ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন সংক্রান্ত পেইজে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্য, জানেন না কর্তৃপক্ষ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) পরিবহন প্রশাসকের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। গ্রুপে দেয়া এক শিক্ষার্থীর স্টাটাসে ওই পেইজ থেকে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্যসহ চাঞ্চল্যকর তথ্য ওঠে এসেছে।
আজ রোববার (১৭ আগস্ট) বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী রেদওয়ানুল ইসলাম ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ নামের গ্রুপে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে বাস-ভোগান্তি কমাতে স্টাটাস দেন এবং স্টাটাসে ওই শিক্ষার্থী লিখেন, “২০২৪-২৫ ব্যাচ এসেছে, প্রত্যেকটা গাড়ি ওভারলোড। ডাবল ডেকার ওভারলোড হয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছে না (রাস্তা খারাপ)। এমতবস্থায় আমরা রোজ কি ভাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যাবো? হয় কালকের মধ্যে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হোক, না হলে একটা গাড়িও শহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যেতে দেয়া হবে না। ধন্যবাদ।”
ওই স্টাটাসের প্রত্যুত্তরে প্রশাসনের পেইজ থেকে মন্তব্য ঘরে বলছেন, কালকের মধ্যে বাস বাড়বে না। এবার আপনার যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেন। কোনো কিছুর প্রতিকার হুমকি দিয়ে হয় না। আপনি যেহেতু হুমকি দিয়েছেন আপনি আপনার কাজ করেন। সব শিক্ষার্থীকে বাসে আটকিয়ে তাদের কষ্ট বাড়ালে আমরা আপনার নামই বলবো।
এভাবে চলতে থাকেন সাইবার যুদ্ধ। এক পর্যায়ে সেশনজট, আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা সহ ইত্যাদি বিষয়ে কমেন্ট সেকশনে পাল্টাপাল্টি আলাপ করতে দেখা যায়। রাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী এসে ‘প্রশাসনের এ্যপ্রোচ এমন হওয়া উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং মন্তব্যগুলো হুমকি হিসেবে নেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্যের ঘরে কর্তৃপক্ষের পেইজ থেকে আরও বলেন, ‘পরিবহন বিভাগ বাসের সংখ্যা বাড়াতে অতিরিক্ত চারটি ডাবল ডেকার বাস আনার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ট্রেজারার অফিসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, আগামী বছরের আগে বাস ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয় এবং মন্ত্রণালয় থেকে নিজস্ব বাস কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এক সময়ে ক্যাম্পাসে আসার কারণে বাসে চাপ বেশি পড়ে, তাই বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদক্ষেপ অত্যাবশ্যক। পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় ও ধৈর্যের প্রয়োজন।’
এসব মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে জানা যায়, পেইজে এডমিন হিসেবে যুক্ত আছেন ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অভশান। জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার কাছে যেসকল তথ্য আছে তার ভিত্তিতে উত্তর দেয়ার এখতিয়ার আছে এবং প্রশাসন থেকে পূর্ব থেকেই অনুমোদিত। আমি অযৌক্তিক কোনো রিপ্লাই দেইনি।’
এদিকে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. শেখ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীর স্টাটাসটা আমি দেখেছি এবং স্ক্রিনশট নিয়ে ট্রেজারার স্যারকে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছি। উনি বিআরটিসির চারটি ডাবল ডেকার বাস কেনার অনুমোদন দিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই বাস সংকট সমস্যার সমাধান হবে।’
পেইজে দেয়া মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আছে কি-না সেটা একান্ত অফিশিয়াল বিষয়। রিপ্লাইগুলো দেখিনি। তাছাড়া যেকোনো কমেন্টের রিপ্লাই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে যুক্তি দেখানোর অনুমোদন কারো নাই।’
রাবিপ্রবির প্রথম উপাচার্যের মৃত্যুবার্ষিকীতে নেই কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেইসবুক পেইজে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিন্তু হয়নি কোন অনুষ্ঠানিক আয়োজন।
টানা দুই মেয়াদে উপাচার্য থাকাকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে গেছেন। মূলত রাবিপ্রবির শুরু হয় তার হাত ধরেই। দীর্ঘ ৮ বছর নানা চড়াই-উতরাই পার করে তার প্রচেষ্টায় আজকের রাবিপ্রবি।
এদিকে বর্তমান নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর তার নামে শিক্ষা বৃত্তি চালুর উদ্যোগ নেয়া হলেও তার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রাবিপ্রবি প্রশাশনের কোন উদ্দ্যোগ দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি বার্তা দিয়েই দায় সেরেছে বর্তমান প্রশাসন।
রাবিপ্রবির ১ম উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। পরে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪-১৮ ও ২০১৮-২১ দুই মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি খাগড়াছড়ি জেলা শহরের খবংপড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
গুচ্ছভুক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সর্বশেষ বিবৃতি

সম্প্রতি গুচ্ছভুক্ত ২-১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির পরবর্তী মাইগ্রেশন সম্পর্কিত আবেদন পাওয়া গিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভাইস-চ্যান্সেলরগণদের নিয়ে গঠিত ভর্তি কমিটির ২০তম সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা মোতাবেক ভর্তির পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে একটি বিবৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা (২০২৪-২০২৫) এর ভর্তির আবেদন ও ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় এ মর্মে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আসন শূণ্য থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ চার বার অপেক্ষমান তালিকা হতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য আহ্বান করা হবে।’ সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ব্যতিত চারটি মাইগ্রেশন অর্থাৎ ভর্তিসহ মোট পাঁচটি পর্যায় সম্পন্ন হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ক্লাস শুরু হয়েছে। অদ্যবধি গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচশত আসন শূণ্য রয়েছে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে ভর্তির পাঁচটি পর্যায় সম্পন্ন এবং ক্লাস শুরু হওয়ায় ভর্তিকৃত আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রদান করা সমীচীন হবে না। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অপেক্ষমান তালিকা হতে মেধাক্রম অনুযায়ী শূণ্য আসনগুলো পুরণ করা হবে। সেক্ষেত্রে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ত:বিষয় মাইগ্রেশন চালু থাকবে। শূণ্য আসনগুলোতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীবৃন্দ ঘোষিত সিডিউল অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কাম্য।
৫ দফা দাবি চবি শিক্ষার্থীদের
শতভাগ আবাসনের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা

শতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরণ কিংবা বিকল্প হিসেবে আবাসন ভাতা প্রদানের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ৫ দফা দাবি আদায় না হলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে আড়াইটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
এসময় প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দীন খান এবং রেজিস্টার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘আবাসন ভাতা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘চবির একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘আবাসন আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘হয় আবাসন দেন, নাহয় আবাসন ভাতা দেন’, ‘হলের নামে বৈষম্য মানি না, মানব না’ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা সিট সংকট ও আবাসন সমস্যায় ভুগছেন। ২৪ গণঅভ্যুত্থানের পর প্রশাসন তাদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাদের দাবি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে হলে আবাসনের সুযোগ বা সমপরিমাণ ভাতা প্রদান করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের তালা খোলা হবে না বলেও জানান তারা।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, “এই প্রশাসন চাইলে সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। কিন্তু তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে যায়, বাস্তবায়ন করে না। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। এই আবাসন সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে ফিরব না।”
ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী আসমানি বিনতে তাজবী বলেন, “সুপারিশসহ কয়েকবার হলে আবেদন করেছি, অনেকেই করেছে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। আসন বরাদ্দে ব্যাপক দুর্নীতি আছে। আমার পরিচিত অনেকে একা পুরো রুমে থাকে, আবার রাজনৈতিক প্রভাবেও সিট পাচ্ছে অনেকে। স্বচ্ছতার কথা থাকলেও এক বছর পরও তা বাস্তবায়ন হয়নি।”
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের– ৫ দফা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা নিম্নোক্ত ৬ দফা দাবি উত্থাপন করছি:
১. শতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরণ। শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। আজকেই সিন্ডিকেট সভা করে আধুনিক এবং বহুতল হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে।
২. আবাসন ভাতা নিশ্চিতকরণ। শতভাগ আবাসন না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত আবাসন ভাতা প্রদান করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. অবৈধভাবে হলে অবস্থানকারী ছাত্র ছাত্রীর তালিকা শনাক্তকরণ। সকল হলে অবৈধভাবে অবস্থানকারী ছাত্র-ছাত্রীর তালিকা শনাক্ত করে অনতিবিলম্বে তাদের হলের সিট বাতিল করে তাদের হল প্রস্থান করতে বাধ্য করতে হবে।
৪. হলের আবেদনে ১০০ টাকা নেওয়ার প্রহসন বন্ধ করা।
হলের আবেদনে এযাবৎকালে যতবার ১০০ টাকা করে নিয়ে হলের রেজাল্ট নিয়ে প্রহসন হয়েছে সেসকল বার যেসব শিক্ষার্থীকে সিট দেওয়া হয়নি, তাদের ১০০ টাকা অনতিবিলম্বে ফেরত দিতে হবে৷
৫. মেয়েদের হলে ডাবলিং প্রথা নিয়ে হওয়া সকল প্রহসনের নিরসন করতে হবে। মেয়েদের হলে ডাবলিং প্রথা বন্ধ করে ডেকার বেড প্রথা চালু করতে হবে৷
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা বলছে আমরা দাবি পূরণ করিনি এমনটি নয়। তবে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে কোনো আল্টিমেটাম না দিয়েই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।”
শিক্ষার্থীদের নামাজ পড়তে বাঁধা দেওয়া সেই শিক্ষককে বরখাস্ত করলো যবিপ্রবি প্রশাসন

জুলাই গনঅভ্যুত্থানেের সময় শিক্ষার্থীদেরকে জুমার নামাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আলোচিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নীলদলের তৎকালীন সদস্যসচিব ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সকল সদস্যের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের ১০৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদেরকে জুমার নামাজে বাধা প্রদান, স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও শিক্ষকসুলভ বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজেন্ট বোর্ড।
উল্লেখ্য, জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সময় শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশেরর সময় যবিপ্রবির প্রধান ফটকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বাধা দেন ড. ফিরোজ কবির। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে তিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। পরে মসজিদে প্রবেশে বাধা পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উত্তপ্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
মন্তব্য