ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫ ৬ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ইসরায়েলের হামলা : ইরানের পাশে দাঁড়াল সৌদি

অনলাইন ডেস্ক
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:৪০
অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের হামলা : ইরানের পাশে দাঁড়াল সৌদি

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিৃবতিতে সৌদি কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। খবর আলজাজিরার।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সৌদি আরব এই জঘন্য হামলার নিন্দা জানায়। এটি নিশ্চিত যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং নিরাপত্তা পরিষদের এই আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধ করার বড় দায়িত্ব রয়েছে।

ইরানে পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পর সীমান্তে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে ইসরায়েল। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দখলদাররা সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রধান ইয়াল জামিরের বক্তব্যে যা স্পষ্ট।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রধান বলেছেন- হাজার হাজার সৈন্যকে সীমান্তে একত্রিত করা হচ্ছে। এক টেলিভিশন ভাষণে ইয়াল জামির বলেন, সমস্ত সীমান্ত জুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করবে তাকে চরম মূল্য দিতে হবে।

জামির বলেন, হে ইসরায়েলের জনগণ, আমি নিরঙ্কুশ সাফল্যের প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না। ইরানি সরকার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আমাদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করবে। আমাদের থেকে প্রত্যাশিত হামলা আরও ভয়াবহ হবে। আমরা আগে যা ব্যবহার করে হামলা করেছি এবার তার থেকে আলাদা কিছু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাস্তব এবং বর্তমান হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি অর্জনের জন্য সমস্ত শাখা এবং অধিদপ্তরে অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা রয়েছে।

ইরানের পক্ষ থেকেও পাল্টা হুমকি আসছে। ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফাজল শেখারচি।

আবুলফাজল শেখারচি বলেছেন, ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে। এই হামলার জবাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি, নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৩ জুন, ২০২৫ ১২:৩১
    অনলাইন ডেস্ক
    ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি, নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ

    ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। তেহরানসহ বেশ কিছু স্থানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পর শতাধিক ড্রোন নিক্ষেপের মাধ্যমে ইরান এই হামলা শুরু করে।

    হামলা ও পাল্টা হামলার এই উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। এছাড়া ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (১৩ জুন) পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও বিবিসি।

    বিবিসি বলছে, ইরানে হামলার পরপরই নিজ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েলি সরকার। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “খুব শিগগিরই ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা” চালাতে পারে ইরান।

    এছাড়া ইরানের ওপর যখন হামলা চালানো হয় ইসরায়েলের মানুষ তখন ঘুমাচ্ছিলেন। জেরুজালেমে অবস্থানরত একজন বিবিসি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সাইরেনের বিকট শব্দে এবং মোবাইলে জরুরি সতর্কবার্তা পেয়ে তারা জেগে ওঠেন।

    অন্যদিকে সিএনএন বলছে, শুক্রবার ভোরে ইরানে হামলা চালানোর পর সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক আক্রমণের আশঙ্কায় ইসরায়েল সরকার নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

    ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল রাফি মিলো বলেন, “এই অভিযান চলাকালে আমরা দেশে ব্যাপক সতর্কতা সংকেত বা সাইরেন বাজতে দেখতে পারি। তাই প্রত্যেক নাগরিককে অনুরোধ করছি— নিজ নিজ অবস্থান থেকে দ্রুত ও যথাসম্ভব সুরক্ষিতভাবে আশ্রয় নিতে।”

    তিনি আরও বলেন, “আপনার বাসাবাড়িতে বা যে স্থানে আছেন, সেখানে যদি সুরক্ষিত কক্ষ, বাংকার বা হোম ফ্রন্ট কমান্ড অনুমোদিত নিরাপদ স্থান থাকে, তাহলে সেগুলোতে আশ্রয় নিন। তা না হলে অন্তত ভবনের সিঁড়িঘরে বা ভেতরের কোনও কক্ষে অবস্থান করুন।”

    ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও সরকার আগেই মনে করছিল, ইরানের পাল্টা হামলা যে কোনও সময় শুরু হতে পারে। তাই নাগরিকদের জন্য আগে-ভাগেই এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

    আর তাই ইরানের পাল্টা হামলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সতর্ক সংকেত বাজানো শুরু হয় এবং নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।

    অবশ্য পরে ইরানের হামলা শুরু হওয়ার তথ্য জানিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাফি ডেফরিন বলেন, “সকল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং এগুলো হুমকি প্রতিহত করতে কাজ করছে। এটি একেবারে ভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি—আমরা কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছি। তাই আমাদের ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।”

    ড্রোনগুলো ঠিক কোথায় আঘাত হেনেছে বা প্রতিহত করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে পরিস্থিতি যে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে, সে বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৩ জুন, ২০২৫ ১২:২৫
      অনলাইন ডেস্ক
      ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত

      ইরানের রাজধানী তেহরান এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন।

      ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে বলে শুক্রবার (১৩ জুন) জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এর আগে ইসরায়েলি হামলায় দেশটির অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

      সিএনএন বলছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব স্টাফ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ইসরায়েলের রাতভর চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইএনএন।

      মোহাম্মদ বাঘেরি ছিলেন ইরানি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং তিনিই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ব্যক্তি, যিনি এই নজিরবিহীন ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারালেন। এর আগে একই হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল হোসেইন সালামির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে একাধিক ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

      শুক্রবার ভোররাতে চালানো এই ইসরায়েলি আক্রমণকে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামো ধ্বংসে সবচেয়ে বড় আঘাত, যার জবাবে ইরানের পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিক্রিয়া আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

      এই দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের সামরিক কমান্ড কাঠামোতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারেও বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

      এছাড়া  ইসরায়েলের হামলায় রাজধানী তেহরানে অবস্থিত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)-এর সদর দপ্তরে আঘাত হানা হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় আগুন ও ধোঁয়ার ঘন কুণ্ডলী দেখা গেছে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ইসরায়েলের হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান নিহত

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৩ জুন, ২০২৫ ১২:২২
        অনলাইন ডেস্ক
        ইসরায়েলের হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান নিহত

        ইরানের রাজধানী তেহরান এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় দেশটির অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন।

        এছাড়া রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

        সিএনএন বলছে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল হোসেইন সালামি ইসরায়েলের রাতভর চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

        শুক্রবার সকালে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানায়, রাজধানী তেহরানে আইআরজিসি-এর সদর দপ্তরে হামলার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

        হোসেইন সালামি ২০১৯ সাল থেকে বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং ইরানের পরমাণু ও সামরিক কৌশল নির্ধারণে ছিলেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার নেতৃত্বেই ইরান আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে একাধিক সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে, বিশেষত ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননে।

        এই ঘটনায় ইরানজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও রেভল্যুশনারি গার্ডস এরই মধ্যে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।

        ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস মূলত একটি সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি যা দেশটির ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রতি ভেতর ও বাইরে থেকে আসা যে কোনো হুমকিকে প্রতিরোধে কাজ করে।

        বিবিসি বলছে, আইআরজিসি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি শক্তিশালী শাখা, যার রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব দেশটির ভেতরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গার্ডস বাহিনী বিশেষত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

        এছাড়া  ইসরায়েলের হামলায় রাজধানী তেহরানে অবস্থিত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)-এর সদর দপ্তরে আঘাত হানা হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় আগুন ও ধোঁয়ার ঘন কুণ্ডলী দেখা গেছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ইসরায়েলের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে, হুঁশিয়ারি খামেনির

          অনলাইন ডেস্ক
          ১৩ জুন, ২০২৫ ১০:৪৪
          অনলাইন ডেস্ক
          ইসরায়েলের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে, হুঁশিয়ারি খামেনির

          ইরানে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতভর চালানো এই হামলায় দেশটির অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামিসহ আরও অনেকেই নিহত হয়েছেন।

          এমন অবস্থায় ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি ইসরায়েলের জন্য করুণ ও যন্ত্রণাময় পরিণতি অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

          শুক্রবার (১৩ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলকে তার হামলার জন্য “কঠোর শাস্তি” ভোগ করতে হবে বলে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

          শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের ওপর যে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে, তাতে একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন খামেনি। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো।

          ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আইআরএনএ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে খামেনি বলেন, “এই হামলা ছিল ভোররাতে সংঘটিত এক নিষ্ঠুর অপরাধ। এতে ইসরায়েল আবাসিক এলাকাও টার্গেট করেছে।”

          তিনি আরও বলেন, “এই অপরাধের জন্য দখলদার শাসকগোষ্ঠীকে কঠিন শাস্তি পেতেই হবে। তাদের জন্য এক করুণ ও যন্ত্রণাময় পরিণতি অপেক্ষা করছে এবং তারা সেটা অচিরেই পাবে।”

          আয়াতুল্লাহ খামেনি জানান, “শত্রুর এই আক্রমণে আমাদের কিছু কমান্ডার ও বিজ্ঞানী শহীদ হয়েছেন। কিন্তু তাদের স্থলাভিষিক্তরা ও সহকর্মীরা, ইনশাআল্লাহ, কোনো বিরতি ছাড়াই নিজেদের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।”

          এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে মূল লক্ষ্যবস্তু করে একাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

          এর কিছু সময় পর, তেহরানে তখন ভোর ৫টা ৩০ মিনিট এবং ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান শহর তেল আবিবে ভোর ৫টা, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তাদের দেশে জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “খুব শিগগিরই ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা” চালাতে পারে ইরান।

          ইসরায়েল ইরানের ওপর যখন এই হামলা চালায়, ইসরায়েলের মানুষ তখন ঘুমাচ্ছিলেন। কিন্তু সাইরেনের বিকট শব্দে এবং মোবাইলে জরুরি সতর্কবার্তা পেয়ে তারা জেগে ওঠেন।

          এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বলেছেন, “এই হামলা ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে” এবং “এটি অনির্দিষ্টকাল চলবে”।

          ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও অন্যান্য সামরিক ঘাঁটি। তিনি আরও বলেন, “ইরানের কাছে এত বেশি পরিমাণে পরমাণু উপাদান মজুত রয়েছে, যা দিয়ে তারা কয়েক দিনের মধ্যেই পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে।”

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত