ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

আপনারা চমকের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন'

নিজস্ব প্রতিবেদক
২ অক্টোবর, ২০২২ ২১:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনারা চমকের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন'

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংলাপ হয়। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।

সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, 'বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আন্দোলনের দাবিগুলোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।'

'প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে আমরা নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছি। আমরা এই সরকারের পদত্যাগের ব্যাপারে একমত হয়েছি। সংসদ বিলুপ্ত করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। একই সঙ্গে আমরা খালেদা জিয়াসহ সব নেতা-কর্মীর মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও একমত হয়েছি।'

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির চলমান সংলাপের ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, 'প্রথম দফা সংলাপে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম।'

'দ্বিতীয় দফা সংলাপে আমরা কোন কোন দাবিতে বা কোন কোন ইস্যুতে আন্দোলনটা করব সেই বিষয়ে আলোচনা করে ঐকমত্যে এসেছি।'

তিনি জানান, দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হবে।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, 'আমাদের সকল সদস্য এই আলোচনা অংশ নিয়েছেন এবং আমরা বলেছি যে, যুগপৎ আন্দোলন কবে? তবে আমরা একমত হয়েছি তারিখটা প্রকাশ না করার জন্যে।'

তিনি বলেন, 'বাংলা শব্দ বলতে পারি, চমক আছে। আপনারা তার জন্যে প্রস্তুত থাকতে পারেন।'

বিএনপি মহাসচিব প্রথম দফায় ২০ দলীয় জোট, গণতন্ত্র মঞ্চের মোট ২৩টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সাধারণ জনতা ছাত্রদলকে গণধোলাই দিয়েছে: সনজিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৬
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সাধারণ জনতা ছাত্রদলকে গণধোলাই দিয়েছে: সনজিত

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপর হওয়া হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেছেন, ছাত্রলীগ নয়, রাস্তাঘাট ব্যারিকেড দিয়ে রাখায় সাধারণ জনতা ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের গণধোলাই দিয়েছে। হামলার ঘটনার পর মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সনজিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

    সনজিত বলেন, মিথ্যাচার থেকে জন্ম যে রাজনৈতিক দল সেটা হচ্ছে বিএনপি। তাদের অছাত্র-কু-ছাত্র, সন্ত্রাসীদের সংগঠন হচ্ছে ছাত্রদল। তাদের কী কর্মসূচি আছে না নাই, সেটি নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করতে পারে, সাক্ষাৎ করতে পারে—সেটি নিয়েও আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই।

    তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে দাবি-দাওয়া ছিল সেটি উপাচার্যের কাছে পেশ করেছি। আমরা এখানেই অবস্থান করছি। আমাদেরও যে দাবি-দাওয়া ছিল সেগুলোও তুলে ধরেছি। এসময় সৌজন্যমূলকভাবে ভিসি স্যার আমাদের চা খাইয়েছেন।

    বাইরে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করে সনজিত বলেন, এটা আসলে তাদের একটা ফোবিয়া হয়ে গেছে। তারা যেখানেই মার খায়, ধরপাকড়ের শিকার হয় তখন মনে করে ছাত্রলীগ তাদের মেরেছে।

    ‘‘আসলে তারা যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলার পথে ব্যারিকেড করে রাখে, তাদের যদি আসতে-চলতে না দেয়... আমরা শুনেছি তারা নীলক্ষেত মোড়ে রাস্তাঘাট আটকে দিয়েছে। তখন সাধারণ জনতা এবং তাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে তাদের গণধোলাই দিয়েছে।’’

    ছাত্রলীগ হামলার দায় নেবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এখানে ছাত্রলীগের দায় কেন হবে? ছাত্রলীগের সবাই আমাদের সঙ্গে উপাচার্যের কার্যালয়ের আশেপাশেই রয়েছেন এবং আমরা নিজেরাও এখানে রয়েছি। আমাদের কন্সার্নের বাইরে গিয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা কোন ধরনের কাজ করে না। সুতরাং আমরা এটা আমরা বলতেই পারি, ওরা মিথ্যাচার করছে।

    এর আগে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ঢাবিতে প্রবেশের সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর হামলা অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ঢাবি ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:৪৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ঢাবি ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাবি ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাদের। ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘোষণার পর একই দিন বিকাল ৩.০০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগও কর্মসূচি দিয়েছে। ছাত্র সংগঠন ২টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন।

      বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে ঢাবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবে এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যৌক্তিক বিষয় তাকে অবহিত করবেন।

      অন্যদিকে ছাত্রলীগ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে পদযাত্রা করে উপচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ সংকট নিরসনের দাবিতে ঢাবি ছাত্রলীগ উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করবে।

      বৃহৎ দুটি ছাত্রসংগঠনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় সকাল থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয়া শুরু করেছে বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সোমবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পরদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে নির্দশনা দেয়া হয়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মারামারি হতে পারে, তাই সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দশনা দেয়া হয় ছাত্রলীগের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপগুলোতে। ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর সহয়তায় কয়েকটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে প্রায় একই ধরণের এরকম নির্দেশনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

      বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে ছাত্রদলের নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা থাকলেও বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত তা আমরা উপাচার্য স্যারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করব। তার অনুমতি নিয়েই ছাত্রদল ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে। আমরাও ছাত্রলীগের নেতাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের নেতা তো নই।

      ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপি-জামায়াত শিক্ষার্থীদের লাশের ওপর ভর করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়। ছাত্রসমাজ এ বিষয়ে সচেতন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শিক্ষার সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সব সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও মিছিল-সভা করেন। এটি তারই একটি সম্মিলিত বহিঃপ্রকাশ।

      এর আগে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে আসার কথা ছিলো ছাত্রদল নেতাদের। এ খবর পাওয়ার পরপরই তৎপর হয়ে উঠে ছাত্রলীগ। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা। পরে অবশ্য ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে না আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সরে যান।

      গত মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এর পর থেকে ছাত্রদল ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত৷ এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ১১ সেপ্টেম্বর খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও আরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি হয়।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ইডেন কলেজ বন্ধ ঘোষণা কলেজ কর্তৃপক্ষ।

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:৪২
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ইডেন কলেজ বন্ধ ঘোষণা কলেজ কর্তৃপক্ষ।

        ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ছাত্রীনিবাসগুলোও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ইডেন কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের এই তথ্য জানানো হয়।

        কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে দূর্গা পূজা, ঈদের মিলাদুন্নবী, লক্ষ্মী পূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি শুরু হয়ে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

        শিক্ষার্থীরা জানান, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে পূজার ছুটি শুরু হচ্ছে। তাই ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে হল ছাড়তে আবাসিক ছাত্রীদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। ৮ অক্টোবর পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

        এর আগে গত ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলে গত শনিবার থেকেই উত্তপ্ত ছিল ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস। এরইমধ্যে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিতও করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৬ নেতকর্মীকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ভিডিও দেখে বহিষ্কার করেছি, তদন্তের প্রয়োজন নাই : লেখক

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:২৮
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ভিডিও দেখে বহিষ্কার করেছি, তদন্তের প্রয়োজন নাই : লেখক

          দুইপক্ষের রেষারেষি ও মারামারির ঘটনায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ১৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

          গতকাল রোববার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ১৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপরই বহিষ্কৃতরা প্রশ্ন তোলেন, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কীভাবে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়?

          এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আগের ঘটনা এবং গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা তদন্ত কমিটি মানতে চায় না। তাই, আমরা নিজেরা ভিডিও ফুটেজ দেখে যাদের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি তাদের আপাতত বহিষ্কার করা হয়েছে।

          এ ছাড়া পুরো ঘটনার মধ্যে যারা জড়িত আছে, ইতোমধ্যে কলেজ প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা তাদের মতো করে জানাবে। তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

          লেখক আরও বলেন, তারা সংবাদ মাধ্যমে যে ধরনের অভিযোগ করেছে, তার একটি প্রমাণও দেখাতে পারেনি। গতকাল রাতে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে কলেজের শিক্ষকদের সামনে ঘটনা ঘটেছে। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। যেগুলো আমরা সরাসরি পাই, যেটাতে শিওর হতে পারি সেটাতে আর তদন্ত করার দরকার নেই। বহিষ্কারের ক্ষেত্রে সেন্ট্রালের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি সরাসরি যুক্ত হয়েছে, আমরা বহিষ্কার করেছি।

          সংগঠনের বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিভিন্ন সময় নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে ছাত্রলীগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রথমে শোকজ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক তদন্ত শেষে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

          পরবর্তীতে অনেকের সাময়িক বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনা বড় হলে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ী বহিষ্কার করার নজির রয়েছে। কিন্তু ইডেন কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।

          এখানে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে ১৬ নেত্রীকে, যারা বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পেছনে দাঁড়িয়ে সভা-সমাবেশে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বহিষ্কার হওয়া নেত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা।

          বহিষ্কারের এ ঘটনায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের একাংশ। তাদের অভিযোগ, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা কেউই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছের অনুসারী নন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নিজেদের আক্রোশ থেকে তাদের বহিষ্কার করেছেন—দাবি তাদের।

          এ বিষয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈই বলেন, ভিডিও ফুটেজে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিতু আক্তার, তানজিনা, জ্যোতি আসছে, কিন্তু তাদের কেন বহিষ্কার করা হলো না। আমাদের কেন বহিষ্কার করা হলো?

          সুস্মিতা বাড়ৈই আরও বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমাদের পছন্দ করেন না। যার কারণে তারা আমাদের বহিষ্কার করেছেন। পুরো ভিডিওতে রুপা দত্ত ছিলেন। কিন্তু ঢাকা কলেজের জয়েন কনভেনার বাপ্পি হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। কিছু সংখ্যক করা হয়েছে কিছু সংখ্যককে করা হয়নি। আমরা ২৫ জন স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু ১৪ জনকে কেন বহিষ্কার করা হলো?

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত