ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বাকৃবিতে শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:২
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাকৃবিতে শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে একটি আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (০৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের আয়োজনে ও কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ বিভাগের প্রধান ড. মো. হারুন রশিদ নায়েক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যে তিনি শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে বাকৃবি ও শের-এ-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্বরুপ কোর্স, অনুষদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের প্রস্তাব করেন। শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সের মান, শিক্ষার পরিবেশ, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তিনি। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করা হয়।

এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ. বি. এম আরিফ হাসান খান রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজির আহমেদ গানাই। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী ও অর্থায়িত প্রকল্পের পরিচালক ড. শাহ কামাল খান, মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন শের-এ-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ বিভাগের প্রধান ড. হারুন রশিদ। এছাড়াও কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শের-এ-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা খুবই মানসম্মত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নতুন উদ্ভাবন মূলক গবেষণা ও তা সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাকৃবি ও শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে। এতে আমাদের শিক্ষার্থীরা হবে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থী। বিশ্ববৈচিত্রের জ্ঞান ধারণ ও অর্জনে সক্ষম হবে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নাজির আহমেদ গানাই বলেন, আমরা দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করে সমন্বিত কাজ ও গবেষণা করতে আগ্রহী। এর মধ্যে কোর্স, অনুষদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী স্থানান্তর অর্ন্তভূক্ত থাকবে। এতে একদিকে ভারতের শিক্ষার্থীরা যেমন বুঝতে পারবে বাংলাদেশের কৃষির বর্তমান অবস্থা ও কাজ অন্যদিকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও ভারতের সে বিষয়গুলো বুঝতে পারবে। আজকের অয়োজনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরকে ইন্টার্নশীপের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চাই। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একে-অপরের সাথে কাজ করলে তারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি’ বিষয়ক কর্মশালা সম্পন্ন

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৭:৩৭
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি’ বিষয়ক কর্মশালা সম্পন্ন

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

    উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে কর্মশালা আয়োজন করায় আয়োজকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী সেই অর্থে কোনো চাকুরী নয় বরং এটি একটি সেবপ্রদান প্রতিষ্ঠান। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনগণের সেবা করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কেনো সেবাগ্রহীতা যদি কোন অভিযোগ উত্থাপন করেন তা যাচাইপূর্বক ভোগান্তিবিহীন দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এর ফলে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে সেবাগ্রহীতাও সন্তুষ্টি লাভ করবে।"

    উপাচার্য আরও বলেন, "প্রত্যেকে স্ব স্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অফিসের কার্যক্রম সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করলে যেকোনো সমস্যা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাধান করা সম্ভব। আজকের কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আলোচ্য বিষয়ের উপর আলোচনা-পর্যালোচনা থেকে অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ে বিস্তারিত জানার সুযোগ ঘটবে, যা তাঁদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।"

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সম্পদব্যক্তি হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ-পরিচালক (ইন্সপেকশন ও মনিটরিং) মৌলি আজাদ। এসময় আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ইবিতে 'শিক্ষার মান উন্নয়নে শুদ্ধাচার চর্চা' বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৩৪
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ইবিতে 'শিক্ষার মান উন্নয়নে শুদ্ধাচার চর্চা' বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

      নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর আওতায় 'শিক্ষার মান উন্নয়নে শুদ্ধাচার চর্চা' বিষয়ক এক কর্মশালা আজ (০৮ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

      বিজ্ঞান অনুষদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষকবৃন্দের অংশগ্রহণে সকাল ১০টা ৪৫মিনিটে পুরাতন বিজ্ঞান ভবনের ২০৩ নম্বর কক্ষে এ কর্মশালা শুরু হয়।

      কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও এপিএ টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। রিসোর্স পার্সন ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শিপন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা চন্দন কুমার দাস।

      প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, যার যা আচরণ তা যেন আমরা শুদ্ধভাবে করতে পারি। এজন্য আমাদের ভেতরের আমিকে পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই পরিবর্তন যত দ্রæত ঘটনা যাবে তার ওপর নির্ভর করবে এই প্রোগ্রামের সফলতা। এই আয়োজনগুলো থেকে আমরা নিজেদেরকে শুদ্ধ করতে চাই। এখান থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপায়ণের কারিগর হতে চাই। তিনি বলেন, শিক্ষকরা যদি যথাযথভাবে প্রস্ততি নিয়ে কোয়ালিটি লেকচার প্রদান করেন তাহলে একদিকে যেমন শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে, শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনের মানের ক্ষেত্রে তাঁদের একটা ভূমিকা থাকবে, পাশাপাশি নিজেদেরকে আরও যোগ্য করে গড়ে তোলা যাবে। সব ক্লাস লেকচার সময়মতো সম্পন্ন করা এবং নির্মোহ মূল্যায়নের মাধ্যমে শুদ্ধাচারী হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন ভাইস চ্যান্সেলর।

      সভাপতির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বায়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে শিক্ষকগণ সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি বলেন, একজন শিক্ষককে নিজেকেই নিজের রেসপন্সিবিলিটি এবং কমিটমেন্ট সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকেই নিজেরা নিজেদেরকে চর্চা করি, দায়িত্ব সম্পর্কে আরও যতœশীল হই তাহলে শুদ্ধাচার চর্চায় এগিয়ে যাব এবং জাতি ও দেশ গঠনে ভুমিকা রাখতে পারবো।

      বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখন আমাদের মূল টার্গেট বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও খ্যাতি নির্ভর করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        বশেমুরবিপ্রবি'তে ওবিই কারিকুলাম প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:১৮
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        বশেমুরবিপ্রবি'তে ওবিই কারিকুলাম প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

        বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আউটকাম বেসড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলাম প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার(৭ নভেবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)'র আয়োজনে একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

        কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বশেমুরবিপ্রবি'র মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ডিগ্রি দেয়া হয়, শিক্ষার্থীরা ভালো সিজিপিএ পায়, কথাবার্তায় ভালো; যার সবটাই সিলেবাস ভিত্তিক। আর আউটকাম বেসড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলাম হলো, পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে টেকনোলজি, জিও পলিটিক্স, ইকোনমির সাথে চলমান শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয় করা।

        বালাইজেশনের এই বিশ্বে একা থাকার সুযোগ নেই। প্রশ্ন হতে পারে, মাঠভরা ফসল, পুকুরভরা মাছ, প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকার পরও বহির্বিশ্বের সহায়তা কেনো প্রয়োজন? কারণ, দেশ যতো উন্নত হবে, ততো নির্ভরশীলতা বাড়বে। আজকের আমেরিকাও জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে থেকেও অর্থনৈতিক কারণে তারা অসহায়ভাবে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কোনো না কোনোভাবে নির্ভরশীলতা থাকবে। এই নির্ভরশীলতা থেকে বের হতে হলে বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে মিল রেখে এমন পাঠ্যক্রম চালু করতে হবে, যা দেশের উন্নয়নকে অগ্রগামী করে ।

        এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো অবস্থানে নিতে হলে কোয়ালিটি সম্পন্ন শিক্ষক তৈরি হতে হবে। যদিও নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের কষ্ট করে এগোতে হচ্ছে। একসময় নিশ্চয় এই অবস্থা কেটে যাবে। একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামাঙ্কিত তারই জন্মভূমিতে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে জাতির পিতার প্রেরণা, চিন্তা-চেতনা লালন করতে হবে। শিক্ষকরাও তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

        বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি'র পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মো. মোবারক হোসেন, রিসোর্স পারসন ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সারোয়ার জাহান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতিসহ বিভিন্ন বিভাগের মোট ৬৮ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বাকৃবির শহীদ নাজমুল আহসান হলে বাঁধনের নবীনবরণ ও রক্তদাতা সংবর্ধনা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:১২
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বাকৃবির শহীদ নাজমুল আহসান হলে বাঁধনের নবীনবরণ ও রক্তদাতা সংবর্ধনা

          বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের নবীনবরণ ও রক্তদাতা সংবর্ধনা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকৃবি আবাসিক হল শহীদ নাজমুল আহসান হল বাঁধন ইউনিট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

          মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে বাকৃবি শহীদ নাজমুল আহসান হলের টিভি রুমে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

          অনুষ্ঠানে শহীদ নাজমুল আহসান হল বাঁধন ইউনিটের সভাপতি মাফিদুল ইসলাম জয়ের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক শৈবাল সাহা রৌদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও বাঁধন বাকৃবি জোনাল পরিষদের শিক্ষক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন শহীদ নাজমুল আহসান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল আলম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একই হলের হাউজ টিউটর ড. মো. ইকরামুল হক, ডা. মো. ইফতেখার জাহান ভূঞা ও মো. আবু হানিফ।

          প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বাঁধন কর্মীরা রক্তদান করে কোনো কিছু পাওয়ার জন্য না। বরং রক্তদান করার পরে অসুস্থ মানুষের মুখে যে পরিতৃপ্তি দেখা যায় সেটা দেখে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আমরা বাধনের জন্য গর্বিত । আমরা কৃষিবিদ হিসেবেও গর্ব অনুভব করি। দেশের মানুষ এখন জানে যে বাকৃবি আছে বলেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমি নবীন শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাবো যে এমন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোতে যুক্ত হয়ে মানুষের সেবা করার জন্য।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত