ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী দুইজন হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের মারধর করা হয়। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে মধ্যরাতে থানায় গিয়ে ঘটনার মীমাংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা।

ঢাবি ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়।

পরে দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে আনেন এডিসি হারুন। সেখানে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে এডিসি হারুনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    জবি ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের উপর যুবলীগের হামলার অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১০:৫৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    জবি ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের উপর যুবলীগের হামলার অভিযোগ

    জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সাধারন সম্পাদক সুজন মোল্লার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলসহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

    শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) গণমিছিলের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে কাকরাইলে যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে আসলে তারা হামলার শিকার হন।

    এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ, সুমন সর্দার, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহীন, তেজগাঁও কলেজ শাখার সভাপতি ফয়সাল দেওয়ান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিশকাত হোসেন গুরুতর আহত হন।

    হামলার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার উপরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জঙ্গি হামলা বেছে নিয়েছে। গণতন্ত্র ও ছাত্রদের নিরাপত্তার প্রশ্নে ছাত্রদল সবসময় আপোসহীন ছিল,আগামীতেও এক বিন্দু ছাড় দিবে না। রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী বাংলাদেশের মাটিতে আর হতে দেওয়া হবে না।অচিরেই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এই কাপুরুষোচিত হামলার দাঁতভাঙা জবাব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল দিবে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      জুনিয়রদের ডাকতে গিয়ে কুবিতে সিনিয়র দুই পক্ষের সংঘর্ষ

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:৩৪
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      জুনিয়রদের ডাকতে গিয়ে কুবিতে সিনিয়র দুই পক্ষের সংঘর্ষ

      কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১টায় হলটির ২০৯ নাম্বার কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যচের শিক্ষার্থীদের নিজেদের কক্ষে ডাকতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ১৫তম ব্যচের শিক্ষার্থীরা।

      প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৫ তম ব্যচের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ২০৯ নাম্বার কক্ষে মিটিংয়ে বসে। মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুইটি পক্ষে বিভক্ত ছিলো। একটি পক্ষের মধ্যে ছিলেন ইমতিয়াজ আহমেদ চিন্ময়, গোলাম দস্তগীর, হাসিব হাসান, রাজু মিয়াজি ও ফয়সাল। অপর পক্ষে ছিলেন আকাশ রাজবংশী, সোহাগ চৌধুরী, আশিকুর রহমান এবং সাদির আহমেদ। মিটিং চলাকালীন দুটি পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ফয়সাল সাদিরকে ঘুষি দেয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

      সংঘর্ষ চলাকালীন হলে অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা এসে তাদের থামায়। এবং দুই পক্ষকে মীমাংসার জন্য ৫০৭ নাম্বার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশের উপস্থিতিতে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয়।

      এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ জানান, হলের জুনিয়ররা নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত সমস্যার জেরে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়েছে। কেউ কাউকে আঘাত করেনি। হল সভাপতি হিসেবে আমি তাদের ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেই।

      মিটিংয়ে বাগবিতণ্ডা এবং সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে ২০৯ নাম্বার কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহাগ চৌধুরী জানায়, আমরা ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদেরকে ২০৯ নাম্বার কক্ষে খিচুড়ি খাওয়ার জন্য ডাকি। কিন্তু তাদের ১০৯ নাম্বার রুমে আটকে ১৫তম আবর্তনের হাসিব, ফয়সাল, রাজু, চিন্ময়, দস্তগীর কথা বলতে থাকে। পরে আমরা তাদের ১০৯ নাম্বার কক্ষ থেকে আমাদের রুমে খাওয়ার জন্য ডেকে আনি। খাওয়ার পর আমরা ১৫তম আবর্তনের সবাই মিলে ২০৯ নাম্বার কক্ষে মিটিংয়ে বসি। মিটিংয়ে জুনিয়রদের রুম থেকে ডেকে আনা নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয় ফয়সাল, রাজু, চিন্ময়, হাসিব ও দস্তগীর। তর্কের এক পর্যায়ে ফয়সাল সাদিরকে ঘুষি দেয় এবং বাকিরাও আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম হয়।

      তবে আরেকটি পক্ষের শিক্ষার্থী হাসিব হাসান বলেন, আমরা ১০৯ নাম্বার কক্ষে ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে যাই এসময় সাদির, আকাশ এবং সোহাগ দরজায় লাথি দিয়ে ঢুকে, জুনিয়রদের সামনে আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। পরে আমরা তাদের রুমে মিটিয়ে বসলে দুর্ব্যবহারের কারণ জানতে চাই। তখন তারা ক্ষীপ্ত হয় এবং আমাদের মেরে বের করে দেয়।

      এদিকে সংঘর্ষের বিষয়ে ১৪তম আবর্তনের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, 'আজকের সংঘর্ষের ঘটনা এক দিনে ঘটেনি। অনেকদিন থেকে হলের ১৫তম আবর্তন শিক্ষার্থীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত। আধিপত্য বিস্তারে ১৬ আবর্তনের জুনিয়রদের কাছে টানতে তাদের মধ্যে রেশারেশি হতে থাকে। যার দরুন আজকে এ সংঘর্ষ।

      এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মিহির লাল ভৌমিক বলেন, 'আমাদের কাছে কোন পক্ষ লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। তবে আমি জানতে পেরেছি তারা বন্ধুদের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট করে নিয়েছে। প্রশাসনিক জায়গা থেকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।'

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        জবি শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৩:২
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        জবি শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলা

        জবি প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলা করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. রাকিব। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামী করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

        মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় প্রথমবার ও সন্ধ্যা ৬ টার দিকে টিএসসিতে দ্বিতীয়বার হামলার ঘটনা ঘটে।

        মামলার নথি অনুসারে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজিম রহমান জয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুস্তাফিজ হোসাইন মুছা, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিভাগীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মৃদুল হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম শিকদার শিহাবসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জন।

        প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাফেটেরিয়া খাওয়া শেষে মো. রাকিব টিস্যু নিতে গেলে মুস্তাফিজ হোসাইন মুছা তাকে সরে যেতে বলে। পরে রাকিব মুছার ব্যাচ জানতে চাইলে মুছা ব্যাচ জানায়। তখন রাকিব তাকে বলে যে সে তার সিনিয়র, সম্মান দিয়ে কথা বলতে। তখন মুছা রেগে গিয়ে রাকিবকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মুছা তার কয়েকজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে রাকিবকে মারধর করে।

        পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রাকিবকে টিএসসিতে ডেকে নিয়ে যায় মুছার বন্ধু সোহানুর রহমান সোহন'সহ অন্যরা। টিএসসি থেকে ফেরার পথে সোহান, জয়, মারুফ, মৃদুল, সিয়ামসহ অন্যান্যরা রাকিবকে আবারও মারধর করে।

        এবিষয়ে ভুক্তভোগী মো. রাকিব বলেন, ক্যান্টিনে টিস্যু নেওয়ার সময় মুছার সাথে আমার একটু কথা-কাটাকাটি হয়। আমি তখন্ব তাকে চিনতাম না। সে জুনিয়র জানার পর আমি তাকে বলি আমি তার সিনিয়র একটু সম্মান ফিয়ে কথা বলতে। তখন সে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি ধাক্কা দেয়ার কারন জিজ্ঞাসা করলে সে তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে। এরপর আমি প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জানাই। তারপর সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হবার সময় তারা চা খাবে বলে আমাকে সাইডে যেতে বলে। আমি না গিয়ে আবার ক্যাম্পাসে ঢুকে যায়৷ পরে আমার বন্ধুর সাথে বের হবার সময় পুনরায় আমার উপর রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এবিষয়ে কোতোয়ালি থানায় আমি একটি মামলা করেছি।

        এবিষয়ে মুস্তাফিজ হোসাইন মুছা বলেন, দুপুরের দিকে ক্যান্টিনে আমি খাবার নিতে গেলে ওই ভাইকে আমি খাবার নিবো বলে সাইড দিতে বলি। তিনি সাইড দিয়ে আমার ব্যাচ জিজ্ঞাসা করে। আমি তাকে ব্যাচ বললে তিনি আমাকে জোরে ধাক্কা দেয়। আমি ধাক্কা দেয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে মারা শুরু করেন। আত্মরক্ষার্থে যেটুকু করার দরকার আমি সেটুকুই করেছি।

        এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আকতার হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তবে ক্যাম্পাসের সুস্থ সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন যেন পদক্ষেপ নেয় আমরাও সেটাই চাই। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপরাধ করা কোনো ব্যক্তির দায়ভার ছাত্রলীগ নিবেনা। সত্যিই যদি তারা অপরাধী হয় তাহলে সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

        বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি৷ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সিসিটিভি ফুটেজের জন্য আবেদন করেছিলো। আমি আইটি ডিরেক্টর বরাবর লিখে দিয়েছি। রবিবার সেটা পাওয়া যাবে। এরপর ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

        কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী মামলা করেছে৷ আমরা শীঘ্রই ব্যবস্থা নিবো।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          জবি শিক্ষার্থীকে মারধরের সময় ছাত্রলীগ- 'জানোসই তো শিবির মারলে সব মাফ'

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:২৫
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          জবি শিক্ষার্থীকে মারধরের সময় ছাত্রলীগ- 'জানোসই তো শিবির মারলে সব মাফ'

          জবি প্রতিনিধি: ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে মেরে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর ও ছিনতাই শেষে হুমকি দিয়ে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বলেন, ‘তুই যদি এই বিষয়গুলো কারো সাথে শেয়ার করোস তাহলে তোরে শিবির ট্যাগ দিয়ে মেরে ক্যাম্পাসের মেইন গেইটে ঝুলায় রাখব।’

          ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম ইব্রাহিম জনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন, দর্শন বিভাগের (২০১৬-২০১৭) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ও অর্থনীতি বিভাগের (২০১৯-২০২০) শিক্ষাবর্ষের ইকবাল মাহমুদ রানা। রানা অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তারা দুজনই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের অনুসারী।

          এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।

          অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ১৮ তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন উপলক্ষে রসায়ন বিভাগের সাজসজ্জার কাজ শেষ করে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় অর্থনীতি বিভাগের ১৫তম আবর্তনের ইকবাল মাহমুদ রানা এবং দর্শন বিভাগের ১২তম আবর্তনের মোহাম্মদ মেহেদি আমার (ইব্রাহিম) পথ রোধ করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন, আমি কেন সৌরভ ভাইয়ের পোস্ট শেয়ার করেছিলাম? (সৌরভ দাস রসায়ন বিভাগ ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। তাকে গত ৩১ জুলাই, ২০২৩ দফায় দফায় হামলা করে মারাত্মক আহত করা হয়।) তারা আরও বলেন, "তুই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পোস্ট শেয়ার দিছস কেনো?"

          অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, "তোদের ব্যাচের সব পোলাপান তো পোস্ট শেয়ার দেয় নাই। শুধু তুই শেয়ার দিছস। কেন দিছোস? কারণ নিশ্চয়ই তুই শিবির করস।" এমন নানা ধরনের প্রশ্নের পর তারা আমার (ইব্রাহিমের) মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে চেক করে। মোবাইল ফোনে কিছু না পেয়ে আমাকে (ইব্রাহিম) বার বার মেরে ফেলার ও জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়। পরবর্তীতে তারা আমাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নিয়ে মারধর করে। এরপর তারা আমার কাছে নগদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

          টাকা আদায়ের ব্যাপারে অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, "তুই (ইব্রাহিম) যদি এখন টাকা না দেছ তবে আকতার (জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) ভাইরে দিয়ে তোরে জেলে ঢুকায় দিব। আর এখন শিবির ট্যাগ নিয়ে একবার জেলে ঢুকলে নির্বাচনের আগে আর বের হতে পারবি না সেটা তুই ভালো করেই জানস।" পরবর্তীতে মারধর করে বাবা-মা ও টিউশনগুলোর গার্জিয়ানদের বাসায় ফোন দিয়ে ১৩ হাজার টাকা নেন বিকাশে।

          অভিযোগে আরও বলা আছে, "আমাদের (ছাত্রলীগের নেতাকর্মী) ছাত্রত্ব নিয়ে কোন সমস্যা নাই। ৭দিনের বেশি বহিষ্কার করে রাখতে পারবে না।" পরবর্তীতে তারা আমাকে (ইব্রাহিম) আবারও মারধর করে জোরপূর্বক ভিডিও ধারণ করে এবং আমাকে (ইব্রাহিম) বাধ্য করেন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিতে যে, আমি আগে শিবির করতাম আর এখন থেকে ছাত্রলীগ করব। পরিশেষে তারা বলে যে, "তুই তো এডা শেয়ার করবি সবার সাথে। তাই আমরা প্রমাণ রাখলাম যে তুই শিবির। জানোসই তো, শিবির মারলে সব মাফ।"

          অভিযোগের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম আকতার হোসাইন বলে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে, প্রক্টর স্যারের কাছে দুই দিক থেকেই অভিযোগ গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কোন অপরাধের দায় ছাত্রলীগ নেবে না।

          বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে।'

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত