ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বন্ধ ঘোষণার পরও শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ, প্রভোস্টের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
বন্ধ ঘোষণার পরও শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ, প্রভোস্টের পদত্যাগ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে ক্যম্পাসে জড়ো হয়ে মিছিল মিটিং করছেন তারা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক শিক্ষার্থীকে সকালে হল ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে।

রোববার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিছু কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে গেলেও এখনো বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। তারা গোলচত্বরে অবস্থান নিয়েছেন। সকাল সোয়া নয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের ভেতরের বিভিন্ন রাস্তায় স্লোগান দিতে থাকেন।

রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় শিক্ষার্থীদের দ্বারা অবরুদ্ধ ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ ও শিক্ষকরা মুক্ত করতে গেলে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে মুক্ত করে বাসভবনে পৌঁছে দেয় পুলিশ।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেকেই হল ছাড়ছেন। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

প্রভোস্টের পদত্যাগ: এদিকে রোববার রাতে বেগম সিরাজুননেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধূরী।

প্রসঙ্গত, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে রোববার রাতে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ সাধারণ শিক্ষার্থী।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    নৌকায় ভোট দেওয়ায় মঙ্গা নেই উত্তরাঞ্চলে

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:২৫
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    নৌকায় ভোট দেওয়ায় মঙ্গা নেই উত্তরাঞ্চলে

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটি আধুনিক ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি গড়ে তুলে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশে রূপান্তর করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা আর কেউ ভবিষ্যতে থামাতে পারবে না।’

    প্রধানমন্ত্রী গতকাল রবিবার সকালে রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর বিভাগীয় কমপ্লেক্স মাল্টিপারপাস হলে মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারের উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সব উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ এবং আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।’ সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এর ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। মানুষ অনেক সচ্ছল হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। জাতির পিতা এ দেশকে নিয়ে, এ দেশের মানুষকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন—ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন, আমাদের লক্ষ্য আমরা সেটাই গড়তে চাই।’

    দেশের উত্তরাঞ্চলের একসময়ের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে আর কখনো যেন মঙ্গা বা দুর্ভিক্ষ দেখা না দেয় এবং এ দেশের মানুষ যেন আর কোনো কষ্ট না পায়।’

    শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েই রংপুরবাসী এই সুবিধাগুলো পেয়েছে, সেটা ভুললে চলবে না।

    সরকারপ্রধান বলেন, ‘রংপুরে ভূমিহীন বেশি ছিল। আমরা তাদের জমিসহ ঘর দিয়েছি।’ সূত্র : বাসস

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ঢাবির ৭ কলেজের বিষয় ও কলেজ নির্বাচনের ফল প্রকাশ

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ৯:১৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ঢাবির ৭ কলেজের বিষয় ও কলেজ নির্বাচনের ফল প্রকাশ

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির বিষয় ও কলেজ মনোনয়নের ফল প্রকাশিত হয়েছে।

      রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজসমূহের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

      বিষয় ও কলেজ মনোনয়নের ফলাফল cutt.ly/wEjvGJE ওয়েবসাইটে লগইন করে দেখা যাবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন ও ভর্তির বিষয়ে চলতি সপ্তাহে ওয়েবসাইটে জানানো হবে।

      এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত কলেজের বিজ্ঞান অনুষদ, বাণিজ্য অনুষদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা কলেজ ও বিষয় পছন্দ করেন।

      গত বছরের ৫, ৬ নভেম্বর সাত কলেজের বাণিজ্য, বিজ্ঞান অনুষদ এবং ১৭ নভেম্বর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

      উল্লেখ্য, সাত কলেজের তিনটি ইউনিটে এ বছর মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ৯:০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

        শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা এবং পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

        রোববার (১৬ জানুয়ারি) হামলার ঘটনার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

        আন্দোলনরত শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

        সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্ট জাবি শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমান বলেন, এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলতেন, 'শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি করার আগে আমাদের গায়ে করতে হবে।' অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশ ডেকে এনে নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করাচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যান্ত দুঃখজনক।

        এদিকে এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ। বিক্ষোভ মিছিলটি জিয়া মোড় এলাকা থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমবেত হয়ে। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

        সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের নেতৃবৃন্দ বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছিল। সে আন্দোলনে গতকাল (শনিবার) ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলা চালিয়েছিল সেখানে সরাসরি শাবির প্রক্টর জড়িত ছিল। আজকে সেই হামলার প্রতিবাদে আজ পুনরায় আন্দোলন করার সময় ভিসির মদদে পুলিশ নিয়ে এসে ছাত্রীদের উপর হামলা করা হয়। এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর হতে পারে না। যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তারাই ক্যাম্পাসে পুলিশ নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। অনতিবিলম্বে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

        এর আগে রোববার বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেন তারা। এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দেব ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা হলের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তাদের হল প্রভোস্টকে বলেছিল। কিন্তু তাদের দাবি কেউ মাথায় নেয়নি। বাধ্য হয়ে ছাত্রীরা যখন আন্দোলন নামে তখন ছাত্রলীগ সেখানে হামলা চালায়। তখন প্রক্টরিয়াল বডির লোকজন ছিল। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন ছাত্রলীগ নাকি সেখানে হামলা করে নাই। শিক্ষার্থীরা নাকি নিজেরাই আহত হয়েছে। ছাত্রলীগ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও প্রক্টর সেটা ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিচ্ছেন। ।

        এছাড়া আন্দোলনরত শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর পুলিশি হামলায় দোষীদের শাস্তি ও ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে পুলিশ ঢুকিয়ে টিয়ারশেল-রাবার বুলেট-সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার নির্দেশনা দেওয়ায় মত জঘণ্য অপরাধ করায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ভিসির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

        সংবাদ বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সুজয় শুভ ও সদস্য সচিব আলিসা মুনতাজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় যৌক্তিক দাবীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর পুলিশী হামলা আমাদের আতঙ্কিত করেছে। আমরা মনে করি এহেন কর্মকান্ডের পরে শাবিপ্রবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এর আর একদিনও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার নৈতিক অধিকার নেই।

        উল্লেখ্য, শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির সকল সদস্যের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন নামলে শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনারই প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          আবার নারায়ণগঞ্জের মেয়র আইভী

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৪৩
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          আবার নারায়ণগঞ্জের মেয়র আইভী

          টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ১৯২টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।

          রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৮টায় নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার ফল ঘোষণা করেন। বিকেল ৫টায় ভোট গণনার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এগিয়ে ছিলেন।

          ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ১৯২ কেন্দ্রে নৌকাপ্রার্থী আইভী এক লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।

          এ নিয়ে আইভী তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

          এর আগে, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোটে আবার নির্বাচিত হন।

          এবারে নির্বাচনে আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

          সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন আইভী। ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন (এখন পৌর মেয়র বলা হয়)। সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দুবার নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত