ করে টুর্নামেন্ট সফল করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান এবং পবিপ্রবির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

        উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আলী,ল এ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন প্রফেসর পূর্ণেন্দু বিশ্বাস, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর আবুল বাশার , পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন প্রফেসর আহম্মেদ পারভেজ, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক সুজন কান্তি মালি, সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ, পবিপ্রবি ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ইবিতে প্রথমবার রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃজেলার ফুটবল টুর্নামেন্ট

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১০ নভেম্বর, ২০২২ ১৩:০
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ইবিতে প্রথমবার রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃজেলার ফুটবল টুর্নামেন্ট

          মুনিম, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃজেলার ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল মাঠে সিরাজগঞ্জ বনাম বগুড়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টটি আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

          এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় জেলার প্রতিনিধিত্ব কারীরা উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন রিজওয়ান আল হাসিব তুহিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাফফাত হোসেন শিশির, নাটরের শাওন হাসনাত, বগুড়ার বাপ্পা হোসাইন বাপ্পী, জয়পুরহাটের মুরাদ হাসান, সিরাজগঞ্জের রেদওয়ান রনি, পাবনার শাহিনুর রহমান শাহিন ও নওগাঁর শাব্বির আহমেদ ফারাবী।

          রাজশাহী জেলা কল্যাণের সভাপতি ও প্রতিনিধিত্ব কারী রিজওয়ান আল হাসিব তুহিন বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতিসমূহের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই প্রথম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতৃত্ব ও বন্ধন আরও বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যতেও রাজশাহী বিভাগীয় জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতিসমূহ এই ধরনের ভালো ভালো উদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করি।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত