ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা

তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে

অনলাইন ডেস্ক
১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৭
অনলাইন ডেস্ক
তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের শুনানি চলছে।


মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। তারেক রহমান-বাবরের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত আছেন– জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস।

এর আগে গত ৩১ জুলাই বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়।


মামলার আগের কার্যক্রম

এ বছরের ১২ জানুয়ারি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এ বিচার টেকে না। রায়ে বলা হয়, যে অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

এরপর এ মামলায় সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১ জুন রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ।


নিম্ন আদালতের রায়

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।


নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ আসামি

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।


যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৯ আসামি

শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর, আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক), মো. খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক), তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক) এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।


২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে অনেকে হাত-পা হারিয়ে পঙ্গু হয়ে যান।






প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসিরের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২৫
    অনলাইন ডেস্ক
    মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসিরের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।


    সোমবার (১৮ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান এ রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ বিকেলে এ বিষয়ে শুনানি হবে।


    এর আগে গত রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থেকে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।


    মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলি আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চার্জশিট

      শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে বাংলা ব্রিগেডের নানা ছক

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৫
      অনলাইন ডেস্ক
      শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে বাংলা ব্রিগেডের নানা ছক

      গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭৭ জন। মিটিংয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-কে যুদ্ধের ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। তিনি টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. রাব্বী আলমের নেতৃত্বে কীভাবে সারা দেশে এ ব্রিগেড গড়ে উঠেছে, কোন জেলার দায়িত্বে কে কীভাবে কাজ করছে—তা নিয়েও মিটিংয়ে বর্ণনা দেওয়া হয়। এ সময় ব্রিগেডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ ও মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথ নেন।


      অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত ও গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. এনামুল হক চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং গ্রেপ্তারের অগ্রগতি জানাতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।


      চার্জশিটে পেনাল কোডের ১২১, ১২১(ক) ও ১২৪(ক) ধারায় আসামিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২১ ধারায় শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা; ১২১(ক) ধারায় যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা এবং ১২৪(ক) ধারায় যাবজ্জীবন, যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড বা তিন বছর কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে। এসব ধারা জামিনযোগ্য বা আপসযোগ্য নয়। মামলায় ২৮৪ জন সাক্ষী করা হয়েছে, তাদের সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।


      অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. শামসুদ্দোহা সুমন কালবেলাকে বলেন, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। তিনি নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ড. ইউনূস সরকারকে উৎখাত ও দেশে গৃহযুদ্ধ বাধাতে চান এবং অনলাইনে এভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সিআইডি চার্জশিট দিয়েছে, আর রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করবে।


      চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, অনলাইনভিত্তিক সংগঠন ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর এই মিটিং পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. রাব্বী আলম। সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রামেগঞ্জে সব জায়গায় সে (ড. মো. ইউনূস) এজেন্ট লাগিয়ে দিয়েছে। এদের দিয়ে আওয়ামী লীগের যাকে পাওয়া যাবে, ঘরে ঢুকে হত্যা করবে। মামলা বা গ্রেপ্তার করবে না, এখন হত্যা করবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করতে এলে বসে থাকবে? উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।’


      মিটিংয়ে ডা. রাব্বী আলম শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে সশস্ত্র যুদ্ধের কথা বলেন। উজিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল জানান, রাব্বী আলমের নেতৃত্বে তারা শপথ নিয়েছেন প্রয়োজনে রক্ত ও জীবন দেবেন, তবুও শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাবেন। বরিশাল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু বলেন, তারা জীবনের বিনিময়ে হলেও শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন ও পুনরায় শাসনভার গ্রহণ করাবেন, রাব্বী আলম তাদের সুসংগঠিত করেছেন। তৃণমূল জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পারভেজ খান ইমন বলেন, শেখ হাসিনা ও রাব্বী আলমের নেতৃত্বে তারা ঢাকার বিভিন্ন কর্মসূচি সফল করেছেন এবং ভবিষ্যতে জয় বাংলা ব্রিগেডের মাধ্যমে গেরিলা যুদ্ধ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ফেরাবেন।


      ভাঙ্গুরা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আজিদা পারভীন বলেন, তিনি জয় বাংলা ব্রিগেডে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে আছেন এবং আওয়ামী লীগ সদস্যদের নিয়ে আলাদা গ্রুপ খুলেছেন। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান রূপক জানান, ৬৪ জেলায় কার্যক্রম চলছে, নির্দেশ পেলেই যুদ্ধে নামবেন। চার্জশিটে উল্লেখ, শেখ হাসিনা অংশগ্রহণকারীদের বর্তমান সরকারকে উৎখাতের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন এবং অংশগ্রহণকারীদের ভয়েস রেকর্ডে দেখা যায়, তারা গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী বানাতে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।


      এ কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১২১, ১২১(ক) ও ১২৪(ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারায় সরকার কর্তৃক বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।


      ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। তদন্ত শেষে মামলার ৭৩ জনের মধ্যে ৩০ জন এবং তদন্তে শনাক্ত হওয়া আরও ২৫৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ৪৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবে সাকা চৌধুরীর পরিবার

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫৬
        অনলাইন ডেস্ক
        পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবে সাকা চৌধুরীর পরিবার

        সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) বিচার চলাকালীন সাক্ষীদের বিদেশ থেকে আসতে না দেওয়ার সাইফার মেসেজসহ অন্যান্য মেসেজ উদ্ধার ও এর সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ দেবে তার পরিবার। 


        আগামী রোববার এই নোটিশ দেওয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার প্রয়াত সাকা চৌধুরীর ধানমন্ডির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তার স্ত্রী, দুই ছেলে এবং মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।


        মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ৭১ সালে আমার বাবা যে দেশের বাইরে ছিলেন তার সাক্ষী হিসাবে বিচার চলাকালীন চারজন ব্যক্তি বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল সেটি নাকচ করে দিয়েছিলেন। সাক্ষীদের আসতে না দেওয়ার পেছনে তৎকালীন ফরেন মিনিস্ট্রির কিছু সাইফার মেসেজ জড়িত ছিল। 


        তিনি বলেন, আমার বাবাকে তারা কোনোভাবেই ফেয়ার জাস্টিসের ধারে-কাছেও নিতে পারেনি। আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে আওয়ামী সরকার সরাসরি জড়িত ছিল। 


        লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর কথা জানিয়ে হুম্মাম বলেন, আমরা বর্তমান ফরেন মিনিস্ট্রিকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠাব। আমরা তাদের কাছে দাবি করছি, এই সাইফার মেসেজগুলোকে ডি-ক্লাসিফাই করে দেওয়া হোক। তিনি বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের কাছে আরেকটা জিনিস চাই, এই সাইফার মেসেজের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ফরেন মিনিস্ট্রির যারা যারা জড়িত ছিল তাদের সবার নাম যেন প্রকাশ করা হয়।

        প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সাদা পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫৬
        অনলাইন ডেস্ক
        সাদা পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে  রিট

        সিলেটে সাদা পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর কে এম নুরুন্নবী এ রিট আবেদন দায়ের করেন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ রিট আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।


        এদিকে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রের সাদা পাথর উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। বুধবার মধ্যরাতে ভোলাগঞ্জ সড়কের প্রবেশমুখে অভিযান চালায় তারা। আমদানির প্রমাণপত্র যাচাই করে বৈধ পাথরবাহী ট্রাকগুলো যেতে দেয়া হচ্ছে। যৌথবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে ট্রাকে করে আনা এসব পাথরের আমদানির প্রমাণপত্র পরীক্ষা করে দেখেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।


        তবে চালকরা অভিযোগ করেন, তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও হয়রানি করা হচ্ছে। তারা দাবি করেন, ক্রাশার মিলে অভিযান চালানো উচিত।


        পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু সিলেটের দৃষ্টিনন্দন সাদা পাথর ও প্রকৃতিকন্যা জাফলং। স্থান ‍দুটির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য পাথরগুলো লুট হয়ে গেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে দেশে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।


        এক বছর ধরে সরিয়ে ফেলা প্রাকৃতিক সম্পদের বাজারমূল্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা হলেও এর মাধ্যমে ভূপ্রকৃতির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণযোগ্য নয়। রাজনৈতিক ঐকমত্যের কাছে অসহায় প্রশাসনের আত্মসমর্পণের কারণে এতবড় কেলেঙ্কারি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারক ও পরিবেশবিদরা।


        বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গছে, এ দুটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মুখে মুখে ছিল সিলেটের দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ সাদা পাথর চুরির ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও বিষয়টি নিয়ে বেশ সরগরম। ঐকমত্যের ভিত্তিতে পাথর চুরির ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের তুলাধুনা করছেন পর্যটকরা। তাদের অভিমত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলাভূমি রাজনৈতিক দলের নেতাদের দানবীয় লুটপাটের কারণে এখন মরুভূমিতে রূপ নিয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত