পিটিআই থেকে প্রথম ব্যাচে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন ১৫ জন পেইন্টার

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) স্বীকৃত বার্জার’স পেইন্টার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন প্রোগ্রামটির প্রথম ব্যাচের পেইন্টাররা। এ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বার্জার পিটিআইয়ে সম্প্রতি এক ট্রেনিং ক্যাম্প এর করা হয়। এই প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে কাজের সুযোগ পাবেন গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা পেইন্টাররা।
পেইন্টারদের দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক শ্রম-বাজারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে এ প্রশিক্ষণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল: মাসব্যাপী ক্লাস এবং লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেইন্টাররা যেমন সরাসরি প্রশিক্ষণ ও সনদ লাভ করেছেন, তেমনি এ প্রশিক্ষণ তাদের কর্মসংস্থান প্রাপ্তির সুযোগকেও সম্প্রসারিত করবে। পিটিআই এনএসডিএ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, পেইন্টস খাতে বার্জারই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা এনএসডিএ’র সাথে একযোগে কাজ করছে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ২০ জন অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ১৫ জন সার্টিফায়েড পেইন্টার হিসেবে প্রশিক্ষণটি শেষ করতে সক্ষম হন। প্রথম ব্যাচের পেইন্টার হিসেবে তারা বার্জারের পিটিআই থেকে সরকারি কর্তৃপক্ষের লেভেল ২ সার্টিফিকেট অর্জন করেন। পিটিআই থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি পেইন্টার প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন।
এনএসডিএ’র এই প্রশিক্ষণ ও সার্টফিকেট প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে: শ্রমিকদের দক্ষতা এবং কাজের মান বৃদ্ধি, নির্ভুল কাজ নিশ্চিত করা, পণ্য সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি করা, যোগাযোগ দক্ষতার উন্নতি ঘটানো এবং কাজের ক্ষেত্রে যেনো নীতিমালা ও কমপ্লায়েন্স মেনে চলা হয় তা নিশ্চিত করা। এসব দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে পেইন্টাররা দেশ ও দেশের বাইরের শ্রম-বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করতে সক্ষম হবেন।
পেইন্ট ও ডেকোরেশন খাতে নলেজ হাব হিসেবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এ খাতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পেইন্টারদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বার্জার। পাশাপাশি, পেশাগত দায় ও মূল্যবোধের জায়গা থেকে পিটিআই ও এনএসডিএ’র সার্টিফিকেটের সাথে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। যার মধ্যে রয়েছে: ফার্নিচার খাতের জন্য লেকার পলিশিং, কার পেইন্টিং, হাই-বিল্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোটিং, মেরিন কোটিং ও পাউডার কোটিং।
পেইন্টারদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বার্জারের এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা তাদের জীবনের মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। সরকারি সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পেইন্ট খাতে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বার্জারই প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা প্রশিক্ষণের এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ প্রশিক্ষণ গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করা পেইন্টার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনের মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। এ প্রোগ্রামের প্রথম ব্যাচে সনদ লাভ করেন ১৫ জন পেইন্টার, বার্জারের লক্ষ্য এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার মাধ্যমে গ্র্যাজুয়েট পেইন্টারদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে, এ উদ্যোগের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণে এ খাতসংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড–এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা তানজিন আলম বলেন, “পেইন্টস খাতে বার্জারই প্রথম প্রতিষ্ঠান, যারা এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সফল করতে এগিয়ে এসেছে। পেইন্টারদের আরও দক্ষ করতে আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, যাতে তারা নিজেদের দক্ষতার মানোন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেন। আমাদের বিশ্বাস, এই উদ্যোগ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণে একযোগে কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
ঢাবি থেকে ৫২ জনের পিএইচডি-এমফিল ডিগ্রি লাভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি ৩১জন গবেষক পিএইচ.ডি এবং ২১জন এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় তাদের এসব ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় তাদের এসব ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।
পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্তরা হলেনঃ বাংলা বিভাগের অধীনে জান্নাত আরা সোহেলী, ইতিহাস বিভাগের অধীনে তপন কুমার পালিত, এ এস এম মোহসীন, আরবী বিভাগের অধীনে জাহিদুজ্জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধীনে মো. আলী করিম, সংস্কৃতি বিভাগের অধীনে জি এম তারিকুল ইসলাম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধীনে হুসাইনুল বান্না, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে খন্দকার খায়রুন্নাহার, সংগীত বিভাগের অধীনে অণিমা রায় ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে ইউ এস রোকেয়া আক্তার।
এছাড়া রয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে মোসাম্মৎ শামীমা নাছরীন, আইন বিভাগের অধীনে মোহা. ওয়াহেদুজ্জামান, স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী, রসায়ন বিভাগের অধীনে হাসিনা আখতার শিমুল, ফাতেমা তুজ জোহরা, গণিত বিভাগের অধীনে আশরাফী মেহের নিগার, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধীনে মো. মোশিদুল ইসলাম, শামিমা নাছরীন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে রাজেকা ফেরদৌস তানি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধীনে এস এম আবুল কালাম আজাদ, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধীনে শেগুফতা আফরিন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে মাহবুবা বেগম ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধীনে মো. রবিউল ইসলাম।
আরও রয়েছেন অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের অধীনে দুলাল চন্দ্র গাইন, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের অধীনে ভদ্রেও রীটা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে মোহাম্মদ আশরাফ সাদেক, শিল্পী রানী সাহা, বিপ্লব মল্লিক, শেখ শাহবাজ রিয়াদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে মো. তৌহিদুল হক ও তথ্য-প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধীনে মো. ইফতেখারুল আমিন।
এমফিল ডিগ্রি প্রাপ্তরা হলেনঃ ইতিহাস বিভাগের অধীনে ইদ্রিস আলী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধীনে রোকসানা আক্তার, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে তাসলিমা আক্তার, সংস্কৃত বিভাগের অধীনে বুলবুল দাস, তানজিলা আক্তার ইভা, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধীনে ইনজামাম মাহবুব মজুমদার, তাহরিমা বিতে নইম মৌ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে শামীম হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের অধীনে তাহমিনা দিলসাদ ও যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের অধীনে মোবাশ্বেরা ইসলাম।
এছাড়া রয়েছেন রসায়ন বিভাগের অধীনে ফারহানা শবনম, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধীনে মো. আবদুর রহমান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধীনে সাদেকা হোসেন, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধীনে মো. রকিবুল হাসান, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধীনে রেহনুমা মোস্তফা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে রাহুল চন্দ্র সাহা, সাদিয়া আফরিন, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধীনে সাজিয়া মাহমুদ, শামীমা আক্তার, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে এইচ এম মনিরুজ্জামান ও মো. ওবায়দুল হক।
বেসরকারি মেডিকেলের ভর্তি ফি ২০ লাখ টাকা

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি ফি প্রায় ২০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মাসিক টিউশন ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা চলতি ২০২২-২৩ সেশন থেকে কার্যকর হবে। এর আগে ভর্তি ফি ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ভর্তি ফি ৪ লাখ বাড়ানো হলো।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-২ উপসচিব মাহবুবা বিলকিস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘‘স্বাস্থ্য ও পরিবা কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের এবং ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটের বিডিএস কোর্সের বিভিন্ন প্রকার ফি নিম্নরুপ পুনঃনির্ধারণ করা হলো।’’
মেডিকেলের ভর্তি ফি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, ইন্টার্নশিপ ফি এক লাখ ৮০ হাজার টাকা (অপরিবর্তিত), মাসিক টিউশন ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘বেসরকারি মিডকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন-২০২২’ এর ২২ ধারা অনুসারে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ প্রাপ্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মিডকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক টিউশন ফি অনুমোদিত হবে।
এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, পরীক্ষা শুরু ৩০ এপ্রিল

২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়েই নেওয়া হবে। প্রতি বিষয়ে স্বাভাবিক সময় বা তিন ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। সৃজনশীল এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে আগের মতোই।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ স্কুলে হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
এর আগে গত প্রায় এক দশক ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি আর এইচএসসি এপ্রিল মাসে নেওয়া হচ্ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর এই সূচি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। পাশাপাশি সিলেবাসও কাটছাঁট করতে হয়েছে।
একাদশে ৫ম পর্যায়ে ভর্তি আবেদন চালুর দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট হ্যাকের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন ৫ম দফায় চালু করার দাবি জানায় হ্যাকাররা। এ ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঠিক করার দাবিও জানায় তারা। খবর পেয়ে বোর্ডের সাইবার টিম ওয়েবসাইট পুনরায় উদ্ধার করে।
জানা যায়, একাদশ শ্রেণিতে ৫ম পর্যায়ে ভর্তি আবেদন চালু করার দাবি জানিয়ে এই চেষ্টা করে হ্যাকাররা। তবে হ্যাকাররা মূল সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানান বোর্ডের কর্মকর্তারা। এসময় প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে শিক্ষা বোর্ডের হোম পেজের পরিবর্তে অন্য একটি পেজ দেখানো হয়েছে ওয়েবসাইটে। সকাল পৌনে ৯টায় ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণে আনে বোর্ডের আইসিটি দল।
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয় ৮ ডিসেম্বর থেকে। সর্বশেষ চলতি মাসের ১২ তারিখ ৪র্থ পর্যায়ে আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ পায়। এতে কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের কেউ দাবি জানিয়ে এটি করেছে বলে ধারণা বোর্ড সংশ্লিষ্টদের।
বোর্ড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, খুব সাধারণ একটি হ্যাক ছিল এটি। ২০ মিনিটের মধ্যে ওয়েবসাইট উদ্ধার করা হয়েছে। হ্যাকাররা মূল সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেনি। ডোমেইন এবং মূল সার্ভার দুটি ভিন্ন বিষয়। হ্যাকাররা কোনোভাবে ডোমেইন এড্রেসের সঙ্গে তাদের একটি ওয়েবপেইজের সংযোগ করে। এরপর ওই ওয়েবপেইজে তাদের দাবি লিখে দেয়। অর্থাৎ কেউ বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে চাইলে তা রিডাইরেক্ট হয়ে তাদের ওয়েবপেইজে নিয়ে যেত। যেহেতু কলেজ ভর্তির দাবি করা হয়েছে, তাই স্থানীয় কেউ এটি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুস্তফা কামরুল আখতার বলেন, এটিকে হ্যাকিং বলা যায় না। খুবই সাধারণ একটি ব্যর্থ চেষ্টা ছিল এটি। শুধু হোমপেজের স্থলে আরেকটি পেজ দেখিয়েছে তারা। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ওয়েবসাইট উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য