ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫ ২ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জুলাই, ২০২৫ ২১:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।


মঙ্গলবার (২৯শে জুলাই) দুপুরে এ উপলক্ষে কলেজের হল রুমে এক সংবর্ধনার আয়োজনে কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের অসাধারণ ফলাফল অর্জনের জন্য সম্মানিত করা হয়।


এ অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সম্পাদক জুলফিকার মোহাম্মদ আবদুর রব।


প্রধান অতিথি হািসাবে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনছুর আলমগীর।


বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান প্রফেসর মোঃ রফি উদ্দিন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মোঃ শরিফুল রহমান, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মালিক,অভিভাবক আব্দুর রউফ,এড. জাহিদুল ইসলাম কচি।


এসময়ে কৃতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাংবাদিক ও কলেজের সকল শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থী সংবর্ধনা যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনোবল বৃদ্ধি এবং উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে আগামী দিনের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।


প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৩ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৫৮
    অনলাইন ডেস্ক
    একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে যুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা

    একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায় যুক্ত হতে যাচ্ছে— ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কোটা। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের শিক্ষার্থীরা এই বিশেষ কোটা পাবেন। এরইমধ্যে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এমন একটি সুপারিশ পাঠিয়েছে। যা অনুমোদন পেলে ২০২৫ সালের একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম থেকেই এটি কার্যকর হবে। 

    বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কোটা প্রস্তাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে শহীদদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের। বর্তমানে কলেজ ভর্তির নীতিমালায় মোট ৭ শতাংশ কোটা রয়েছে, যার মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরের জন্য বরাদ্দ। আবার কলেজ পর্যায়ে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। নাতি-নাতনিদের কোটাও উচ্চ আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে। তাই বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার বাস্তবতা পর্যালোচনা করে একে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

    বোর্ডের এক পরিদর্শক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা এখন কলেজ পর্যায়ে তেমন নেই বললেই চলে। বাস্তবসম্মত ও ঐতিহাসিক ভিত্তিতে নতুন কোটার দরকার ছিল। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় আরও বেশ কিছু সংস্কার আসতে যাচ্ছে। 

    আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ২০২৫ সালের একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় বেশ কিছু বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। কোটাব্যবস্থা, মেধাক্রম অনুযায়ী অগ্রাধিকার, মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া এবং বেসরকারি কলেজগুলোর সংকট বিবেচনায় খসড়া তৈরি করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

    এছাড়া নতুন নিয়মে ভর্তি কার্যক্রমে সময়সীমা নির্ধারণ, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার প্রতি উৎসাহ এবং কমমানের কলেজগুলোর সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

    ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। অথচ দেশে মোট মানসম্মত কলেজ—যেমন নটর ডেম, হলিক্রস, সেন্ট যোসেফ, ভিকারুননিসা, রাজউক, রেসিডেনশিয়াল, আইডিয়াল—এই ধরনের কলেজের সংখ্যা ২৪০ থেকে ২৫০টির বেশি নয়। এসব কলেজে আসন সংখ্যা প্রায় এক লাখ। অর্থাৎ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ কাঙ্ক্ষিত কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। গত বছর দেখা গেছে, প্রায় সাড়ে আট হাজার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। পরবর্তীতে তারা অপেক্ষাকৃত কমমানের কলেজে ভর্তি হয়।

    ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক রেজাউল হক বলেন, ভালো কলেজগুলো তাদের নিজস্ব স্কুল শাখার শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়। বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ খুব সীমিত। অনেকে আবার কলেজ পছন্দ সঠিকভাবে নির্ধারণ না করায় প্রথম ধাপে বাদ পড়ে যায়।

    তিনি আরও বলেন, সচেতনভাবে কলেজ পছন্দ করা ও সময়মতো আবেদন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    ব্যানবেইস ও শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণির জন্য আসন রয়েছে প্রায় ২২ লাখ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে আরও ৯ লাখ আসন রয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪১ হাজার আসন। সব মিলিয়ে দেশে একাদশে ভর্তিযোগ্য আসনের সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ ২৫ হাজার। অথচ এবছর এসএসসি পাস করেছে মাত্র ১৩ লাখ। ফলে দেখা যাচ্ছে, সাড়ে ২০ লাখেরও বেশি আসন খালি থাকবে। বোর্ডের একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর অন্তত ২২০টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত ভারসাম্যহীনতা ও পরিকল্পনার অভাবকে সামনে নিয়ে এসেছে।

    অন্যদিকে নটর ডেম, হলিক্রস ও সেন্ট যোসেফ কলেজের মতো মিশনারি পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে এবারও নিজস্ব নিয়মে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও বলেন, আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বছরই নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। হলিক্রস ও সেন্ট যোসেফ কলেজও একইভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

    এর আগে গত ১০ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এবার পাসের হার হয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত বছরের ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ কম। শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহেই শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ। তিনটি ধাপে আবেদন ও মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

    মন্তব্য

    শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ ছাত্রশিবিরের সাত দফা

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:২৫
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ ছাত্রশিবিরের সাত দফা

    ১৬ জুলাই ২০২৪ রাজশাহী কলেজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী  কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবির।

    ‎সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ১১ টায় রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুমের নেতৃত্বে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অধ্যক্ষের নিকট এই স্মারক লিপি জমা দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলী, কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো: মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক হাফেজ আসমাউল হকসহ ছাত্রশিবিরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

    ‎স্মারকলিপির উল্লেখ করা হয় সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হাতে ১৬ জুলাই ২০২৪ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদের শাসনামলে হোস্টেল গুলোতে ছাত্র নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ত হোস্টেল তত্ত্বাবধায়ক এবং অন্যান্য সদস্যদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পতিত ও পলাতক ফ্যাসিবাদের দোসর ও আইকনদের নামে রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে যে সকল স্থাপনার নামকরণ করা হয়েছিল, তা অবিলম্বে পরিবর্তন করে জুলাই বিপ্লবের শহীদ সাকিব আনজুমের নামে নামকরণ করতে হবে।

    স্মারকলিপিতে আরো বলা হয় রাজশাহী কলেজের জাদুঘর পুনরায় চালু করতে হবে এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বিশেষায়িত সেন্টার ও সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে রাজশাহী কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট যেসকল ছাত্র-শিক্ষক ফ্যাসিবাদের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছিল, প্রত্যক্ষভাবে গণহত্যাকে সমর্থন ও পরোক্ষভাবে গণহত্যার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল তাদেরকে চিহ্নিত করে অতিদ্রুত তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    এছাড়াও বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে রাজশাহী কলেজ প্রশাসনের অভ্যন্তরে সংঘটিত সকল দুর্নীতির তথ্য শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে এবং আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩৬শে জুলাই নামে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    ‎এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুম বলেন, দুঃখের বিষয় জুলাই হামলার প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কলেজ প্রশাসন হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।এছাড়া যে সকল শিক্ষক, কর্মচারীরা জুলাই আন্দলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধেও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমরা স্মারকলিপিতে কলেজ প্রশাসনের নিকট এই বিষয়গুলো তুলে ধরেছি এবং আশা রাখছি কলেজ প্রশাসন বিষয়গুলো নজরে আনবে।

    এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, স্মারকলিপিতে উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল সেই প্রসঙ্গে বলেন, আগের স্মারকলিপি অনুযায়ী কিছু বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। 

    তিনি আরো বলেন,  ১৬ ই জুলাই ২০২৪ এর হামলার বিষয়ে আমরা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পায়নি। তাছাড়া যারা হামলার সাথে জড়িত ছিলো তারা অধিকাংশ গা ঢাঁকা দিয়ে আছে যে দুএকজন সামনে আসছে তাদের ইতোমধ্যেই সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

    ‎উল্লেখ্য এর আগেও একাধিকবার রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে কলেজে সংগঠিত ১৬ জুলাই হামলার বিচার ও হোস্টেলে ছাত্রদের উপর বিগত ছাত্রলীগের আমলে চলমান নির্যাতনের বিচার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      রাজশাহী কলেজে আত্মরক্ষায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত-৮৫ শিক্ষার্থীকে বহ্নিশিখার সনদ প্রদান

      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      ৬ জুলাই, ২০২৫ ১৪:২৮
      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      রাজশাহী কলেজে আত্মরক্ষায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত-৮৫ শিক্ষার্থীকে বহ্নিশিখার সনদ প্রদান

      "আত্মবিশ্বাসে আত্মরক্ষা" অঙ্গিকারকে সামনে রেখে বহ্নিশিখা-গ্রীন ভয়েস রাজশাহী কলেজ শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময়  রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের আত্মরক্ষায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত-৮৫ নারী শিক্ষার্থীর মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

      রবিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় টায় কলেজের হাজী মোহাম্মদ মোহসিন ভবনের ১৭ নম্বর গ্যালারি রুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

      এতে গ্রীন ভায়েস রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি মোছা. রাবেয়া খাতুনের নেতৃত্বে মিফতাহুল জান্নাত ও শারমিন ফেরদৌস রিমার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলী। তিনি বলেন, নারীরা শুধু আত্মরক্ষায় নয়, আত্মমর্যাদার সাথে দেশের প্রতিটি সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নারীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতির থাকে অবদান রাখছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন নারীদের এই এগিয়ে চলা ভবিষ্যতে আরো সামাজিকভাবে মর্যাদা লাভ করবে।

      বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ও গ্রীন ভায়েসের প্রধান সমন্বয়ক মো. আলমগীর কবির বলেন, করোনাকালীন সময়ে যাত্রা শুরু করা গ্রীন ভায়েসের অন্যতম শাখা বহ্নিশিখার বর্তমানে নারীদের আত্ম উন্নয়নে কাজ চলমান রেখেছে। নারীদের আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে বহ্নিশিখা পরিবারের ন্যায় ভরসার স্থান হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে তরুণ শিক্ষার্থীরা বহ্নিশিখা কে পাশে রেখে তাদের আত্মবিশ্বাস উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের সকলে ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। 

      এছাড়াও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা জানান, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা হঠাৎ আক্রমণ, হয়রানি, অপহরণ, ছিনতাই বা শারীরিক নিপীড়নের পরিস্থিতিতে নিজেদের প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন।

      এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান, গ্রীন ভায়েস কলেজ শাখার উপদেষ্টা ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম কিবরিয়া, গ্রীন ভায়েস কলেজ শাখা সাধারণ সম্পাদক মো. আশিক আলীসহ প্রমুখ। 

      বহ্নিশিখা-গ্রীন ভয়েসের কর্তৃপক্ষ জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে নারীদের জন্য এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে রাজশাহী কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        ২৭ জুন, ২০২৫ ১৬:২৭
        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে রাজশাহী কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

        রাজশাহী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইশরাত জাহান হাসি (২০) প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিও কলে থাকার সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

        আজ শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে নগরীর হেতমখাঁ কাস্টমস অফিস মোড়ের একটি মেস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার প্রেমিক (নাহিদ) মেসের নিচে উপস্থিত ছিলেন এবং পুলিশ তাকে আটক করেন।

        নিহতের বাড়ি নাটোর জেলার বনপাড়া উপজেলায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে মিডিয়া মুখোপাত্র শংক কে বিশ্বাস তার  তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, মেডিকেলে তাকে মৃত অবস্থান নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

        প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি ছেলের সাথে হাসির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার সাথে হয়তো হাসির কোনো মনোমালিন্য হয়েছে যেটা থেকে সে আত্মহত্যা করতে পারে।

        এ বিষয় রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত হয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কে নির্দেশনা দিয়েছেন।

        বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, প্রেমিকের সাথে ব্রেকআপ হওয়ার কাছের এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি এবং নিহতের পরিবার থানায় এসেছে। ছেলেকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে শিকার করেছে মেয়েটির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। 

        তিনি আরো বলেন, গভীর রাতে ছেলেটি মেয়ের মেসের সামনে ছিল এবং ফোন যেভাবে রাখা ছিলো তাতে ধারণা করা যায় ভিডিও কলে রেখে মেয়েটি আত্মাহত্যা করেছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত