মাভাবিপ্রবিতে ৪০ শতাংশ আসন খালি

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে পঞ্চম ধাপে ভর্তির কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এই ধাপে ৩৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদে ১৬ বিভাগের ৮১০ আসনের বিপরীতে মোট ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮১ জনে। অর্থাৎ এখনও ৩২৯ টি আসন খালি রয়েছে। শতাংশের হিসাবে সেটি ৪০ শতাংশ।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্যের বাইরে আসন শূণ্য রয়েছে। কারণ ভর্তি বাতিল এর সংখ্যা এই হিসেবে আনা হয়নি। মাভাবিপ্রবিতে ভর্তি কার্যক্রম দেরিতে শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ভর্তি অনিশ্চয়তা থেকে অনেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেছেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করে প্রয়াজনীয় কাগজ জমা দিতে সময় লাগছে তাদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা না দিলে ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। ভর্তি বাতিল হলে আসন সংখ্যা আরো ফাঁকা হবে। ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে চললেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। শীঘ্রই কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
পূর্বঘোষিত ভর্তি নির্দেশনা অনুযায়ী আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে এবং ষষ্ঠ মেধাতালিকায় আগামী রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) যথারীতি অনলাইনে ভর্তি নেয়া হবে। ভর্তি সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় কবে থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে সেবিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সূত্র বলছে, আগামী মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে ক্লাস শুরু হতে পারে। কিন্তু বেশ কিছু বিভাগে এখনও ৮০ ভাগের বেশি আসন খালি থাকায় নবীনদের ক্লাস শুরুর নির্দিষ্ট করে কোনো তারিখ দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নিষ্ঠার সঙ্গে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা শিক্ষা উপমন্ত্রীর

নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান শুরুর প্রথম দিন মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের প্রতি আমার অনুরোধ নিষ্ঠার ও দায়িত্বের সঙ্গে কারিকুলাম বাস্তবায়ন করবেন ‘
শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ রাখবো— যেকোনও কারিকুলাম সর্বোচ্চ মানের হতে পারে, সর্বাধুনিক হতে পারে। কিন্তু যেসব শিখন ফল থাকবে তা অর্জনে যারা কারিকুলাম বাস্তবায়ন করবেন, সেই শিক্ষকরা হচ্ছেন সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মনোযোগ চাই, দক্ষতা ও মান অর্জনে সর্বোচ্চ কাজ করতে হবে আপনাদের। ’
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘যে পাইলটিং হচ্ছে তাতে শিক্ষকরাই জানবেন— কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এক নয়, সকল শিক্ষার্থীরও সমক্ষমতা এক নয়। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে শিখন ফল অর্জন ও পাঠ্যবইয়ে নির্ধারিত যে কার্যক্রমগুলো রয়েছে; বাস্তবে কোন কোন প্রেক্ষাপটে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য করতে পারছেন সেগুলো অবশ্যই বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রকারীদের কাছে জানাবেন। আপনাদের ইনপুটের উপর নির্ভর করতে আমাদের সফলতা। ’
উপমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর কম সময়ের মধ্যে করতে হচ্ছে। সে কারণে ভুল হতে পারে। আমরা কোভিডের সময় অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমে অভ্যস্ত হয়েছি। তাই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যার যতটুকু সামর্থ আছে উপকরণ আছে তার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবেন। মনে রাখতে হবে, কারিকুলাম পরিবর্তন হলে শিক্ষকদের রোল পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষকদের পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা নানাধরনের সফট স্কিল আমরা দেখতে চাই। বিশেষ করে স্মরণশক্তির মূল্যায়নের চেয়ে আমরার দক্ষতার মূল্যায়নে বিশেষভাবে জোর দিতে চাচ্ছি। সে কারণে আপনাদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সারা পৃথিবীতে যে পরিবর্তন এসেছে। শুধুমাত্র স্মরণ শক্তিনির্ভর ব্যবস্থায় দক্ষতা আনতে পারবো না। ’
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের শুধু ১০ বছর সময় আছে এসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু বের করে আনার। তাদের কাছ থেকে যদি উন্নতি ও সমৃদ্ধির ষিয়টি বের করতে না পারি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর টার্গেটে না পৌছাতে পারি, তাহলে আমাদের সামনে বিপদ অসবে। যেহেতু স্বল্প সময়ের মধ্যে যেহেতু শিক্ষার্থীদের দক্ষ করতে হবে। তাই কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতিটি বিষয় আপনাদের শুনতে হবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডর (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মশিজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক এবং সংশ্লষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে আনন্দে শিক্ষার্থীরা

স্কুলের মাঠে মনের আনন্দে বল নিয়ে খেলছে একদল ছাত্রী। দোতলায় আরেক দল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করছে। তারা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। অনেক দিন পর স্কুল খোলায় তারা বেশ আনন্দিত। এ দৃশ্য আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের। শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে সেখানে কথা হয় শিক্ষার্থী সৈয়দা তাসফিয়া তাবাসসুমের সঙ্গে। সে বলে, অনেক দিন পর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে তার খুবই ভালো লাগছে।
করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দ্বিতীয় ধাপে এক মাস বন্ধের পর আজ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সশরীর ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় আজ খুলেছে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী ২ মার্চে খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
করোনার কারণে ঘরবন্দী জীবন শেষে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী সৈয়দা তাসফিয়া তাবাসসুমের মতো অন্য শিক্ষার্থীরাও খুশি। একাধিক বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়গুলোতে খুব একটা ভিড় নেই। এর কারণ, সব শ্রেণিতে প্রতিদিন সশরীর ক্লাস হচ্ছে না।
এখন শুধু এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও নতুন করে দশম শ্রেণিতে ওঠা শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস হবে। অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে দুদিন এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে এক দিন করে সশরীর ক্লাস হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যে শিক্ষার্থীরা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে, তারাই কেবল শ্রেণিকক্ষে যেতে পারছে। এ ছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া যে শিক্ষার্থীদের বয়স এখনো ১২ বছরের কিছু কম, তারা আপাতত অনলাইনে ক্লাস করবে।
মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এর প্রতিফলন দেখা গেল। দোতলার ২০৭ নম্বর কক্ষে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক জোহরা শারমিন। তিনি জানালেন, অষ্টম শ্রেণিতে দুদিন সশরীর ক্লাস হবে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে অনলাইনে ক্লাস হবে।
পাশের ২০৬ নম্বর কক্ষে তখন দেখা গেল, একজন শিক্ষক ল্যাপটপের মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন। মো. হালিম শেখ নামের ওই শিক্ষক জানালেন, তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত ক্লাস নিচ্ছেন। কারণ, এদিন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সশরীর ক্লাস নেই। পরে পাঠদান নিয়ে কথা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আ. ছালাম খানের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সশরীর ক্লাসের বাইরের দিনগুলোতে অনলাইনে ক্লাস নেবেন তাঁরা। যে শিক্ষকেরা অনলাইনে ক্লাস নেবেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস নিতে হবে। কারণ, অনলাইনে ক্লাসের জন্যই তাঁরা বিদ্যালয়ে প্রযুক্তিগত সুবিধা বাড়িয়েছেন।
ছালাম খান জানান, তাঁদের সব শাখা মিলিয়ে মোট শিক্ষার্থী ২৭ হাজারের মতো। এর মধ্যে প্রায় সবাই দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছে। ৫০ জনের মতো এখনো দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি। এ ছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণির যে শিক্ষার্থীদের বয়স ১২ বছর হয়নি, তারা আপাতত অনলাইনেই ক্লাস করবে।
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, নিচতলার একাধিক শ্রেণিকক্ষে ক্লাস হচ্ছে। একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে দশম শ্রেণির (এসএসসি পরীক্ষার্থী) ক্লাস শেষ করে বের হওয়ার সময় কথা হয় শিক্ষক মো. আরিফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, জীববিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস নিয়েছেন তিনি। এ ক্লাসের প্রায় সবাই করোনার টিকা নিয়েছে। বন্ধের সময়ও তাঁরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছেন।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা শেষ করে কথা হয় শিক্ষার্থী নাহিদ হোসেনের সঙ্গে। সে জানায়, স্কুলে ফিরতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে। কারণ, স্কুলে ক্লাস হলে পড়াশোনা বেশি হয়। বাসায় ততটা পড়াশোনা হয় না। এর মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় আরও ভালো লাগছে।
বিদ্যালয়টিতে প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী আছে প্রায় তিন হাজার। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম বলেন, এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর টিকা নেওয়া শেষ হয়েছে। ১২ বছর না হওয়ায় মাধ্যমিকে সব মিলিয়ে ৬০ জনের মতো শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারেনি। তাঁরা মনে করছেন, ২ মার্চ যখন প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সশরীর ক্লাসে ফিরবে, তখন ১২ বছর না হওয়া মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরাও শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারবে।
দেশে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (১২ বছরের বেশি বয়সী) মোট শিক্ষার্থী প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ। মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (ইএমআইএস) এক কর্মকর্তা গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া হয়ে গেছে প্রায় সবার। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ৫০ লাখের মতো শিক্ষার্থী।
করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিল। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার, গতকাল সোমবার যা শেষ হয়েছে।
এনটিআরসিএ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ শুরু করল

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমের শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন এনটিআরসিএ পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) শাহীন আলম চৌধুরী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় চতুর্থ শিক্ষক নিয়োগ চক্রের কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণের তথ্য হার্ডকপি এবং সফট কপি নির্দিষ্ট ছক আকারে এনটিআরসিএর ইমেইলে পাঠাতে হবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুজিব শতবর্ষে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন নিবন্ধিত প্রার্থীরা। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে অনশন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
প্রেসক্লাবের ওই অনশন কর্মসূচি শেষে এনটিআরসিএর সামনে অনশন পালন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এনটিআরসিএর অনশন চলাকালীন আন্দোলনরতদের একটি প্রতিনিধি দল এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। চেয়ারম্যানের আশ্বাসে পরবর্তীতে অনশন স্থগিত করেন তারা।
১৪ মার্চ রাবি ছাত্রলীগের হল সম্মেলন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন আগামী ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত হল শাখার নির্বাচ আগামী ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
এ প্রসঙ্গে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জানান, আমরা ২০২০ সালে হল সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম। এজন্য প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্তও সংগ্রহ করা হয়েছিল্ম তবে অনিবার্য কারণে তখন সেটি সম্ভব হয়নি। এরপর করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই আমরা হল সম্মেলনের একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করতে চাচ্ছিলাম। তবে তা হচ্ছিল না। অবশেষে রাজশাহীর সিটি মেয়র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে এই তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালে সবশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি হলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এর পর আর হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য