বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপারেশন অ্যালার্ট’ শুরু করেছে বিএসএফ

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মেঘালয় রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ‘অপারেশন অ্যালার্ট’ শুরু করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই অভিযান আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃবিতে বিএসএফ বলছে, মেঘালয় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে বিএসএফ। বিএসএফের সদর দপ্তর ও সেক্টর সদর দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সীমান্তে উপস্থিত হয়ে সরাসরি এই অভিযানের তদারকি করছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসএফের ‘অপারেশন অ্যালার্ট’ অভিযানে সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা টহল, আকস্মিক তল্লাশি ও নৌপথে টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া গবাদি পশু পাচার, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নাইট ভিশন সরঞ্জাম ও ভ্রাম্যমান টহল দলের সহায়তায় সমন্বিত স্থল ও নৌপথ টহলের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ স্থল ও নৌপথ সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
বিএসএফ শিলং ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তরের পরিদর্শক জেনারেল ওপি উপাধ্যায় বর্তমানে সীমান্তে অবস্থান করছেন। দেশটির বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতাদিবসের উৎসব চলাকালীন জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা ও শত্রুপক্ষের যেকোনও বিঘ্ন সৃষ্টির প্রচেষ্টা ঠেকাতে অপারেশন অ্যালার্ট শুরু করা হয়েছে। ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এই অভিযান চলবে এবং পুরো মেঘালয় সীমান্তজুড়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় থাকবে।
এদিকে, চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (২৫ এপ্রিল-২৫ জুলাই) সময়ে উচ্চ সতর্কতা ও কার্যকর অভিযানে মেঘালয় সীমান্তে মোট ৩৩টি গুরুত্বপূর্ণ জব্দের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
এ সময় ২৩ ভারতীয় ও ১২ বাংলাদেশি নাগরিক আটক করা হয়। এছাড়া ৩৯ লাখের বেশি রুপির মূল্যের পণ্যও জব্দ করেছে দেশটির এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সম্প্রতি মেঘালয় সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩১ লাখ রুপির বেশি মূল্যের মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ করেছে বিএসএফ। মোবাইল ডিসপ্লে জব্দের এই ঘটনাকে চোরাচালানের নতুন প্রবণতা বলছে ভারতীয় এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
একই সময়ে মেঘালয় সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানে জড়িত অভিযোগে ১১৬ বাংলাদেশি ও ৩৪ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিএসএফ।
সূত্র: এএনআই
ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ চার স্থাপনায় হুথিদের হামলা

ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ চার স্থাপনায় বড় ধরনের হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠি। তাদের ভাষ্য— গাজায় চলমান ইসরাইলি অভিযান এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ‘নৃশংসতা’র জবাবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, হামলাটি চালানো হয়েছে ইসরাইলের চারটি স্থাপনা হচ্ছে— হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ (আইলাত) ও বিরসেবা।
তিনি দাবি করেন, এই অভিযানে ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে এবং সবগুলোই নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।
সামরিক মুখপাত্র আরও বলেন, গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন থামানো না হলে, এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে হুথিদের এই হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হুথিদের হামলার প্রেক্ষাপট তৈরির পেছনে গাজায় ইসরাইলি হামলা ও অবরোধ বড় কারণ বলে দাবি করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় অন্তত ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষ। এই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন আরও ৫১৩ জন।
এছাড়া অনাহারের কারণেও গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। মন্ত্রণালয় জানায়, খাবারের অভাবে আরও পাঁচজন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে, যার মধ্যে ১০৩ জনই শিশু।
হুথিরা গত কয়েক মাসে তারা প্রায় নিয়মিতভাবে ইসরাইল অভিমুখে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। তবে হাইফা বন্দরের মতো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলার দাবি এবারই অন্যতম বড় ঘটনা।
সূত্র: আলজাজিরা
ইসরায়েলের জন্য লুকিয়ে অস্ত্র আনছিল সৌদি জাহাজ, ইতালিতে আটক

ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র বহন করার অভিযোগে ইতালির জেনোয়া বন্দরের শ্রমিকরা সৌদি আরবের একটি পণ্যবাহী জাহাজ আটকে দিয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) ‘বাহরি ইয়ানবু’ নামের জাহাজে এ ঘটনা ঘটে। জাহাজটি সৌদি শিপিং কোম্পানি ‘বাহরি’ পরিচালনা করে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর থেকে আসা এ জাহাজে ইতালির প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো নির্মিত সামরিক সরঞ্জাম তোলার কথা ছিল। এর মধ্যে আবু ধাবির জন্য তৈরি একটি ওটো মেলারা কামানসহ ট্যাংক বা ভারী অস্ত্রও ছিল বলে জানা গেছে।
ইতালির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৪০ জন বন্দরশ্রমিক জাহাজে উঠে পরিদর্শনের পর দেখতে পান, জাহাজে ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে।
স্বশাসিত পোর্ট ওয়ার্কার্স কালেক্টিভ ও ইউনিয়ন সিন্ডিকাল দি বেস-এর সদস্য হোসে নিভোই বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের জন্য কাজ করি না’। তিনি জানান, বন্দরের কর্তৃপক্ষ অস্ত্র পাচার বিষয়ে ‘স্থায়ী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইতালির শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য এ ধরনের অস্ত্র সামগ্রী ব্যবস্থাপনা করা ইসরায়েলের গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধে সহায়তার শামিল। তারা যে কোনো উপায়ে এ ধরনের অস্ত্র খালাসে নিষেধাজ্ঞার অঙ্গীকার করেন।
২০১৯ সালেও জেনোয়া বন্দরের শ্রমিকরা একই জাহাজে অস্ত্রবাহী চালান আটক করেছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে ইসরায়েলের জন্য নির্ধারিত অস্ত্র চালান আটকে দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। চলতি বছরের ৪ জুন ফরাসি ডক শ্রমিকরা মার্সেই বন্দরে ইসরায়েলগামী অস্ত্রের অংশ খালাসে অস্বীকৃতি জানান।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের দখল ও অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শিশুসহ বহু মানুষ অনাহারে মারা গেছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আগে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানালেও, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোপনে ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে সাবেক সৌদি গোয়েন্দা কর্নেল রাবিহ আল-আনজি স্বীকার করেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পশ্চিমা অস্ত্রের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় রিয়াদ হামাসবিরোধী যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। এ বছর জুনে তিনি আরও জানান, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা দিতে সৌদি আকাশসীমা উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল এবং ইরানি ড্রোন আটকাতেও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি শিপিং কোম্পানি ‘বাহরি’। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ তারা জানায়, ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে সৌদি আরবের নীতির প্রতি এবং সব আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নীতিমালার প্রতি বাহরি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোম্পানিটি কখনো ইসরায়েলে কোনো পণ্য পাঠায়নি বা এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত হয়নি। তাদের সব কার্যক্রম কঠোর পর্যালোচনা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। বাহরি অভিযোগ করেছে, এ ধরনের খবর তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে এবং প্রয়োজনে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।
‘সাংবাদিকদের তালিকা ধরে হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী’

গাজায় কর্মরত সাংবাদিকরা সরাসরি টার্গেটের শিকার হচ্ছেন, এমনকি তাদের নাম ইসরায়েলি বাহিনীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে যাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা যায়—গাজা যুদ্ধ কভার করা এক সাংবাদিক এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর মেহের নিউজের।
গাজার পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকরা অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে খবর সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭০ জন সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীকে হত্যা করেছে।
রবিবার ইসরায়েলি বাহিনী আল-জাজিরার পাঁচজন কর্মীকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে ছিলেন আল-জাজিরা প্রতিবেদক আনাস আল-শরীফ ও মোহাম্মদ কারাকা, ফটোগ্রাফার ইব্রাহিম জাহের ও মোহাম্মদ নোফাল। এই হামলাটি গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে তাদের মিডিয়া টেন্টে সরাসরি চালানো হয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রমাণ করে সাংবাদিকদের ওপর বাড়তে থাকা প্রাণঘাতী হুমকিকে, যারা চলমান সংকট কভার করার চেষ্টা করছেন।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির বাস্তবতা বোঝাতে গাজায় কর্মরত একজন স্থানীয় সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
গাজার যুদ্ধ নথিবদ্ধ করা ফটোসাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ আসাদ মেহের নিউজ এজেন্সিকে বলেন, দুই বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সাংবাদিকরা এমন সব প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন যা বিশ্বের কোনো যুদ্ধ ফটোগ্রাফার আগে কখনো দেখেননি।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন ও জ্বালানি নেই, নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই—যেসব বুলেটপ্রুফ ভেস্ট আমরা ব্যবহার করি, সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। আমাদের সরাসরি টার্গেট করা হয়, সাংবাদিকদের নাম সেনাবাহিনীর তালিকায় রাখা হয় পরিকল্পিত হত্যার জন্য। কেউ কেউ ‘রেড জোন’-এ টার্গেট হয়েছেন, আবার কেউ রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আসাদ আরো জানান, তাদের বাড়ি ও অফিস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম নষ্ট হয়েছে। সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিপূরণের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পাশাপাশি, কখনো কখনো যে মোবাইল ফোন দিয়ে খবর পাঠানোর চেষ্টা করি, তার ব্যাটারি শেষ হয়ে আসে, সবসময় চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আমরা যতটুকু সম্ভব কাজ করার চেষ্টা করি, কিন্তু অনেক ঘটনায় পৌঁছানো সম্ভব হয় না। অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে যা আমরা নথিভুক্ত করতে পারি না, কারণ তীব্র গুলিবর্ষণ ও দখলদার বাহিনীর আরোপিত সম্পূর্ণ অবরোধে ক্যামেরা দিয়ে সেগুলো ধারণ করাই সম্ভব হয় না।
সবশেষে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধ থামাতে ও সাংবাদিকদের সাহায্য করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের অবশ্যই গাজায় আসতে হবে। দূর থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে সংহতি জানানো যথেষ্ট নয়, এটা এখানে পরিস্থিতি বদলাতে পারে না। দখলদার বাহিনী পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ চালানোর ও গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় আসা প্রয়োজন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এখানকার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঋণের ‘২৬০ কোটি টাকা’ ফেরত দেয়নি বাংলাদেশ, দাবি করল পাকিস্তান

পাঁচটি দেশকে ঋণ হিসেবে দেওয়া ৩০৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির সরকারি অডিটে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
পাক সংবাদমাধ্যম সামা টিভি মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকরি অডিটে দেখা গেছে পাঁচটি দেশের কাছ কয়েক দশক পুরোনো ঋণের অর্থ আদায় করতে পারছে না পাকিস্তান।
কয়েক দফা কূটনৈতিক এবং আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গত ৪০ বছর ধরে এসব ঋণ অমিমাংসিত হয়ে আছে।
অডিটের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের থেকে ঋণ নিয়ে এখনো ফেরত দেয়নি শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইরাক, সুদান এবং গিনি বিসাউ। ১৯৮০ ও ৯০ সালের দিকে রপ্তানি ঋণের মাধ্যমে এসব অর্থ দেওয়া হয়েছিল।
এরমধ্যে শুধু ইরাকের কাছ থেকে ২৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, সুদানের কাছে ৪৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন, বাংলাদেশ থেকে ২১ দশমিক ৪ মিলিয়ন এবং গিনি-বিসাউয়ের কাছে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে বলে অডিটে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
পাকিস্তানের এ অডিটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে চিনি কারখানা ও সিমেন্টের প্রজেক্টের জন্য এ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ডলারের হিসেবে এটি ২৬০ কোটি টাকারও বেশি।
সামা টিভি জানিয়েছে, ২০০৬-০৭ সালে সর্বপ্রথম এ বিষয়টি সামনে এনেছিল অডিটর জেনারেল অফিস। কিন্তু এসব অর্থ আদায়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসব অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। ঋণ নেওয়া দেশগুলোর কাছে বিভিন্ন পত্র পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এতে কাজ হয়নি।
সূত্র: সামা টিভি
মন্তব্য