জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে নিয়োগপ্রাপ্ত স্টেট ডিফেন্স মামলা থেকে অব্যাহতির চেয়ে শুনানি করেন। ৬ আসামির পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শেষ হয় ২৯ জুলাই।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরীকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
‘যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে’, তাপসকে বলেন হাসিনা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ফোনালাপ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে এ ফোনালাপ তুলে ধরেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সূচনা বক্তব্যের পর একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে স্পষ্ট করেই মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার কথা বলতে শোনা যায়। আন্দোলনকারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই যেন গুলি করা হয় এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
তাপসের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ
শেখ হাসিনা : দরকার নাই, ওটা দরকার নাই। আমি সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলছি, ওরা রেডি থাকবে ঠিক আছে! এখন তো আমরা অন্য ইয়ে করতেছি। ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি আর হেলিকপ্টারে, ইয়ে হচ্ছে মানে, কয়েক জায়গায়।
তাপস : তাহলে ওই কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে?
শেখ হাসিনা: সবগুলোকে অ্যারেস্ট করতে বলেছি রাতে।
তাপস: হ্যাঁ, পাকড়াও, পাকড়াও করলে ওদেরকে...
শেখ হাসিনা : না, ওটা বলা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই, সবাইকে বলা হইছে যে যেখান থেকে যে কয়টা পারবা ধইরা ফেলো।
তাপস : জি
শেখ হাসিনা : না, ওটা বলা আছে। আর যেখানে গেদারিং দেখবে সেখানে ওই ওপর থেকে, এখন ওপর থেকে করাচ্ছি, অলরেডি শুরু হইছে কয়েকটা জায়গায়।
তাপস : জি
শেখ হাসিনা :...হইয়া গেছে।
তাপস : জি, জি, মোহাম্মদপুর থানার দিকে মনে হয় ওরা যাচ্ছে একটা- আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলল।
শেখ হাসিনা : মোহাম্মদপুর থানার দিকে?
তাপস: হ্যাঁ
শেখ হাসিনা : ওখানে পাঠাইয়া দিক র্যাবকে
তাপসা : জি, তাহলে আপনার নির্দেশনা লাগবে, উনি এখনো মানে...
শেখ হাসিনা : আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে, ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিছি এখন, এখন লেথাল উইপেন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।
জুলাই হত্যাকাণ্ড: হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে সকালে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ রাষ্ট্রপক্ষের তরফে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এ বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
ট্রাইব্যুনালে এ মামলা উপস্থাপন করা হয়েছে ‘চিফ প্রসিকিউটর বনাম আসামি শেখ হাসিনা গং’ মামলা হিসেবে। গত ১ জুন প্রসিকিউশনের দেওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনে গত ১২ মে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেখানে শেখ হাসিনাকে জুলাই–অগাস্টের নৃশংসতার ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
অভিযোগ-১: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত ছাত্রি-ছাত্রীদেরকে রাজাকার এবং রাজাকারের বাচ্চা বলে তাদেরকে নির্মূল করার জন্য যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন তারই
ধারবাহিকতায় গোটা বাংলাধেশ জুড়ে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্রজনতার উপর যে আক্রমণ শুরু হয় তাতে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়, প্রায় ২৫ হাজার ছাত্র-জনতাকে আহত করা হয়। অনেকে অন্ধত্ব বরণ করেছেন, অনেকে অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন।তার উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সারাদেশ ব্যাপী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আল মামুনের নেতৃত্বে আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। সেই অভিযোগে প্রথম অভিযোগটি গঠন করা হয়।
অভিযোগ-২: গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন উপাচার্য মাকসুদ কামালের সাথে কথোপকথন এবং ১৮ তারিখে তার ভাতিজা শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে আরেকটি টেলিফোন করভারসেশনে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, তিনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করার জন্য। মারণাস্ত্র ব্যবহার করে তাদের হত্যা বা নির্মূল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন হেলিকপ্টর এবং ড্রোন ব্যবহার করে দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করার জন্য। সেই নির্দেশের কথা তিনি দুটি টেলিফোন কনভারসেশনে উল্লেখ করেছেন। আদেরকে আশ্বস্ত করেছেন, আমি নির্দেশ দিয়েছি, সুতরাং এ বিক্ষোভ দমন হয়ে যাবে, নির্মূল হয়ে যাবে। তার এ আদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মাধ্যমে সমস্ত বাহিনীগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে, আওয়ামী লীগের কাছে কনভে করা হয়েছে, ছাত্রলীগ-যুালীগের কাছে কনভে করা হয়েছে।এবং সেই নির্দেশের আলোকে দেশব্যাপী দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। ২৫ হাজার মানুষকে আহত করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ-৩: ১৬ জুলাই রংপুরে নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ পরপর অনেকগুলো গুলি করে হত্যা করে। এটি হয়েছিল শেখ হাসিনার নির্দেশের প্রেক্ষিতে এবং এ নির্দেশটি প্রকাশ হয়েছিল তার টেলিফোন কনভারসেশন থেকে। ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে বলেছিলেন ‘রাজাকারের বাচ্চা’, তারই ধারাবাহিকতায় রংপুরে আবু সাইদকে হত্যা করা হয়। হত্যা করার পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজে। সেখানে হত্যার প্রকৃত কারণ গোপন করার জন্য পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট চারবার পরিবর্তন করা হয়। এ হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ষড়যন্ত্র, নির্দেশ এর মাধ্যমে এই আসামিরা তাদের সুপিরিয়র স্ট্যাটাস ব্যবহার করে রংপুরের পুলিশ প্রশাসন এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে সেখানে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন সে দায়ে তৃতীয় অভিযোগটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ ৪: অগাস্টের ৫ তারিখ যখন সারা বাংলাদেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকা আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে যখন ছাত্র জনতা আসছিল সে সময় রাজধানীর চানখার পুল এলাকায় বেলা ১০টা থেকে আড়াইটার মধ্যে এ তিন আসামির নির্দেশে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারের মাধ্যমে ও অন্যান্য পুলিশ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করে। তার মধ্যে শহীদ শহরিয়ার খান আনাজ, জুনাইদসহ আরও চারজন রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি এবং তাদের অধীনস্তদের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর দায়ে চতুর্থ অভিযোগ গঠন করা হয়।
অভিযোগ-৫: তাদের নির্দেশে সাভারের এমপিসহ অধীনস্তদের সাহায্যে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে ৫ অগাস্ট বিকালবেলা লেথাল উইপন ব্যবহার করে ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ গঠন করা হয়। একটি গলির মধ্যে ঠান্ডা মাথায় সাব মেশিনগান এবং চায়নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।ওই ছয় জনকে একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পোড়ানোর সময় একজন নড়াচড়া করছিল, তাকে উদ্ধার না করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় ছাত্রনেতা অপু রিমান্ডে

সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার এ রিমান্ড আদেশ দেন।
এদিন বিকাল ৩টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে আসামি অপুকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর বিকাল ৩টা ২৮ মিনিটে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে তোলা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান আসামি অপুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন চান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের জোর দাবি জানায়। শুনানি শেষে আদালত আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে চাঁদাবাজির ঘটনায় গতকাল (১ আগস্ট) অপুকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ রোববার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জালাই-আগস্টে দায়ের করা গণহত্যা মামলার সূচনা বক্তব্য ও প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে রোববার। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
গত ১০ জুলাই জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়। মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।
এ মামলায় ৩ আগস্ট সূচনা বক্তব্য ও ৪ আগস্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে বলে জানানো হয় তখন। তবে তার একদিন আগে আগামীকালই শুরু হচ্ছে সাক্ষ্যগ্রহণ।
এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক। অন্যদিকে সাবেক আইজিপি মামুন বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন। এরইমধ্যে নিজের অপরাধ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মন্তব্য