বিএনপির কাছে সংস্কার নতুন নয় : আমীর খসরু

ডেস্ক রিপোর্ট: অনেকেই সংস্কারের নতুন নতুন কথা বলছেন, বিএনপির কাছে এসব নতুন নয়। সংস্কারের ৩১ দফা অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হওয়া আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘সময় এসেছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।’
সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী সংস্কার সম্ভব।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের নজরদারিতে থাকতাম। জেলে যাওয়ার আশঙ্কা সব সময় থাকত। এখন একটু রাতে ঘুমাতে পারছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
মিলাদে দাওয়াত না দেওয়াকে ঘিরে বিএনপির দুই গ্রুপে সং-ঘর্ষ

ডেস্ক রিপোর্ট: চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদি ইউনিয়নে জেলা বিএনপির সভাপতির সুস্থতা কামনায় মিলাদে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে মৈশাদি বাজার মসজিদে মিলাদ শেষে সড়কের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মৈশাদীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মনির হোসেন (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সেলিম বেপারী (৩০), মাজহারুল ইসলাম (১৮), যুবদল সদস্য কবির মুন্সী (২৬) ও অটোরিকশাচালক শাহীন (২৮)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত কবির হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মৈশাদি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান স্বপনসহ বিএনপির আরও কয়েকজনের একটি গ্রুপ জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সুস্থতা কামনায় দোয়ার আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠন এবং বেশ কয়েকজন নেতাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। যে কারণে আরেক গ্রুপের নেতা সালাউদ্দিন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড শিলন্দিয়া থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে মৈশাদি বিএনপি কার্যালয়ে যান। সেখানে দাওয়াত না দেওয়ার বিষয় নিয়ে দুই কর্মীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
মনির নামে বিএনপির এক কর্মী বলেন, স্বপন ও খোকনসহ অন্য নেতারা জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আজম খানের লোক। তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন বলেন, পুরো ঘটনাটি ওদের কারণে ঘটেছে। ওরা বিএনপি সংগঠনটির ঐক্য চায় না। অপর গ্রুপের ইউনিয়ন বিএনপি নেতা স্বপন বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত তুচ্ছ ঘটনা এবং দুঃখজনক।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৮ বছর পর দেশে ফিরলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এম ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। দীর্ঘ ৮ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর দেশে ফিরেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে ৮৬ বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে তিনি স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন।
জানা গেছে, ড. এম ওসমান ফারুকের এলাকায় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সেখানের আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের মামলা দেন। যুদ্ধাপরাধের মামলা হলে বিএনপির হাইকমান্ডের পরামর্শে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির রাজনীতিতে পুনরায় সক্রিয় হবেন ড. এম ওসমান। আবারও তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবেন তিনি। আগামী সপ্তাহ থেকে তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে তার নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এ জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার অবদান আছে।
এদিকে দেশে আগমন উপলক্ষ্যে তার নির্বাচনী এলাকাসহ কিশোরগঞ্জের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ঢাকায় তার বাসায় ভিড় করছেন। তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় ড. এম ওসমান ফারুক কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়েছেন। সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী তখন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হয়েছে। আমাদের এই বিজয় সমুন্নত রাখতে সবাইকে ধৈর্য ধরে এলাকায় কাজ করতে হবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমন জানান, আমাদের প্রিয় নেতাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে তাকে নির্বাসনে থাকতে হয়েছিল। তবে জনগণ এই স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়েছে।
উল্লেখ্য, ড. এম ওসমান ফারুক বিশ্বব্যাংকের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষায় ভূমিকা পালন করতেন। কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ পরিবারের সদস্য হাসানাত আবদুল্লাহর পুত্র মঈন গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট: শেখ পরিবারের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশান-২ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বরিশালে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, শেখ পরিবারের সদস্য হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহকে গুলশান-২ থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
এর আগে বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহসহ তার পরিবারের ৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখতে বলা হয়।
ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা পরিবারের সদস্যরা হলেন- হাসানাত আবদুল্লাহর প্রয়াত স্ত্রী সাহান আরা আবদুল্লাহ, হাসানাতের তিন ছেলে— এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ, বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, সাদিক আব্দুল্লাহর সহধর্মিণী লিপি আব্দুল্লাহ ও তাদের পরিবারের আরেক সদস্য ফিরোজা সুলতানা।
শ্বশুরবাড়ি গিয়েও রক্ষা হয়নি ছাত্রলীগ নেতার

ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজির আহমেদ খান রিয়াজকে তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা থেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে তানজীর আহম্মেদ ২৫-৩০জন নেতাকর্মী নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি রূপসি স্লুইসগেট এলাকায় যান। এ সময় খবর পেয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা রিয়াজের শ্বশুরবাড়ি গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে তারাব পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান আরিফ, যুবদল নেতা রাসেল ভুঁইয়া, সাইফুল ইসলাম, কাউছার, ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল, ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া তারাব পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আফজাল কবির, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, রূপগঞ্জ ছাত্রলীগের সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা আছে রিয়াজের বিরুদ্ধে।
মন্তব্য