এনসিপির পদযাত্রা
গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৩

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পদযাত্রা উপলক্ষ্যে দায়িত্বরত পুলিশের গাড়িতে হামলার পর আগুন দিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এতে গোপীনাথ পুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ বিশ্বাস ও গাড়ি চালক কাউসার আহত হয়েছেন। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, এদিন সকালে গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহলরত গাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, র্যাব পুলিশ এপিবিএনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সটকে পড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে বুধবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সড়কে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ, ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে পণ্যবাহী যানবাহন থামিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) তাদের কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বিপুল বড়ুয়া, কনস্টেবল মো. সাহাবুদ্দিন, মো. মস্তু, সাকিবুল ও মো. জহির মিয়া।
হাইওয়ে পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসের ৩ তারিখে সিলেট থেকে ঢাকার পথে একটি কাভার্ড ভ্যান খাঁটিহাতা এলাকায় থামানো হয়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গাড়িটিকে আটকে রেখে অবৈধ পণ্য থাকার অজুহাতে চালকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ হিসেবে প্রায় ৮০ হাজার টাকা আদায় করেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর অভিযুক্ত ছয়জনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সজীব মিয়া। তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি নতুন করে দায়িত্ব নিয়েছি এবং বর্তমানে থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দিয়ে তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে। তদন্তে যাদের দায় প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে!

ভারতে কিনেছেন বাড়ি, পরিবারসহ করছেন বসবাস। তবুও চাকরিতে বহাল তবিয়তে আছেন বাংলাদেশের একটি কলেজে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত বেতন-ভাতাও তুলে নিচ্ছেন তারা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ ও তার স্ত্রী সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক চম্পা রানী মন্ডলের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ছুটির নামে দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে ক্রয়কৃত বাড়িতে বসবাস করে আসছেন তারা। ইতোমধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পেয়ে শিক্ষক দম্পতির এমপিও বাতিল করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন এই শিক্ষক দম্পতি। কলেজ গভর্নিং বডি ও প্রশাসনিক মহলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন তারা। যে কারণে অনিয়ম করলেও তেমন কেনো প্রভাব পড়েনি। তাদের সহযোগিতা করছেন অফিস সহায়ক সজল সরকার।
ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা প্রেমান্দ সরকার বলেন, অনিয়ম করে চাকরি নিয়েছেন দুর্লভানন্দ বাড়ৈ। তিনি বাড়ি করেছেন ভারতের কল্যানীতে এবং সেখানেই তার স্ত্রী সন্তানরা রয়েছেন। অথচ বাংলাদেশ থেকে তারা বেতন তুলে নিচ্ছেন। দোষ ধামাচাপা দিতে নাম মাত্র মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন শিক্ষিকা চম্পা রানী। যেখানে বেসরকারি কলেজে এক মাসের বেশি ছুটি হয় না, সেখানে তিনি ৬ মাসের ছুটি নিয়েছেন। এটা কিভাবে সম্ভব?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর তারা (শিক্ষক দম্পতি) চলে যান ভারতে। এর কিছুদিন পর স্ত্রীকে রেখে অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ দেশে ফিরে আসেন। তবে এখনো তার স্ত্রী ভারতেই অবস্থান করছেন। ভারতে যাওয়ার আগে চেকে স্বাক্ষর করে রেখে যান চম্পা রানী। এজন্য নিয়মিত তার বেতন-ভাতা উত্তোলন করে নিতে পারছেন।
সংশ্লিষ্ঠ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রশাসনিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় চলতি বছরের গত ১৮ মার্চ অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ ও তার স্ত্রী প্রভাষক চম্পা রানী মন্ডলের এমপিও বাতিল করা হয়। স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী সচিব দীপায়ন দাস শুভ। অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ ভারতে থাকাকালীন অবস্থায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওই কলেজের আরেক শিক্ষক বিমল পান্ডে।
এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দুর্লভানন্দ বাড়ৈ জানান, তার স্ত্রী (প্রভাষক চম্পা রানী) বর্তমানে মেডিকেল ছুটিতে ভারতে রয়েছেন। দুই দফায় তিনি ৬ মাস ছুটি নিয়েছেন এবং সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ী চলছে।
কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ডাসার উপজেলার দায়িত্বরত) মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, তাদের দুইজনের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। অনিয়মের তথ্য পেলে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করব।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ-উল আরেফীন বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। যদি আইন অনুযায়ী প্রমাণিত হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীতে নিখোঁজের দুইদিন পর খালে মিলল প্রতিবন্ধী শিশুর মরদেহ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর খাল থেকে এক আরিফ হোসেন (১৩) নামে মানসিক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা খাল থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরিফ উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের পরকোট গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে যেত না, বাহিরে থাকত, ঘুরাঘুরি করত। রাতে বাড়িতে না থেকে পরের দিন সকালে বাড়িতে চলে যেত। গত শনিবার রাতে আরিফ বাড়িতে না যাওয়ায় রোববার সকাল থেকে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন উপজেলার বদলকোর্ ইউনিয়নের মেঘা খালে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিহত শিশুর বাবা ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে তিনি ছেলের মরদেহ দেখে চিনতে পারেননি। পরে তার মা থানায় এসে ছেলের মরদেহ দেখে ছেলের পরিচয় নিশ্চিত করে। নিহতের পরিবারের এক সদস্য দাবি করেন, আরিফ হয়তো কারো ঘরে ঢুকতে চেষ্টা তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশুর মরদেহ খালের পানিতে উপুড় হয়ে ছিল। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশসহ চোখ,মুখ ফুলে যায়। শরীরে এ পর্যন্ত কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে ফেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
ময়মনসিংহে ২ শিশুসহ মাকে গলা কেটে হত্যা

ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই শিশুসহ মাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ভালুকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি মোড় এলাকার হাইয়ুলের বাসা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন ময়না আক্তার (২৫) ও তার দুই শিশু সন্তান রাইসা (৭) ও নিরব (২)। তারা নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার জেনের বাজার এলাকার বাসিন্দা। গতকাল রাতের যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আকতার উল আলম এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। নিহত নারীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার সময় স্বামী ঘরে ছিলেন না বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের দেবর পলাতক রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য