৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে বেগম জিয়া, আলোচনায় বসছেন চিকিৎসকরা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল না হলেও স্থিতিশীল নয় বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ। ভর্তির পর থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টা সিসিইউতে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। শনিবার (১১ জুন) সকাল ৯টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, একজন ডাক্তার হিসেবে বলতে চাই খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল না হলেও স্থিতিশীল নয়। যেকোনো সময় যেকোনো দিকে টার্ন নিতে পারে। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে আছেন। ৭২ ঘণ্টা সিসিইউতে অবজারভেশনে থাকবেন। তার আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।
তিনি জানান, সকাল ১০টায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড বসবে। বোর্ডের আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল, কিডনি সমস্যাও আছে। ডায়াবেটিস আছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক নিপীড়ন অসুস্থতার একটা বড় কারণ। এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ ছিল সুচিকিৎসা। দেশের ভেতরে তাকে যে নিপীড়ন করা হচ্ছে তাতে এখানে সুচিকিৎসা প্রায় অসম্ভব।
তিনি আরো জানান, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিলে সেখানে তার সুচিকিৎসা হতো এবং মানসিকভাবে তিনি সুস্থ থাকতেন। এই পরিস্থিতিতে কী ঘটবে আমরা জানি না। সরকারের কাছে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার দাবি জানাই। এখনো দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ আছে। তাকে সে সুযোগ দেওয়া হলে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করি।
এর আগে শুক্রবার (১০ জুন) মধ্যরাতে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় রাত ২টা ৫৫ মিনিটে তাঁকে নিয়ে গুলশানের বাসভবন থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ৩টার দিকে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে বেগম জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কামরুজ্জামান রতন, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
র্যাংকিং দেখি না: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, মৌলিক সূচকগুলোর মান নিশ্চিত করার আগে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে ভাবতে চাই না।
শুক্রবার (১০ জুন) রাতে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, “কতগুলো মৌলিক প্যারামিটার আছে, সেই প্যারামিটারগুলো এড্রেস করার পূর্বে র্যাংকিং বিষয়টা ভাবা উচিত নয়। এগুলোর উন্নয়ন না ঘটিয়ে র্যাংকিংয়ের বিষয়ে আমরা অ্যাটেনশন দেব না। কারা কী র্যাংকিং করল, এগুলো এখন একেবারেই দেখি না।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা এখন শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলোর ফল পাওয়া শুরু করলে র্যাংকিংয়ে ভালো কিছু আশা করা যাবে। এর আগে আমরা র্যাংকিং নিয়ে ভাবছি না।”
এর আগে গত বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস (কিউএস) বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং ২০২৩ প্রকাশ করেছে। তালিকায় এবারও প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নেই ঢাবি।
গত বছরের মতো এই বছরের তালিকাতেও দেশের শীর্ষ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে রয়েছে। কিউএস তাদের তালিকায় ৫০০ এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেনি।
একাডেমিক খ্যাতি, চাকরির বাজারে সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতের ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে কিউএস’র তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ এর মধ্যে। ২০১৪ সালে তা পিছিয়ে ৭০১তম অবস্থানের পরে চলে যায়। ২০১৯ সালে তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আরও পেছনের দিকে চলে যায়।
শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। সেনাসমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে দিনটি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকালে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন শেখ হাসিনা। বেশ কয়েকটি মামলায় প্রায় ১১ মাস কারাবন্দি ছিলেন তিনি। পরে জরুরি অবস্থার মধ্যেই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও প্রতিবাদের মুখে এবং উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে আট সপ্তাহের জামিনে মুক্তি দেয়া হয় তাকে। মুক্তি পেয়েই চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে।
পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
গত দুই বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস সীমিত পরিসরে পালন করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। তবে মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার নানা আয়োজনে দিনটি পালিত হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্য শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১২ জুন বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে সংগঠনটি।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আজ শনিবার (১১ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সচিব প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আবেদন: ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান এবং ২০২০ ও ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), A লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় (সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে যথাক্রমে ইউনিট-এ, ইউনিট-বি ও ইউনিট-সি-তে আবেদন করতে পারবে।
ইউনিট ভিত্তিক আবেদনের যোগ্যতা : ইউনিট-এ: বিজ্ঞান শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ মাদ্রাসা বোর্ড (বিজ্ঞান) এবং ভোকেশনাল (এইচএসসি) বিজ্ঞান শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট-বি: মানবিক শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা বোর্ড (সাধারণ, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট-সি: বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসাবে বিবেচিত হবে।
জিসিই-এর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (ও লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৩টি বিষয়ে বি-গ্রেডসহ ৫টি বিষয়ে পাস এবং আইএএল (এ লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে ২টি বিষয়ে B গ্রেডসহ ৩টি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সরাসরি আবেদনের মাধ্যমে সমমান ও যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদন ক্রমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সমমান নির্ধারণের জন্য আবেদনের শেষ তারিখের কমপক্ষে ১২ দিন পূর্বে সরাসরি রেজিস্ট্রার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-এ যোগাযোগ করতে হবে।
আবেদন করার পদ্ধতি: জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd)-এ পাওয়া যাবে।
পরীক্ষার সময়সূচি : ৩০ জুলাই শনিবার ইউনিট-এ (বিজ্ঞান), ১৩ আগস্ট শনিবার ইউনিট-বি (মানবিক) এবং ২০ আগস্ট শনিবার ইউনিট-সি (বাণিজ্য)-এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরীক্ষা হবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ : ১৫ জুন (বুধবার) দুপুর ১২টা হতে ২৫জুন শনিবার রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে না। ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রদত্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা থেকে শিক্ষার্থী একটি মাত্র কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবে। পছন্দকৃত কেন্দ্র চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে, তা আর পরিবর্তন করা যাবে না।
পরীক্ষার ফল : প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসসি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd)-এ প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর পেতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। শুধুমাত্র জিএসসি চ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবে।
ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে জিএসসি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির (২০২১-২০২২) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ২. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ৩. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ৪. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা ৫. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর ৬. মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল ৭. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী ৮. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী ৯. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ১০. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ ১১. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর ১২. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ১৩. পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা ১৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ ১৫. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল ১৬. রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ১৭. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সিরাজগঞ্জ ১৮. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, গাজীপুর ১৯. শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা ২০ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর ২১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ ২২. চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর।
২০১৭’র এসএসসি ও ২০’র এইচএসসি উত্তীর্ণদেরও গুচ্ছে আবেদনের সুযোগ

গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান এবং ২০২০ ও ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আজ শনিবার (১১ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সচিব প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সি অনুযায়ী ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল), এ-লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় (সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা হতে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে যথাক্রমে ইউনিট-এ, ইউনিট-বি ও ইউনিট-সি-তে আবেদন করতে পারবে। জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd)-এ পাওয়া যাবে।
আগামী ৩০ জুলাই শনিবার ইউনিট-এ (বিজ্ঞান), ১৩ আগস্ট শনিবার ইউনিট-বি (মানবিক) এবং ২০ আগস্ট শনিবার ইউনিট-সি (বাণিজ্য)-এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। ১৫ জুন (বুধবার) দুপুর ১২টা হতে ২৫জুন শনিবার রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রদত্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা থেকে শিক্ষার্থী একটি মাত্র কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবে।
প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসসি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd)-এ প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর পেতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। শুধুমাত্র জিএসসি চ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবে।
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
মন্তব্য