ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন

অনলাইন ডেস্ক
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ২২:০
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে ছাত্ররাজনীতির গঠনমূলক ভূমিকা নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দা মাসুদা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়। 


বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন-৩ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে সই করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-৩) সৈয়দা মাসুদা আক্তার।


কমিটির সদস্যরা হলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া।


গত ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত এসএমটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমন্বিত রূপরেখা সুপারিশ করবে। প্রয়োজনে তারা তিনজনকে কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটির কাজ হবে ছাত্রসংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্ররাজনীতির একটি সমন্বিত রূপরেখা প্রণয়ন ও সুপারিশ করা।





প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ৩৫ বছর ধরে রাকসু'র ফান্ডে জমা টাকা কোথায়?

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২৩
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৩৫ বছর ধরে রাকসু'র ফান্ডে জমা টাকা কোথায়?

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন না হলেও, নিয়মিত পরিসরে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে হল সংসদ বাবদ ৩০ টাকা এবং রাকসু বাবদ ১৫ টাকা করে ফি নেওয়া হয়েছিল। আসন্ন রাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের অনেকের অনেকের কাছে প্রশ্ন রাকসু ফান্ডে হওয়া টাকা কোথায়?


    ফান্ডে জমা থাকা অর্থের বিষয়ে রাকসু ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান জানান, "ছাত্র সংসদ ফান্ডের ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বর্তমানে এফডিআর করা আছে। এছাড়া, ২০১২-১৩ সেশনে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪৯ লক্ষ টাকা রাকসু ফান্ড থেকে লোন নিয়েছিল। অন্যদিকে ২০২১ সালে সেসময়কার প্রশাসন একটি ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন বাবদ ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিল।"


    নির্বাচন আয়োজনের ব্যয় কি রাকসু ফান্ড থেকে নির্বাহ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাকসু কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, "রাকসুর সভাপতি মাননীয় উপাচার্য এখনো এ বিষয়ে আমাদেরকে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। নির্বাচনের জন্য কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলাদা কোনো বরাদ্দ দেবে, নাকি রাকসুর নিজস্ব ফান্ড থেকেই খরচ করা হবে সেটি আরো কিছুদিন পরে জানাতে পারবো। তবে কিছু আনুষাঙ্গিক খরচ রাকসু ফান্ড থেকে করা হচ্ছে।"


    হল সংসদ ফান্ড নিয়ে অস্পষ্টতা 


    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে হল সংসদ ফি বাবদ ৩০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করতে হয়। রাকসু ফান্ডের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলেও হল সংসদ ফি-এর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। 


    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শারমিন হামিদ এ বিষয়ে বলেন, "হল সংসদ ফান্ড আমাদের আছে; কিন্তু ফান্ডের অবস্থা ভালো না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি ৭-৮ মাস হলো, আমি জেনেছি এই ফান্ড থেকে প্রতি মাসের পত্রিকার বিলসহ শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু খরচ করা হয়ে থাকে। হল সংসদ ফান্ডের বিষয়ে আমি নিজেও ক্লিয়ার না, কারণ এত বছতে তো অনেক টাকা থাকার কথা ছিল। আগে কি হয়েছে তা আমি জানি না; কিন্তু আমি যেদিন থেকে দায়িত্ব নিয়েছি সেদিন থেকে হল সংসদ ফান্ডের হিসাব যদি চাওয়া হয়, আমি দিতে পারবো।"


    মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছামিউল সরকারকে হল সংসদের ফি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, "আমি যতদূর জেনেছি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে হল সংসদ ফি নেওয়া হয়, সেখান থেকে প্রতি মাসে আবাসিক হলের যে পত্রিকা বিল আসে, সেটি প্রদান করা হয়ে থাকে।"


    রাকসু ও হল সংসদ ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব জানান, "রাকসু ফান্ডের অর্থের বিষয়ে আমি অনেকদিন আগেই বলে দিয়েছিলাম যেন এই ইনফরমেশনটুকু গণমাধ্যমকর্মীদের দিয়ে দেওয়া হয়। আর, হল সংসদ ফান্ডের বিষয়টি প্রাধ্যক্ষগণ জেনে থাকবেন; আমিতো মনে করি শিক্ষার্থীদের সেটিও জানার অধিকার আছে। হল সংসদ ফান্ডের বিষয়ে আমিও প্রাধ্যক্ষদের সাথে কথা বলবো।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক মানের নতুন ওয়েবসাইটের উদ্বোধন

      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ২১:১৮
      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক মানের নতুন ওয়েবসাইটের উদ্বোধন

      জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইটের শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।


      বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে উপাচার্যের অফিস কক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানে ল্যাপটপ কম্পিউটারের বাটনে ক্লিক করে নতুন ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে তিনি উদ্বোধন করেন। 


      এসময় উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যেকোন প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মাধ্যম। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এর গুরুত্ব আরও বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত, একাডেমিক, গবেষণা, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি দিক দিয়ে কতটা সমৃদ্ধ তার প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিয়ের ক্ষেত্রেও ওয়েবসাইটের ভূমিকা রয়েছে। তাই আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি নতুনভাবে তৈরি করিয়েছি।’


      উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এইচ এম কামাল, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আলী আজগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ একরামুল হক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কম্পিউটার প্রোগ্রামার মোহসিনা সুলতানা ও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলাম রাকিব উপস্থিত ছিলেন।


      উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট আগে থেকে থাকলেও তা ছিল অত্যন্ত পুরনো ও আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন নয়। ফলে নতুন ওয়েবসাইটটি আধুনিক সুযোগ-সুবধা সম্বলিত, তথ্য সমৃদ্ধ ও দৃষ্টি নন্দনভাবে তৈরি করা হয়েছে। তবে ওয়েব ঠিকানা অপরিবর্তীত www.jkkniu.edu.bd রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও দপ্তরের তথ্যগুলো এই ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করার জন্য প্রত্যেক বিভাগ ও দপ্তরে একজন করে এডমিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা আলাদাভাবে তাদের নিজ নিজ তথ্য হালনাগাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল থেকে আইডি ও পাসওয়ার্ড নিতে পারবেন। ওয়েবসাইটের সার্বিক তত্বাবধানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত, সভাপতি সাগর এবং সাধারণ সম্পাদক দিপু

        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ২১:১৪
        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত, সভাপতি সাগর এবং সাধারণ সম্পাদক দিপু

        মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মাভাবিপ্রবি শাখার সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


        ১৪ই আগস্ট (বৃহস্প্রতিবার)বিশ্ববিদ্যালয়ের দরবার হলে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসাবে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ হীরা, প্রধান বক্তা হিসাবে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো: রাসেল এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ উপস্থিত ছিলেন।


        কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এত ছাত্রদলের ফর্ম পূরণ করা ৭৩ জন শিক্ষার্থী ভোটার তালিকাভুক্ত হন। ৯০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।


        সভাপতি পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ফাহিম মুবিন আকিব, সিএসই বিভাগের মো. রবিউল হাসান তানভী, অর্থনীতি বিভাগের মো. সাগর নাইম, ইংরেজি বিভাগের মো. রুপক মিয়া। সাধারণ সম্পাদক পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল হাদী, পরিসংখ্যান বিভাগের সাজিদ ইসলাম দিপু, আইসিটি বিভাগের মো. উদয় তালুকদার। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রায়হান আহমেদ, অর্থনীতি বিভাগের মো. আরিফুল ইসলাম, ইএসআরএম বিভাগের মো. রিমন মিঞা, ফার্মেসী বিভাগের সুমন মিয়া।


        নির্বাচনে সভাপতি হিসাবে অর্থনীতি বিভাগের সাগর নাইম, সাধারণ সম্পাদক পরিসংখ্যান বিভাগের সাজিদ ইসলাম দিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইএসআরএম বিভাগের মো.রিমন মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।


        নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ শপথ গ্রহণ করেন এবং সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


        মিয়া মো. রাসেল বলেন, ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।


        কাউন্সিলে আগত অতিথিরা ছাত্রদলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান।


        অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ঝুঁকিপূর্ণ মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

          ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
          ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৪৬
          ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
          ঝুঁকিপূর্ণ মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

          ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে কুষ্টিয়াগামী মহাসড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) কুষ্টিয়া শহরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। 


          জানা যায়, কুষ্টিয়া শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মহাসড়ক শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। ২০ কর্মদিবসের মধ্যে টেন্ডার সম্পন্ন করে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা; ব্যতয় ঘটলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।


          এই স্মারকলিপিতে বলা হয়, কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মহাসড়কের ভয়াবহ দুরবস্থার শিকার হচ্ছেন। উক্ত মহাসড়কটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান যাতায়াত পথ হওয়ায় এর উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, পরীক্ষা এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড নির্ভরশীল। বর্তমানে এই সড়কটির অবস্থা এতটাই করুণ যে তা দিয়ে যানবাহন চলাচল একপ্রকার অনিরাপদ এবং অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, যা শিক্ষার্থীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এটি শুধু শারীরিক ঝুঁকি নয়, মানসিক ও একাডেমিক দিক থেকেও আমাদের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।


          জরুরি সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, 'আমরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে বলেছি তাদের সাধ্যের মধ্যে দ্রুত যেন সংস্কার করে। এটা নিয়ে একটি প্রকল্প হবে, প্রকল্পের কাজ যেন দ্রুত শুরু করার জন্য বলেছি।'


          টেন্ডারের বিষয়ে তিনি জানান, ‘টেন্ডার দিয়ে কাজ করতে গেলে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পত্রিকায় দেয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে পাশ হওয়া ও বিভিন্ন প্রসেসিং রয়েছে। তবে দ্রুত কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’


          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত