পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ এখনও প্রস্তুত নয় : রিজভী

পিআর ভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১৩ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রামে ভাইরাল হওয়া চিকিৎসকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হয়নি দাবি করে রিজভী বলেন, নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার ওপর কেউ হামলা করেনি, তিনি নাকে রং লাগিয়ে লাইভে এসে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
রংপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী দু’জনকে পিটিয়ে হত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, জনকল্যাণমূলক বিচারের মাধ্যমে যতবড় অপরাধীই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে। উসকানিমূলক কথায় বেআইনিভাবে যেন কেউ প্রাণ না হারায় সরকারের এটা নিশ্চিত করতে হবে। এই কালচারে অনেক সুযোগসন্ধানী সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
রিজভী বলেন, বর্তমানে সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই, মব কালচার চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে লুটপাট করা প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ফারমার্স ব্যাংকে রাখা হয়। এখন সেটি পদ্মা ব্যাংক নামে চালু থাকলেও সেই টাকার কোনো হদিস নেই। এসব লুটপাটের টাকা উদ্ধারে সরকারকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পিআর ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত নয় দাবি করে তিনি বলেন, আমরা উন্নত দেশগুলোর পর্যায়ে এখনও যেতে পারিনি, গরিব অর্থনীতিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সাসটেইনেবল না। এ মুহূর্তে পিআর ব্যবস্থায় যেতে বাংলাদেশ এখনো ততটা প্রস্তুত না। আগে গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়াতে হবে। এতে জটিলতা তৈরি করা ছাড়া কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হয় না। এটায় অন্তর্গত কোনো স্বচ্ছতা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের বা অঙ্গ সংগঠনের নামে যারা অপরাধ করছে বলে প্রমাণিত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আজীবন বহিষ্কারও করা হচ্ছে।
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতের সমাবেশ শুরু

‘জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর আইনগত স্বীকৃতি প্রদান এবং এ সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর বিজয়নগরের পানির ট্যাংকি এলাকায় সমাবেশের সূচনা হয় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে।
এরপর সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা পরিবেশন করেন ইসলামি সঙ্গীত।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর শীর্ষ নেতারা এ সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য ঢাকা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি ও মহানগরবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে দেশব্যাপী দোয়া শুক্রবার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট)। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয় এবং মসজিদে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইভিএম বাতিল ও ‘না ভোট’ বিধানকে ইতিবাচক বলছে বিএনপি

জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শিগগির শেষ দফার আলোচনায় বসতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় বিএনপিও কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কারণ, দলটি জুলাই সনদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সনদ কার্যকরের পক্ষে। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের সহসভাপতি করা হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিশন সময় পায় ছয় মাস। সে সময় শেষ হওয়ার তারিখ আগামী ১৫ আগস্ট।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দুই পর্বের আলোচনায় ৮২টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সংলাপে ২০টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১১টিতে দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে। বাকি ৯টিতে কমিশন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে এর সাতটিতে বিএনপির, একটিতে জামায়াতে ইসলামীর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি) রয়েছে। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ।
তবে এই সনদ তথা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত শুক্রবার ঐকমত্য কমিশন বলেছিল, বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নির্ভর করবে বিশেষজ্ঞ মতামত ও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে কমিশন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে ঐকমত্য কমিশন।
সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা আছে। জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি একমত। তবে জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) আরও কিছু দল বলছে ভিন্ন কথা। তারা মনে করে, শুধু অঙ্গীকার থাকলে হবে না; জুলাই সনদকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে হবে।
জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশনের সময় বাড়ানোয় স্থায়ী কমিটির কোনো আপত্তি নেই। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির আলোচনায় বিএনপিকে ডাকা হলে তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। সংস্কার বাস্তবায়ন বিষয়ে কোনো নেতিবাচক দায়ভার বিএনপি নিতে চায় না। দলটির দাবি, এটা তাদের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর অপপ্রচার। সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। সে কারণে শুরু থেকেই ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে তারা। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির অবস্থান হচ্ছে, সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, ঐকমত্য হওয়া এমন সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো সরকার আইনি প্রক্রিয়ায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে কোনো সময় করতে পারে। শুধু সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো নির্বাচিত সংসদ করবে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫-এর খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশোধিত আরপিওর খসড়া নিয়ে বড় ধরনের কোনো আপত্তি নেই বিএনপির। দলটি বলছে, খসড়ায় যেসব সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই তাদের দাবি ছিল।
আরপিও সংশোধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তি—সেটা আমাদের প্রস্তাব ছিল, সেটা ভালো হয়েছে। কোথাও কারচুপি হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের যে ক্ষমতাটা আগে ছিল, সেটা পুনর্বহাল হয়েছে। সেটাও ভালো, তবে এর অপব্যবহার যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ‘না’ ভোটের বিধান—সেটা প্রথমবারের মতো করা হচ্ছে, এটা ভালো। তবে একবার একটা নির্বাচন হলে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যাবে, এটা কতটুকু উপযুক্ত হলো। বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো এবং সারা জাতির দাবি ছিল যে, ইভিএম বাতিল করতে হবে। ইভিএম থাকছে না, এটা ভালো। এ ছাড়া আমাদের দাবি ছিল, ভোটে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞার মধ্যে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে। এটা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এটা ইতিবাচক।
সূত্রমতে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ইসির নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের জন্য বিএনপি গঠিত কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান বৈঠকে এ বিষয়ে একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতা এবং সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন তৈরি করেন তিনি।
‘সরকার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে, শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলছি’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হবে’।
সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন যে, ‘মাঝে অনেকে জটিলতা বা ১/১১ আনার চেষ্টা করবে। বিষয়টা জেদের ভাত কুত্তা দিয়ে খাওয়ানোর মত। মানে আমি যেহেতু ক্ষমতায় যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি, সুতরাং অন্য কাউকে ক্ষমতায় যেতে না দিয়ে প্রয়োজনে হট্টগোল তৈরি করে ১/১১ সৃষ্টি করবো। কিন্তু ষড়যন্ত্র হলেও ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যথাসময়ে নির্বাচন হবে’।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রদের দল গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছেন। কিন্তু একের পর এক বিতর্ক প্রধান উপদেষ্টাসহ বাকি উপদেষ্টাদের বিব্রত করেছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টা আর কারও দায় নিতে চান না। যে কারণে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার ও বিচারের একটা গতিপথ তৈরি করে নির্বাচন দেওয়ার মাধ্যমে শুভ বিদায় নিতে চান।’
গণঅধিকারের এই নেতার ভাষায়, ‘এই বয়সে তাদের কারও বেইজ্জতি হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। যে কারণে প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে বলেছেন, সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করবেন। তিনি এর কোনো পরিবর্তন করবেন না। সেই সুযোগও তার হাতে নাই’।
রাশেদ খান তার পোস্টে আরও বলেন, ‘আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হবে। এবং মাঝে অনেকে জটিলতা বা ১/১১ আনার চেষ্টা করবে। বিষয়টা জেদের ভাত কুত্তা দিয়ে খাওয়ানোর মত। মানে আমি যেহেতু ক্ষমতায় যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি, সুতরাং অন্য কাউকে ক্ষমতায় যেতে না দিয়ে প্রয়োজনে হট্টগোল তৈরি করে ১/১১ সৃষ্টি করবো। কিন্তু ষড়যন্ত্র হলেও ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যথাসময়ে নির্বাচন হবে’।
এটা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ওয়াদা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি কারো ফাঁদে পড়ে ওয়াদা ভঙ্গ করবেন না। বরং রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত অযথা সময় নষ্ট না করে মাঠঘাট, গ্রামগঞ্জে গিয়ে গণমানুষের কাছে নিজের দলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরে জনগণের ম্যানডেট আদায়ের চেষ্টা করা। এর বাইরে নির্বাচন আটকানোর যতো চেষ্টা হবে, এতে নিজের ততো বেশি শক্তি ও সময়ের ক্ষয় হবে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘সবচেয়ে উপকৃত হবেন তারা, যারা বাগাড়ম্বর বক্তব্য ও ষড়যন্ত্র করার খোয়াব দেখা বাদ দিয়ে মানুষের কাছে তৃণমূলে দ্বারেদ্বারে ছুটে যাবেন’।
মন্তব্য