আন্দোলন নিষিদ্ধ, জরিমানা ৫ টাকা

বহু পুরোনো এই প্রক্টরিয়াল বিধিমালা যুগোপযোগী করে তৈরির তাগিদ। এই বিধিমালা কবে তৈরি হয়েছিল, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি কেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কোনো অংশে কোনো ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি আয়োজন করা যাবে না। ক্যাম্পাসে স্বীকৃত সংসদ ও সংঘ ছাড়া কোনো ক্লাব, সমিতি কিংবা ছাত্রসংগঠন গঠন করতে দেওয়া হবে না।
এ নিয়মের কথা বলা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বিধিমালায়। এতে আরও বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা লঙ্ঘন কিংবা অসদাচরণ করলে তাঁকে প্রক্টর সর্বোচ্চ ২৫ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সহকারী প্রক্টরের জরিমানার ক্ষমতা সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রক্টরিয়াল বিধির কিছু নিয়ম অগণতান্ত্রিক। কিছু নিয়ম হাস্যকর। এসব নিয়ম যুগোপযোগী করা দরকার।
অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী মনে করেন, ঐতিহ্যগতভাবেই প্রক্টরিয়াল বিধির কিছু ধারার প্রয়োগ হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধি চর্চার জায়গা। এখানে আন্দোলন হবে, প্রতিবাদ হবে, কিন্তু সব করতে হবে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রেখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বিধিমালাটি ঠিক কবে তৈরি হয়েছিল, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কেউই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে যে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালের কাছাকাছি সময়েই করা হয়েছিল। বিধিমালা অনুযায়ী, প্রক্টর হলেন আবাসিক হলের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যেকোনো জায়গায় শিক্ষার্থীদের আচরণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নিয়োজিত কর্মকর্তা।
যা যা আছে বিধিতে
প্রক্টরিয়াল বিধিমালার ৭ ধারায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন বিভাগ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত ছাত্র সংসদ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী প্রক্টরের পূর্বানুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সভা করতে পারবেন না। বিধির ৬ ধারা বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত বা সম্মিলিতভাবে শিক্ষার্থী ধর্মঘট ডাকতে পারবেন না এবং কোনো শিক্ষার্থী অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে ক্লাস, গবেষণাগার কিংবা গ্রন্থাগারে যেতে বাধা দিতে পারবেন না। ধর্মঘটের দিনে ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি বাতিল হওয়ার জন্য নিজেরাই দায়ী থাকবেন, এমন কথাও বলা আছে প্রক্টরিয়াল বিধিমালায়।
৫ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে স্বীকৃত সংসদ ও সংঘ ছাড়া কোনো ক্লাব, সমিতি কিংবা ছাত্রসংগঠন গঠন করতে দেওয়া হবে না। প্রক্টরের পূর্বানুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো পার্টি কিংবা বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড করা যাবে না।
অবশ্য প্রক্টরিয়াল বিধিমালার এসব ধারার চর্চা বিরল। নিয়মিতই ক্যাম্পাসে নানা আন্দোলন হয়। অনেক সময় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তেই শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। কখনো কখনো একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করতেও অনুমতি দেওয়ার প্রবণতা কম দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন, গণ–অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির বিভিন্ন সংকটের মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি আন্দোলন না করতেন, তাহলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশের সংবিধানে যেখানে চিন্তা-বিবেকের স্বাধীনতা ও সংগঠন করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রক্টরিয়াল আইনে এমন বিধি থাকা গ্রহণযোগ্য নয়। আসলে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ভূত আমরা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি।’
নুরুল মনে করেন, প্রয়োগ নেই, তবে এ বিধিমালার অপব্যবহার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই বিধিটি সংশোধন করা দরকার।
৫ টাকা জরিমানা
প্রক্টরিয়াল বিধিতে শিক্ষার্থীরা নিয়ম না মানলে দুই ধরনের শাস্তির কথা বলা আছে। প্রক্টর ২৫ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন। যদি প্রক্টর মনে করেন এ জরিমানা যথেষ্ট নয়, সে ক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করতে পারবেন তিনি।
শৃঙ্খলা লঙ্ঘন কিংবা অসদাচরণের জন্য সহকারী প্রক্টররা শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা জরিমানা করতে পারেন।
ডাকসুর সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রক্টরিয়াল বিধিতে হাস্যকর কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো সংশোধন করে এ বিধিমালাকে গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা উচিত।
চার সপ্তাহ পর মঙ্গলবার সশরীর ক্লাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রায় চার সপ্তাহ ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ আছে। আবাসিক হল খোলা রেখে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। আগামী মঙ্গলবার থেকে সব বর্ষের সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম ‘যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে’ শুরু করার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর। এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুধু স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের সশরীর ক্লাস শুরু হবে। এর মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি সরকার ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও সবাইকে নিয়ে সশরীর ক্লাসের ঘোষণা দিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে পুনরায় শুরু হবে। এ ছাড়া পূর্বঘোষিত রুটিনভিত্তিক পরীক্ষাগুলো চলমান থাকবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলোও মঙ্গলবার থেকে যথারীতি খোলা থাকবে৷
করোনা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে গত ২১ জানুয়ারি দুই সপ্তাহের জন্য হল খোলা রেখে সশরীর ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়ালে ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও আপাতত সশরীর ক্লাসে যাচ্ছে না৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর ক্লাস খোলা থেকে বন্ধ করা—সব পর্যায়ে সরকারের সিদ্ধান্তই ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তি।
শিক্ষার্থীবিরোধী নিয়মে ঠাসা ঢাবির প্রক্টরিয়াল বিধিমালা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বীকৃত সংসদ ও সংঘ ছাড়া কোনো ক্লাব অথবা ছাত্রসংগঠন গঠন করা যাবে— এমন অনেক শিক্ষার্থীবিরোধী নিয়মে ঠাসা রয়েছে প্রক্টরিয়াল বডির নীতিমালা। যদিও এই নীতিমালাগুলোর বাস্তবিক কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না। তবুও অপব্যবহার হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে এর সংশোধন করা দরকার বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
প্রক্টরিয়াল বডির এই নিয়ম ঠিক কবে করা হয়েছে তা কেউ বলতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানলগ্নের সময় এটি প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রক্টরিয়াল বিধির কিছু নিয়ম অগণতান্ত্রিক। কিছু নিয়ম হাস্যকর। এসব নিয়ম যুগোপযোগী করা দরকার।
ঢাবির প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রক্টরিয়াল বিধিমালার ৫ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে স্বীকৃত সংসদ ও সংঘ ছাড়া কোনো ক্লাব, সমিতি কিংবা ছাত্রসংগঠন গঠন করতে দেওয়া হবে না। প্রক্টরের পূর্বানুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো পার্টি কিংবা বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড করা যাবে না। ৭ ধারায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন বিভাগ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত ছাত্র সংসদ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী প্রক্টরের পূর্বানুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সভা করতে পারবেন না।
৬ নং ধারায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত বা সম্মিলিতভাবে শিক্ষার্থী ধর্মঘট ডাকতে পারবেন না এবং কোনো শিক্ষার্থী অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে ক্লাস, গবেষণাগার কিংবা গ্রন্থাগারে যেতে বাধা দিতে পারবেন না। ধর্মঘটের দিনে ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি বাতিল হওয়ার জন্য নিজেরাই দায়ী থাকবেন, এমন কথাও বলা আছে প্রক্টরিয়াল বিধিমালায়।
প্রক্টরিয়াল বিধিতে শিক্ষার্থীরা নিয়ম না মানলে দুই ধরনের শাস্তির কথা বলা আছে। একজন শিক্ষার্থীকে প্রক্টর সর্বোচ্চ ২৫ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন। আর সহকারী প্রক্টর জরিমানা করতে পারেন ৫ টাকা। তবে যদি প্রক্টর মনে করেন এ জরিমানা যথেষ্ট নয়, সে ক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করতে পারবেন তিনি।
এসব বিধিমালার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, সংগঠন করা যাবে না বলে যেটি বলা হয়েছে সেটি আসলে সঠিক না। নীতিমালায় বলা হয়েছে সংগঠন করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধি চর্চার জায়গা। এখানে আন্দোলন হবে, প্রতিবাদ হবে, কিন্তু সব করতে হবে শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রেখে।
এসব বিধিমালার সংস্কার হওয়া দরকার বলে মনে করেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাদের মতে, ব্রিটিশ আমলে যে নিয়ম ছিল সেটিই প্রক্টরিয়াল বডির বিধিমালায় এখনো বজায় রয়েছে। এই নিয়মগুলোর পরিবর্তন হওয়া দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, যেসব বিধিমালার কথা বলা হচ্ছে সেগুলোর প্রয়োগ নেই। প্রয়োগ না হলেও এই নিয়মগুলোর অপব্যবহার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই এটি সংশোধন করা দরকার।
ডাকসুর সাবেক এজিএস ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রক্টরিয়াল বিধিমালায় এমন কিছু বিধি রয়েছে যেগুলো খুবই হাস্যকর। এই বিধিগুলো গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা উচিত।
বিইউপিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের ১১ ও ১২ তারিখে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিইউপি প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ৩ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ২০২০ ও ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীেক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ১১ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিনই বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত আর্টস ও সোশ্যাল সায়েন্স অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১২ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নেওয়া হবে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও খুলনায় একযোগে এসব ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মৌখিক পরীক্ষা হবে ঢাকায় বিইউপির ক্যাম্পাসেঅনুষ্ঠিত হবে।
বসন্তের কোকিলদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না: কাদের

ত্যাগীদের বাদ দিয়ে বসন্তের কোকিলদের নেতা বানালে দল দুর্বল হয়ে যাবে। আর তাই বসন্তের কোকিলদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আজ শনিবার এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি তাঁর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এখন থেকেই দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না, যদি না নিজেরা নিজেদের পরাজিত করে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মূল শক্তি।’
শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।
মন্তব্য