দেশে আজ কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সবশেষ সমন্বয়কৃত দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে সবশেষ গত ২৩ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২২৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল আজ ২৪ জুলাই থেকে।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
চলতি বছরে মোট ৪৫ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৯ বার, আর কমেছে মাত্র ১৬ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
বিয়ের পরে নারীদের ওজন বাড়ে কেন?

বিয়ের পর অনেকেরই ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। একসময় ছিপছিপে গড়নের মানুষটিও ধীরে ধীরে ভারী হয়ে ওঠেন। তবে বিয়ের পর বিশেষ করে নারীদের ওজন বাড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কিন্তু কেন এমনটা হয়? শুধু জীবনযাপনের পরিবর্তন, নাকি এর পেছনে আছে আরও কিছু শারীরিক ও মানসিক কারণ? বিয়ের পর নারীদের ওজন বাড়ার এমন কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে এই সময় অনলাইনে।
হরমোন নিঃসরণে পরিবর্তন
বিয়ের পর অধিকাংশ নারীর জীবনযাত্রায় আসে বড় পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে শরীরের হরমোন নিঃসরণ হয়। যার ফলেই শরীরে জমতে শুরু করে অতিরিক্ত মেদ। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যেই প্রায় ৮২ শতাংশ নারীর ওজন বেড়ে যায় উল্লেখযোগ্য হারে।
গাফিলতি
বিয়ের আগে অধিকাংশ নারী নিজের শরীর ও স্বাস্থ্য নিয়ে থাকেন সচেতন—খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ থেকে নিয়মিত ব্যায়াম, সব কিছুতেই থাকে যত্ন। কিন্তু বিয়ের পর সেই যত্নে আসে গাফিলতি। নতুন জীবনের চাপ, মানিয়ে চলার চেষ্টায় নিজের প্রতি সময় কমে যায়। এর সঙ্গে যোগ হয় জাঙ্ক ফুড, অনিয়মিত ঘুম আর ব্যায়ামের অভ্যাস বাদ দেওয়া—সব মিলিয়ে ওজন বাড়তে শুরু করে ধীরে ধীরে।
ঘুমের অভাব
বিয়ের পর অনেক নারীর ঘুমের সময় ও অভ্যাসে পরিবর্তন আসে। অনেকেই রাতে দেরি করে ঘুমান বা ঘন ঘন জেগে থাকেন, যা শরীরের স্বাভাবিক হজমপ্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে ধীরে ধীরে শরীরে জমতে থাকে অতিরিক্ত চর্বি, ওজন বাড়তে শুরু করে অজান্তেই।
রুচি পরিবর্তন
বিয়ের পর অনেক নারীকে স্বামী কিংবা তার পরিবারের জীবনযাত্রার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হয়। ফলে ধীরে ধীরে বদলে যায় তাদের নিজস্ব রুচি ও অভ্যাস। নতুন পরিবেশ ও সম্পর্ক মানিয়ে নিতে গিয়ে অনেকেই নিজের চাহিদা ও পছন্দকে চাপা দেন। এই লাগাতার আপসের ফলে নিজের যত্নে ফাঁক থেকে যায়—খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্যে পড়ে প্রভাব। আর এসবের মিলিত ফলেই শরীরে জমতে থাকে অতিরিক্ত মেদ, বাড়ে ওজন।
স্ট্রেস
বিয়ের পর অধিকাংশ নারীকেই নতুন পরিবেশে, অন্য পরিবারে বসবাস শুরু করতে হয়। অনেক সময় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে তৈরি হয় মানসিক চাপ। একইসঙ্গে নতুন দাম্পত্য সম্পর্ক, দায়িত্ব আর পারিবারিক পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর চাপ বাড়িয়ে তোলে স্ট্রেস। এই মানসিক চাপের প্রভাব পড়ে খাদ্যাভ্যাসে—কেউ কম খেতে শুরু করেন, কেউ আবার বাড়িয়ে দেন খাবারের পরিমাণ। এই অনিয়মই ধীরে ধীরে ওজন বাড়ার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গর্ভধারণ
বিয়ের ২-৩ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ দম্পতি সন্তানের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসবের পর অনেক নারী ওজন কমানোর জন্য সচেতন থাকেন না। ফলে গর্ভাবস্থায় জমে থাকা মেদ ধীরে ধীরে শরীরে স্থায়ীভাবে থেকে যায়। নিয়মিত যত্ন ও ব্যায়ামের অভাবে এই বাড়তি ওজন সহজে আর কমে না।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন

ঈদের ছুটিতে শহরের ব্যস্ততা ফেলে নাড়ির টানে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন অনেকেই। দীর্ঘ ছুটির এই সময়টাতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ছোটেন শহরবাসী। তবে ঈদের আনন্দযাত্রা যেন কোনো অপ্রত্যাশিত বিপদে না বদলায়, তার জন্য কিছু বিষয় আগে থেকেই খেয়াল রাখা জরুরি। বাড়ি ছাড়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি নিলে আপনার অনুপস্থিতিতে ঘরবাড়ি থাকবে নিরাপদ ও গোছানো।
চলুন, জেনে নিই সেই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো।
গ্যাস ও পানির লাইন ঠিকভাবে বন্ধ করুন
বাসা ফাঁকা রেখে বের হওয়ার আগে গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার ও গ্যাস লাইনের সংযোগ ভালোভাবে বন্ধ করেছেন কি না, তা যাচাই করে নিন। ফিরে এসে গ্যাস চালু করার আগে জানালা-দরজা খুলে দিন, যাতে ঘরের ভেতরে কোনো গ্যাস জমে থাকলে তা বের হয়ে যায়। পানির কল ঠিকভাবে বন্ধ হয়েছে কি না, সেটিও ভালোভাবে দেখে নিন।
বিদ্যুৎ সংযোগ ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি
বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে সাবধানতা জরুরি। প্রতিটি ঘরের ফ্যান, লাইট ও অন্যান্য ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ করে রাখুন। ফ্রিজ ছাড়া অন্যান্য যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, মাইক্রোওয়েভ, ওয়াশিং মেশিন, কম্পিউটার ইত্যাদির প্লাগ খুলে রাখাই ভালো। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় যন্ত্রপাতির ক্ষতি থেকে বাঁচাতে এটি একটি কার্যকর পদক্ষেপ।
দরজা-জানালায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক থাকুন
ছুটির সময় বাড়িতে চুরি বা অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়ে যায়। তাই বাসা ছাড়ার আগে সব দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ করুন এবং তালা দেওয়া হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে একাধিকবার পরীক্ষা করুন। পাশের বাসিন্দা বা নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়ে রাখা যেতে পারে আপনি ছুটিতে বাইরে যাচ্ছেন।
ঘর গুছিয়ে রাখুন
দীর্ঘ সময়ের জন্য বাসা ফাঁকা রেখে গেলে সেখানে ধুলা, পোকামাকড় ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। তাই ছুটিতে বের হওয়ার আগে ঘর পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখুন। এতে ফিরে এসে বিশ্রামের মুহূর্ত নষ্ট হবে না।
পোষা প্রাণীর ব্যবস্থা করে যান
বাসায় পোষা প্রাণী থাকলে তাদের একা ফেলে যাবেন না। সম্ভব হলে পরিচিত কারও কাছে রেখে যান বা পোষা প্রাণীর জন্য নির্ধারিত পেট কেয়ার সেন্টারে অল্প খরচে রাখতে পারেন।
দরকারি কাগজপত্র ফটোকপি করে রাখুন
আইডি কার্ড, পাসপোর্ট বা টিকিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথির একটি করে ফটোকপি নিজের কাছে রাখুন এবং মূল কপি সুরক্ষিত জায়গায় রেখে যান। ভিড়ের মাঝে এসব হারিয়ে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।
ঈদের আনন্দ যাতে কোনো দুর্ঘটনায় মলিন না হয়, সে জন্য পরিকল্পনা করে ঘর ছাড়ুন। একটু বাড়তি সতর্কতা আপনাকে এনে দিতে পারে নিশ্চিন্তে ঈদের আনন্দ।
ভুঁড়ি কমাতে যেসব খাবার খাবেন
- খাদ্যতালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- গ্রিন-টিতে আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর।
- আখরোট, কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস।
- ঝাল খাবার খান, পেটের মেদ কমে যাবে।
- কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকালবেলা চুষে খান।
মন্তব্য