৪০তম বিসিএসের ভাইভা শুরু ১৬ ফেব্রুয়ারি

৪০তম বিসিএস পরীক্ষা-২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১ হাজার ৩৩৬ প্রার্থীর ভাইভা আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। চলবে আগামী ০৩ মার্চ পর্যন্ত। নির্দিষ্ট প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) পিএসসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা-২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষায় কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের পদসমূহের জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ ১ হাজার ৩৩৬ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সংশাধিত তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিদিন বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের কার্যালয়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। ২০১৮ সালের আগস্টে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
৪০ তম বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। এতে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার দূতাবাস ফি ৮ সপ্তাহ মওকুফ

উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া একটি জনপ্রিয় দেশ। প্রতিবছর বিশ্ব থেকে প্রায় ৭ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। বাংলাদেশেও উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে জনপ্রিয় দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকেও প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পাড়ি জমান।
জানা যায়, চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্য উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে চাকরির সময়ের সীমাবদ্ধতা এবং মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে দূতাবাস ফি। ফলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কী ধরনের সুবিধা পাবেন, এ বিষয়ে কথা বলেছেন পিএফইসি গ্লোবালের বাংলাদেশ পরিচালক মিসেস ফারিহা বেগম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।
অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য প্রসিদ্ধ। তার একটি বড় কারণ হলো, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার কারিকুলাম বিশ্বের সেরা কারিকুলামের মধ্যে একটি। শীর্ষস্থানীয় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ দেশে আছে। শুধু তা-ই নয়, অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য যেমন উন্নত; তেমন এখানের আধুনিক জীবনযাপন শিক্ষার্থীদের আকর্ষিত করে।
তা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এখানে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শতভাগ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে আকর্ষিত করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। ২০২২ থেকে অস্ট্রেলিয়া সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়া চলাকালীন চাকরির সময়ের সীমাবদ্ধতা উঠিয়ে নিয়েছে।
এখন যে কোনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণরূপে চাকরি করতে পারবেন। এ ধরনের সুবিধা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেওয়া হয় না। সেইসঙ্গে পড়াশোনা শেষে সর্বোচ্চ ৪ বছরের চাকরির সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে এ দশে।
তারা আরও জানান, অস্ট্রেলিয়া সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুবিধার্থে তাদের দূতাবাস ফি গত ২০ জানুয়ারি থেকে আগামী ৮ সপ্তাহের জন্য মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছে। এত সুযোগ-সুবিধার জন্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আকর্ষিত হয়। একই কারণে অস্ট্রেলিয়াকে বিবেচনা করা হয় উচ্চশিক্ষার ভূস্বর্গ হিসেবে।
ফারিহা বেগম ও মো. শহিদুল ইসলাম জানান, পিএফইসি গ্লোবাল সব সময় বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে অগ্রগামী। আগ্রহীরা অস্ট্রেলিয়ার এ সুযোগ নিতে চাইলে আগামী জুলাই এবং নভেম্বর ইনটেকের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তারা জানান, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পিএফইসি গ্লোবাল তাদের ঢাকা অফিসে আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন এক্সপো-২০২২’। আয়োজনটি এ বছরের জুলাই এবং নভেম্বরে ইনটেক আবেদনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য।
আয়োজকরা জানান, শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন এক্সপোতে সরাসরি ত্রিশের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। জানতে পারবেন স্কলারশিপ সম্পর্কে। এখানে থাকবে স্পট অ্যাডমিশনের সুযোগ। আগ্রহীদের জন্য আরও থাকবে ট্যাব জিতে নেওয়ার সুযোগ।
ফারিহা বেগম বলেন, ‘পিএফইসি গ্লোবাল শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়; কানাডা, আমেরিকা, ইউকে, মালেয়শিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়েও কাজ করে। এমনকি সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে কাজ করে। ১৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে পিএফইসি গ্লোবালের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করা।’
তারা শিক্ষার্থীদের পিএফইসি গ্লোবালের ঢাকা এবং চট্টগ্রাম অফিসে আমন্ত্রণ জানান। তাদের ঢাকা অফিস ধানমন্ডির রাপা প্লাজা সংলগ্ন সিমা ব্লসম টাওয়ার। চট্টগ্রাম অফিস হচ্ছে এশিয়ান হাইওয়ে সানমার ওশেন সিটি সংলগ্ন এমএম টাওয়ারের ৮ম ফ্লোর।
ডিপিইর জরুরি নির্দেশ

অধিদপ্তরের কার্যক্রম ই-নথিতে করতে আদেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। মঙ্গলবার এ আদেশে সাক্ষর করেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ
আদেশে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ই-নথি-তে কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে ইতোপূর্বে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। তবে ই-নথিতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তবে তা আশানুরূপ নয়। ই-নথিতে উপস্থাপনযোগ্য অনেক বিষয় প্রায়ই হার্ড নথিতে উপস্থাপিত হচ্ছে। এতে করে বর্তমান করোনাকালে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
বর্তমান কোডিড-১৯ পরিস্থিতিতে সকল দাপ্তরিক বিষয় ই-নথিতে উপস্থাপন করতে হবে। যে সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে অধিক পরিমান সংযুক্তি পর্যালোচনার প্রয়োজন হয়, যেসব নথিতে লাইভ (Live) স্বাক্ষরের প্রয়োজন আছে সেসব নথি ব্যতীত সকল কার্যক্রম ই-নথিতে উপস্থাপন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, ই-নথিতে কার্যক্রম গ্রহণে ব্যর্থ হলে বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন এর ৪র্থ অংশের ৪.২২ এ বর্ণিত ই-নথি ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আগ্রহ ও দক্ষতা মূল্যায়নে বিষয়টি প্রতিফলিত হবে বলে জানানো হয়।
চলতি মাসেই প্রাথমিকে অনলাইন বদলির পাইলটিং

দুই বছরের বেশি সময় পর চলতি ফেব্রুয়ারিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলির পাইলটিং কার্যক্রম উদ্বোধন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং শুরু হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম চলবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম উদ্বোধন করার পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়। পাইলটিং শেষ করেই পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম চলবে। অনলাইন সফটওয়্যার প্রস্তুত আছে। উদ্বোধন হলেই দ্রুত সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে বদলি কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়ার পর দুই বছরের বেশি সময় প্রাথমিকের শিক্ষক বদলি বন্ধ রয়েছে। কথা ছিল করোনাভাইরাসের কারণে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ ওঠে গেলে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি শুরু হবে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও পাইলটিং উদ্বোধন না হওয়ায় পুরো কার্যক্রম বন্ধ।
গত বছর মার্চ মাসে অনলাইনে শিক্ষক বদলির প্রশিক্ষণ শেষ করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় পাইলটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। পর্যায়ক্রমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ দিয়ে সারাদেশে অনলাইনে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে মন্ত্রণালয় জানায় করোনা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে পাইলটিং কার্যক্রমই শুরু করা সম্ভব হয়নি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছিলেন, জানুয়ারিতে পাইলটিং শুরু হবে। যদিও সক্রিয় উদ্যোগ দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ (আইএমডি)। শিক্ষকদের ভোগান্তি লাঘবে এই সেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শিক্ষক বদলির বিদ্যমান পদ্ধতির ধাপগুলো বিশ্লেষণ করে সেবা দিতে বাস্তব সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা, ধীরগতি এবং পদ্ধতিগত শূন্যতা নির্ণয় করা করা হয়। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষক পিন (ই-প্রাইমারি সিস্টেম) ব্যবহার করে ওটিপি অথেনটিকেশনের মাধ্যমে লগইন করে নিজস্ব ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস)-এ প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের তথ্যাদি আগে থেকেই ডাটাবেজে সংরক্ষণ থাকায় শুধু বদলির ক্ষেত্র অন্তঃউপজেলা, আন্তঃউপজেলা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ এবং অন্তঃসিটি করপোরেশন এবং বদলির কারণ সিলেক্ট করে বদলির আবেদন করা যাবে। মাসিক রিটার্ন, চাকরি বইয়ের ফটোকপি ইত্যাদি সংযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
তবে ক্ষেত্রমতে স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থলের বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র, বদলির কারণ কিংবা প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হতে পারে। বিদ্যমান বদলির নীতিমালার শর্তাবলীর আলোকে এমনভাবে সফটওয়্যারে সবকিছু সেট করা হয়েছে যেন অযাচিত কিংবা বদলির শর্ত পূরণ করে না এমন কেউ আবেদন করতে পারবে না। শূন্যপদের সকল তথ্য ডাটাবেজে থাকায় শিক্ষকরা আবেদনের সময়ই বিদ্যমান সকল শূন্যপদ দেখতে পাবেন এবং এক বা একাধিক বিদ্যালয় বাছাই করে আবেদন করতে পারবেন।
সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট করলে আবেদনকারী আবেদনের একটি পিডিএফ কপি এবং অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাকিং নম্বর সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড একটি রিসিপ্ট পাবেন এবং মোবাইলে নোটিফিকেশন পাবেন। তাছাড়া শিক্ষক পিন ব্যবহার করে লগইন করে যেকোনও সময় নিজের ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন। সফটওয়্যারে প্রতিটি ধাপে সময় নির্ধারণ করা থাকবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি অগ্রসর হতে থাকবে এবং কোনও ধাপে অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণের সুযোগ থাকবে না।
আবেদনকারীর বদলির প্রেক্ষাপটের আলোকে সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কোর নির্ধারিত হবে। ফলে আবেদনকারী একাধিক হলে অগ্রাধিকার তালিকাও সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে। ফলে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে অন্যদিকে অযাচিত তদবির ও চাপ কমে যাবে।
প্রকৌশল গুচ্ছে চতুর্থ দফায় ভর্তি ১৬ ফেব্রুয়ারি

গুচ্ছ পদ্ধতির তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ দফায় ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ‘ক’ গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৮০১-৫১০০ প্রার্থী, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলার নৃ-গোষ্ঠী ২৩-২৬ মেধাতালিকার প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে।
ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আজ মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) এক ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক ১ম বর্ষ/লেভেল-১ (শিক্ষাবর্ষ: ২০২০-২১) এ ভর্তির জন্য ১৩ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের প্রকাশিত মেধা তালিকা হতে গত ১৯ জানুয়ারি তারিখ পর্যন্ত কয়েকটি পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।
সর্বশেষ ভর্তির পর আসন খালি থাকায় এসব মেধাক্রমধারী শিক্ষার্থীদের আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ভর্তির জন্য নিরীক্ষা কমিটির নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
প্রকৌশল গুচ্ছের এসব প্রতিষ্ঠান হলো- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।
করোনা মহামারীর কারণে গেল বছর চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট তাদের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্মিলিতভাবে গ্রহণ করে। গত ১৩ নভেম্বর একযোগে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘ক’ গ্রুপে মোট ২২ হাজার ৬১০ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে মোট ৩ হাজার ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে গত ১৮ নভেম্বর এ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে ‘ক’ গ্রুপে মোট ১৪ হাজার ৯৮৯ জনের এবং ‘খ’ গ্রুপে মোট ১ হাজার ৬৫৬ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এবার চুয়েটের ৯০১টি, কুয়েটের ১০৬৫টি এবং রুয়েটের ১২৩৫টি মিলিয়ে, মোট ৩২০১টি (স্থাপত্যসহ) আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা যেকোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হচ্ছে। তবে ভর্তি হতে পারবে যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মন্তব্য