শিরোনাম
ঢাবির আইবিএতে ভর্তি আবেদন শুরু, চলবে ২৩ মে পর্যন্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শরৎ কালীন সেশনের ৩৮তম ব্যচে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ মে।
বিজ্ঞপ্তি:

আবেদন করবে যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা (www.iba-du.edu বা http://iba-emba.registrationbd.com) মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
লিখিত পরীক্ষার তারিখ: ২৬ মে ২০২৩ (শুক্রবার সকাল ১০টায়)।
আবেদন ফি: ৪,০০০/- টাকা মাত্র।
আবেদনের শেষ সময়: ২৩ মে ২০২৩
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তি: আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২৯টি
এপ্রিলের ৩০ তারিখে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২৯টি । আজ বুধবার (৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবির কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২৯ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৩৮ হাজার ৪৯৫ জন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ ৩৭ হাজার ২৮২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ২৫ হাজার ২৫২ জন আবেদন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাত কলেজে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (স্নাতক) শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ৩টি ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ২৩ হাজার ৪৯০টি। এর মধ্যে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৯৭৯টি, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯২টি এবং বিজ্ঞান ইউনিট মোট আসন সংখ্যা ৮ হাজার ৬১৯টি।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে (স্নাতক) শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ইডেন মহিলা কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের আসনগুলো শুধু ছাত্রীদের এবং ঢাকা কলেজের আসনগুলো শুধু ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জুন (শুক্রবার) কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা, ১৭ জুন (শনিবার) বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা এবং ২৪ জুন (শনিবার) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে।
এসএসসি পরীক্ষা: দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ৩২ হাজার, বহিষ্কার ৩৮
সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ছিল ৩২ হাজার ৩৫৬ জন পরীক্ষার্থী। পাশাপাশি এদিন মোট ৩৮ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
জানানো হয়, দ্বিতীয় দিনে নয়টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় শুরু হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত চলে পরীক্ষা।
মঙ্গলবার নয়টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডের চার হাজার ৩৪২ জন, রাজশাহী বোর্ডের এক হাজার ৮২০ জন, কুমিল্লা বোর্ডের দুই হাজার ৩৬৩ জন, যশোর বোর্ডের এক হাজার ৯২০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডের এক হাজার ৬১২ জন, সিলেট বোর্ডের ৯৭০ জন, বরিশাল বোর্ডের এক হাজার ৫২ জন, দিনাজপুর বোর্ডের দুই হাজার ৩৬১ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ৯৮৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
এছাড়া বহিষ্কৃত হয়েছে ৩৮ জন। এদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার হয়েছে ১২ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার হয়েছে ১৪ জন আর এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার হয়েছে ১২ জন পরীক্ষার্থী।
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারাদেশে নিয়মিত ও অনিয়মিতসহ মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা। দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার পরীক্ষা ছিল ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ১৮ জনের। এদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৬৬২ জন। অনুপস্থিত ছিল ৩২ হাজার ৩৫৬ জন। ১৭ হাজার ৪২৭ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী, ১১ হাজার ৬২৯ জন দাখিল পরীক্ষার্থী এবং ৩ হাজার ৩০০ জন এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা দেয়নি।
ঘরে মায়ের লাশ রেখে পরীক্ষা দিলেন টেকনাফের দুই শিক্ষার্থী
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের টেকনাফের দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া ফেরদৌস ও শারমিন ইয়াসমিন সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা দুজনই মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। সম্পর্কে তারা একে-অপরের আপন বোন৷ মায়ের লাশ ঘরে রেখে চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দিতে গেলেন তারা।
গত কিছুদিন আগে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন তাদের মা আনোয়ারা বেগম। এরপর থেকে নানান ধরনের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
গতকাল সোমবার (১ মে) রাতে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম নেওয়ার প্রস্তুতি নিতেই মা আনোয়ারা বেগম মারা যান । শোকে কাতর স্বজনেরা যখন মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন লাশ বাড়িতে রেখেই সাদিয়া ফেরদৌস ও শারমিন ইয়াসমিন গেলেন পরীক্ষা দিতে।
সাদিয়া ও শারমিনের পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে টেকনাফ উপজেলা সদরের এজাহার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সকাল ১০টার আগে চোখ মুছতে মুছতে ওই কেন্দ্রে যান দুই বোন।
সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় দ্বিতীয় দিনের বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেন তারা।
সাদিয়া ও শারমিন পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন জানান, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পানছড়ি পাড়া গ্রামের জহির আহমদের স্ত্রী ৫০ বছর বয়সী আনোয়ারা বেগম। তার দুই মেয়ে সাদিয়া ও শারমিন এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাদের পরিবারের তিন মেয়ে ও চার ছেলে সন্তান রয়েছে।
পরীক্ষা শেষে সাদিয়া ও শারমিন বাড়ি ফেরার পর বিকেল তিনটার দিকে সাবরাং পানছড়ি পাড়া স্কুল মাঠে মা আনোয়ারা বেগমের জানাজা হবে। পরে তাদের পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ দৌল্লাহ বলেন, মা হারানো দুজন শিক্ষার্থী খুবই মেধাবী। তারা দুটি কক্ষে আলাদাভাবে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তবে তারা মাঝেমধ্যে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।
দুই কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষক জাকারিয়া আলফাজ ও রিফাত জাহান মিনা জানান, পরীক্ষার শুরু হওয়ার আগে সকল শিক্ষার্থীরা তাদেরকে উৎসাহিত করেছেন। তবে মাঝে মধ্যে তারা দুজন কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষার খাতায় লিখতে দেখা গেছে। আমরা তাদের সান্ত্বনা দিয়েছি।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, দুই পরীক্ষার্থীর মায়ের মৃত্যর খবর পাওয়া পর তাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য তাদেরকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হয়।
কেন্দ্র সচিব ও সরকারি এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলি চৌধুরী বলেন, ‘সাদিয়া ও শারমিন মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা সকালেই জানতে পেরেছিলাম। সবার সঙ্গে বসে পরীক্ষা দিলে তার জন্য ভালো হবে ভেবে তার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম সে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিক। তারা দুই বোন এক হাতে রুমাল দিয়ে বারবার চোখ মুছছিল। আর অন্য হাতে পরীক্ষার খাতায় লিখেছে।
সাদিয়া ও শারমিন বলেন, ‘মা আমাদের অনেক ভালোবাসতেন। চাইতেন আমরা যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। মায়ের আত্মাকে আমরা কষ্ট দিতে চাই না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো কামরুজ্জামান বলেন, ‘মাকে হারানো যে কারও জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া ও শারমিন মা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমরাও তাদের পরীক্ষার সময় যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১৩ মে
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। লাইব্রেরিয়ান, এস্টিমেটর/উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) পদের লিখিত পরীক্ষা ১৩ মে বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই তিন পদের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ১১৮। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো হলো সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য