ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

ইসরায়েলের জন্য লুকিয়ে অস্ত্র আনছিল সৌদি জাহাজ, ইতালিতে আটক

অনলাইন ডেস্ক
১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৪
অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের জন্য লুকিয়ে অস্ত্র আনছিল সৌদি জাহাজ, ইতালিতে আটক

ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র বহন করার অভিযোগে ইতালির জেনোয়া বন্দরের শ্রমিকরা সৌদি আরবের একটি পণ্যবাহী জাহাজ আটকে দিয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) ‘বাহরি ইয়ানবু’ নামের জাহাজে এ ঘটনা ঘটে। জাহাজটি সৌদি শিপিং কোম্পানি ‘বাহরি’ পরিচালনা করে বলে জানা গেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর থেকে আসা এ জাহাজে ইতালির প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান লিওনার্দো নির্মিত সামরিক সরঞ্জাম তোলার কথা ছিল। এর মধ্যে আবু ধাবির জন্য তৈরি একটি ওটো মেলারা কামানসহ ট্যাংক বা ভারী অস্ত্রও ছিল বলে জানা গেছে।


ইতালির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৪০ জন বন্দরশ্রমিক জাহাজে উঠে পরিদর্শনের পর দেখতে পান, জাহাজে ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে।


স্বশাসিত পোর্ট ওয়ার্কার্স কালেক্টিভ ও ইউনিয়ন সিন্ডিকাল দি বেস-এর সদস্য হোসে নিভোই বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের জন্য কাজ করি না’। তিনি জানান, বন্দরের কর্তৃপক্ষ অস্ত্র পাচার বিষয়ে ‘স্থায়ী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


ইতালির শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য এ ধরনের অস্ত্র সামগ্রী ব্যবস্থাপনা করা ইসরায়েলের গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধে সহায়তার শামিল। তারা যে কোনো উপায়ে এ ধরনের অস্ত্র খালাসে নিষেধাজ্ঞার অঙ্গীকার করেন।


২০১৯ সালেও জেনোয়া বন্দরের শ্রমিকরা একই জাহাজে অস্ত্রবাহী চালান আটক করেছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে ইসরায়েলের জন্য নির্ধারিত অস্ত্র চালান আটকে দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। চলতি বছরের ৪ জুন ফরাসি ডক শ্রমিকরা মার্সেই বন্দরে ইসরায়েলগামী অস্ত্রের অংশ খালাসে অস্বীকৃতি জানান।


গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের দখল ও অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শিশুসহ বহু মানুষ অনাহারে মারা গেছে।


ইসরায়েলের সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আগে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানালেও, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গোপনে ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে সাবেক সৌদি গোয়েন্দা কর্নেল রাবিহ আল-আনজি স্বীকার করেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পশ্চিমা অস্ত্রের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় রিয়াদ হামাসবিরোধী যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। এ বছর জুনে তিনি আরও জানান, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা দিতে সৌদি আকাশসীমা উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল এবং ইরানি ড্রোন আটকাতেও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।


তবে এ অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি শিপিং কোম্পানি ‘বাহরি’। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ তারা জানায়, ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে সৌদি আরবের নীতির প্রতি এবং সব আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নীতিমালার প্রতি বাহরি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোম্পানিটি কখনো ইসরায়েলে কোনো পণ্য পাঠায়নি বা এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত হয়নি। তাদের সব কার্যক্রম কঠোর পর্যালোচনা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। বাহরি অভিযোগ করেছে, এ ধরনের খবর তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে এবং প্রয়োজনে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ‘সাংবাদিকদের তালিকা ধরে হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী’

    অনলাইন ডেস্ক
    ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৫৭
    অনলাইন ডেস্ক
    ‘সাংবাদিকদের তালিকা ধরে হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী’

    গাজায় কর্মরত সাংবাদিকরা সরাসরি টার্গেটের শিকার হচ্ছেন, এমনকি তাদের নাম ইসরায়েলি বাহিনীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে যাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা যায়—গাজা যুদ্ধ কভার করা এক সাংবাদিক এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর মেহের নিউজের।


    গাজার পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকরা অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে খবর সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭০ জন সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীকে হত্যা করেছে।


    রবিবার ইসরায়েলি বাহিনী আল-জাজিরার পাঁচজন কর্মীকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে ছিলেন আল-জাজিরা প্রতিবেদক আনাস আল-শরীফ ও মোহাম্মদ কারাকা, ফটোগ্রাফার ইব্রাহিম জাহের ও মোহাম্মদ নোফাল। এই হামলাটি গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে তাদের মিডিয়া টেন্টে সরাসরি চালানো হয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রমাণ করে সাংবাদিকদের ওপর বাড়তে থাকা প্রাণঘাতী হুমকিকে, যারা চলমান সংকট কভার করার চেষ্টা করছেন।


    এই ভয়াবহ পরিস্থিতির বাস্তবতা বোঝাতে গাজায় কর্মরত একজন স্থানীয় সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।


    গাজার যুদ্ধ নথিবদ্ধ করা ফটোসাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ আসাদ মেহের নিউজ এজেন্সিকে বলেন, দুই বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সাংবাদিকরা এমন সব প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন যা বিশ্বের কোনো যুদ্ধ ফটোগ্রাফার আগে কখনো দেখেননি। 

    তিনি বলেন, আমাদের কাছে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন ও জ্বালানি নেই, নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই—যেসব বুলেটপ্রুফ ভেস্ট আমরা ব্যবহার করি, সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। আমাদের সরাসরি টার্গেট করা হয়, সাংবাদিকদের নাম সেনাবাহিনীর তালিকায় রাখা হয় পরিকল্পিত হত্যার জন্য। কেউ কেউ ‘রেড জোন’-এ টার্গেট হয়েছেন, আবার কেউ রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন।


    আসাদ আরো জানান, তাদের বাড়ি ও অফিস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম নষ্ট হয়েছে। সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিপূরণের কোনো সুযোগ নেই।


    তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পাশাপাশি, কখনো কখনো যে মোবাইল ফোন দিয়ে খবর পাঠানোর চেষ্টা করি, তার ব্যাটারি শেষ হয়ে আসে, সবসময় চার্জ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আমরা যতটুকু সম্ভব কাজ করার চেষ্টা করি, কিন্তু অনেক ঘটনায় পৌঁছানো সম্ভব হয় না। অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে যা আমরা নথিভুক্ত করতে পারি না, কারণ তীব্র গুলিবর্ষণ ও দখলদার বাহিনীর আরোপিত সম্পূর্ণ অবরোধে ক্যামেরা দিয়ে সেগুলো ধারণ করাই সম্ভব হয় না।


    সবশেষে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধ থামাতে ও সাংবাদিকদের সাহায্য করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের অবশ্যই গাজায় আসতে হবে। দূর থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে সংহতি জানানো যথেষ্ট নয়, এটা এখানে পরিস্থিতি বদলাতে পারে না। দখলদার বাহিনী পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ চালানোর ও গাজা উপত্যকার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় আসা প্রয়োজন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এখানকার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

    মন্তব্য

    ঋণের ‘২৬০ কোটি টাকা’ ফেরত দেয়নি বাংলাদেশ, দাবি করল পাকিস্তান

    অনলাইন ডেস্ক
    ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:৫৫
    অনলাইন ডেস্ক
    ঋণের ‘২৬০ কোটি টাকা’ ফেরত দেয়নি বাংলাদেশ, দাবি করল পাকিস্তান

    পাঁচটি দেশকে ঋণ হিসেবে দেওয়া ৩০৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির সরকারি অডিটে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। 


    পাক সংবাদমাধ্যম সামা টিভি মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকরি অডিটে দেখা গেছে পাঁচটি দেশের কাছ কয়েক দশক পুরোনো ঋণের অর্থ আদায় করতে পারছে না পাকিস্তান। 


    কয়েক দফা কূটনৈতিক এবং আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গত ৪০ বছর ধরে এসব ঋণ অমিমাংসিত হয়ে আছে।


    অডিটের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের থেকে ঋণ নিয়ে এখনো ফেরত দেয়নি শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইরাক, সুদান এবং গিনি বিসাউ। ১৯৮০ ও ৯০ সালের দিকে রপ্তানি ঋণের মাধ্যমে এসব অর্থ দেওয়া হয়েছিল। 

    এরমধ্যে শুধু ইরাকের কাছ থেকে ২৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, সুদানের কাছে ৪৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন, বাংলাদেশ থেকে ২১ দশমিক ৪ মিলিয়ন এবং গিনি-বিসাউয়ের কাছে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে বলে অডিটে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। 


    পাকিস্তানের এ অডিটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে চিনি কারখানা ও সিমেন্টের প্রজেক্টের জন্য এ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ডলারের হিসেবে এটি ২৬০ কোটি টাকারও বেশি। 


    সামা টিভি জানিয়েছে, ২০০৬-০৭ সালে সর্বপ্রথম এ বিষয়টি সামনে এনেছিল অডিটর জেনারেল অফিস। কিন্তু এসব অর্থ আদায়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। 


    পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসব অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। ঋণ নেওয়া দেশগুলোর কাছে বিভিন্ন পত্র পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এতে কাজ হয়নি। 


    সূত্র: সামা টিভি 


    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণের সময় বিমান বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি বিমান

      অনলাইন ডেস্ক
      ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৩
      অনলাইন ডেস্ক
      যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণের সময় বিমান বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি বিমান

      যুক্তরাষ্ট্রে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। দেশটির মন্টানায় অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্ক করা বিমানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ওই ছোট বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। অবশ্য এই ঘটনায় বড় ধরনের কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


      তবে পার্ক করে রাখা বেশ কয়েকটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বার্তাসংস্থা এপির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।


      কালিস্পেল পুলিশ প্রধান জর্ডান ভেনেজিও এবং মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, চার যাত্রীবাহী এক ইঞ্জিনের বিমানটি সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে কালিস্পেল সিটি বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করছিল।


      প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়েতে ক্র্যাশ করে এবং কয়েকটি পার্ক করা বিমানে ধাক্কা দিলে একাধিক বিমানে আগুন লেগে যায়। পরে আগুন ঘাসে ঢাকা এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে, তবে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।


      প্রায় ৩০ হাজার মানুষের শহর কালিস্পেলের দক্ষিণে এই ছোট বিমানবন্দরটি অবস্থিত।

      কালিস্পেল ফায়ার চিফ জে হাগেন জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন— বিমানটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে জরুরি অবতরণ করে আরেকটি বিমানে ধাক্কা মারে। তবে বিমানটি থামার পর যাত্রীরা নিজেরাই বের হয়ে আসতে সক্ষম হন। দুজন সামান্য আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা নেন।


      কাছের একটি সরাইখানার ব্যবস্থাপক রন ড্যানিয়েলসন বলেন, তিনি দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখেছেন। দুর্ঘটনার পর ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। তার ভাষায়, “শব্দটা ছিল ঠিক যেন কেউ আপনার মাথা বেজ ড্রামের ভেতর ঢুকিয়ে জোরে আঘাত করেছে।”


      ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইটটি ওয়াশিংটনের পুলম্যান থেকে ছেড়েছিল। এফএএ জানায়, বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল ২০১১ সালে নির্মিত সোকাটা টিবিএম ৭০০ টার্বোপ্রপ। এর মালিক পুলম্যানের ‘মিটার স্কাই এলএলসি’। কোম্পানির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।



      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        আমেরিকার ভিসা পেতে দিতে হবে বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎকার

        অনলাইন ডেস্ক
        ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৫
        অনলাইন ডেস্ক
        আমেরিকার ভিসা পেতে দিতে হবে বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎকার

        মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা, চাকরি বা ভ্রমণের স্বপ্ন দেখছেন? তবে আপনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এসেছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা আবেদনকারীর জন্য সাক্ষাৎকারে (ইন-পার্সন ইন্টারভিউ) উপস্থিত হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়ম কেবল নতুন আবেদনকারীদের জন্য নয়, বরং যারা ভিসা নবায়ন করতে চান তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।


        আগে কী ছিল?

        গত কয়েক বছর ধরে কিছু ভিসা ক্যাটাগরিতে "ইন্টারভিউ ওয়েভার" বা সাক্ষাৎকার ছাড়াই ভিসা পাওয়ার সুযোগ ছিল। যেমন— ১৪ বছরের নিচের শিশু, ৭৯ বছরের বেশি প্রবীণ বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একই ধরনের ভিসা নবায়নকারীরা সরাসরি কাগজ জমা দিয়ে ভিসা পেতে পারতেন। কোভিডের এর সময় এ সুবিধা আরও সম্প্রসারিত করা হয়েছিল যাতে আবেদনকারীরা কনস্যুলেটে না গিয়ে সহজে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।


        নতুন নিয়মে কী হচ্ছে?

        মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষণায় বলা হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় সব ভিসা ক্যাটাগরিতেই সাক্ষাৎকার বাধ্যতামূলক হবে। অর্থাৎ—


        1. শিক্ষার্থী ভিসা (F, M, J) আবেদনকারীরা
        2. পর্যটক ও ব্যবসা ভিসা (B1/B2) প্রার্থীরা
        3. চাকরি সম্পর্কিত ভিসা (H, L, O-1 ইত্যাদি)
        4. এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ও বিশেষ দক্ষতা ভিসা

        সীমিত কিছু ছাড়

        যদি কেউ গত ১২ মাসের মধ্যে একই ক্যাটাগরির পূর্ণ মেয়াদের (full-validity) B1, B2 বা B1/B2 ভিসা পেয়ে থাকেন এবং তখন তাদের বয়স অন্তত ১৮ বছর ছিল, তাহলে হয়তো ইন্টারভিউ ছাড় পাওয়া যেতে পারে। তবে এই ছাড় খুব সীমিত এবং কেবল কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।


        কেন এই পরিবর্তন?

        যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, ভিসা প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার, আবেদনকারীর তথ্য আরও ভালোভাবে যাচাই এবং সম্ভাব্য জালিয়াতি প্রতিরোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে কনস্যুলার অফিসার আবেদনকারীর উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও যোগ্যতা আরও নির্ভুলভাবে যাচাই করতে পারবেন।


        আপনার জন্য এর অর্থ কী?

        এই পরিবর্তন বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ করে তুলবে। আগে যাদের ‘ড্রপবক্স’ বা ‘ওয়েভার’ সুবিধা ছিল, এখন তাদেরও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কনস্যুলেটে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে। এর ফলে—


        • অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অপেক্ষার সময় বেড়ে যেতে পারে
        • কাগজপত্র যাচাই আরও কড়াকড়ি হবে
        • ভিসা পরিকল্পনা আগে থেকেই করতে হবে


        কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?


        আগে থেকে সময় বুক করুন – DS-160 ফর্ম পূরণের পর দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউল করুন।


        সব ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখুন – পাসপোর্ট, ছবি, ফি প্রদানের রসিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা চাকরির প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখুন।


        ইন্টারভিউ প্র্যাকটিস করুন – আপনার পড়াশোনা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্য, কেন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন, এবং ফিরে এসে কী করবেন— এসব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে দিতে প্রস্তুত থাকুন।


        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত