ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে পাবিপ্রবিতে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:২৩
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে পাবিপ্রবিতে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎‎‎বুধবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়ালের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিজয় র‍্যালি বের হয়। বিজয় র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অতিক্রম করে কনভেনশন হলে গিয়ে শেষ হয়।

‎এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড. মো: শামীম আহসান, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম ও জুলাই অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তির বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো: কামরুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

‎বিজয় র‍্যালিতে শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলনের বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এসময় শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ভেসে ওঠে- ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, ওবায়দুল কাদেরের ফাঁসি চাই, সাদ্দামের ফাঁসি চাই, ইনানের ফাঁসি চাই। এছাড়াও বিজয় র‍্যালিতে শিক্ষার্থীরা, কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ দাদার? পালাইছে রে পালাইছে, খুনি হাসিনা পালাইছে ইত্যাদি শ্লোগান দেন।

‎ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, আপনারা সবাই জানেন জুলাই আগস্টের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাসব্যাপী নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকে আমাদের প্রথমেই ছিল বিজয় র‍্যালি, এরপরে আছে শিশুদের নিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, তারপরে আলোচনা সভা এবং সবশেষে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান।

এসময় তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন গতবছরের এই দিনে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পলানের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছিল। সেই যাত্রাকে আমরা অব্যাহত রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি একটি সমৃদ্ধশালী ও কর্মমুখী বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ছেলে- মেয়েরা যারা বিগত দিনগুলোতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তারা ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকে একটি উৎপাদনশীল রাষ্ট্র হিসেবে গঠনে সর্বদা ভুমিকা রাখবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পাবিপ্রবিতে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ২৮ জুলাই, ২০২৫ ১৯:০
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    পাবিপ্রবিতে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কার

    যৌন হয়রানির অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঐ শিক্ষকের নাম সুব্রত কুমার বিশ্বাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।


    গত ২৬ জুলাই (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ডে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আজ জানা যায়।


    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সাথে সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতোকোত্তরের এক ছাত্রীর সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরবর্তীতে সুব্রত ঐ ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সুব্রত কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ঐ ছাত্রী বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এ অভিযোগ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই কমিটি ৯ অক্টোবর ঐ শিক্ষককে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি দেন।


    এরপর এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল উচ্চতর তদন্ত করেন। তদন্তে তারা এ অভিযোগের সত্যতা পান। এরপর তারা ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন বিরোধ নীতিমাল, ২০০৮’ অনুযায়ী সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন।


    এ বিষয়ে জানার জন্য সুব্রত কুমার বিশ্বাসের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল আওয়াল বলেন, ‘রিজেন্ট বোর্ডে এক জন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা আইন অনুযায়ী হয়েছে।’

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      গোবিপ্রবিতে মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান

      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      ২৮ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৫৪
      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      গোবিপ্রবিতে মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান

      গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) অধ্যয়নরত মেধাবী ও অসচ্ছল ১,০৯১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।


      সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মুক্তমঞ্চে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের আয়োজনে এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


      অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রত্যেক সেমিস্টারে প্রথম থেকে পঞ্চম মেধাক্রমে থাকা ৮০০ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি এবং ২৯১ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।


      বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিমউদ্দীন খান। তিনি বলেন, “মেধার স্বীকৃতি দিতে পারায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যে বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত, তার অনেকটাই অনুপস্থিত। অতীতে ব্যক্তিস্বার্থে পরিচালিত কর্মকাণ্ডেই আজকের সংকট তৈরি হয়েছে। ইউজিসি চেষ্টা করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন প্রকৃত অর্থেই ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ হয়ে ওঠে। যাতে যোগ্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পায়।”


      তিনি আরও বলেন, “বর্তমান প্রশাসনের প্রতি আমার প্রত্যাশা থাকবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাদ দিয়ে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির দিকে মনোযোগী হতে হবে। আমরা হাজারো লাশের ভার বহন করছি—এই বাস্তবতা ভুলে গেলে চলবে না।”


      অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “আমরা পাহাড়সম সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আজ ২১ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হলো। এর আগে ভাইস-চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ডে ১০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। স্বনির্ভর কর্মসূচিতে ১০০ শিক্ষার্থী যুক্ত রয়েছে, যেখানে প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।”


      তিনি ইউজিসির সদস্য ড. তানজিমউদ্দীন খানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের দুটি বিভাগ ‘হিট প্রজেক্ট’ প্রাপ্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা, অবকাঠামো উন্নয়ন, অডিটোরিয়াম নির্মাণ ও সড়ক উন্নয়নে সহায়তা করলে বিশ্ববিদ্যালয়টি বি-গ্রেড থেকে এ-গ্রেডে উন্নীত হবে।”


      অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাইয়ের শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        'পর্দা কর্ণারের নামে প্রহসন'

        মাভাবিপ্রবির পর্দা কর্ণার নিয়ে অসন্তুষ্ট নারী শিক্ষার্থীরা

        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        ২৮ জুলাই, ২০২৫ ১৬:২১
        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        মাভাবিপ্রবির পর্দা কর্ণার নিয়ে অসন্তুষ্ট নারী শিক্ষার্থীরা

        ‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় একটি পৃথক, নিরাপদ ও পর্দাবেষ্টিত কর্ণার স্থাপনের দাবি জানানোর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে পর্দা কর্ণার।


        কিন্তু এই পর্দা কর্ণারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি পর্দা কর্ণারের নামে আমাদের সাথে প্রহসন করেছে প্রশাসন। আমরা চেয়েছি নিরাপদ আশ্রয় তারা দিয়েছে বাঁশের বেড়া।


        সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার এক পাশে আনুমানিক ছয় ফিট উচ্চতার বাঁশের তৈরি একটি অস্থায়ী পর্দা কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। বাঁশ দিয়ে তৈরি কর্ণারটি তৈরী হলেও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার সঙ্গে এর বাস্তবতা মিলছে না।


        অনেক শিক্ষার্থীই এ উদ্যোগকে লোকদেখানো ও অস্থায়ী সমাধান হিসেবে দেখছেন। তাঁদের অভিযোগ, একটি ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে পর্দাশীল মেয়েদের আলাদা খাবার জায়গা তৈরীর দাবি থাকলেও, প্রশাসন সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে এভাবে দায়সারা একটি পর্দা টানিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে।


        আরও এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই অস্থায়ী কর্ণারে কোনো সুবিধা নেই, এর ফাকা দিয়ে যে কাউকেই দেখা যায়, ফলে আমাদের পর্দা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর ভেতরে নেই পর্যাপ্ত জায়গা কিংবা উপরে ফ্যানের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাও নেই। এমন উদ্যোগে আমরা সন্তুষ্ট নই।


        আইসিটি বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী খাদিজা আরেফীন মিম জানান, নারী শিক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা একটি পর্দাসম্মত 'আল আসলামিয়া পর্দা কর্ণার' স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু যেটি স্থাপন করা হয়েছে, সেটি একটি হালকা বেতের পার্টিশন, যার ফাঁক দিয়ে পাশ থেকে সহজেই ভেতরের দৃশ্য দেখা যায়। এটি আমাদের চাহিদা পূরণ তো করেনি, বরং নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অস্বস্তিকর ও অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছে। আমরা আমাদের স্মারকলিপি তে যা দাবি তার পরিপন্থি।


        তিনি আরও জানান, আমরা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই এই অস্থায়ী ছাউনিটি হয়তো বাহ্যিকভাবে একটি দাবি পূরণের চিত্র তুলে ধরছে, কিন্তু বাস্তবে এটি কার্যকর কোনো সমাধান নয়। এটি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ, নিরাপদ এবং মানানসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে একেবারেই উপযোগী নয়। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে বিষয়টির পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি, যেন একজন নারী শিক্ষার্থীর প্রাপ্য সম্মান ও স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রেখে একটি স্থায়ী ,বাস্তবসম্মত ও কার্যকর ‘পর্দা কর্ণার’ স্থাপন করা হয়।


        সাধারণ নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রশাশনের কাছে একটি নিরাপদ, স্থায়ী পর্দা কর্ণারের দাবি জানাচ্ছিলাম। দাবি মেনে ও নিয়েছিলেন। কিন্তু পর্দা কর্ণার নামে আমরা পেয়েছি একটা বাঁশের তৈরি বেড়া। বেড়ার ফাঁকে অসংখ্য ছিদ্র, দূর থেকে সহজেই ভিতরের কারো উপস্থিতি স্পষ্ট বুঝা যায়। বেসিনে যাওয়ার পথে সহজেই ভিতরের কাউকে দেখে যেতে পারবে। মাত্র সাড়ে ৫ ফিট উচ্চতার যে কেউ ভিতরের সব দেখতে পারবে। ভিতরে সহজেই যেকোনো ছেলে মেয়েরা প্রবেশ করতে পারবে। কোনো নিরাপত্তা নাই। বাঁশের এই বেড়াটা এতোটাই অস্থায়ী ১ মিনিট ও লাগবে না সরাতে। এটা একটা প্রহসন ছাড়া কিছু না, সাতমাস ধরে প্রহসন চলছে। একটা শিক্ষার্থী বান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ন্যায্য, যৌক্তিক বিষয়ে প্রশাসনের এইরূপ আচরণ মেনে নেয়া যায় না।



        এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলী বলেন, আমার হাতে যতটুকু ছিল আমি করার চেষ্টা করেছি। এটি আগের ভিসি স্যারের রুমের সামনে ব্যবহৃত হত তাই আমরা এটিকে এখন ব্যবহার করেছি। আমার অফিসের কাজ জায়গা নির্ধারণ করা। কোন কাজ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আমার অফিস বাস্তবায়ন করতে পারে না। এই পর্দা কর্ণারটিও ভিসি স্যার ও শিক্ষার্থীকল্যাণ পরিচালক স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের কোন দাবি থাকলে প্রশাসনকে জানাতে পারে।


        শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক  অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম জানান, আমরা এটার ফাঁকা জায়গাগুলো কালো কাপড় দিয়ে বন্ধ করে দিব। পর্দা কর্ণারের নাম নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানালো শাবিপ্রবি

          অনলাইন ডেস্ক
          ২২ জুলাই, ২০২৫ ১৭:১৪
          অনলাইন ডেস্ক
          নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানালো শাবিপ্রবি

          শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আজ মঙ্গলবার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

          সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে Unit A ও B এর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর।

          অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. এম. সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। তিনি নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “তোমরা আজ থেকে শাবিপ্রবির গর্বিত অংশ। শিক্ষা, গবেষণা ও মানবিক গুণাবলির বিকাশে তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

          উপাচার্য ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা, একাডেমিক কার্যক্রম, সুযোগ-সুবিধা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন।

          নতুন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও দিকনির্দেশনা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং এক নতুন অধ্যায়ের শুরুতে অনুপ্রাণিত হন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত