ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম

বন্ধুরা কেউ যেতে পারবেনা তাই ক্যাম্পাসেই গায়ে হলুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
বন্ধুরা কেউ যেতে পারবেনা তাই ক্যাম্পাসেই গায়ে হলুদ

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী মিশকা জান্নাত মীম এর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের একজন সাধারণ মেয়ে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের পাশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর হতে একজন দুইজন করে বন্ধুরা জমা হতে থাকেন মিশকার সহপাঠীরা। বিকেল হলে মিশকা এলে তার হাতে ও মুখে হলুদ লাগিয়ে দিয়েছেন তারা। এছাড়াও কেউ গান গেয়ে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন সেখানে। দৃশ্যটি ছিল দেখার মত।

মিশকা জান্নাত মীমের (কনে) সহপাঠীরা জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর পারিবারিক ভাবে সিরাজগঞ্জের হাসিববুর রহমান হৃদয়ের সাথে বিয়ে হচ্ছে তাদের। হাসিববুর রহমান হৃদয় পেশায় সিনিয়র আর্টিস্ট ডিজাইনার। বর্তমানে ক্লাস ও পরিক্ষার চাপ অনেক বেশি তাই সবার পক্ষে বিয়েতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব না এজন্য কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী মিলে একটা ছোট পরিসরে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করেছি। তাছাড়া ক্যাম্পাসের গায়ে হলুদটা একটা ভিন্ন রকম আনন্দের বিষয়। এছাড়াও বান্ধবীর বিয়ের স্বরণীয় ও স্মৃতিময় রাখতে ক্যাম্পাসে এ আয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে হতবাক অনেকেই। দর্শনার্থীরাও সবাই একটু-আধটু উঁকি দিয়ে দেখছেন, আসলে কী চলছে! কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা খুব অল্পই হয়।

এ বিষয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মিশকা জান্নাত মীম (কনে) বলেন, আমার বন্ধুদের এত সুন্দর আয়োজনে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। আমি কখনও ভাবেনি আমার বিয়ের জন্য আমার বন্ধুরা এত কষ্ট করে দিনটা স্মরণীয় করে রাখবে।আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি স্মরণীয় দিন হল এটা। তাদের এ আয়োজনে আমি বাকরুদ্ধ শুধু এতটুকুই বলবো।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    খুবিতে প্রশাসনিক কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ে গুরুত্বারোপ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:২৩
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    খুবিতে প্রশাসনিক কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ে গুরুত্বারোপ

    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

    গত ২৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে নিয়ে যেতে বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত নানামুখী প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নিয়েছেন। যার ফলে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে গতি পেয়েছে। নতুন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তিনি প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সভায় প্রতিমাসে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠানসহ বেশকিছু প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    মতবিনিময় সভায় অংশ নেন প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মুজিবুর রহমান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান, শাখা প্রধান (সেন্ট্রাল স্টোর) অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার টিপু সুলতান, শাখা প্রধান (প্রশাসন) উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মণ্ডল, শাখা প্রধান (সংস্থাপন-১) উপ-রেজিস্ট্রার মো. শহিদুল আলম হাওলাদার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক এইচ এস শাহরিয়ার কামাল রানা, রেজিস্ট্রারের সচিব উপ-রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। সভায় বিভিন্ন বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ইবিতে পাইলিং এর আঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:১২
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ইবিতে পাইলিং এর আঘাতে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

      ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ১০ তলা দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়ে পাইলিং এর আঘাতে ওবাইদুল নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

      প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পাইলিং মাটিতে পোতার পর সাধারণত অবশিষ্টাংশ কেটে ফেলা হয়। আজকেও পাইলিং শেষে তিন ফুটের মতো কেটে ফেলে সড়িয়ে নেয়ার সময় পাইলিং গাড়ির নিচে থাকা ওবাইদুল ও পাপ্পুকে কন্ট্রোলার সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তবে পাপ্পু সরে যেতে পারলেও নিহত ওবাইদুল সরতে না পারায় পাইলিং এর আঘাতে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় ইবি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যালে রেফার করে দেয়। আহত ওবাইদুলকে বহনকারী এম্বুল্যান্স চালক আনিস জানায় কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বিত্তিপাড়া নামক স্থানে মারা যায় ওবায়দুল। নিহত ওবাইদুলের বাড়ী পাবনা জেলায়।

      প্রশাসন ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা এম জামান এন্ড কোং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রাসেল জানায়, আমি বিষয়টি আমাদের হেড অফিসে জানিয়েছি। এখন তারা নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমাদের সাইটগুলোতে কোনো নিরাপত্তা ঘাটতি নেই। তবে ব্যাপারটি একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটণা।

      এ বিষয়ে ইবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শোনামাত্রই মেডিক্যালে ফোন দিয়েছি। আমাদের মেডিক্যালের এম্বুলেন্স দিয়ে তাকে কুষ্টিয়া নেয়াত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই বিষয়টি পুরোটাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো দায়দায়িত্ব নেই। কারণ লেবার তারাই নিয়োগ করে আর আমাদের চুক্তি কন্ডাক্টারদের সাথে।

      জানা যায়, নিহত নির্মাণশ্রমিকের নাম ওবায়দুর রহমান (৩২)। তাঁর বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পার্শ্বে দিয়ারবাকল গ্রামে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        জবিতে যিশু খ্রিষ্টের প্রাক-জন্মদিন উদযাপন

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:২৮
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        জবিতে যিশু খ্রিষ্টের প্রাক-জন্মদিন উদযাপন

        মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জবিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধ্যয়নরত খ্রিস্টান শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে প্রাক-বড়দিন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

        বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় আলোচনা সভা শেষে কেক কাটা হয়।

        বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জগেশ রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

        এসময় উপাচার্য বলেন, বাঙ্গালির ঐতিহ্যের সাথে ধর্মীয় সংস্কৃতি মিশে আছে। কোনো ধর্মই মাদক নিতে বলে না, মিথ্যা বলা শেখায় না, কারোর কোনো ক্ষতি করতে বলে না। প্রত্যেকে প্রত্যেক ধর্মের বাণীগুলো যদি কেউ মেনে চলে তাহলে সে পথভ্রষ্ট হবে না।

        তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ধর্মের নামে হানাহানি চলে। বড় বড় রাষ্ট্রগুলোতে এখন দেখা যায় ধর্মীয় ছোটছোট বিষয় নিয়ে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তোলে। আমাদের প্রত্যেকের সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করা উচিৎ।

        এসময় উপাচার্য বলেন, নতুন ক্যাম্পাসের মাস্টারপ্লান হয়ে গেছে। সেখানে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা সবই হবে। সেখানে সকল শিক্ষার্থী তাদের নিজ ধর্ম পালন করে সহাবস্থান তৈরি করবে।

        অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. লুৎফর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টর ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ঢাবির বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:২১
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ঢাবির বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

          ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার  মিলনায়তনে পালিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামানের  অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

          বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল বশীর। কাজী নুরুল ইসলাম মূল বক্তব্য রাখেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ঢাবি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ এবং বাংলাদেশ বুদ্ধ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় মহাথেরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. ফাজরিন হুদা।

          ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন প্রগতিশীল সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষার্থীদের একযোগে কাজ করতে হবে। উপাচার্য ধর্মীয় বই অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রতিটি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ওপর জোর দেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত