ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫ ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

বৈধ না হলে নির্বাচনের কোনো মানে নেই : ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:১৯
অনলাইন ডেস্ক
বৈধ না হলে নির্বাচনের কোনো মানে নেই : ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন যদি বৈধ বা আইনসঙ্গত না হয়, তাহলে তার কোনো মানে হয় না। গ্রহণযোগ্য, পরিচ্ছন্ন এবং উপভোগ্য একটি নির্বাচন নিশ্চিত করাই তার কাজ বলেও জানান ড. ইউনূস। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে আবার পুরোনো সংকটগুলো ফিরে আসবে।


গত বুধবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ) টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।


সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য, পরিষ্কার ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, সেগুলো অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের পরে সরকারে থাকার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।


অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা প্রায় আমাদের লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে গেছি। বহু বিষয় সংস্কার প্রয়োজন, কারণ যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল তা দুর্নীতিগ্রস্ত, অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগে ভরা।


তিনি বলেন, নির্বাচন যদি বৈধ না হয়, তাহলে এর কোনো অর্থ নেই। আমার কাজ হলো এমন একটি গ্রহণযোগ্য, পরিষ্কার ও আনন্দদায়ক নির্বাচন নিশ্চিত করা।


ড. ইউনূস বলেন, আমাদের অঙ্গীকার ছিল গণ-অভ্যুত্থানের সময় জাতির যে আকাঙ্ক্ষা, তা নিশ্চিত করা। এগুলো তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন।


ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আগস্টে হাসিনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান এবং তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। বাংলাদেশ তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করলেও দিল্লি সাড়া দেয়নি।


ইউনূস জানান, হাসিনা যেন বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ না পান, সে বিষয়ে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা বলেছি, আপনারা তাকে রাখুন, আমাদের বিচার চলবে। কিন্তু তিনি যেন দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো সুযোগ না পান।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। আমরা কখনো বলিনি, আমরা ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই না। নেপাল ও ভুটানকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে আনতে পারি। ভারতের সেভেন সিস্টার্স- সাতটি রাজ্যও এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাকতে পারে। কারণ, আমরা বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে একই সুবিধা ভাগ করে নিতে পারি।


মুহম্মদ ইউনূস জানান, প্রথমে তিনি দায়িত্ব নিতে না চাইলেও ছাত্রনেতাদের অনুরোধ এবং জনগণের ত্যাগ তাকে রাজি করায়। নির্বাচন শেষে তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান।


শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ আর পথভ্রষ্ট হবে না। যুবসমাজ যেন ভোট দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ব্যালট বাক্সে তুলে ধরে। আমি চাই, একটি ভালো সরকার আসুক এবং তা গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে চলুক।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন করতে হবে না

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৫৩
    অনলাইন ডেস্ক
    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন করতে হবে না

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কার্যাবলি থেকে ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন’ বাদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


    রুলস অব বিজনেসের অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিস অ্যান্ড ডিভিশনসের মন্ত্রিপরিষদ কাজের মধ্যে ৯-এর বিষয়বস্তু ছিল—১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন। ওই অংশটুকু বিলুপ্ত করা হয়েছে।


    প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ অধিকতর সংশোধন করেছেন।


    ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতি বছর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হওয়ার দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করত। এ দিন সরকারি ছুটি থাকত এবং এটি ‘ক’ ক্যাটাগরির জাতীয় দিবস হিসেবে সারা দেশে পালিত হতো।


    গত বছরের ১৩ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন ও ওই দিনের সাধারণ ছুটি বাতিল করে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      মোস্তফা কামাল পলাশের পোস্ট

      ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জেলায় বন্যার শঙ্কা

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৩২
      অনলাইন ডেস্ক
      ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জেলায় বন্যার শঙ্কা

      আবহাওয়া ডটকমের আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫-১০টি জেলা এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-২০টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


      বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই শঙ্কার কথা প্রকাশ করেন তিনি।



      পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫-১০টি জেলা এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-২০টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


      তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষরা কি আবারও প্রতিবেশী ভারতের পানি সন্ত্রাসের শিকার হতে যাচ্ছে। গত ১১ আগস্ট যখন আমি প্রথম বাংলাদেশে একটি বড় মানের বন্যার আশঙ্কার পূর্বাভাস দিয়েছিলাম সেই সময় একটি তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে চেপে গিয়েছিলাম রাজনৈতিক বিতর্কের ভয়ে। তবে আজকে সেই তথ্যটি শেয়ার করতে বাধ্য হচ্ছি রাজনৈতিক বিতর্কের ঝুঁকি নিয়েই।


      এই আবহাওয়াবিদ বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত ভরা বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর উজানে অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধের গেট বন্ধ রেখে গঙ্গা এবং এই শাখা-উপশাখা নদীগুলোর মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পানি আটকে রেখেছে জুলাই মাসের শুরু থেকে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত (সম্ভবত ১২ তারিখ পর্যন্ত)।


      ফারাক্কা বাঁধের গেট বন্ধ রেখে পানি জমিয়ে রাখার প্রমাণ আমি বিশ্লেষণ করা শুরু করেছি জুলাই মাসের ১৫ তারিখের পর থেকেই। ১২ ও ১৩ আগস্ট ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ইতোমধ্যেই ফুলেফেঁপে থাকা গঙ্গা নদীর পানি ধারণক্ষমতার অবস্থা আরো বিপৎসীমার ওপরে চলে গেছে। যেদিন আমি দেশের একটি বড় মানের বন্যা পূর্বাভাস দিয়েছি সেই দিন আমি নিশ্চিত হয়েছি যে আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভারত ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দিতে বাধ্য হবে। কারণ ওই দিন আমার বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে যে গঙ্গা নদীর তীরবর্তী কোনো কোনো এলাকায় বন্যা শুরু হয়ে গিয়েছে।


      যা পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চরম আকার ধারণ করবে। ফলে ভারতের সংবাদমাধ্যমে খবর চলে আসবে ফারাক্কা বাঁধের গেট আটকে রাখার কারণে ওই সব এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমার অনুমান সত্য হয়েছে। ১৩ আগস্ট থেকে ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে রাজশাহী জেলার মানুষদের কাছ থেকে।


      তিনি আরো বলেন, ফারাক্কা বাঁধের উজানে যে পরিমাণ পানি জমা রয়েছে তা কমানোর জন্য ফারাক্কা বাঁধের সব গেট কমপক্ষে ১ থেকে ২ সপ্তাহ খুলে রাখার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।


      আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মা নদীর এবং এর শাখা ও উপনদীগুলোর তীরবর্তী জেলাগুলো বন্যাকবলিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ২০২৫ সালের বর্ষা মৌসুমে পুরো বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে (ঐতিহাসিক গড় অপেক্ষা)। এই কারণে ইতিমধ্যে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বন্যা বিপৎসীমার কাছাকাছি উচ্চতায় রয়েছে। ফলে গতকাল বুধবার ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ার পর থেকে পদ্মা নদীর শাখা নদীগুলো দিয়ে যে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে তার কারণে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জেলা বন্যাকবলিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।’


      আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহাওয়াবিদ জানান, আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ থেকে ১০টি জেলা এবং ৭২ ঘণ্টার (আগামী ৩ দিনের মধ্যে) মধ্যে ১০ থেকে ১৫টি জেলা বন্যাকবলিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের যে জেলাগুলোর মধ্য দিয়ে পদ্মা নদীর পানি প্রবাহিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার ইতিমধ্যেও রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বন্যা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করেছে। ফলে আজ থেকে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা জেলার অনেক এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।


      পলাশ আরো জানান, আশঙ্কা করা যাচ্ছে আগামী রোববার থেকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনিসংহ বিভাগের ১৫ থেকে ২০টি জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫৩
        অনলাইন ডেস্ক
        আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি

        আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।


        বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


        সাংবাদিকরা বিস্তারিত জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত আপনারা রোডম্যাপেই জানতে পারবেন।


        প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, এ বিষয়ে আরো আলোচনা বাকি আছে। আলোচনার পর সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে।


        তিনি আরো জানান, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত ৩১৮টি আবেদন পেয়েছে কমিশন, যা যাচাই-বাছাই চলছে।


        এর আগে গত ৭ আগস্ট সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ।


        বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘সভার শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- ৫ আগস্ট আমার প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ থেকে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।’


        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ১৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা, টার্গেট যেসব জেলা

          অনলাইন ডেস্ক
          ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৭
          অনলাইন ডেস্ক
          ১৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা, টার্গেট যেসব জেলা

          শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীকে সামনে রেখে ১৫ আগস্ট ঘিরে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া নাশকতার আশঙ্কা মোকাবিলায় কঠোর ও সর্বাত্মক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের সাতটি জেলা এবং দুটি মহানগর এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন সরকারের উচ্চপর্যায় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।


          এরই অংশ হিসাবে বুধবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ সভা হয়। আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সাত জেলার এসপি, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং সব রেঞ্জের ডিআইজি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার সভায় যুক্ত না হলেও তার পক্ষে ছিলেন একজন অতিরিক্ত কমিশনার। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।


          সূত্র জানায়, যেসব স্থানে নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেগুলো হলো—ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, লালমনিরহাট, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা। এসব জেলার এসপি এবং মেট্রোপলিটন কশিনারকে বিশেষ নির্দেশনা দেন আইজিপি। 


          বলা হয়, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। ব্যাপক ধরপাকড় চালাতে হবে। এমনভাবে নিরাপত্তা ছক আঁকতে হবে, যাতে কেউ কোনো ধরনের অপকর্মের সুযোগ না পায়। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান আরও জোরদার করার পাশাপাশি শিক্ষক অন্দোলনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার নির্দেশ দেন আইজিপি। দাবি আদায়ের আন্দোলনের নামে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ না পান।


          পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ডিআইজি যুগান্তরকে বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। শিক্ষকদের সমাবেশের বিষয়টিও উঠে এসেছে আলোচনায়। নিরাপত্তার প্রশ্নে গোপালগঞ্জসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা, চট্টগ্রাম এবং লালমনিরহাট জেলাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


          এসব এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে বলা হয়েছে। এ কারণে ব্রিফিংয়ে সব জেলার এসপিকে যুক্ত না করে কেবল সাত জেলার এসপিকে যুক্ত করা হয়েছে।


          ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া একজন এসপি যুগান্তরকে বলেন, কোনো মামলার আসামি যেন গ্রেফতারের বাইরে না থাকে, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। ১৫ আগস্ট ঘিরে কোথায়, কীভাবে ফোর্স মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ওয়ারেন্টভুক্ত সব আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। কোন এসপি এবং কোন মেট্রেপলিটন কমিশনার ইতোমধ্যে কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে বিষয়টিও অবগত করা হয় আইজিপিকে। 


          সভায় জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের ৫ হাজার ৭৫৩টি অস্ত্র লুট হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৩৬৩টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এছাড়া গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২ রাউন্ড। লুট হওয়া ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭২০ রাউন্ড গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি। দ্রুত এগুলো উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।


          সভায় আর কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে ওই এসপি বলেন, পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। এই নিয়োগ যাতে যথানিয়মে হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। কেআইজিপি। কেউ যেন দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন, এ বিষয়টিও খেয়াল রাখতে বলেছেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত