বাউয়েটে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

শাফায়াত হোসেন, বাউয়েট প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন বাউয়েটের মাননীয় উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তফা কামাল ও ডেপুটি রেজিষ্টার (এডমিন) মেজর মোঃ আব্দুল হামিদ (অব:)। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাউয়েটের সকল অনুষদের ডিনগন, বিভাগীয় প্রধানগন, প্রক্টর, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এসময় মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সেনা প্রধানের বিশেষ বানী সকলের অবগতির জন্য প্রচার করা হয় ও সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতির জন্য বাউয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা করার পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি ও অফিসার্স মেসে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২২ উপলক্ষে 'মুক্তিযুদ্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর অবদান' শিরোনামে অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে।
রাবির একাডেমিক ভবনগুলোতে অস্বাস্থ্যকর টয়লেট: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

মারুফ হোসেন মিশন, রাবি: বিদ্যা শেখানোর শুরুতেই জোর দিয়ে শেখানো হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কথা। কিন্তু শ্রেণীকক্ষের পাশের নোংরা টয়লেট যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, কথাগুলো বইয়ের পৃষ্ঠাতেই সীমাবদ্ধ। দেশের স্বনামধন্য প্রাচ্যের ক্যাম্ব্রিজ খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাডেমিক ভবনগুলোর টয়লেটে নেই কোনো সাবান-হ্যান্ডওয়াশ, অপরিচ্ছন্ন, দুর্গন্ধযুক্ত, দরজা-জানালা ভাঙ্গা। এমন নোংরা টয়লেট ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড.মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কলা ভবনের টয়লেটগুলো নোংরা, দুর্গন্ধ ও অপরিষ্কার। তাতে নেই কোনো প্রয়োজনীয় হাত ধোয়ার সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, টিস্যু ও কোন টিস্যু রাখার পাত্র। যেখানে সেখানে টিস্যু রাখার ফলে টয়লেটে পানি জমে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এছাড়াও টয়লেটের কমোড ভেঙে পড়ে আছে যা ব্যবহার অনুপযোগী। টয়লেটের মধ্যে কোমল পানির বোতলসহ, বিভন্ন ধরনের কাগজ ও ময়লার স্তুপ জমে থাকতেও দেখা গেছে । এমন দৃশ্য শুধু শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনে নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মমতাজউদ্দিন, সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনগুলোতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন, চারুকলা অনুষদ ও কৃষি অনুষদের টয়লেটগুলো কিছুটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেও সেগুলোতে নেই পর্যাপ্ত টিস্যু, হ্যান্ড ওয়াশ ও সাবান রাখার ব্যবস্থা। টয়লেটগুলোর বাহ্যিক দিক দেখে পরিচ্ছন্ন মনে হলেও ভিতরে নেই কোন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এম. এ জাহিদ বলেন, আমাদের ব্যবহারের টয়লেটগুলো থেকে এতো দুর্গন্ধ বের হয় সিড়ি দিয়ে ক্লাসে যাওয়ার সময় নাক, মূখ চেপে ধরে যেতে হয়। বাথরুমে এতো দুর্গন্ধ থাকে যে ভিতরে গেলে প্রায় সময় বমি চলে আসে। এছাড়াও টয়লেটের দরজা ভাঙ্গা, ভিতরে কেউ থাকলে সরাসরি বুঝা যায় যার ফলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, শিক্ষকদের অফিসের টয়লেটগুলোতে সাবান,হ্যান্ডওয়াশ, টিস্যু এবং অডোনিল সব কিছুই থাকে। আর আমাদের জন্য সামান্য সাবান পর্যন্ত জোটে না। যদি স্বনামধন্য বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টয়লেটের অবস্থা হয় তাহলে অন্যান্য সাধারণ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কি অবস্থা বাকিটা আল্লাহ জানে। এজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাবি আখি বলেন, একাডেমিক ভবনের টয়লেটগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজেশনের যথাযথ ব্যবস্থা নেই এবং যথেষ্ট পরিচ্ছন্নতারও ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে শহিদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের টয়লেটগুলোর পাশের সিড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পোহাতে হয় সবাইকে। এছাড়াও মেয়েদের টয়লেটগুলো অনেক সময় দেখা যায় অফিসের সময় শেষ না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পোহাতে হয় আমাদের।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকলের প্রধান চিকিৎসক মো. তবিবুর রহমান বলেন, হেপাটাইটিস, আমাশয়, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ায় নোংরা টয়লেট থেকে। টয়লেট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে যেকোনো সময় জীবাণু আক্রমন করতে পারে। ফলে টয়লেটগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জীবাণুনাষক সরঞ্জামাদি থাকা বাধ্যতামূলক। শিক্ষাঙ্গনের টয়লেট পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত রাখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।
কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক বলেন, প্রতিনিয়ত দুইজন সুইপার টয়লেটগুলো পরিষ্কার করেন। টয়লেটগুলো তো শিক্ষকরাও ব্যবহার করেন। কোন শিক্ষক আজ পর্যন্ত এমন অভিযোগ করেননি। আর ভাঙ্গা দরজা ঠিক করার দায়িত্ব ডীন অফিসের নয়। এগুলো ইঞ্জিনিয়ার সেকশন অফিসের দায়িত্ব। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা আমাদের দায়িত্ব।
শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন টয়লেট শেষে পর্যাপ্ত পানি না ঢালে তখন বাথরুম থেকে কখন দুর্গন্ধ বের হয়। টিস্যু পেপার ব্যবহার করে জমিয়ে রাখে আবার অ দাঁড়িয়ে দেয়ালে প্রসাব করে। এর ফলে দেয়ালে লোনা ধরছে। ফলে কিছুদিন পর পর দেয়ালে রঙ করা লাগে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কিছুদিন পরপর পরিষ্কার করবে কিন্তু পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, টয়লেটের কাজগুলোকে আমরা প্রথমেই প্রাধান্য দিচ্ছি। বিভিন্ন বিভাগের টয়লেট নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে চলমান রয়েছে। টয়লেটে সমস্যা থাকলে বিভাগের সভাপতি বা অনুষদের ডীন মহদয় আমাদের অবহিত করলে আমরা সেটা বিবেচনায় আনবো। সমস্যার বিষয়ে আমাদেরকে অবগত করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলান বলেন, আমরা আস্তে আস্তে টয়লেটগুলোর মেরামতের কাজ করছি। সবগুলো বিভাগের একসাথে মেরামত করা সম্ভব না। চার পাঁচটি করে টয়লেট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদেরও উচিত টয়লেট পরিষ্কার রাখা। টয়লেট শেষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ঢালা।
তিনি আরও বলেন, এগুলো দেখভালের দায়িত্ব প্রতিটি বিভাগের। তারা ইচ্ছে করলেই টয়লেটগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাবান, হ্যান্ডওয়াশ ও টিস্যু সরবরাহ করতে পারেন। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য এসব উদ্যোগের বিকল্প নেই। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রত্যেক বিভাগের সভাপতিকে অবহিত করা হবে বলে জানান এ উপ-উপাচার্য।
মানসিক সমস্যার কারণে দেশের সম্ভাবনাময় প্রজন্ম ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে: রাবি উপাচার্য

মারুফ হোসেন মিশন, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আজকের বিশ্বে মানুষ তার সম্ভাবনার সীমাহীন সময় কার্যকর, উৎপাদনশীলভাবে ব্যয় করবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু আর্থসামাজিক বিভিন্ন কারণে মানুষ বিচ্ছিন্নতা, হতাশা, ভবিষ্যত প্রশ্নে পরিকল্পনাহীনতা ইত্যাদি কারণে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে করে নানারকম মনো-সামাজিক ও মনো-দৈহিক সমস্যায় ভুগছে। এসব মানসিক সমস্যার কারণে দেশের সম্ভাবনাময় প্রজন্ম ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এই অবস্থা নিবারণ একান্তই আবশ্যক।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সুবিধাদি ও সেবা সম্প্রসারণের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইন্টার্নি তাসনিম তামান্না কনি'র সঞ্চালনায় তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও বিরাজমান এসব মানসিক সমস্যা র ঊর্ধ্বে নয়। ফলে ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের নানাবিধ মনো-সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। সে জন্য বিভাগসমূহের মেনটর শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোবিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। আগামীতে এই কেন্দ্রটিকে সম্প্রসারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উপাচার্য জানান।
এসময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল হাসান সুফির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান মনোবিজ্ঞানী ড. সুলতানা নাজনীন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী তানজির আহমদ তুষার, ইন্টার্নি কো-অর্ডিনেটর মাহদী হাসান, মেনটর শিক্ষক ও ইন্টার্নরা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই ২০১৭ সালে প্রথম মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা হয়। পাঁচ বছরে এখান থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এক বা একাধিকবার কেন্দ্রের মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন বিভাগের ৬১ জন মেনটর শিক্ষকও শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যায় প্রাথমিক পরামর্শ দেন।
কুবিতে কলা ও মানবিক অনুষদের বার্ষিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি: কুবিতে কলা ও মানবিক অনুষদের উদ্যোগে 'সাহিত্যে পড়া, শেখানো এবং গবেষণা' শীর্ষক বার্ষিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । মঙ্গলবার ( ২২ নভেম্বর) বিজ্ঞান অনুষদের হলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানার সঞ্চালনায় কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এ ছাড়া কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও কথা সাহিত্যিক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা রিসার্চ, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থাকে অস্বীকার করতে পারে না। এই ধরনের কর্মশালা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের রিসার্চে জড়িত থাকাতে উৎসাহ দেয়। রিসার্চ ছাড়া ভালো শিক্ষকও হওয়া যায় না। এই ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, শুধু রিসার্চ করলে হবে না রিসার্চ প্রকাশও করতে হবে। তার সাথে সাথে শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
নোট স্পিকারের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, যেটা জানলে মনের রসায়ন হয় সেটা আমরা জানবো।মনের রসায়ন হয় সাহিত্যের মাধ্যমে।সাহিত্য পরিবর্তন ঘটায় ন্যায়ের, অরাজকতার পক্ষে।সাহিত্য স্থিতি ঘটায় মনের,স্পর্শ করে জীবনকে। সাহিত্যের গবেষণা হবে নিজের পক্ষে থাকতে হবে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি।গবেষণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ ঘটাতে হবে শুভ অশুভকে।পড়াশোনার পাশাপাশি চিন্তা করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
সেমিনারে কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরে আমরা কাঠামোগত উন্নয়ন দেখেছি। কিন্তু একাডেমিক উন্নয়ন অর্থাৎ একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং আস্থাশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখনো হয়নি। আমাদের এই সেমিনারগুলো দরকার কারণ আমাদের এখনো রিসার্চ, এডুকেশনাল জ্ঞানের উদ্ভাবন ও জ্ঞানের বিতরণের জন্য এধরণের সেশনগুলো দরকার। আমরা আমাদের ঐতিহ্যে আসক্ত হয়ে পড়েছি। আমাদেরকে এই আসক্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, দুইটি অধিবেশনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. বনানী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রাবন্ধিক ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফাখেরা নওশীন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, বাংলা ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ইবির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নানা আয়োজন

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দর্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। পরে মুজিব ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মুজিব ম্যুরাল হতে আনন্দর্যালী বের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা। র্যালীটি ম্যুরাল হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো প্রদক্ষিণ করে বাংলা মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। উদযাপনের শেষ ভাগে সহকারী অধ্যাপক শিরিনা বিথীর সঞ্চালনায় বাংলা মঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) যার প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ৪৩ বছর পূর্ণ করে আজ ৪৪ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে। শিক্ষা-গবেষণায়, সংস্কৃতি-ক্রীড়াঙ্গনে উল্লেখযোগ্য অর্জন এই পথচলাকে গৌরবান্বিত করেছে। সমস্ত প্রতিকূলতা সার্থকভাবে মোকাবেলা করে শিক্ষা-গবেষণায়, সংস্কৃতি-ক্রীড়াঙ্গনে উল্লেখযোগ্য অর্জন এই পথচলাকে গৌরবান্বিত করার মাধ্যমে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করে এগিয়ে চলেছে প্রাণের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্য