ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫ ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

ভর্তি নিয়ে সক্রিয় প্রতারক চক্র, থানায় অভিযোগ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভর্তি নিয়ে সক্রিয় প্রতারক চক্র, থানায় অভিযোগ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ভর্তির প্রলোভন দেওয়ায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গতকাল শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী রংপুর মহানগরের তাজহাট থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্র জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির প্রলোভন দিচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, কোনো একটি অসাধু চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিষয়ে ভুয়া তথ্য সরবরাহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ‘brur চান্স ১০০% করে দিব’ নামের গ্রুপ থেকে একটি বার্তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। ওই বার্তায় বলা হয়, ‘যারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি, তাদের চান্স পেয়ে দেব। এতে খরচ হবে ২০ হাজার টাকা। অগ্রিম পেমেন্ট করতে হবে ৮৫০ টাকা।’

গতকাল দুপুরে একই গ্রুপ থেকে আরেকটি বার্তা শেয়ার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘যারা রেজাল্ট চেঞ্জ করার জন্য ৮৫০ টাকা দিয়েছেন তাদের রেজাল্ট চেঞ্জ হয়েছে। বিকেল ৫টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট পাবেন। বাকি টাকা ভর্তির পর দেবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে মুঠোফোন নম্বর দিয়ে জালিয়াতি গ্রুপের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, তা সার্চ দিয়ে “DU Admission” সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-সংক্রান্ত প্রতারক চক্র এই কাজটি করেছে বলে আমাদের ধারণা। এ ঘটনায় তাজহাট থানায় শনিবার বিকেলে একটি অভিযোগ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর রাত একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা ও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, জিএসটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। বিভাগগুলোতে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ১১ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    একাদশে ভর্তি কলেজে ৫ লাখ আসন ফাঁকা থাকবে

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:২৬
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    একাদশে ভর্তি  কলেজে ৫ লাখ আসন ফাঁকা থাকবে

    চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করেছে। এরপরও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় পাঁচ লাখ আসন ফাঁকাই থাকবে। অন্যদিকে অপেক্ষকৃত ভালো কলেজগুলোতে এবারও শিক্ষার্থী ভর্তিতে চাপ অব্যাহত থাকবে। জিপিএ-৫ পেয়েও ভালো মানের একটি কলেজ পাবে না শিক্ষার্থীরা

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ালেখা হয় এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৯ হাজার ৪১৪টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সব মিলিয়ে আসন রয়েছে ২৬ লাখ ৯ হাজার ২৪৯টি। আর এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন শিক্ষার্থী। সরকারি এই হিসেবেই আসন খালি থাকবে ৫ লাখ ১২ হাজার ৭০৩টি।

    এদিকে বরাবরের মতো এবারও অপেক্ষাকৃত ভালো কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির চাপ থাকবে। জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। ফলে কলেজ ভর্তি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে এসব শিক্ষার্থী।

    ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ‘ভালো বা মোটামুটি ভালো মানের’ কলেজ আছে প্রায় ২০০টি। যেগুলোতে সব মিলিয়ে আসন হতে পারে এক লাখের মতো। এ ধরনের ২০টির মতো কলেজ ঢাকায় অবস্থিত। এগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে কমবেশি ২০ হাজার। তবে এগুলোর কয়েকটিতে বিদ্যালয় শাখা আছে। ফলে ভর্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরাই অগ্রাধিকার পাবে। এর বাইরে ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, সিটি কলেজগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চাপ বেশি হবে। বিভিন্ন বিভাগীয় শহর এবং কিছু জেলা শহরে এরকম কিছু কলেজ আছে।

    এদিকে আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণির ভর্তির প্রক্রিয়া, শেষ হবে ১৫ জানুয়ারি। এরপর যাচাই এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে ফেব্রুয়ারির ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ করতে হবে। এরপর ২ মার্চ শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস।

    ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা যাবে। একজন শিক্ষার্থী যত কলেজে আবেদন করবে, সেগুলোর মধ্য থেকে মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বের দৌঁড়ে অছাত্ররা, প্রশাসনের ‘না’

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:২১
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  ছাত্রলীগের নেতৃত্বের দৌঁড়ে অছাত্ররা, প্রশাসনের ‘না’

      দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি হতে যাচ্ছে। নতুন কমিটিতে নেতৃত্বের দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছে অছাত্ররা। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের একটি অংশ। ছাত্রলীগের ওই অংশের দাবি, ছাত্রলীগের নেতৃত্বের দৌঁড়ে যারা এগিয়ে আছেন তাদের অধিকাংশই অছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তারা। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে ৪৫ ব্যাচ।

      বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে সেশনজট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শতভাগ আবাসনের নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে জাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট থাকায় করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দেড় মাস পর ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হলে তোলা হয়। এরপরেও তাদের জায়গা হয়েছে গণরুমে। এই পরিস্থিতিতে ৪২ ব্যাচ থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসলে চলমান আবাসন সংকট তীব্রতর হয়ে উঠবে। ৪২ ও ৪৩ ব্যাচ থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসলে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট বৃদ্ধি পাবে এবং বিশৃঙ্খলা রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে না।

      অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্তিমিত ছিলো ছাত্রলীগের নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখাগুলোর কার্যক্রম যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয়নি। ফলে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এজন্য ছাত্রত্ব থাকা ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে নেতৃত্বের পরিপক্কতা আসেনি। এছাড়া করোনার শুরু থেকেই যারা জাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বের জন্য দৌঁড়াচ্ছিল তাদেরকে বাদ দেওয়া কঠিন। তাদের পরিশ্রমকে আমরা অবমূল্যায়ন করতে পারি না।

      কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘জাবি শাখার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যেকোন দিন কমিটি ঘোষণা হতে পারে। এক্ষেত্রে ১২ থেকে ২০ সদস্যের সুপার কমিটি হবে।’

      জানা যায়, ৪২ ব্যাচ থেকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক হওয়ার চেষ্টা করছে- আকলিমা আখতার এশা, আক্তারুজ্জামান সোহেল, মাহবুবুল হক রাফা, আজিজুর রহমান লিলু, ইসমাঈল হোসেন, অভি তালুকদার, নীলাদ্রী শেখর মজুমদার ও রতন বিশ্বাস। ৪৩ ব্যাচ থেকে তদবির করছে এনামুল হক, আরিফ আহমেদ, আব্দুর রহমান ইফতি, আলম শেখ, হাফিজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান লিটন, রাকিবুল ইসলাম শাওন। অন্যদিকে ৪৪ ব্যাচ থেকে ইমরান আহমেদ, আসাদুজ্জামান, লেলিন মাহবুব, রাশেদ আল নাঈম, চিন্ময় সরকার, সাজ্জাদ হোসেন ও মাহফুজ রহমান নেতা হওয়ার প্রচেষ্টা করছেন। তবে ৪৩ ও ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বের জন্য চেষ্টা করলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পছন্দ ৪২তম ব্যাচ।

      বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘করোনার পূর্বে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিলো শুধুমাত্র নিয়মিত ছাত্রদের হলে আবাসনের ব্যবস্থা করা। আমরা সেটা করার চেষ্টা করেছি। এখন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বে অছাত্ররা আসলে কৃত্রিম আবাসন সংকট তৈরি হবে। বিশেষ করে ছাত্রদের হলগুলোতে। সেটা ভাববার বিষয়। কারণ সিনিয়র অছাত্ররা থাকলে জুনিয়র অছাত্ররাও থাকবে। প্রভোস্ট কমিটি এ নিয়ে আলোচনা করবে। এছাড়া সকল ছাত্রসংগঠনের সাথে প্রভোস্টবৃন্দ কথা বলবে।’

      জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি আমাদের আহবান যেন নিয়মিত ছাত্ররাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্বে আসে। যারা নীতি নির্ধারণ করে তাদের সাথে কথা হয়েছে। আমরা সবসময় বলেছি যারা ছাত্র নয় তাদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব না দিতে। এরপরেও দিলে কিছু করার থাকবেনা, অসন্তোষ ছাড়া। যে ছাত্র নয় তার ক্ষমতাসীন ছাত্ররাজনীতিতে থাকা উচিত না। এজন্য ছাত্রলীগের কমিটি ৪৪ ব্যাচ থেকেই করা ভালো।’

      এর আগে গত ১৭ অক্টোবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জাবি ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তখন থেকে শুরু হয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দৌঁড়ঝাপ।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ঢাবিতে সান্ধ্য কোর্স বন্ধ হচ্ছে না

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:১৭
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ঢাবিতে সান্ধ্য কোর্স বন্ধ হচ্ছে না

        ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স চালু রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সান্ধ্য কোর্স থাকলেও এতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

        সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাবিতে সান্ধ্য কোর্স নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে (শিক্ষা) প্রধান করে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। সম্প্রতি ওই কিমিটির একটি সভায় ঢাবিতে সান্ধ্য কোর্স চালু রাখার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

        সূত্র আরও জানায়, সান্ধ্য কোর্স চালু রাখা হলেও এর পরিচালনা পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ইচ্ছেমতো শিক্ষার্থী ভর্তি না করানো, কোন শিক্ষক কতগুলো কোর্স নেবেন সেটি নির্দিষ্ট করা এবং আয়-ব্যয়ের বিষয়ে সুপষ্ট নির্দেশনা।

        বিষয়টি নিশ্চিত করে কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স রাখার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সান্ধ্য কোর্স থাকলেও এতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। এটি হয়ে গেলে তা চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করা হবে।

        প্রসঙ্গত, ২০০২ সাল থেকে ঢাবিতে সান্ধ্য কোর্স চালু করা হয়। সর্ব প্রথম ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এই কোর্স চালু করে। সান্ধ্য কোর্স থেকে বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকায় দ্রুত অন্য ইনস্টিটিউটগুলোর কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০ বছরের ব্যবধানে ৩৫টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ৬৯টি সান্ধ্য কোর্স চালু করা হয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          শত্রুর বুলেট-বোমা পরোয়া করি না: প্রধানমন্ত্রী

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:১৫
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          শত্রুর বুলেট-বোমা পরোয়া করি না: প্রধানমন্ত্রী

          দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলে, স্বাধীনচেতা হলে অনেক বাধা আসে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি জানি অনেক বুলেট-বোমা-গ্রেনেড আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকে।’

          শত্রুর বুলেট-বোমা পরোয়া করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সেগুলো নিয়ে কখনো পরোয়া করি না।’

          রোববার (২ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

          প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি— স্বাধীন চেতা হলে অনেক বাধা আসে। আর দেশকে ভালোবেসে শুধু দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে যারা পথ চলে, তাদের পথ চলা কখনও সহজ হয় না। অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়। চলার পথ যতই অন্ধকারাচ্ছন্নই হোক না কেন, যত বন্ধুর হোক না কেন, যত কণ্টকাকীর্ণ হোক, সেখানে আমরা থেমে থাকব না। অন্তত আমি এই প্রতিজ্ঞা করছি থেমে থাকব না।

          ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময় দেশের বাইরে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয় ২০০৪ সালে। সেই গ্রেনেড হামলায় তিনি প্রাণে বাঁচলেও নিহত হন আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী।

          সব বাধা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলার পথ যত অন্ধকারাচ্ছন্ন, বন্ধুর বা কণ্টকাকীর্ণই হোক না কেন—আমরা থেমে থাকবো না। যত রক্তক্ষরণ হোক সব পদদলিত করে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে যাবো। এটাই হচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞা। ’

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত