ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৬:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে আইনি নোটিশ

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারত থেকে সকল অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই আইনি নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশ্বের সকল দেশ ‘তুলনামূলক সুবিধা’ নীতি অনুসরণ করে থাকে। ‘তুলনামূলক সুবিধা‘ বলতে এমন একটি অর্থনৈতিক নীতি বোঝায়, যেখানে একটি দেশ সেই সকল পণ্য বা সেবা আমদানি করে, যেগুলো দেশীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হলেও তা তুলনামূলকভাবে বেশি সুযোগ ব্যয়ে উৎপাদিত হয়। এই নীতির মাধ্যমে দেশটি নিজের সম্পদ ও দক্ষতা সেসব খাতে কেন্দ্রীভূত করে, যেখানে তার তুলনামূলক সুবিধা রয়েছে। ফলে দেশটি কম খরচে উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি করতে পারে এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে আর্থিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটায়।

আরও বলা হয়, দুঃখের বিষয় ভারত থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আমদানির নীতি ‘তুলনামূলক সুবিধা‘ অনুসরণ করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ ভারত থেকে কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি ব্যাপক পরিমাণ অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে থাকে। এই অপ্রয়োজনীয় পণ্য বলতে সেই পণ্যগুলো বোঝায় যেগুলো আমদানির কোন প্রয়োজন নেই এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

নোটিশে এই আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশের যেসকল আমদানিকারকরা ভারতীয় পণ্য আমদানি করেন তাদের অধিকাংশই প্রকৃত আমদানিকারক নন। তারা মূলত ভারতীয় রফতানিকারকদের দালাল। এই দালাল আমদানিকারকরা ভারতীয় রফতানিকারকদের নির্দেশনামতো কম দামে ভারত থেকে মালামাল আমদানি করে সেগুলো বাংলাদেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। এছাড়া সেসব পণ্যের মূল্য হুন্ডি করে ভারতের রফতানিকারকদের কাছে পাঠায় বিনিময়ে তারা কমিশন পায়। এর মধ্যে দেশের মুদ্রাও পাচার হয়।

আইনি নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে এবং যে সমস্ত বাংলাদেশি দালাল আমদানিকারকরা ভারত থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করেন এবং হুন্ডি বা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠান, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ঢাবিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছার ঘটনায় প্রক্টরিয়াল টিমের দুঃখ প্রকাশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৬:৪৭
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ঢাবিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছার ঘটনায় প্রক্টরিয়াল টিমের দুঃখ প্রকাশ

    ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।

    রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, গতকাল শনিবার রাতে রাজু ভাস্কর্যের পিছনে মেট্রোরেলের দুটি পিলারে থাকা শেখ মুজিব এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এই দুটি গ্রাফিতি জুলাই আন্দোলনে বিপ্লব, প্রতিরোধ এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে।

    এতে আরও বলা হয়, বিষয়টি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আরও সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করছি।

    প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে গত রাতেই শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি আবার এঁকেছেন জানিয়ে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই স্তম্ভটিকে ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিবে।

    এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় মেট্রোরেলের পিলারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা প্রক্টরের পদত্যাগেরও দাবি করেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      মোড়ে মোড়ে হাসিনার গ্রাফিতি আঁকার আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৬:৪১
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      মোড়ে মোড়ে হাসিনার গ্রাফিতি আঁকার আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

      ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যসংলগ্ন মেট্রো রেলের পিলারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মধ্যরাতে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। পরে বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা গিয়ে বাধা দেন এবং আবারো শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি আঁকেন।

      এদিকে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ জানিয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

      সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বত্র শেখ হাসিনার গ্রাফিতি আঁকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

      আজ রবিবার দেওয়া ওই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে, শহরে-জনপদে, গ্রাম-মহল্লায় খুনি, স্বৈরশাসক, গণহত্যাকারী হাসিনার গলায় জুতার মালাসহ গ্রাফিতি আঁকুন।’

      এতে আরো বলা হয়, ‘স্বৈরাচারী হাসিনার দুঃশাসনের ভয়ঙ্কর দিনগুলো আমাদের স্মৃতিপট থেকে মুছে ফেলা যাবে না।’

      শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিটি করপোরেশনের লোকজন শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মুছতে যান। এ সময় তারা শেখ হাসিনার গ্রাফিতির মুখের অংশ মুছে ফেলেন। পরে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সেটি পুরোপুরি মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। এরপর শিক্ষার্থীরা পুনরায় সেখানে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি এঁকে দেন।

      ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ নামক এই গ্রাফিতিতে পুনরায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রাফিতি আঁকার কাজটি করেন ছাত্র ইউনিয়নের চারুকলা অনুষদ শাখার সদস্য মৃধা রাইয়ান ও ঋষি। তাদের সঙ্গে ছিলেন রাইয়ান ফেরদৌস ও সর্দার নাদিম মাহমুদ শুভ।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সারজিস-হাসনাতের বাড়িতে শত কোটি টাকা পাওয়ার দাবি, কি বলছে রিউমর স্ক্যানার

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৬:২৮
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        সারজিস-হাসনাতের বাড়িতে শত কোটি টাকা পাওয়ার দাবি, কি বলছে রিউমর স্ক্যানার

        ডেস্ক রিপোর্ট: গত অক্টোবর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক পোস্ট ও ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের বাসা থেকে যথাক্রমে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

        এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান (ফ্যাক্ট চেক) রিউমর স্ক্যানার। তাদের অনুসন্ধানে জান যায়, ভিডিওটি ভুয়া।

        রিউমর স্ক্যানার জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়িতে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বরং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামের বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ প্রচার করে আলোচিত ভুয়া দাবিটি উত্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

        সারজিস সারজিস আলমের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। যে অবিশ্বাসের রাজনীতি শুরু করা হয়েছে সেই রাজনীতির দিকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এছাড়াও, এই ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করতে দেখা যায়।

        বিষয়টি যাচাইয়ে পরবর্তী অনুসন্ধানে Md Tarikul Islam নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ১৯ অক্টোবর ‘অবিলম্বে হামলাকারী খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

        উক্ত ভিডিওটির ৯ মিনিট থেকে ৯ মিনিট ৪২ সেকেন্ড অংশের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়। জানা যায়, বক্তব্য প্রদানকারী এই ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ তারিকুল ইসলাম। উক্ত ভিডিওটির ৯ মিনিট থেকে তাকে বলতে শোনা যায়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এ লড়াই শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। চতুর্দিকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে।

        সারজিসের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

        অবিশ্বাসের রাজনীতি শুরু করা হয়েছে। সে রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে। আপনাদেরকে বুঝতে হবে, এই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের শক্ত নৈতিক মানদণ্ড না থাকলে তারা কখনোই এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে পারতো না।

        অর্থাৎ, তিনি সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়িতে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেননি বরং তিনি তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে বলেছেন, এই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের শক্ত নৈতিক মানদণ্ড না থাকলে তারা কখনোই এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিতে পারত না। পাশাপাশি গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সারজিস আলম কিংবা হাসনাত আবদুল্লাহর বাসা থেকে কোনো অর্থ উদ্ধারের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুতরাং সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়িতে যথাক্রমে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে বলে মো. তারিকুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          প্রত্যাখ্যাত হাসিনার রিপ্রেজেনটেশন ছিল গ্রাফিতিতে, বিচার চাইলেন আব্দুল্লাহ

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৫:৪০
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          প্রত্যাখ্যাত হাসিনার রিপ্রেজেনটেশন ছিল গ্রাফিতিতে, বিচার চাইলেন আব্দুল্লাহ

          ডেস্ক রিপোর্ট: সমাজের নানা অসংগতি ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। তবে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বারবার সাইবার হামলার শিকার হয় তার ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট। গত ১৩ মে কনটেন্ট নির্মাতা ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’ এর পরিবারের ঋণ খেলাপির বিষয় অনুসন্ধান করে তুলে ধরেন সাইয়েদ। পরে ঈদুল আজহার আগে ১২ লাখ টাকার ছাগলের বায়না করা তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতের কর্মকাণ্ড, তার পরিচয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (অপসারিত) মো. মতিউর রহমানকে নিয়ে একাধিক বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।

          এবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা বিষয়ে সরব হয়েছেন।

          সাইয়েদ আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মেট্রোরেলের পিলার থেকে এই গ্রাফিতিটা গতকাল গভীর রাতে মুছে ফেলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গভীর রাতেই অনলাইনে সরব হই আমরা কয়েকজন। ওইটা মোছা হয়ে যাওয়ায় পর কয়েকজন হাসিনার অন্য একটা ক্যারিকেচার আঁকে। কিন্তু কথাটা হলো, ভিন্নটা কেন করা হবে, আগেরটাই লাগবে। হুবহু আগেরটাই এবং ওইটার ওপরও কালি মেখে, রক্তের মতো লাল রঙ দিয়ে ডা–ই–নি টাইপ ভাইবই রাখতে হবে। আর ওইটাতে যেভাবে জুতার মালা দেওয়া ছিল, ওই একইভাবে রাখতে হবে। মানে হুবহু রিস্টোর করতে হবে।’

          তিনি লিখেছেন, ওইটার ভেতর যে মেসেজ ছিল, নতুনটার ভেতর সেটা নাই। গণঅভ্যুত্থানে দেশের জনগণ হাসিনাকে যেভাবে প্রত্যাখ্যান করে উৎখাত করেছিল, সেটার অটো রিপ্রেজেনটেশন ছিল ওইটাতে৷ আর হুটহাট করে যারা এইটা মোছার প্ল্যান করেছিল বা যাদের মাথা দিয়ে এই প্ল্যান বের হয়েছিল, তাদের প্রত্যেককে আইডেন্টিফাই করে কঠোর জবাবদিহির ভেতর নিয়ে আসা উচিত।

          ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই সাবেক ছাত্র লিখেছেন, এই নির্দেশ এসেছিল কোন সংস্থা থেকে? এবং ক্যাম্পাসের ভেতর বড় টেকনিক্যাল ভেহিকেল নিয়ে এসে এই কাজ করা হয়েছে, তার মানে হলো এটার পারমিশনের সঙ্গে ভিসি বা প্রক্টরের অ্যাফিলিয়েশন থাকবার কথা। অর্থাৎ কোনো এজেন্সি থেকে যদি বলা হয় এবং প্রক্টর বা ভিসি যারা এইটা প্রতিরোধ করে নাই, তাদের প্রত্যেককে কঠোর জবাবদিহির ভেতর নিয়ে আসতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করার চিহ্নগুলো মুছে দিয়ে এরা কী করতে চায়, সেটা বোঝার দরকার আছে। এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ওই জুতারমালা গলায় দেওয়া প্রত্যাখ্যাত হাসিনার ডা-ই-নি রূপ ফুটিয়ে তোলা দরকার। যতবার মুছতে চাইবে, ততবার আরও বেশি করে সব জায়গায় ফুটিয়ে তুলতে হবে।

          সবশেষে তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে এরা প্রথমে গ্রাফিতি মুছতে চাইবে, তারপর দেশের মানুষের মন থেকেই ওই হয়েনাদের অপকর্মের ফিরিস্তি মুছে দিতে চাইবে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। দেশের জনগণের উচিত সেটা কোনো অবস্থাতেই না হতে দেওয়া।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত