ইবিতে ক্লাসে প্রবেশ নিয়ে বাকবিতন্ডা ও হট্টগোল

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লোক প্রশাসন বিভাগে ক্লাসে প্রবেশ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা এবং হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিভাগের ২০৫ নং কক্ষে (ক্লাসরুম) শাখা ছাত্রশিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিভাগের শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বসে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ক্লাসের সময় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনকে (ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র আন্দোলন ইত্যাদি) এক্সেস দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাসরুমে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন ছাত্রশিবিরে অন্তত ১০-১২ জনের প্রতিনিধি দল। ২-৩ মিনিট পর ক্লাস নিতে প্রবেশ করেন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। ক্লাস পিরিয়ডে প্রতিনিধি দলকে বের হতে বললে অনুমতি নিয়েছে বলে বাকবিতন্ডায় হয়। পরে ক্লাসের বাহিরেও হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
ক্লাসে অবস্থানরত প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, শিবিরের কিছু ভাই আসছিলেন কথাবার্তা বলতে। শিবিরকে শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝে এবং তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় খুঁজে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আলাপ করছিলেন। স্যার ক্লাসে প্রবেশ করে প্রথমে ওনারা (প্রতিনিধি) কারা জিজ্ঞেস করে এবং ‘গেট আউট’ বলে বের হতে বললেন। তখন ‘অনুমতি নিয়েছি, একটু শেষ করে বের হচ্ছি স্যার’ বলে স্যারকে জানান এবং ‘সভাপতির বিষয় না,, এটা আমার ক্লাসের সিডিউল’ বলে বাকবিতন্ডায় হয়। পরে স্যার ক্লাস ক্যানসেল করে চলে যান।
এদিকে উপস্থিত শিবির নেতারা জানান, নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তখন প্রফেসর ড. মতিনুর স্যার ক্লাসের উদ্দেশ্য তিনি ক্লাস রুমে প্রবেশ করে। তখন তিনি উচ্চকণ্ঠে জিজ্ঞেস করেন— ‘তোমরা কারা’? পরে শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচিত হতে এসেছি’। তখন স্যার বললেন, ‘ক্লাসের সময় এখানে কী! গেট আউট, গেট আউট।’ তখন ইউসুব ভাই (শিবির সেক্রেটারি) বলেছেন ‘জ্বি স্যার চলে যাচ্ছি।’ পরে স্যার বলেন, ‘এখানে কার থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছো।’ সেক্রেটারি— বিভাগের সভাপতি স্যারের অনুমতি নিয়ে এসেছি। আমার ক্লাসে সভাপতি অনুমতি দেওয়ার কে? স্যার আবারও বললেন, গেট আউট! এসময় ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ বের হয়ে আসে। তখন স্যার আবার দুই একজনকে ডেকে ভিতরে নিয়ে জিজ্ঞেস করেন সভাপতির থেকে অনুমতি নিয়েছো? তখন তারা বলেন, জ্বি স্যার নিয়েছি। তখন সভাপতিকে স্যার ফোন দেন। সভাপতি স্যার তখন অফিস থেকে বের হয়ে ক্লাস রুমের দিকে যান এবং মতিনুর স্যার অফিসের দিকে যেতে লাগেন। তখন স্যারদের মাঝখানে দেখা হয়। তখন শিবির নেতৃবৃন্দ স্যারকে বলেন, আমরা তো আপনার ছাত্র, শিক্ষক হিসেবে একটু সৌজন্যতাবোধ দেখালে ভালো হতো। আমরা তো সভাপতি স্যার থেকে অনুমতি নিয়েছি। তখন স্যার বলেন, ‘সভাপতি কে? আমি ভিসিকেও গুনি না।’ পরে সভাপতি স্যার মতিনুর স্যার ও ছাত্র শিবির নেতৃবৃন্দ সভাপতির রুমে নিয়ে যান। এসময় আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়ে যায়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, ‘আমরা বিভাগের সভাপতির অনুমতি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হইছিলো।
মাঝখানে কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিলো। পরবর্তীতে বিষয়টার সমাধান করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে অধ্যাপক মতিনুর রহমান বলেন, ‘আমি জানতাম না তারা অনুমতি নিয়েছে। বিভাগের সভাপতি আমাকে একটু জানিয়ে দিলে দশপাঁচ মিনিট পরে যেতে পারতাম। ক্ষমা চেয়ে সমাধান হয়েছে। তবে বিষয়টা অপ্রত্যাশিত ছিলো।’
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘কোন শিক্ষকের ক্লাস ছিল কি-না জানতাম না। ক্লাসের সিডিউল বিষয়ে জানলে অনুমতি দিতাম না। এই বিষয়টা একটু মিসটেক হইছে। পরে ওদের সবাইকে নিয়ে বসছিলাম। সেখানে স্যাররাও ছিলো। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিমাংসা করে দিয়েছি।’
বেরোবিতে ১২০ শিক্ষার্থী পেলেন 'নাহার-অরফান আপলিফ্টমেন্ট স্কলারশিপ'

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সুবিধাবঞ্চিত ১২০ জন এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য 'নাহার-অরফান আপলিফ্টমেন্ট স্কলারশিপ' প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং ৩-এর এমআইএস গ্যালারি রুমে ইউনিভার্সাল হিউম্যানিটিজ হাব (ইউএইচএইচ) স্কলারশিপের আয়োজনে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
সুমাইয়া খান অনামিকার সঞ্চালনায়, ইউএইচএইচ সভাপতি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী।
তিনি এই মহতী উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আজকের যে নন পলিটিক্যাল এই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। মুজাহিদ স্যারসহ তাঁর বন্ধুদের এই মহৎ উদ্বেগ আমি বাংলাদেশে আর কোথায় দেখিনি। এই ধরনের ইউনিক সাপোর্ট শিক্ষা সবার জন্য সমান সুযোগ নিয়ে আসে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী তাদের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই শিক্ষার্থীরা শুধু বাংলাদেশে নয় গোটা বিশ্বে প্রস্তুত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সাল হিউম্যানিটিজ হাব (ইউএইচএইচ)-এর প্রেসিডেন্ট মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, যিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক। তিনি তার বক্তব্যে স্কলারশিপের উদ্দেশ্য ও কার্যকারিতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে আমরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে চাই, যাতে তারা কোনো আর্থিক সংকটের কারণে তাদের পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয়। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে মানুষ সুযোগ পায় না আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজাকে ১১০ জন শিক্ষার্থিদের মাঝে ১০ টাকা এককালীন বৃত্তি দিচ্ছি। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এইটার গুরুত্ব অনেক। যাদের বাবা- মা নেই তারা বুঝে পৃথিবীটা কত কঠিন। বাবা-মা না থাকার অভাব কোন ভাবেই পূরণ হওয়ার নয়।
রংপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, আপনারা ক্যারিয়ারে ফোকাসড হোন। অনার্স চতুর্থ বর্ষে আসার আগেই আপনারা কী হতে চান সেটি ফিক্সট করে এগিয়ে যান। আপনারা সফল হবেন আশা রাখি।
বেরোবি প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা সবাই অতিম নবীর এতিম উম্মত। ৬ ফেব্রুয়ারি আমার বাবা মারা গেছেন সেই দিক থেকে আমিও এতিম। আমাদের সমস্যা হল অমরা ভবিষ্যতে কে কী করবো সেটা ঠিক করে রাখি না। আমাদের উচিত লক্ষ্য ঠিক করে সেটির জন্য কাজ করা।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি আজকে যে এইখানে এই জন্য সবথেকে বেশি অবদান অমার মায়ের। আমার মা আমাকে সর্ব প্রথম ৫০ টাকা দিয়ে স্কুল ভর্তি করে। আমার পড়া শুনার পেছনে এই ধরনের বৃত্তি গুলা না থাকলে আমার জন্য পড়া লেখা করা খুবই কষ্ট হয়ে যেত। আমি যদি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করি তাহলে কোনদিন অন্যায় করব না একজন ভালো মানুষ হতে চাই।
আরেক শিক্ষার্থী হুচনেরা খাতুন বলেন, আমি বাবা ডাক কখনো ডাকিনী বাবাকে কখনো দেখিনি। আমি যদি আজাকের এই বৃত্তি না পেতাম তাহলে আমার ডিপার্টমেন্ট এর একটি প্রোগ্রামের কাজ করতে পারতাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নাহারকে, আমাকে এই সহযোগিতা করার জন্য।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ, প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও উপদেষ্টা পরিচালক প্রফেসর ড.ইলিয়াস প্রামাণিক, সহকারী প্রক্টর ড.আবদুল্লাহ আল মাহাবুব, রংপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের, প্রভাষক নিয়াজ মাখদুম, সাইফুল ইসলাম সজীব, আফজাল হোসেন শাকিল এবং এএম মুবাশ্বির শাহ্সহ শতাধিক বৃত্তি পাপ্ত শিক্ষার্থী।
ধার-দেনা করেই জীবনযাপন করছে বুটেক্সের আউটসোর্সিং এর কর্মচারীরা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) আউটসোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বেতন দেওয়া নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠছে। বেতন পরিশোধে ধীরগতির কারণে আউটসোর্সিং এর কর্মচারীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
বর্তমানে আল মোমেন আউটসোর্সিং লি. এবং সামাইরা জবস ব্রিজ লি. এই দুইটি এজেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আউটসোর্সিং এর কাজ করে। আল মোমেনের হয়ে কাজ করেন ৩৫ জন এবং সামাইরার হয়ে কাজ করেন ১৪ জন কর্মচারী। সামাইরার কর্মচারীরা যথাসময়ে বেতন পেলেও আল মোমেনের কর্মচারীদের সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে। তবে এই মাসে এখনও পর্যন্ত দুই এজেন্সির কেউই কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করেনি।
আল মোমেনের কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, মাস শেষে নির্ধারিত সময়ে বেতন না পাওয়া এখন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাস পেরিয়ে অপর মাসের অর্ধেক চলে গেলেও আগের মাসের বেতন মেলে না। বর্তমান মূল্যস্ফীতির এই সময়ে বিলম্ব বেতন কেবল প্রশাসনিক সমস্যা নয়, এটি এক ধরনের মানবিক সংকট। মাসের শুরুতে বেতন না পেলে ক্ষুদ্র কর্মচারীদের পরিবার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে, ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে ধার-দেনাতে জড়িয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ মো. মামুন কবীর বলেন, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তারক্ষীদের দৈনিক উপস্থিতি সাইন সংগ্রহ করা ডকুমেন্টস আমাদের কাছে আসে। আমরা যাচাই-বাছাই শেষে ভিসি স্যারের অনুমোদন নিয়ে অ্যাকাউন্টসে পাঠাই। এরপর অডিট সঠিকতা যাচাই করে এবং ডিডি ফাইন্যান্স অর্থ ছাড়েন। আমাদের দপ্তর তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে ফাইন্যান্সে পাঠিয়ে দেয়। এরপর দেরি হয় কি না, তা জানা নেই। তবে ভবিষ্যতে নতুন কোম্পানির সাথে চুক্তিতে স্পষ্ট নীতিমালা করা হবে, যাতে তারা নিজেরাই কর্মচারীদের যথাসময়ে বেতন প্রদান করে।
সিকিউরিটি ইন্সপেক্টর জুবায়ের হোসেন বলেন, আমি সিকিউরিটি সেকশনে নতুন যোগদান করেছি। এই মাসে আমরা ৩-৪ তারিখের মধ্যে কাগজপত্র অন্যান্য বিভাগে পাঠিয়েছি। এখন কোথায়, কী কারণে বিলম্ব হয় তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না। যেহেতু এটি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, এজেন্সি মালিকদের গাফিলতি থাকতে পারে এবং উপস্থিতি যাচাইসহ নানা কারণে সময় লাগতে পারে। বিষয়গুলো জেনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে প্রতি মাসের ১-৭ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান সম্পন্ন হয়।
পূর্ববর্তী সিকিউরিটি ইন্সপেক্টর মো. বাবুল আক্তার বলেন, আউটসোর্সিং কর্মীরা ক্যাম্পাস, হল ও অন্যান্য শাখায় কাজ করেন। শাখাভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা উপস্থিতি যাচাই শেষে মাসের ৩-৪ তারিখে ডকুমেন্টস পাঠান। আমরা সর্বোচ্চ ৩ দিনের মধ্যে বিল প্রক্রিয়া করি। তবে অনেক সময় ডকুমেন্টস অফিস বন্ধের আগে বা বৃহস্পতিবার এলে প্রক্রিয়া দীর্ঘ হয়। বিল সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর, রেজিস্টার অফিস, অডিট বিভাগ, অ্যাকাউন্টস সেকশনসহ একাধিক বিভাগে যেতে হয়, ফলে বেতন মাসের ১৫-২০ তারিখে পৌঁছায়।
ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টস সেকশনের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আউটসোর্সিং বিলের ডকুমেন্টস বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরসহ সিকিউরিটি সেকশনে আসে। যাচাই শেষে রেজিস্টার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরসহ অন্যান্য বিভাগে পাঠানো হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষে ৮-৯ তারিখে ডকুমেন্টস আমাদের কাছে আসে। এরপর যাচাই, অডিট ও উপাচার্যের অনুমোদন নিয়ে ৩-৪ দিনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ফলে বেতন মাসের ১৫-১৬ তারিখে চূড়ান্ত হয়। আমরা কোম্পানিকে বিল প্রদান করি, কর্মীদের ১ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়া তাদের দায়িত্ব। মাস শেষে উপস্থিতিসহ সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ের কারণে সময় লাগা স্বাভাবিক। এখানে আউটসোর্সিং কোম্পানির দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এই জটিলতা দূর হচ্ছে না।
আল মোমেনের কর্মচারী নিরাপত্তারক্ষী মো. রুবেল রানা বলেন, আজ ১২ তারিখ, কিন্তু এখনও বেতন পাইনি। গত মাসে ১৬ তারিখে বেতন পেয়েছিলাম, যা আগে কখনো এত দ্রুত পাইনি। সাধারণত ২০-২২ তারিখে বেতন পাওয়া যায়। ঈদের আগে (২৮ তারিখে) ক্যাম্পাস বন্ধ হলেও বেতন পাইনি, অন্য কোম্পানিগুলো কর্মীদের টাকা দিয়েছে কিন্তু আল মোমেন দেয়নি। মোমেনকে যদি বলি তাহলে বলে, ভার্সিটি থেকে যদি টাকা না দেয় তাহলে আমি টাকা পাবো কই? তারা সবসময় ভার্সিটি থেকে টাকা পাওয়ার পরই বেতন দেয়, ফলে দেরি হয়। এতে বাসা ভাড়া ও খাওয়ার খরচ মেটাতে প্রায় প্রতি মাসেই মানুষের কাছে ধার করতে হয়, কারণ ঢাকায় ১০ তারিখের মধ্যে ভাড়া দেওয়া বাধ্যতামূলক। এখন ধার-দেনা করে জীবনযাপন করা নিয়মে পরিণত হয়েছে।
তাছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী বলেন, গত দুই ঈদে কোনোটাতেই বেতন পাই নি। তাই অর্থের অভাবে ধার করে ঈদ করতে হয়েছে। আর আমাদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তার অপারেশন করার জন্য বেতনের টাকা পেতেই আপনাদের পা ধরে থাকা লাগে। আমাদের জীবনের কি কোন মূল্যই নেই? যারা এই অনিয়য়মের সাথে জড়িত তাদের জন্য যে মানুষের প্রাণ যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তারা কি এটা জানে না? আমরা গরিব বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও কি আমাদের কষ্ট বুঝেন না? তাহলে কেন এত অনিয়ম আর অবহেলা?
এ বিষয়ে জানতে আল মোমেন এজেন্সিকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
বুটেক্সের কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকা সচল রাখে নীরবে। তাদের ন্যায্য পাওনা বেতন যদি সময়মতো না আসে, তাহলে শুধু তারা নয়, পুরো প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সমস্যার সমাধান করা।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আর ফিরে আসবে না, কিন্তু ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে : মাহমুদুর রহমান

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১৩ আগস্ট (বুধবার) বেলা ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস) ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তরুণ সমাজ নিজেরা কোন অস্ত্র ছাড়া, কোন বিদেশি সাহায্য ছাড়া হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদকে পরাজিত করতে পেরেছে, সেই প্রজন্ম ক্যান ডু এনিথিং
জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে তরুণরা দেশকে নতুনভাবে পথ দেখিয়েছে।তাদের আবেগ ও মনের কথা আমাদের বুঝতে হবে। ১৬-১৭ বছর ধরে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন অকুতোভয় তরুণ প্রজন্ম তৈরি হলো, তা এক চমকপ্রদ ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, একটি রাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদ নিজে নিজে তৈরি হয় না। বিগত শাসনামলে ব্যবসায়ী, আমলা, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদ তৈরিতে সহযোগিতা করেছে। তারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করেছে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থান ছাড়া ফ্যাসিবাদ সরানো যায় না, যা জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে তরুণ-যুবকরা প্রমাণ করে দেখিয়েছে।
সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে অপেক্ষাকৃত তরুণ সাংবাদিকরা লড়াই করেছেন, অথচ অনেক সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন কিংবা সেল্ফ সেন্সরশিপের আশ্রয় নিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের অবশ্যই সৎ ও সাহসী হতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে। এস্টাব্লিশমেন্টের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে লিখতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে ভালো সাংবাদিক হওয়া যাবে না। উভয়পক্ষের মন্তব্য নিয়েই সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বাকস্বাধীনতা ফিরে পেলেও পুরোপুরি মুক্ত হয়েছি কি না, তা প্রমাণিত হবে নির্বাচনের পর। নির্বাচিত সরকার যদি বিগত সরকারের পরিণতি দেখে শিক্ষা না নেয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবারও ফিরে আসবে।
জ্ঞানচর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জ্ঞানচর্চার কোনো বিকল্প নেই। কিছু বলতে গেলে আগে নিজেদের শিখতে হবে। তরুণরা যে স্পৃহা দেখিয়েছে, সেই স্পৃহা নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলন এমন এক ইতিহাস, যেখানে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশপ্রেমী ছাত্র-জনতা দেশের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সমাজের চারটি স্তম্ভের একটি। ফ্যাসিবাদ যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তখন প্রথম আঘাত আসে গণমাধ্যমের ওপর, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়। জুলাই আন্দোলনেও আমরা তার স্পষ্ট প্রমাণ দেখেছি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, আইন স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। আরও বক্তব্য রাখেন জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার খুলনা ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন এবং জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আয়মান আহাদ।
খুবিসাস সভাপতি আলকামা রমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জারিন প্রভা ও ইউআরপি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান আকাশ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক, জুলাই আন্দোলনের কর্মী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘ফুড ফোর্টিফিকেশন ছাড়া দেশে অপুষ্টি দূর সম্ভব নয়’ বাকৃবি কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের অভিমত

‘বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে পুষ্টিহীনতার চিত্র এখনও উদ্বেগজনক। দেশে প্রায় ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতি, ৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু অপুষ্টিজনিত ক্ষয়রোগে (ওয়েস্টিং) ভুগছে এবং ২১ দশমিক ৮ শতাংশ শিশু ওজনস্বল্পতায় ভুগছে। এছাড়া, খর্বাকৃতি ও ওজনস্বল্পতার হার শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন।
এছাড়াও, দেশে বর্তমানে প্রজননক্ষম বয়সী (১৫–৪৯ বছর) বিবাহিত নারীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ নারী পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন—যাদের মধ্যে ৫০ লাখ নারী অপুষ্টির কারণে কম ওজনের এবং ১ কোটি ২০ লাখ নারী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় আক্রান্ত। অপুষ্টিজনিত সমস্যার টেকসই সমাধানের অন্যতম কার্যকর উপায় হলো ফুড ফোর্টিফিকেশন (খাদ্য সমৃদ্ধকরণ)।’
বুধবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদীয় ডিন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বৃহৎ পরিসরে ফুড ফর্টিফিকেশন (খাদ্য সমৃদ্ধকরণ)’ শীর্ষক লার্নিং-শেয়ারিং কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি আরও বলেন, ‘ফুড ফোর্টিফিকেশন বা খাদ্য সমৃদ্ধকরণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে এক বা একাধিক অনুপুষ্টি উপাদান (ভিটামিন বা খনিজ) নির্দিষ্ট পরিমাণে মিশিয়ে খাদ্যটির পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে রাইস ফোর্টিফিকেশনে ছয়টি পুষ্টি উপাদান সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পুষ্টি উপাদানগুলো হলো- ভিটামিন এ, বি-১ ও বি-১২, ফোলিক এসিড, আয়রন এবং জিংক। এছাড়াও ভোজ্য তেলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধকরণ করার মাধ্যমে নারী ও শিশুর ভিটামিন-এ ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।’
ড. শোয়েব আরও জানান, ‘এসব পুষ্টি উপাদান সরবরাহের মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সের মানুষের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ সম্ভব হবে। তবে ফোর্টিফিকেশন শুরু করলেই যথেষ্ট নয়—এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত খাদ্যের গুণগত মান, সঠিক ডোজ, নিরাপদ সংরক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনবল তৈরির বিকল্প নেই।’
বাকৃবির প্রফেসর মুহাম্মদ হোসেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার (পিএমএইচসিএল) এবং আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (জিএআইএন)-এর যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবির প্রফেসর মুহাম্মদ হোসেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সার্ক কৃষি সেন্টারের পরিচালক ড. মো. হারুনুর রশিদ এবং জিএআইএন-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার। এছাড়াও কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের প্রায় ১১০ জন শিক্ষক ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন।
বাকৃবি উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি বড় জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ। গবেষণালব্ধ প্রযুক্তি, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ও নীতি সহায়তার সমন্বয়ে ফুড ফর্টিফিকেশন কর্মসূচিকে সফল করতে হবে। বাকৃবি এই বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
কর্মশালায় ‘অন্যান্য দেশে ফুড ফর্টিফিকেশন বিষয়ক ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিএআইএন-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বৃহৎ পরিসরে খাদ্য ফোর্টিফিকেশন সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব অপরিহার্য। নীতি, প্রযুক্তি এবং জনসচেতনতা—এই তিনটি উপাদান সমন্বিতভাবে কাজ করলে দেশে অপুষ্টি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন বাকৃবির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ। তিনি দেশের জাতীয় ফুড ফর্টিফিকেশন কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিশেষ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই, কৌশলপত্র প্রণয়ন, খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ, বাজার তদারকি এবং দেশের চাহিদা অনুযায়ী যুগোপযোগী ফুড ফর্টিফিকেশন কর্মসূচি গ্রহণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, অপুষ্টিজনিত রোগবালাই হ্রাস এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এই কর্মসূচির ভূমিকা এই কর্মশালায় তুলে ধরা হয়।
মন্তব্য