ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

জাবিতে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের আবহাওয়া স্টেশন উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ আগস্ট, ২০২৩ ২১:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাবিতে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের আবহাওয়া স্টেশন উদ্বোধন

জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের আবহাওয়া স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে।

জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহায়তায় এ স্টেশনটি করা হয়েছে। রবিবার (২৭ আগস্ট) বেলা দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের সম্মুখে জিও পার্কে এ স্টেশন উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "এ স্টেশন প্রতিষ্ঠার ফলে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা-গবেষণার মান বৃদ্ধি পাবে। এতে বিভাগের জলবায়ু গবেষণার ক্ষমতা বাড়বে। জাপান ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ জাপানের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে।"

এছাড়া উপাচার্য ভবিষ্যতে দ্বি-পাক্ষিক শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণের আহবান জানান। এসময় অনুষ্ঠানে কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশনের অধ্যাপক ড. তরু তেরাও বলেন, "জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বি-পাক্ষিক শিক্ষা-গবেষণা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় পারস্পরিক শিক্ষাও সহযোগিতার সম্ভাবনার নতুন দিক নিয়ে কাজ করবে।"

অধ্যাপক ড. এ.টি.এম শাখাওয়াত হোসেন ও অধ্যাপক ড. তরু তেরাও-এর মধ্যকার চলমান গবেষণার আওতায় স্থাপিত এই যন্ত্র আঞ্চলিক ও স্থানীয় জলবায়ুর তুলনা ও পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ এবং কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে স্বয়ংক্রীয় আবহাওয়া পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হয়। জাপান সোসাইটি অব প্রমোশনাল সাইন্সের মাধ্যমে পরিচালিত এই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এই যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি মিনিটে বৃষ্টিপাত, বাতাসের দিক ও গতি, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা পরিমাপ করতে পারবে। এই স্টেশনটি বায়ু মণ্ডলীয় পরিস্থিতি পরিমাপ করে স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডাটা জমা রাখবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, বিভাগীয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. এ.টি.এম শাখাওয়াত হোসেন, অধ্যাপক ড. মোঃ জুল্লে জালালুর রহমান, অধ্যাপক ড. মোঃ শরীফ হোসেন, অধ্যাপক মো. এমাদুল হক, অধ্যাপক ড. সৈয়দা ফাহলিজা বেগম, অধ্যাপক ড. হুসাইন মোঃ সায়েম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ হাসান ইমাম, সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. জয়নাল

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ২১:১১
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. জয়নাল

    বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের নতুন ডিনের দায়িত্ব পেয়েছেন ফার্ম স্ট্রাকচার এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো জয়নাল আবেদীন। তিনি সোমবার (২৮ আগস্ট) থেকে অনুষদের নতুন ডিনের দায়িত্ব পালন করবেন।

    এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. অলিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মো জয়নাল আবেদীন শিক্ষক হিসেবে তাঁর নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি সদ্য বিদায়ী ডিন কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল আলম-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। তিনি আগামী ২ বছর অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করবেন।

    অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন ৫ মার্চ ১৯৬৩ সালে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন সিনিয়র অধ্যাপক । তিনি ১৯৮৮ সালে বাকৃবির ফার্ম স্ট্রাকচার এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯৭ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০২ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।

    তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । অধ্যাপক ড. জয়নাল আবেদীনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ৬৫ টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশর (কেআইবি) আজীবন সদস্য। তিনি বাকৃবি আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ও বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বাকৃবিতে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির নতুন কমিটি গঠিত

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ২১:৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      বাকৃবিতে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির নতুন কমিটি গঠিত

      আমান উল্লাহ, বাকৃবি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বৃহত্তর নোয়াখালী (নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী) সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর সভাপতি এবং অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান ফাহিম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছে।

      রবিবার (২৬ আগস্ট) সংগঠনটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

      নবগঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো জসিম উদ্দিন ও কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেছবাহ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পশুপুষ্টি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাবিলা জালাল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো জিহাদ আল ফারুক, ফারহান ইশরাক ও মাহাদী আবসার তুর্য, সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ মাহমুদ, ইকবাল হোসেন ও মো সামসুল আরেফিন, দপ্তর সম্পাদক মুশফিকুর রহমান রায়হান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তারেক মনোয়ার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো সাইয়্যেদুল মুরছালিন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো মাসরুল আহসান, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আফরান হোসাইন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শ্যামা দেব নাথ, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদা জাহান স্বপ্নীল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রোকসানা কবির জ্যোতি, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মো আবদুল কাইয়ুম।

      নতুন দায়িত্ব পেয়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী বলেন, বাকৃবিতে অধ্যয়নরত বৃহত্তর নোয়াখালী এর সবাই মিলে আমরা একটি পরিবার। পরিবারের সকলকে নিয়ে আমরা একসাথে কাজ করতে চাই। পূর্ববর্তী কমিটির সকলে অনেক দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সহিত সমিতির কার্যক্রম সম্পাদন করে গেছে। বর্তমান কমিটি সমিতির সকলের সহোযোগিতায় সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে এবং কিভাবে আগামী দিনগুলোতে ক্যাম্পাসে নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বেগবান করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        আন্দোলন স্থগিত করলেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:৫৯
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        আন্দোলন স্থগিত করলেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

        এক দফা দাবিতে দীর্ঘ সাড়ে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় রাজধানীর নিউমার্কেট থানার নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রাখার পর অবশেষে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

        রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মাহমুদ অপু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

        এর আগে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে এসে অবরোধ করেন তারা।

        শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবিটি ছিল:

        সিজিপিএ সিস্টেম শিথিল করে, অকৃতকার্য বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          শরতের শহরে কবিতার খোলা হাওয়া

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:৫৮
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          শরতের শহরে কবিতার খোলা হাওয়া

          সানজিদা আক্তার মেঘলাঃ বর্ষার নিবিড় ঘনঘটা অপসারিত হয়ে আকাশ যখন নির্মল হয়ে উঠে, নদীর কিনারে বালির চরে যখন কাশবন হেসে উঠে তখন মনে হয় এই বুঝি শরৎকাল এসে গেছে। ভাদ্র ও আশ্বিন মিলে যখন শরতের যৌবন পরিলক্ষিত হয় তখন চারিদিকে শাপলা, শালুক, পদ্ম, জুঁই, কেয়া, কাশফুল, শিউলি, বোগেনভিলিয়াসহ নানা রকমের ফুলেল হাসিতে হেসে উঠে প্রিয় ঋতু 'শরৎ'। বিভিন্ন উৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে ভিড় জমায় শরৎকাল।

          শরতের স্নিগ্ধ প্রকৃতি হয় কোমল, শান্ত, টলমলে এবং উদার। ঝকঝকে নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘ, সোনা ঝরা রোদ, নদীর ধারে মৃদু মন্দ বাতাসে দোল খাওয়া সাদা সাদা কাশফুল, সাদা বক, বাতাসে ছোট ছোট ঢেউ তুলে নদীতে পাল তুলে চলা নৌকা, মায়াবী রাত, মোহনীয় চাঁদ, চারপাশে শুভ্রতার মাঝে বৃষ্টির ফোঁটা, বৃষ্টিশেষে হাল্কা রোদ। এ দৃশ্য শুধু শরৎকালেই ফুটে উঠে। শরৎকালে কখনো কখনো বর্ষণ হয় কিন্তু বর্ষার মতো অঝোর ধারায়, অবিরাম হয় না। শরতের সৌন্দর্য গ্রাম বাংলার প্রকৃতিকে করে তোলে রূপময়। বর্ষার পরে যখন শরৎকালের আবির্ভাব ঘটে তখন স্নিগ্ধ আকাশের মতো এমন শুভ্র, মিষ্টি আকাশ আর কোনো ঋতুতে দেখা যায় না।

          প্রকৃতির এমন সৌন্দর্যের বাহার দেখে শত শত কবি- সাহিত্যিকের হৃদয়ের আঙিনায় নতুন নতুন সাহিত্য কর্ম সৃষ্টি হয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শরৎ তোমার কবিতায় শরৎকে যেভাবে রূপায়ন করেছেন:

          "শরৎ, তােমার অরুণ আলাের অঞ্জলি। ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মােহন অঙ্গুলি।। শরৎ, তােমার শিশির-ধােওয়া কুন্তলে বনের-পথে-লুটিয়ে-পড়া অঞ্চলে আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞলি।।"

          শরতের সকাল এক অভূতপূর্ব আনন্দ ও অনুভূতি সৃষ্টি করে।প্রকৃতিতে শরৎ আসে 'নববধূর মতো।'

          গ্রীষ্মের দাবদাহ আর বর্ষাকালের অবিরাম বর্ষণের পর এই ঋতু জনজীবনে আসে ভিন্ন চেহারায়, স্বস্তি নিয়ে। শরতের প্রভাতে হাল্কা কুয়াশা আর বিন্দু বিন্দু জমে ওঠা শিশির এ ঋতুর প্রধান উপহার। হঠাৎ একদিন ভোরে যখন দেখতে পাই, শিশিরসিক্ত দূর্বাঘাসের উপর সূর্য কিরণ পড়ে হাজারো মুক্তোদানার রূপ ধারণ করেছে তখন আমাদের আর কোনো সন্দেহ থাকে না যে শরৎ এসেছে। যদিও এর স্থায়িত্ব কিছুকাল তবুও প্রকৃতিতে তার ছন্দ ও সৌন্দর্যের রেশ থাকে অনেকদিন। এমন মনোরম পরিবেশ দেখে কবিমন গেয়ে ওঠে, "আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই, লুকোচুরি খেলা, নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা।"

          শরতের শান্ত-স্নিগ্ধ রূপবৈচিত্র্য দিনের আলোয় ধরা দেয় একভাবে আর রাতে ধরা দেয় অন্যভাবে। রাতে নির্মল নীল স্বচ্ছ আকাশে চাঁদের মায়াবী মাধবী জ্যোৎস্ন্যার আলো আর কোনো ঋতুতে দেখা যায় না। এই ঋতুতে সবুজ প্রাণে হিল্লোলিত হয়ে ওঠে বন ও প্রকৃতি। কালের পরিক্রমায় যদিও এটি তৃতীয় ঋতু তবে এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ সৌন্দর্যে ভরপুর থাকে শরৎ ঋতু। এই ঋতুর নিজস্ব একটা আনন্দময় গন্ধ আছে। শারদীয় দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা থেকে শুরু করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটানো পর্যন্ত সবই শরতের বিশেষত্ব। তাই শরতের প্রতিষ্ঠা হয়েছে উৎসব প্রিয় বাঙালির হৃদয়ের তথা অন্তরের মনিকোঠায়।

          শরৎ মানেই নতুন সম্ভবনা। কৃষকের অন্তরে নতুন স্বপ্ন লালন করে শরৎ। বুকে বাঁধেন নতুন আশা। নতুন ধানের বীজ বোনা থেকে শুরু করে নতুন সব চারা রোপন করা হয়ে থাকে এ ঋতুতে। বর্ষা ঋতুর পরপরই যেহেতু শরতের হইচই সেহেতু বর্ষার স্রোতস্বিনী শরতেও পূর্ণ হয়ে থাকে। নদীর বুকে পালতোলা নৌকা ভাসিয়ে মাঝি ভাটিয়ালি গান গেয়ে চলে মনের আনন্দে। শরতের অনুপম মাধুর্যের প্রতি মোহিত হয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন,

          'আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালি মালা, নবীন ধানের মঞ্জরি দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা, এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে, এসো নির্মল নীলপথে।

          -শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত