ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম: প্রধান বিচারপতি

অনলাইন ডেস্ক
১৩ মে, ২০২৫ ১৩:২৬
অনলাইন ডেস্ক
হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম: প্রধান বিচারপতি

হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন শুনানিতে মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী শিশির মনির। আর ইসির পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। 

এর আগে, গত ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়। এরপর আর শুনানি হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল মামলাটি খারিজ (আইনজীবী হাজির না থাকায়) করে দেয়। এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। পরে গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য রিস্টোর করেন। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে জামায়াতের আইনি লড়াই করার পথ খুলে যায়।

মন্তব্য

শিশু আছিয়া হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

অনলাইন ডেস্ক
১৩ মে, ২০২৫ ১২:২৭
অনলাইন ডেস্ক
শিশু আছিয়া হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ের তারিখ ১৭ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালতে এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

গতকাল সোমবার (১২ মে) সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি পরীক্ষার শুনানি শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন। প্রথমদিন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার (১৩ মে) আবারো যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়।

মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আরো ৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১২:৫৭
অনলাইন ডেস্ক
আরো ৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার

সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রক্ষ্মচারীকে কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া আরো ৪টি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৬ মে) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন। এসময় কারাগার থেকে অনলাইনে শুনানিতে হাজির করা হয় আসামি চিন্ময় দাসকে। এর আগে সোমবার (৫ মে) তাকে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ডের দিন আদালত এলাকার বিভিন্ন ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা হয়। এরমধ্যে হত্যা ছাড়া বাকি চারটি মামলায় চিন্ময়কে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। 

এর আগে সোমবার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হত্যা মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় তাকে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। ওইদিন দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।

একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল দুর্বৃত্তের হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এটির পাশাপাশি একই ঘটনায় পুলিশসহ ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে আরও চারটি মামলা করে কোতোয়ালি থানায়।

 

মন্তব্য

অবশেষে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১১:২৪
অনলাইন ডেস্ক
অবশেষে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়।

জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে রয়েছেন ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

আদালতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ৬ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেন সর্ব্বেোচ আদালত। একইসঙ্গে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামের রিভিউ মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা এটাই প্রথম কোনো মামলা যে মামলায় রিভিউ থেকে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দিলেন আদালত।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়।

গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়। 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক এমপি মাজাহারুল সুজনকে

    অনলাইন ডেস্ক
    ৫ মে, ২০২৫ ১৬:১৯
    অনলাইন ডেস্ক
    দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক এমপি মাজাহারুল সুজনকে
    সোমবার সাবেক এমপি মাজাহারুল ইসলাম সুজনকে ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

    বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলাসহ পৃথক দুই মামলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মাজাহারুল ইসলাম সুজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

    আজ (সোমবার) তাকে দিনাজপুর কারাগার থেকে ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক রহিমা খাতুন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এ বিষয়ে আদালতের জিআরও এএসআই আব্দুল কুদ্দুস জানান, বালিয়াডাঙ্গী থানায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জোহা বাদী হয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সুজনকে চতুর্থ ও তার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মোট ৬৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। 

    এর পাশাপাশি, সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা এডভোকেট মওদুদ আহমেদ সুজনকে প্রধান আসামি করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

    আজ দুপুরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে সুজনকে আদালতে আনা হলে শুনানিতে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অংশ নেন। যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক দুই মামলাতেই জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আদালত থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে সুজনের আইনজীবী এডভোকেট ফজলে রাব্বী বলেন, ‘মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। আমরা জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করেননি।’

     

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত