এবার নেতানিয়াহু ও নিজেকে ‘যুদ্ধবীর’ খেতাব দিলেন ট্রাম্প

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তা সত্ত্বেও তাকে ‘যুদ্ধবীর’ আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রক্ষণশীল রেডিও সঞ্চালক মার্ক লেভিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প নেতানিয়াহু সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি একজন ভালো মানুষ। তিনি সেখানে লড়ছেন… তিনি একজন যুদ্ধবীর, কারণ আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তিনি যুদ্ধবীর। আমি মনে করি আমিও তাই’। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
ট্রাম্প এ সময় গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করার প্রচেষ্টাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘তারা আসলে তাকে কারাগারে ঢোকানোর চেষ্টা করছে’।
তবে ট্রাম্প এখানে আইসিসি পরোয়ানার কথা বলেছেন নাকি নেতানিয়াহুর দেশীয় দুর্নীতি মামলার কথা বলেছেন, তা পরিষ্কার নয়। ট্রাম্প গত জুনেই অবশ্য প্রকাশ্যে নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলা বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন।
২০২০ সাল থেকে বিচারের মুখোমুখি নেতানিয়াহু ইসরাইলের ইতিহাসে প্রথম নেতা, যিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ফৌজদারি অপরাধে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন।
এদিকে আইসিসি গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের নভেম্বরে নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
অন্যদিকে, গাজায় নির্মম আগ্রাসন চালানোর কারণে ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যা মামলার মুখোমুখি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই সামরিক অভিযানে পুরো গাজা বিধ্বস্ত হয়ে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, অতীতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে আলোচনায় ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্ত করতে তিনি ‘কঠোর পরিশ্রম’ করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘আমি-ই সব জিম্মিকে ফিরিয়ে এনেছি… আমি অসংখ্য চিঠি পেয়েছি অভিভাবকদের কাছ থেকে, শিশুদের কাছ থেকে এবং উদ্ধার পাওয়া মানুষদের কাছ থেকে। এদের কেউই ফেরত আসতে পারত না, যদি আমি তাদের ফিরিয়ে না আনতাম’।
এছাড়াও তিনি জুন মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার কথাও গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ওই বিমানগুলো পাঠিয়েছিলাম… কাজ সেরে পাইলটরা এলো। আমি তাদের পুরস্কৃত করেছি। পুরো অভিযানের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ওভাল অফিসে ডেকেছিলাম। এটি ছিল সম্পূর্ণ নিখুঁত… একেবারে সম্পূর্ণ ধ্বংস'।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ডেমোক্রেটদেরও আক্রমণ করেন এবং সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমারকে ফিলিস্তিনপন্থি বলে অভিযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে ডেমোক্রেটরা… বিশেষ করে শুমার এখন ফিলিস্তিনি। আমরা তাকে নিউ ইয়র্কের ফিলিস্তিনি সিনেটর বলি’।
হামাসের ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, কী বলছে ইসরাইল

হামাসের দেওয়া ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের প্রস্তাব ইসরাইল গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুজন কর্মকর্তা। তবে ইসরাইলের অবস্থান স্পষ্ট—যুদ্ধ শেষ হবে কেবল তখনই, যখন গাজায় থাকা ৫০ জন জিম্মির (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত) সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রস্তাবের মূল বিষয়গুলো
হামাসের প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০ জন জীবিত ও ১৮ জন মৃত জিম্মির বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দির (এর মধ্যে নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্কও থাকবে) মুক্তি।
এছাড়া ফিলিস্তিনিদের মানবিক দিক বিবেচনায় গাজা থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহার ও আরও বেশি ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের সুযোগ। তবে ইসরাইল বর্তমানে গাজার ৭৫% এলাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
মূলত, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আলোচনার অংশ হিসেবে এই প্রস্তাব এসেছে।
তবে ইসরাইলের দাবি, সব ৫০ জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত না হলে যুদ্ধ শেষ নয়।
প্রস্তাবের বিষয়ে হামাস কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত এই যুদ্ধবিরতি একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি, যা ভবিষ্যতে যুদ্ধ শেষ করার আলোচনার পথ খুলবে।
আলোচনার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার হামাস কোনো অতিরিক্ত শর্ত ছাড়াই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।
সামরিক পরিস্থিতি
এদিকে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে গাজা সিটি দখলের চার ধাপের পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়:
১. দক্ষিণ গাজায় মানবিক অবকাঠামো তৈরি,
২. গাজা সিটি থেকে জনগণকে সরিয়ে নেওয়া,
৩. শহর ঘিরে ফেলা,
৪. স্থল অভিযান শুরু করা।
এমন প্রেক্ষাপটে এরই মধ্যে হাজারো ফিলিস্তিনি নতুন আক্রমণের আশঙ্কায় পশ্চিম ও দক্ষিণে পালিয়ে গেছে। মঙ্গলবারই ইসরাইলি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপ
এদিকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবি জানাচ্ছে।সেই সঙ্গে জিম্মিদের পরিবারগুলো যুদ্ধবিরতি ও মুক্তির দাবিতে আন্দোলন জোরদার করেছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার কট্টর ইহুদিপন্থি জোটসঙ্গীদের চাপে রয়েছেন।এদের মধ্যে দুই মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন-গভির যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ও গাজা দখলের পক্ষে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, এখনো মূল মতপার্থক্য রয়েছে। ইসরাইল চায় হামাস অস্ত্র সমর্পণ করুক এবং নেতৃত্ব গাজা ত্যাগ করুক—যা হামাস এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে।
দখলদার ইসরাইলের ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় অবিরত হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত ৬২,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে (যোদ্ধা ও বেসামরিক আলাদা করা হয়নি)।
সেই সঙ্গে টানা অবরোধের মুখে গাজায় তীব্র মানবিক বিপর্যয় চলছে। উপত্যাকাটির অধিকাংশ মানুষই এখন বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সূত্র: রয়টার্স
মরদেহ নয়, কেবল মাথা— মেক্সিকোতে সড়কে মিলল ৬ ব্যক্তির কাটা মাথা

উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে ৬টি কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলে একটি সড়ক থেকে মরদেহহীন ওই ছয়টি কাটা মানবমাথা উদ্ধার করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এলাকাটি সাধারণত মাদকচক্রের সহিংসতার জন্য পরিচিত নয়। বুধবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে এই মাথাগুলো পুয়েবলা ও ত্লাক্সকালা প্রদেশের মধ্যে সংযোগকারী একটি সড়কে পাওয়া যায়। পুলিশ এখনো হত্যাকাণ্ডের কারণ জানায়নি এবং মেক্সিকোর কোন অপরাধী গোষ্ঠী এর পেছনে থাকতে পারে সে বিষয়েও কিছু বলেনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি কম্বল ফেলে রাখা হয়েছিল, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর উদ্দেশে হুমকি লেখা ছিল। বার্তাটি “লা বারেদোরা” (অর্থাৎ ‘দ্য সুইপার’) নামে স্বাক্ষরিত ছিল। পশ্চিমাঞ্চলীয় গুয়েরেরো প্রদেশে এ নামে একটি ছোট অপরাধী সংগঠন সক্রিয় থাকলেও এ হামলার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাথাগুলো পুরুষদের এবং এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিবিসি বলছে, এ অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের পাশাপাশি জ্বালানি চোরাচালান বা “হুয়াচিকোলেও” নামের অবৈধ কার্যক্রমও বড় সমস্যা। এর মাধ্যমে প্রতি বছর অপরাধী গোষ্ঠীগুলো বিলিয়ন ডলার আয় করে।
এখন পর্যন্ত ফেডারেল কর্তৃপক্ষ এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ঘটনাটি ঘটল এমন এক সময়ে, যখন প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউমের প্রশাসন দেশজুড়ে ফেন্টানিল পাচারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে।
মূলত পুয়েবলা ও ত্লাক্সকালা সাধারণত দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ভয়াবহ কার্টেল সহিংসতার শিকার নয়। এর আগে গত জুনে সিনালোয়া প্রদেশে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়, যাদের মধ্যে চারজনের মাথা কাটা ছিল। ওই প্রদেশটি দীর্ঘদিন ধরে চরম গ্যাং সহিংসতায় জর্জরিত।
এ ছাড়া গত মে মাসে গুয়ানাহুয়াতো প্রদেশে একটি ক্যাথলিক উৎসবে গুলি চালিয়ে সাত তরুণকে হত্যা করা হয়।
মেক্সিকোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদকচক্রগুলোর মধ্যে সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০০৬ সালে সরকার গ্যাং দমনে সেনা মোতায়েনের পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লাখো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
রাশিয়ার ট্রেনে ইউক্রেনের হামলা, ‘বেঁচে নেই কেউ’

রাশিয়ার জ্বালানীবাহী একটি ট্রেনে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের নাশকতাকারীরা। ইউক্রেনপন্থি সূত্র জানিয়েছে, ভিন্নধর্মী এ হামলা চালানো হয়েছে রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে।
সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অকোপেশনের পেত্রো আন্দ্রেওইসেচেঙ্কো টেলিগ্রাম চ্যানেলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হামলায় ট্রেনে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “জীবিত কোনো কিছু (ট্রেনে) রাখা হয়নি।”
হামলা ও হতাহত এড়াতে রুশ বাহিনী রাতের বেলা জ্বালানি ও অন্যান্য কাজ করে বলে দাবি করেন তিনি। তবে তা সত্ত্বেও ইউক্রেনের নাশকতাকারীরা সফলভাবে ট্রেনে হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “যারা জিজ্ঞেস করেছিল কেন রুশরা জ্বালানি ও গাড়ি রাতে পরিবহণ করছিল। এ কারণেই। যেন ক্ষয়ক্ষতি এড়ানে যায়। কিন্তু তাদের এ কৌশল কাজে আসেনি। ট্রেনে হামলা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক অনন্য অভিযান।”
সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনটির একাধিক জায়গায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
হামলার ব্যাপারে ইউক্রেন বা রাশিয়ার সরকারের কেউ কোনো মন্তব্য করেনি।
জানা গেছে, হামলায় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এটি জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের উরোজায়াঙ্ক এবং তোকমাকের মাঝামাঝি জায়গায় হামলার শিকার হয়। তবে হামলাটি কীভাবে চালানো হয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
যেখানে হামলাটি হয়েছে সেটি ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থান থেকে অনেক দূরে এবং গভীরে। এরআগেও ইউক্রেন নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের অঞ্চলে বড় বড় হামলা চালিয়েছে।
বিশেষ করে গত জুনে রাশিয়ার ভেতরে একাধিক ঘাঁটিতে ১০০ ড্রোন দিয়ে গোপন হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে দেশটির বেশ কয়েকটি বিমান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সূত্র: এক্সপ্রেসইউকে
জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পর যা বললেন ন্যাটোপ্রধান

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতা ও ন্যাটো অংশীদারদের বৈঠকটি খুবই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) ফক্স নিউজের ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’ অনুষ্ঠানে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ন্যাটোপ্রধান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সেখানে স্থলসেনা মোতায়েন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে রোববার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টানা কয়েক ঘণ্টা কয়েক দফা বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগেমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি টেলিফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক চলার মধ্যেই পুতিনকে ফোন করেন তিনি।
তবে কবে, কোথায় জেলেনস্কি–পুতিন বৈঠক হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘ওই বৈঠকের পর আমাদের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে। সেখানে দুই প্রেসিডেন্টের (পুতিন ও জেলেনস্কি) সঙ্গে আমি থাকব। আবারও বলছি, প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের জন্য এটি একটি খুব ভালো ও প্রাথমিক পদক্ষেপ।’
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিনের মাথায় গতকাল হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কিসহ ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠক করলেন ট্রাম্প।
বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য