ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

পার্বত্য চট্রগ্রামে বাঙালিদের নিরাপত্তার দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২২:৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্বত্য চট্রগ্রামে বাঙালিদের নিরাপত্তার দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

ঢাবি প্রতিনিধিঃ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কতৃক পাহাড়ে 'বাঙালিদের হত্যা'র প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি)-তে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২০সেপ্টেম্বর ) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজুভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাঙালিদের নিরাপত্তা দাবিতে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজ তৌকি। লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার পানখাইয়াপাড়ায় চুরির অভিযোগ এনে মো. মামুন নামে স্থানীয় এক বাঙ্গালি যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে । সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ৪/৫ উপজাতীয় নারী-পুরুষ চেপে ধরে হত্যা করছে মো. মামুনকে। কিন্তু পুলিশ এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জানায় দীঘিনালা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। দীঘিনালা সরকারি কলেজ গেইট থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে লারমা স্কয়ারে পৌঁছার পর পাহাড়ের আঞ্চলিক উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর পার্শ্ববর্তী বাঘাইছড়ি, লংগদু ও সাজেক এলাকা থেকে চাঁদের গাড়ি যোগে বহিরাগত শতশত উপজাতি যুবক এসে দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে পাহাড়ি ও বাঙ্গালিদের মালিকানাধীন দোকানপাটসহ বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

চালিয়ে বাঙ্গালি ছাত্র ও বাজারের ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন,এ সময় উপজাতি সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়। যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে চাইলে বাধা দেয় উপজাতীয় যুবকরা। ফলে মুহূর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় লারমা স্কয়ার ও আশেপাশের পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের অন্তত ৭০টি দোকান।

মিনহাজ তৌকি আরো বলেম,তারা শুধু এইবার নয় এর আগেও তারা নিরীহ বাঙালিদে ওপর হত্যাকান্ড চালায়। উপজাতি সন্ত্রাসী গুষ্টি নতুন সরকারের কাছে যে দাবি জানিয়েছে আমরা ঘৃণার সাথে এ দাবি প্রত্যাখান করছি। তারা সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ করার সাহস কিভাবে পায়।

এসময় তিনি চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-১। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ২। পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে

৩। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা জায়গাগুলোতে সেনা ক্যাম্প বাড়াতে হবে। ৪। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির অসংবিধানিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:৫২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ

    ইবি প্রতিনিধিঃ ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগদান সম্পন্ন হলেও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসি নিয়োগের দাবি জানান।

    শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে বটতলা প্রাঙ্গনে সমবেত হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে গিয়ে কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রসমাবেশ করে তারা। এসময় প্রায় আধা ঘণ্টার সড়ক অবরোধে ক্যাম্পাসের দুপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

    বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা সবাই যখন স্বর্গে, ইবি কেন মর্গে; ঢাবি,জাবি ভিসি পায়, ইবি কেন পিছিয়ে যায়; ভিসি নিয়ে নয় ছয়, আর নয় আর নয়; ভিসি ভিসি ভিসি চাই, ইবিতে ভিসি চাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের হাতে সংস্কারমনা ভিসি চাই; সেশনজট নিরসন চাই; বিশ্বমানের ভিসি চাই, শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি চাই; সৎ ও সাহসী ভিসি চাই; ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই, অবিলম্বে ভিসি চাই; ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই; রেকর্ড দেখে ভিসি দিন, দূর্নীতির খবর নিন; ইবির আঙিনায়, দূর্নীতিবাজের ঠাই নাই লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার পতনের দীর্ঘদিন ফিরে গেলেও এখনো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ হয়নি। আমরা ভিসির দাবীতে ইতোপূর্বে আন্দোলন করলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেন নাই, তার ফলশ্রুতিতে আজকের ব্লকেড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে পদত্যাগ করা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগদান সম্পন্ন হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল হলেও ইবিতে অচল অবস্থা বিরাজ করছে। অতি দ্রুত একজন দক্ষ, যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল করতে হবে। নইলে ছাত্রসমাজ আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

    বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হলেও আমরা এখনো ভিসি পাইনি যেখানে অল্প বয়স্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ হয়ে গেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইবিতে ভিসি নিয়োগের দাবি জানাই। যদি এর মধ্যে ভিসি দেওয়া না হয় তাহলে যে রাস্তায় হাঁটলে দ্রুত ভিসি নিয়োগ হবে ছাত্ররা সেই রাস্তায় হাঁটবে। আমরা অনতিবিলম্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্য ও একাডেমিশিয়ান একজনকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়করা বলেন, অতি দ্রুত ও স্বল্পতার সময়ের মধ্যে আমরা সৎ ও দক্ষ একজন ভিসি চাই। কর্তাব্যক্তিদের কাছে আমার প্রশ্ন- ইবিতে কেন ভিসি নিয়োগ হচ্ছে না? আমরা দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে যে সফল হয়েছি, আগামী দিনেও সেই সুন্দর ও সফলভাবে কাজে লাগাবে সেরকম অনতিবিলম্বে ভিসি নিয়োগ চাই। যদি ভিসি নিয়োগ না হয় এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

    এছাড়াও তারা বলেন, সেশনজট দূর করার জন্য এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি একজন মানসম্মত, জ্ঞানী ও একাডেমিশিয়ান ভিসি চাই। যদি অনতিবিলম্বে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাল মিলিয়ে ভিসি নিয়োগ না হয় ২৪'র গণআন্দোলনের মতো কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখা হবে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      তোফাজ্জলকে হত্যার আগে পরিবারের কাছে চাওয়া হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৪
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      তোফাজ্জলকে হত্যার আগে পরিবারের কাছে চাওয়া হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার আগে তার পরিবারের কাছে ফোন করে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল।

      নিহত তোফাজ্জলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শরীফা আক্তার বিষয়টি গণমাধ্যকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তোফাজ্জলকে আটকে রেখে আমার কাছে ২ লাখ ও আমরা মামা শ্বশুরের কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়।

      মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে পিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী নামক এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এছাড়া তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তোফাজ্জল বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছেন।

      তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার আগে পরিবারের কাছে টাকা দাবির বিষয়ে জানতে সরেজমিনে তার ভাইয়ের স্ত্রীর বাড়িতে গেলে শরীফা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক রাত ১০টার পরে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে তোফাজ্জল আমাকে ফোন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ভাবি আমাকে মোবাইল চুরির দায়ে হলে আটকে রেখে আমার কাছে টাকা চায়। এ কথা বলার পরেই ফোন কেটে দেয়। পরবর্তীতে ওই নাম্বার থেকে আবার কল দিয়ে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আমি তোফাজ্জলের কে হই। পরিচয় বলার পরে তারা আমাকে বলেন, তোফাজ্জলকে মোবাইল চুরির দায়ে আটকে রেখেছি ওকে আপনারা ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ সময় আমি তাদের বলি, ভাই ওর মাথায় সমস্যা আছে, ও আসলে চোর না। তোফাজ্জল একজন ভালো ছাত্র, অনার্স- মাস্টার্স শেষ করা ছাত্র, ওকে আপনারা ছেড়ে দিন। পরে তারা আমাকে বলেন, আপনার কথা রেকর্ড করা হচ্ছে। আপনি দুই লাখ টাকা পাঠান, না হলে তোফাজ্জেলকে আমরা মেরে ফেলবো। তখন তাদের আমি বলি, আমি মহিলা মানুষ, কীভাবে কি করব? আমি তো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। পরে তোফাজ্জলের মামা-চাচা যারা ঢাকায় আছেন তাদের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেই।

      তিনি আরও বলেন, আমার কাছে টাকা দাবি করলে আমার অভিভাবক যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এ সময় তারা ফোনে আমাকে বলেন, অভিভাবকরা যদি ফোন না ধরে তাহলে কিন্তু খবর আছে। পরে আমি আতঙ্কিত হয়ে চাচাতো ভাশুর এবং এলাকার চৌকিদারকে বিষয়টি জানালে তারা বলেন, তোফাজ্জল হয়ত কোনো পাগলামি করেছে, আপনি ফোন বন্ধ করে ঘুমান। এছাড়া তারা তোফাজ্জলের এক মামার কাছে ফোন দিয়ে আরও ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল খুললে খবর পাই তোফাজ্জলকে মেরে ফেলা হয়েছে।

      খোঁজ নিয়ে নিহত তোফাজ্জলের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর অপবাদে গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ২০১১ সালে বাবা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ও ২০১৪ সালে তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বড় ভাই নাসির উদ্দিনের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করেছেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের পর থেকেই তোফাজ্জল মানসিকভাবে অসুস্থ হতে শুরু করেন। এ সময় তাকে ৩ মাস রিহ্যাবেও রাখা হয়েছিল। এরপর তোফাজ্জল কিছুটা সুস্থ হলে ২০২৩ সালে তার বড় ভাই নাসির উদ্দিনও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন তিনি। এতে তোফাজ্জল আবারও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন।

      উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে কয়েক দফায় তাকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশের মাধ্যমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সাবেক কুবি ভিসিকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের নামে মামলা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২৩:৩১
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        সাবেক কুবি ভিসিকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের নামে মামলা

        কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈনকে প্রধান আসামি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

        বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমন্বয়ক মো. শাখাওয়াত হোসেন।

        মামলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত ও আবু উবাইদা রাহিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম শেখকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৩৫ জন ও অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

        মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ছিল ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে বের হয়ে একটু সামনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ পার হলেই একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হন।

        অভিযোগে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈন, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত ও আবু উবাইদা রাহিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রাশিদুল ইসলাম শেখের নির্দেশে এজাহারনামীয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষার্থীদের ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালান।

        মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সাবেক প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি মামলার বিষয়ে জানতে পেরেছি, এটা আমরা আইনগত ভাবে মোকাবেলা করবো।

        মামলার আরেক অভিযুক্ত সাবেক সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, এটি সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা মামলা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছে। যা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার জন্য বিব্রতকর।

        তিনি আরও বলেন, ১১ জুলাই দায়িত্বের কারণেই মূলত আমার ঘটনাস্থলে থাকা। সেখানে উপস্থিত কেউই বলতে পারবেনা মামলায় উল্লেখকৃত কোন অপরাধের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলো। এটা নিতান্তই আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।

        মামলার বিষয়ে বাদী মো. শাখাওয়াত হোসেন এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

        কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে একটা মামলা করা হয়েছে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা যাচাই করবে, যদি অভিযুক্ত না হয়ে কারও নাম আসে তাহলে তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে চটেছে ইবি

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২৩:২২
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে চটেছে ইবি

          ইবি প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

          বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড়ে একত্রিত হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডায়না চত্বরে গিয়ে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়।

          এসময় শিক্ষার্থীরা জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত; আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, ছাত্রসমাজের অঙ্গীকার, রুখে দেবো এখন অনাচার; শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না; বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বন্ধ করো করতে হবে; সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

          সমাবেশে বক্তারা বলেন, গতকাল প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৈশাচিক কায়দায় মানসিক প্রতিবন্ধী তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মনে করি আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড আর তোফাজ্জলের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাথা। স্বৈরাচারের দোসর, ২৪ এর পরাজিত শক্তিরা এই কাজগুলো পিছন থেকে করছে। আমরা তার অতীত বলবো না, সে একজন মানুষ এটাই তার বড় পরিচয়। এদের এমন বিচার করা উচিত যেন ভবিষ্যতে কেউ আর এই কাজ করার দুঃসাহস না পায়।

          বক্তারা আরও বলেন, আবরার ফাহাদের খুনিদের ফাঁসি এখনো কার্যকর হয়নি কিন্তু আমরা তোফাজ্জলের খুনিদের ফাঁসি চাই। স্বৈরাচার মুক্ত স্বাধীন দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এইসব হত্যাকাণ্ডের সাথে যে জড়িত, সে সমন্বয়ক হোক আর যেই হোক, তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। মব জাস্টিসের নামে আপনারা যা করছেন, তার হিসাব নেওয়া হবে৷ বিজয় পেয়েছি বলেই যে আমাদের দায়িত্ব শেষ তা ভাবলে চলবে না।

          এছাড়াও ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা লড়াই শুরু করেছি। যতদিন না বৈষম্য বিরোধী সমাজ গঠিত হয় ততদিন এই লড়াই চলবে। যেভাবে পশুর মত একটি মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই। মব জাস্টিসের সুযোগ নিয়ে একটি গোষ্ঠী হানাহানি লাগাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উষ্কে দিচ্ছে, নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে। আপনারা যদি সরে না আসেন তাহলে ছাত্রজনতার ঐক্য আপনাদের মোকাবেলা করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত