কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সমাপ্ত প্রকল্প ‘স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ থেকে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর না হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন সাত শতাধিক কারিগরি শিক্ষক।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা এ ঘোষণা দেন। ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার’ ব্যানারে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচি শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হায়দার।
তিনি বলেন, সমাপ্ত প্রকল্পটি থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ জন কর্মরত শিক্ষকের চাকরি রাজস্ব খাতে দ্রুত স্থানান্তর করতে হবে। পাশাপাশি গত ১৯ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাও দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। এবার দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাব আমরা।
লিখিত বক্তব্যে সুমন বলেন, ২০১০ সালের জুলাই মাসে দেশের সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্ত ‘স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে।
এই প্রকল্প ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান ছিল। এই প্রকল্পের আওতায় দুই ধাপে ১০১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৭৭৭ জন।
প্রকল্প শেষে শিক্ষকদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২২ মে অনুমোদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অনুশাসনের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ৭৭৭ জন শিক্ষকের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।
সুমন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকার পরও ২০২০ সালের জুলাই থেকে ১৯ মাস যাবত কোনো এক অজানা কারণে আমরা বেতন পাচ্ছি না। বেতন না পেয়ে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অর্থ কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের দীর্ঘদিনের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের অবসানের জন্য দ্রুত বেতনভাতা প্রদানসহ চাকরি রাজস্বকরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে চলমান অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল-সন্ধ্যা প্রতীকী অনশন পালন করবেন তারা। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণা না দিলে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ কর্মসূচি শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি মো. খবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আব্দুল মোতালেব, কেনিক আইডিইবির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলী।