প্রাথমিক শিক্ষকদের ফেসবুক ব্যবহারে অধিদপ্তরের কঠোর নজরদারি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেসবুকের কর্মকাণ্ডের ওপর কঠোর নজরদারি জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা’ অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও সোশ্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটির প্রধান তাপস কুমার অধিকারীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের করণীয়-বর্জনীয় নির্ধারণ করে এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) অনুসরণ করতে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও প্রযোজ্যক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১ নম্বর সূত্রে বর্ণিত আদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে ৭ সদস্য, জেলা পর্যায়ে ৬ সদস্য এবং উপজেলাথানা পর্যায়ে ৬ সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটির দুটি সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে সভার কার্যবিবরণী মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং টিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচালিত তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করে প্রতি মাসে সভা আয়োজন, প্রযোজ্যক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ চিহ্নিত করে বিভাগের সমন্বিত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটির নিকট প্রতিমাসে পাঠাতে হবে।
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য, শিক্ষক বরখাস্ত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারকে নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ পোস্ট করায় এক শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মনিবুল হক বসুনীয়া। তিনি কুড়িগ্রাম জেলাধীন রাজারহাট উপজেলার আবুল কাশেম বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
শনিবার (১৭ মে) কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘মনিবুল হক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে (Monibul Haq Bosunia) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
তার এমন কার্যকলাপ ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এর ৭ (ঘ এবং ১০ (ঙ) (ছ) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন।
মন্তব্য