ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

‎চীনা সরকারের ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে পিএইচডি করার সুযোগ পেলেন বেরোবির মুনিয়া

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৮
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
‎চীনা সরকারের ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে পিএইচডি করার সুযোগ পেলেন বেরোবির মুনিয়া

‎রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোছা. মাসতুরা মুনিয়া ফারজানা চলতি বছরের চীনা সরকার প্রদত্ত টাইপ-এ ক্যাটাগরির ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ অর্জন করেছেন।

‎এই স্কলারশিপের আওতায় তিনি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চীনের নানজিং ইনফরমেশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে যাচ্ছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় প্রয়োগিক আবহাওয়াবিদ্যা।

‎এই স্কলারশিপের আওতায় প্রতি মাসে তিনি ৩,৫০০ চায়নিজ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৯,০০০ টাকা, স্টাইপেন্ড (উপবৃত্তি) হিসেবে পাবেন। এছাড়াও তিনি ফ্রি আবাসন সুবিধা ও টিউশন ফি মুক্ত উচ্চশিক্ষা উপভোগ করবেন।

‎মাসতুরার শিক্ষাজীবনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো: ‎অনার্সে সিজিপিএ: ৩.৭৯ মাস্টার্সে সিজিপিএ: ৩.৮৫ আইএলটিএস স্কোর: ৭.৫ প্রকাশিত গবেষণাপত্র: ৯টি

‎তিনি তাঁর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছেন বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. আবু রেজা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে।

‎তিনি বলেন, “স্যারের কাছেই হাতে-কলমে গবেষণার কাজ শিখেছি। তাঁর সহযোগিতা ও উৎসাহ ছাড়া এই পথচলা সম্ভব হতো না।”

‎বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়েও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। তিনি আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন কেন্দ্র -এর এক বছরের একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করেছেন।

‎তার এই অসাধারণ সাফল্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের বিষয়, বিশেষত দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি অনুকরণীয়। 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পবিপ্রবিতে পদোন্নতিতে বৈষম্য ও অবমূল্যায়নের অভিযোগ, ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টার পদত্যাগ

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:১৪
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    পবিপ্রবিতে পদোন্নতিতে বৈষম্য ও অবমূল্যায়নের অভিযোগ, ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টার পদত্যাগ

    পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) পদোন্নতিতে চরম বৈষম্য ও অবমূল্যায়নের ও প্রশাসনের জামাতি এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ তুলে ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. সাইফুল ইসলাম।

    গত ৬ আগস্ট (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ১ মার্চ প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার পর ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে লাঞ্ছিত হন এবং চাকরিচ্যুত হন। দীর্ঘ ১০ বছর পর, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পুনরায় যোগদান করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে উপেক্ষা করে চলেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই সময়ে যোগদানকারী অনেক সহকর্মী ইতোমধ্যে দ্বিতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্বেও আছেন, অথচ তাঁকে কোনো ধরণের পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। ড. সাইফুল ইসলাম আরও জানান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কারণে চাকরিচ্যুত এক সহকারী অধ্যাপককে একসঙ্গে দুটি পদোন্নতি দিয়ে অধ্যাপক করা হয়েছে, কিন্তু তাকে দুটি পদন্নোতি দেওয়া হয় নাই যা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে এক ধরনের বৈষম্য স্পষ্ট করে। সবচেয়ে দুঃখজনক ও অপমানজনক ঘটনা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার মৃত্যুর পরও তাঁকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে তাঁরই জুনিয়র এক শিক্ষককে ওই পদে বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। আমি জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রবল ধারক ও বাহক। আর যাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি জামাতপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামাতপন্থী শিক্ষকদের চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।”

    রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো রিজেন্ট বোর্ড, এবং তারাই প্রমোশনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি কোনো জামায়াত বা বিএনপি সমর্থিত গোষ্ঠীর চাপ দেখতে পাচ্ছি না। এই পদে সর্বশেষ যিনি দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনিও ওই মতাদর্শের (জামায়াতপন্থী) শিক্ষক ছিলেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে পদমর্যাদা নির্ধারিত হয় পদের ভিত্তিতে, বয়স বা নিয়োগের তারিখ দেখে নয়। যদি শুধু নিয়োগের তারিখ দেখা হতো, তবে একজন এমএলএস (অফিস সহায়ক)–ই হয়তো সবার সিনিয়র হতেন।"

    উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, "তার (পদত্যাগকারী শিক্ষক) অভিযোগগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পদমর্যাদার দিক থেকে যেহেতু প্রফেসর উচ্চ পদে, তাই প্রফেসরকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের কোনো চাপ বা প্রভাব নেই। আমি দায়িত্বে আসার আগেই জামায়াত ও বিএনপি–ঘেঁষা শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত–বিএনপি–ঘেঁষা শিক্ষকের সংখ্যা কম হওয়ায় অনেক সময় ফ্যাসিবাদের (আওয়ামীলীগ পন্থী শিক্ষক) দায়িত্ব দিতে হচ্ছে।"


    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বেরোবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগ গুঞ্জন

      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      ৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:১০
      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      বেরোবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগ গুঞ্জন

      রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ প্রামাণিক পদত্যাগ করেছেন বলে ক্যাম্পাসে গুঞ্জন উঠেছে।

      প্রশাসনিক ব্যর্থতা, ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ব্যাপারে প্রশাসনের উদাসীনতাসহ কয়েকটি ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা দায়ী করে প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শন নিদর্শনা দপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করতে শুনা যায়। তবে এরই মধ্য ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগের গুঞ্জন ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে।

      এর আগে, গত রবিবার (২০ জুলাই) কয়েকজন সমন্বয়ক তার দপ্তরে শাড়ি ও চুড়ি রাখার ঘটনায় উপাচার্য বরাবর তিনি এ পদত্যাগ জমা দেন বলে জানা গেছে।

      বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর থেকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ প্রামাণিক অফিস করছেন না।

      জানা যায়, লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে প্রশাসনের নিকট থেকে কার্যকর উদ্যোগ না দেখে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান ও ছাত্র কল্যান ও পরামর্শ দপ্তরের প্রধান ড. ইলিয়াছ প্রামাণিকের কক্ষে শাড়ি ও চুড়ি রেখে প্রতিবাদ জানায়। 

      এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঔ দিন রাতেই উপচার্য বরারর নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন বলে জানা যায়।

      যোগাযোগ করা হলে ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক বলেন, আমি ছাত্রদের সমস্যায় সবসময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি, ঘটনার আগের রাত্রে দুইটা পর্যন্ত আমি জুলাই আহত শিক্ষার্থী জয় কে নিয়ে সিএমএইচ হাসপাতালে ছিলাম। 

      তিনি আরও বলেন, আমার দপ্তর ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করে। ক্যাম্পাসের আইনশৃংখলা, রাজনীতি বা অন্য কোন বিষয় আমার দপ্তরের কাজ না। তারপরও তারা কেন এই কাজটি করলো সেটা আমার জানা নেই।

      তিনি ভারাক্রান্ত হয়ে বলেন, তিনি উপাচার্য বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন এবং এ ঘটনায় তিনি মর্মাহত।


      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        রাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ

        অনলাইন ডেস্ক
        ৭ আগস্ট, ২০২৫ ৫:৩৯
        অনলাইন ডেস্ক
        রাকসু নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ

        রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্বাচনের তফসিল আজ বুধবার (৬আগস্ট) ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়।


        এতে দেখা গেছে, এবারের রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২৫ হাজার ১২৭ জন। এরমধ্যে ছাত্র ভোটার ১৫ হাজার ৪৪০ জন । ছাত্রী ভোটার ৯ হাজার ৬৮৭ জন। মোট ভোটারের ৬১ শতাংশের বেশি ছাত্র আর ৩৮ শতাংশ ভোটার ছাত্রী।


        ছাত্র ভোটারদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুলুল হক হলে ৯৭২ জন, শাহ মখদুম হলে ১২৪৭ জন, নওয়াব আব্দুল লতিফ হলে ৮১৭ জন, সৈয়দ আমীর আলী হলে ৯৮৮ জন, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ১০৩৫ জন, শহীদ হবিবুর রহমান হলে ২৩৯৮ জন, মতিহার হলে ১৬১৮ জন, মাদার বখ্শ হলে ১৫৭৩ জন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ১৫৪২ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ১৯৪৭ জন, বিজয় ২৪ হলে ১৩০৩ জন রয়েছেন।


        ছাত্রী ভোটারদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলে ভোটার ২০০৭ জন, রোকেয়া হলে ১৮১৬ জন, তাপসী রাবেয়া হলে ১০৩৭ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ১১২৭ জন, রহমতুন্নেসা হলে ১৫৪৭ জন, জুলাই ৩৬ হলে ২১৫৩ জন ভোটার রয়েছে।


        বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন। এছাড়াও, রাকসুর ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট আবাসিক হলসমূহের নোটিশ বোর্ডে খসড়া ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে। খসড়া তালিকায় কোন আপত্তি থাকলে তা সংশ্লিষ্ট আবাসিক হল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ১২ আগস্টের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।


        এর আগে গত সোমবার (২৮ জুলাই) রাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় ছিল ৬ আগস্ট। ভোটার তালিকায় আপত্তি গ্রহণ করা যাবে ৭ আগস্ট, ভোটার তালিকায় নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৪ আগস্ট। মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে ১৭ থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে ২১, ২৪ ও ২৫ আগস্ট। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৭ ও ২৮ আগস্ট। প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ ৩১ আগস্ট এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৪ সেপ্টেম্বর। ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিটি আবাসিক হলে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং ওই দিনই ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          দায়সারাভাবে ‘জুলাই দিবস’ পালন গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের, ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষার্থীদের

          ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
          ৬ আগস্ট, ২০২৫ ২৩:২৯
          ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
          দায়সারাভাবে ‘জুলাই দিবস’ পালন গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের, ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষার্থীদের

          ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ দায়সারা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) প্রশাসন। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


          গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রচনা প্রতিযোগিতা, কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল, কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা এবং বিকেলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তবে এই সাধারণ আয়োজনেও মসজিদে দোয়া শেষে তাবারক না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী ফিরে যান। অন্যান্য সাধারণ দিবসের মতোই ছিল ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের’ আয়োজন। ছিল না কোনো আকর্ষণীয় বা স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচি। এছাড়াও ছিল না কোনো ভোজ, আনন্দ র‍্যালি বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।


          যেখানে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ র‍্যালি, ভোজ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘জুলাই কর্ণধার’ উদ্বোধন, ‘রিমেম্বারিং জুলাই আন্দোলন’সহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে, সেখানে গোবিপ্রবি প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।


          এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক মোহাম্মদ হাবিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন,“জুলাইকে পকেটে ভরেছে এই ধইঞ্চা প্রশাসন!! প্রশাসনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সৎ প্রশাসক ও শিক্ষক থাকলেও তাঁরা এই ভাই কোরামের জন্য কাজ করতে পারছেন না। আলোচনা সভা আর দোয়া দিয়েই জুলাই বিপ্লব উদযাপন শেষ করেছে প্রশাসন। অথচ এই জুলাই আন্দোলন গোবিপ্রবির ১০ হাজার শিক্ষার্থীর। অনেক ঘাম, রক্ত, সময় আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বিপ্লব গোপালগঞ্জে এবং সারা বাংলাদেশে সংগঠিত হয়েছে।


          এই প্রশাসনকে আমি ‘ধইঞ্চা’ বলছি, কারণ উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা এখানে চামড়াহীন, মেরুদণ্ডহীন কিছু শিক্ষকের সিন্ডিকেট থেকে বের হয়ে বড় পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারেননি। এই শিক্ষকরা আবার নিজেদের পদ টিকিয়ে রাখতে কথিত কিছু তেলবাজ নেতাদের হাতের মুঠোয় রেখে দেন—যাদের মাধ্যমে নৈতিক ও যুক্তিসংগত আন্দোলনগুলোকেও দমন করা হয় গভীর রাতের ‘পকেট চাঙ্গা’র মাধ্যমে। অবশ্যই কিছু পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতাও আছেন, তবে তাঁরা মাঝেমধ্যে উপেক্ষিত হন এবং পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় তাঁদের। অথচ এই বিপ্লব সবার। একজন রাজনৈতিক ছাত্রনেতার মতো একজন সাধারণ শিক্ষার্থীরও সমান প্রাধান্য পাওয়া উচিত, কারণ এই আন্দোলনে সবাই অংশ নিয়েছে।


          এই শিক্ষকরা আবার ঐসব তেলবাজ নেতাদের ‘আব্বা’ ডাকতেও দ্বিধা করেন না, কারণ তাঁরা নিজেদের মেরুদণ্ডহীনতা প্রকাশ করতে চান না। জুলাই বিপ্লবের সময় তাঁরা ছাত্রদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেননি বা প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেননি! অথচ এখন তাঁরা পদ আর সুবিধা রক্ষার্থে ভিসি-প্রোভিসিদের পা চাটতেও দ্বিধা করেন না।”


          তিনি আরও লেখেন,“এই জুলাই বিপ্লবকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা যেত। আয়োজন করা যেত বড় পরিসরের একটি ফেস্ট—যেখানে স্টুডেন্ট টোকেন মানি সিস্টেম চালু করা যেত। প্রতিটি বিভাগের চেয়ারম্যানরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু এই ধইঞ্চা প্রশাসন চামড়াহীন, মেরুদণ্ডহীন কিছু শিক্ষকের সিন্ডিকেট থেকে বের হতে পারেনি। বাঁচুক জুলাই, বাঁচুক প্রিয় গোবিপ্রবি।”


          এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই ছাত্র আন্দোলন’-এ সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী সমন্বয়ক আল মাহমুদ বলেন,“আমি আলোচনা সভায় বলেছিলাম—আজ আমাদের একটি বড় স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজন করার কথা ছিল, যেখানে সকলে অংশ নিতে পারতো। কিন্তু দেখা গেল অনেকেই আসনের অভাবে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান শুনেছে। এই দিনটি প্রশাসন চাইলে আরও জাঁকজমকভাবে উদযাপন করতে পারতো। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ফেস্ট হয়েছে, কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের চাওয়া থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।”


          এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন,“কিছুদিন আগে কালার ফেস্ট হয়েছিল, সেখানে অনেক ঝামেলা হয়েছে ও মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। সাম্প্রতিক এমন ঘটনার পর আমরা আর ঝুঁকি নিতে চাইনি।”

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত