ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

আন্দোলনে নি-হতরা ‘জুলাই শহীদ’, আহতরা ‘জুলাইযোদ্ধা’র পরিচিতি পাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৩:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্দোলনে নি-হতরা ‘জুলাই শহীদ’, আহতরা ‘জুলাইযোদ্ধা’র পরিচিতি পাবেন

ডেস্ক রিপোর্ট: গণঅভ্যুত্থানে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতরা ‘জুলাইযোদ্ধা’ নামে পরিচিতি পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ অধিবেশন হয়।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ সপ্তাহে অধিদপ্তর গঠন হয়ে যাবে। অধিদপ্তর করার নিরিখে একটি নীতিমালাও হয়েছে।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তারা ‘জুলাই শহীদ’ নামে খ্যাত হবেন। এই নিরিখে সনদ পাবেন, পরিচয়পত্র পাবেন তাদের পরিবারগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তারা ‘জুলাইযোদ্ধা’ নামে খ্যাত হবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা পরিচয়পত্র পাবেন। অন্যান্য সরকারি সুবিধা দিয়েও পাবেন।যারা শহীদ হয়েছেন তারা সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরে তাদের ১০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে, আগামী অর্থবছরে তারা ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন।

আহতরা তিনটি ক্যাটাগরিতে সহায়তা পাবেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আহতরা আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তারা ভাতাও পাবেন। যারা গুরুতর আহত তারা এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। একটি অঙ্গহানি হয়েছে এমন আহত যারা আছেন তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এবং তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। সামান্য আহত ছিলেন চিকিৎসা নিয়েছেন ভালো হয়ে গেছেন, তারা চাকরিসহ পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা কোনো ভাতা পাবেন না।

তিনি বলেন, আহতরা বিভিন্ন মাত্রায় প্রশিক্ষণ পাবেন। সরকারি, আধা-সরকারি ও অন্যান্য চাকরিতে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের কর্মসংস্থান করা হবে। তারা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বিএনপির কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটার ৪৫৯, ভোট পড়ল ৪৮৫

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৩:৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    বিএনপির কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটার ৪৫৯, ভোট পড়ল ৪৮৫

    ডেস্ক রিপোর্ট: গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৯ নম্বর খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন, কিন্তু গণনায় পাওয়া গেছে ৪৮৫টি ভোট। এই অসঙ্গতির কারণে ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

    রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল আরজু।

    তিনি জানান, ভোট গণনার সময় দেখা যায়, বৈধ ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি পড়েছে। এ ধরনের অনিয়মের কারণে কাউন্সিলের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় সদর উপজেলার খোলাহাটি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

    সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নুরুল আজাদ মণ্ডল। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয় কাউন্সিল। এতে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বর্তমান আহ্বায়ক মো. মোস্তফা কামাল। তবে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    ভোট গণনার সময় দেখা যায়, মোট ৪৮৫টি ভোট পাওয়া গেছে, যা ভোটারের চেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে ২৬টি ভোট বেশি। ফলে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এই অসঙ্গতির কারণে ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      কি আর বলব, যেই লাউ-সেই কদু : আদালতে ইনু

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১২:৫৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      কি আর বলব, যেই লাউ-সেই কদু : আদালতে ইনু

      ডেস্ক রিপোর্ট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যায় মিরপুর মডেল থানার মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে ফের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

      সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ আদেশ দেন।

      রিমান্ডের আদেশ শুনে হাসেন ইনু। এরপর তাদের হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায়  নিয়ে যাবার সময় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেনে, আপনি নাকি খেলোয়াড় ছিলেন। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘কি আর বলবো, যেই লাউ সেই কদু।’

      পরে এ সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন। আপনি কোন পক্ষে? উত্তরে তিনি মুচকি হেসে বলেন, ‘আমি লাউ, কদু দুটিরই বিপক্ষে’।

      এরপর তার পাশে আইনজীবী, পুলিশ ও সাংবাদিকের মাঝে হাসির রোল পড়ে যায়। হাসতে থাকেন ইনু ও মেননও। এ সময় মেননের কোনো বক্তব্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আর কি বলব’।

      এদিন সকাল ১০ টার দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ক্ষমতাশালী এই দুই শরিক দলের নেতাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

      এর আগে ইনুর আইনজীবী আদালতে শুনানিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আসামি ইনু এমপি ছিলেন না। আন্দোলনের সময় তিনি কোনো হত্যার নির্দেশ দেননি। বরং তিনি যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। আসামি ইনু পাকিস্তান পিরিয়ডে নামকরা ফুটবলার ছিলেন। তিনি গোলরক্ষক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি খেলা ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন খ্যাতিমান বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ। তার বয়স হয়েছে। তাকে জামিন দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের জোর দাবি জানান। শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        কখনোই শিবির ছিলাম না, উপদেষ্টা রিজওয়ানা আমার চাচি নন: তাসনিম জারা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১২:৪২
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        কখনোই শিবির ছিলাম না, উপদেষ্টা রিজওয়ানা আমার চাচি নন: তাসনিম জারা

        ডেস্ক রিপোর্ট: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার-গুজবের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির স্বাস্থ্য পলিসি ও অ্যাডভোকেসি সেলের সম্পাদক ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, আমি কখনোই শিবির বা কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এমনকি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানাও আমার চাচি নন।

        সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

        ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ ও একটি মহল আমাকে নিয়ে কতগুলো রিডিকিউলাস (হাস্যকর) মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে সত্য হলো উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আমার চাচি বা চাচাতো বোন নয়।

        রাজনৈতিক দলে যুক্ত থাকা প্রসঙ্গে ডা. তাসনিম জারা বলেন, আমি কখনোই শিবির করিনি। এমনকি আমি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম না।

        তিনি আরও বলেন, পাইলস, যৌনরোগ, মোটা বা চিকন হওয়া সংক্রান্ত কোনো প্রোডাক্ট আমি অনলাইনে বিক্রি করি না। আমার ছবি ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেপ্তার

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১২:৩২
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেপ্তার

          ডেস্ক রিপোর্ট: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

          মেহেরপুর জেলা পুলিশের অধিযাচনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাতেই মেহেরপুর জেলা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।

          বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া।

          এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেহেরপুর সদর থানায় গত ১৯ আগস্ট দায়ের করা মামলার আসামি সৈয়দা মোনালিসা হোসেন। পৃথক আরেকটি মামলা আছে তার নামে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

          আওয়ামী লীগের নেতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ফরহাদ হোসেন ও তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা মেহেরপুর জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তারা মানুষকে নানাভাবে শোষণ করেছেন। আর মন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর ছিলেন তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা।

          স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলায় অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা রাশিয়ায় পাচার করেছেন মোনালিসা। এ ছাড়া তিনি অনলাইন ক্যাসিনো এজেন্ট ও জুয়াড়িদের নিরাপত্তা দিতেন।

          স্থানীয়দের অভিযোগ, মেহেরপুরসহ সারা দেশের টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি ও অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী।

          তার দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছেন ফরহাদ হোসেনেরই ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল। সম্প্রতি তিনি এক অডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভাইয়ের দুর্নীতির কারণেই আজ আমরা সবাই ঘরছাড়া, পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং মামলার আসামি হয়েছি। ফরহাদ হোসেন নিয়োগ, বদলি-বাণিজ্য প্রভৃতি দুর্নীতির মাধ্যমে ন্যূনতম দুই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কানাডার বেগমপাড়ায় তার বাড়ি আছে। ঢাকায় একাধিক বাড়ি আছে। সবকিছুর নিয়ন্ত্রক ছিলেন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী। টাকা ছাড়া টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি কিছুই হতো না।’

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত