মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

মোবাইল অপারেটরগুলোর ইন্টারনেট সেবার ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ছে।
এতদিন মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেট সেবার বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিয়ে আসছিল, গত ১ জুলাই থেকে সেটি ১৫ শতাংশ আদায় করছে। ফলে ৬-৮ শতাংশ বেশি দামে গ্রাহকদের ইন্টারনেট কিনতে হবে।
গত ৩০ জুন মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) চিঠি দিয়ে বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানায়।
বর্তমানে মোবাইল অপারেটরগুলো ৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছে। কিন্তু এ ভ্যাটের বিপরীতে রেয়াত গ্রহণ করতে পারছে না অপারেটরগুলো। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিলে রেয়াত গ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে। তাই অপারেটরগুলো ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে চাইছে। এতে অপারেটরগুলোর সুবিধা হলেও গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ ইন্টারনেট কেনায় ১০ শতাংশ ভ্যাট বেশি দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, গত এক বছর অপারেটরগুলো ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়েছে। হ্রাসকৃত হার হওয়ায় এই ভ্যাট সমন্বয় করা যায়নি। ফলে কার্যকরি ভ্যাট হার ১৭ শতাংশ গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া চলতি বাজেটে ভ্যাট আইনে যেসব সংশোধন আনা হয়েছে, তা হিসাব-নিকাষকে আরও জটিল করে তুলেছে। তাই সব অপারেটর ইন্টারনেট প্যাকেজের ওপর ১৫ শতাংশ আদর্শ হারে ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি জানান, এতে ইন্টারনেটের দাম ৬-৮ শতাংশ বাড়তে পারে।
গুগল-অ্যাপলকে টিকটক সরানোর আহ্বান এফসিসির

অ্যাপল ও গুগলকে তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে চীনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক সরানোর আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি)।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) অ্যাপল ও গুগলকে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছেন এফসিসি কমিশনার ব্রেন্ডন কার।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ক্ষুদ্র ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। প্রতিষ্ঠানের কাছে কোটি কোটি মার্কিন গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা থাকায়, চীন সরকার তা হাতিয়ে নিতে পারে বলেও শঙ্কা এফসিসি’র। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তাদের হাতে যাওয়া তথ্যগুলো বেইজিং সহজে পাচ্ছে। গেল সপ্তাহেই মার্কিন নিউজ আউটলেট বাজফিড একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মার্কিন নাগরিকদের নানা তথ্য চীনের হাতে যাচ্ছে। তারপরই টিকটক নিয়ে এ চিঠি গেল এফসিসি থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলছেন, মার্কিন নাগরিকদের কোনো ডেটা যদি টিকটকের হাতে যায় তবে তা চীনা সরকারের হাতেও যাচ্ছে। চীনা সরকারের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ আগেও উঠেছে টিকটকের বিরুদ্ধে।
চীনে তৈরি সামাজিক মাধ্যমের এই অ্যাপটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। এরপরই এর জনপ্রিয়তা হু হু করে বেড়ে যায়। ২০১৮-র অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে সব থেকে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ ছিল এই টিকটক। দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি থাকায় ২০২০ সালে ভারত এটি নিষিদ্ধ করেছিল।
ফোন সরিয়ে রাখুন, জীবন উপভোগ করুন — বললেন মোবাইলের জনক

প্রথম ‘ওয়্যারলেস ফোন’ আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে ‘মটোরোলা ডাইনাট্যাক ৮০০০এক্স’ নামক মোবাইল ফোনটি দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আজ এই দুনিয়াকেই বদলে দিয়েছে।
সেই মোবাইল ফোনের অন্যতম স্রষ্টা স্বয়ং মার্টিন কুপারই দিনের মাত্র ৫ শতাংশেরও কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তিনি বলছেন, জীবনকে উপভোগ করতে গেলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে।
আমেরিকার শিকাগোর বাসিন্দা মার্টিন বরাবর চেয়েছেন, সেলফোন হবে মানুষের ব্যক্তিগত ফোন, যাতে একটা নম্বর ডায়াল করে কোনও বিশেষ জায়গা নয়, শুধু একজন বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।
তিনি সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি দিনে পাঁচ শতাংশেরও কম সময় মোবাইল ব্যবহার করি।
যারা দিনে ৫ শতাংশের বেশি সময় মোবাইল ঘেঁটে কাটান, তাদের উদ্দেশেও এক গাল হেসে মার্টিন বলেন, জীবনকে উপভোগ করতে শিখুন। মোবাইলের ব্যবহার কমান।
১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম মোবাইল আবিষ্কার করেন মার্টিন। সেই দিনের কথা স্মরণ তিনি বলেন, ফোনটা আড়াই পাউন্ড ওজনের ছিল। আর ১০ ইঞ্চি লম্বা। এক বার চার্জ দিয়ে ২৫ মিনিট কথা বলা যেত। আর চার্জ হতে সময় লাগত ১০ ঘণ্টা।
১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন কুপার। ১৯৫৪ সালে তিনি মটোরোলায় যোগ দেন।
১৯৭৩ সালে কুপার আবিষ্কার করেন বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোন। তারপর তিনি ওই ফোন দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী জোয়েল এঙ্গেলকে কল করেন। এঙ্গেল ছিলেন এটিঅ্যান্ডটির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার।
নভেম্বরে বন্ধ হচ্ছে গুগলের আরেকটি সেবা

অবশেষে এ বছরের শেষ নাগাদ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গুগলের জনপ্রিয় অ্যাপ হ্যাংআউট। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এমন একটি ঘোষণা দিয়ে জানানো হয় ব্যাবহারকারীদের হ্যাংআউট তথ্য চ্যাটে স্থানান্তর করা হবে এবং নভেম্বরের পর হ্যাংআউট আর থাকবে না। ঘোষণাটি ইতোমধ্যেই মোবাইল ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশন দিয়ে জানানো হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে হ্যাংআউটকে গুগল চ্যাটে স্থানান্তর করা হবে।
এনগেজেট জানায়, যারা জিমেইলে এটি ব্যবহার করেন, তাদের জুলাই পর্যন্ত কোনও নোটিফিকেশন দেওয়া হবেনা। হ্যাংআউট ওয়েব ক্লায়েন্ট নভেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওয়েব সাইটটি স্বয়ংক্রিয় স্থানান্তরের অন্তত এক মাস আগে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এখানে ব্যবহারকারীদের কিছুই করতে হবে না। গুগল স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজটি করবে। ব্যবহারকারী চাইলে প্রতিষ্ঠানটির টেকআউট সার্ভিস ব্যবহার করে তার ডাটা ডাউনলোড করে নিতে পারবে।
গুগল ধারাবাহিকভাবেই হ্যাংআউট সার্ভিসকে পরিবর্তনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় সংবাদ মাধ্যমটি। অর্থাৎ এই প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের ঘটনাটি হঠাৎ করেই ঘটছে না। অ্যাপটি খুব জনপ্রিয় না হলেও এর কিছু নিয়মিত ব্যবহারকারী রয়েছে।
গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

মানসম্মত সেবা (ভয়েস কল ও ইন্টারনেট) দিতে না পারায় দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বিষয়টির অনুমোদনের পরে বিটিআরসি এক নির্দেশনা গ্রামীণফোনে পাঠিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না গ্রামীণফোন। গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে পারলেই নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে অপারেটরটি।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেও গ্রামীণফোনের সেবার মান ভালো করার কোনও উদ্যোগ নিতে দেখিনি। তারা গ্রাহক বাড়াবে, কিন্তু সেবার মান বাড়াবে না, এটা হতে দেওয়া যাবে না। যতদিন না তারা সেবার মান ভালো করবে এবং তা সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত না হবে ততদিন গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর সঠিক। তারা মানসম্মত সেবা (ভয়েস কল ও ইন্টারনেট) দিতে পারছে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপারেটরটির (গ্রামীণফোন) সিম বিক্রি করতে পারবে না।
মন্তব্য