ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম

বিদেশে চাকরিপ্রত্যাশীদের ঋণ দিতে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদেশে চাকরিপ্রত্যাশীদের ঋণ দিতে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

বিদেশে চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণসহায়তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেন বিদেশে যাওয়ার জন্য তাঁদের জমি বিক্রি করতে বা প্রতারণার শিকার হতে না হয়।

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী শ্রমিকদের প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ করতে এবং চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে এ-সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য সহজলভ্য করতে ব্যাপক প্রচার চালানোর জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় এ নির্দেশনা দেন। সংশ্লিষ্ট অন্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে সভায় যোগ দেন।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিদেশে যাঁরা যাবেন তাঁদের সব প্রক্রিয়া নির্ভুল ও স্বচ্ছ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ ব্যাপারে গণমাধ্যম—টেলিভিশন, রেডিও এবং সংবাদপত্রে ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন; যাতে চাকরিপ্রত্যাশীরা সঠিক তথ্য পান এবং বিদেশে যাওয়ার প্রকৃত ব্যয় সম্পর্কে জানতে পারেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাকরিপ্রত্যাশীদেরও বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে বলেন। যেহেতু ব্যাংক সঠিক নিয়োগপত্র ছাড়া ঋণ দেয় না, তাই তাঁরা নিরাপদ থাকবেন, এতে প্রবাসীরা প্রতারিত হবেন না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিদেশে চাকরির জন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের যেন অতিরিক্ত অর্থ দিতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি চাকরিপ্রত্যাশীদের মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে বিদেশ যেতে বলেন। কারণ, বাংলাদেশি অনেক শ্রমিক তাঁদের চাকরি সম্পর্কে কিছু না জেনেই দালালদের কথায় প্রভাবিত হয়ে তাঁদের খপ্পরে পড়ে সরাসরি অর্থ পরিশোধ করে বিদেশে যান। সভায় এ ধরনের কিছু ঘটনা সম্পর্কেও আলোচনা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যদি তাঁরা জমি বিক্রি না করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন, তবে তাঁদের নিয়োগ সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক অর্থ দেবে না। তাই তাঁরা নিরাপদ থাকবেন। সচিব বলেন, কিছু বাংলাদেশি ৩-৪ লাখ টাকা ব্যয় করে মালয়েশিয়া যান, কিন্তু দুই বছরেও তাঁরা সেই টাকা উপার্জন করতে পারেন না এবং খালি হাতে দেশে ফিরে আসেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ ১০০টি শিল্প অঞ্চলে কয়েক লাখ শ্রমিক প্রয়োজন হবে উল্লেখ করে চাকরিপ্রত্যাশীদের এ বিষয়েও অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দেন। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো নির্মিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরিপ্রত্যাশীরা শিল্প অঞ্চলগুলোয় কী ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে, তা জেনে যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে দেশেই ভালো উপার্জন করতে পারবেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ওয়েবমেট্রিক্স র‌্যাংকিংয়ে ঢাবিকে পেছনে ফেলে দেশসেরা বুয়েট

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:৪৩
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ওয়েবমেট্রিক্স র‌্যাংকিংয়ে ঢাবিকে পেছনে ফেলে দেশসেরা বুয়েট

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) পেছনে ফেলে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিএক্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সংস্থাটি জানুয়ারি, ২০২২ সালের সংস্করণে এ তথ্য তুলে ধরেছে।

    বিশ্বের দুই শতাধিকেরও বেশি দেশের ৩১ হাজার উচ্চশিক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ওয়েবমেট্রিক্স।

    প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী দেশের সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েট। আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান ১ হাজার ৫৮৯। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাবির অবস্থান ১ হাজার ৬৬৮। দেশের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে শাবিপ্রবি। এই প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিং ১ হাজার ৮১৫।

    ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। পঞ্চম অবস্থানে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি, ছয় নম্বরে জাহাঙ্গীরনগর, সাত নম্বরে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়, আট নম্বরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নবম অবস্থানে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দশম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এরপর ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (১১), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১২), খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৩), রুয়েট (১৪), চুয়েট (১৫) এবং ১৬তম অবস্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি।

    এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয় যথাক্রমে (২০৫৬), (২০৭৬), (২৪১৬), (২৪২৭), (২৬৫৯), (২৭৬২), (২৯০২), (৩১৪৩), (৩২৫১), (৩৩০৫),(৩৩৩৬), (৩৩৮৯), (৩৪৫২)।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      নিজের গাছ কাটতেও অনুমোদন লাগবে, আইনের খসড়া প্রস্তুত

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৭
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      নিজের গাছ কাটতেও অনুমোদন লাগবে, আইনের খসড়া প্রস্তুত

      নিজের জমির গাছ কাটতেও সরকারের অনুমোদন লাগবে। বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন ২০২২ খসড়ায় এ কথা বলা হয়েছে। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়াটি তোলা হয়। দুপুরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

      মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বনশিল্প উন্নয়ন আইনে একটি করপোরেশন থাকবে। সেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং পরিচালকের সমন্বয় বোর্ড গঠন হবে। বোর্ড সব ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে। চেরাই কাঠ, আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক খুঁটি, রেলের স্লিপার নির্মাণসামগ্রী, রাবার বাগান থেকে যাতে আরও রাবার আহরণ করা যায়। মোট কথা বনজ সম্পদের ব্যবহার আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে হবে। মৌলভীবাজার জেলার জুরি উপজেলায় আগর গাছ আইনের আওতায় থাকবে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তি মালিকানা গাছও অনুমোদন ছাড়া কাটা যাবে না। তবে মানুষ যাতে সহজে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে গাছ কাটার জন্য অনলাইনে অনুমোদন নিতে পারে সে বিষয়ে বলা হয়েছে।’

      সচিব বলেন, ‘বনশিল্প আইন শুধু বনের নিরাপত্তাই নয় সব ধরনের গাছ ও বনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে। সরকারি স্থাপনা বা রাস্তাঘাট তৈরির জন্য যেকোনো ক্ষেত্রে গাছ কাটতে হলে অনুমোদন লাগবে। বন শিল্প সংরক্ষণ করা এ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।’

      আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে বিশাল এক বনাঞ্চল করা হয়েছে। সেখানে নানা ধরনের সাপ, বানর এবং অন্যান্য পোকামাকড় রয়েছে। এটি সুন্দরবনের চেয়ে কম বড় না। স্থায়ী জায়গায় গাছ, ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে গাছ কাটা যাবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই আইন বলবৎ আছে। এ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য সব ধরনের বন শিল্পকে নিরাপত্তা দেওয়া। যে কোনো গাছ কাটতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তবে এই অনুমোদন যাতে অনলাইনে নেওয়া যায় এবং সহজতর উপায়ে কাজটি করা যায় সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন রয়েছে।’

      ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করার সময় বিপুলসংখ্যক গাছ কাটা হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটা হলে এখানে শাস্তি অন্যান্য আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        বিএসএমএমইউতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৫৭
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        বিএসএমএমইউতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ

        বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

        বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২০২২-মার্চ শিক্ষাবর্ষে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। একাডেমিক ও অন্যান্য যোগ্যতা এবং ভর্তি ফি ও তা প্রদানের পদ্ধতিও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

        একাডেমিক ও অন্যান্য যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন, সার্জারি, বেসিক সায়েন্স অ্যান্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স, ডেন্টিস্ট্রি, পেডিয়াট্রিকস ও প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে ছয় অনুষদের যেকোনো একটির অধীন পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে। ১. আবেদনকারীকে অবশ্যই এমবিবিএস, বিডিএস অথবা বিএমডিসির অনুমোদিত সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। ২. আবেদনকারীকে অবশ্যই এমএস/এমডি/এমফিল/এফসিপিএস/এমপিএইচ অথবা বিএমডিসির অনুমোদিত ডিগ্রি থাকতে হবে। ৩. শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত চিকিৎসকেরাও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই আবেদন করতে পারবেন। ৪. এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন, এমন চিকিৎসকেরাও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করতে পারবেন।

        ভর্তি ফি ও তা প্রদানের পদ্ধতি চার হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) পূবালী ব্যাংক শাহবাগ শাখার (০৯৪৭১০২০০১৭৩১) অ্যাকাউন্টে অথবা পূবালী ব্যাংকের যেকোনো অনলাইন শাখা থেকে জমা দিতে পারবেন আগ্রহীরা। আবেদন চলছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়া যাবে।

        আবেদনের সময়সীমা গত ১৫ জানুয়ারি অনলাইনে শুরু হওয়া এ আবেদন জমার কার্যক্রম চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি ফি জমা দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষার্থীকে (‌https://www.bsmmu.edu.bd) ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ঢাবিতে প্রায় ১১০০ আসন কমানোর সুপারিশ ভর্তি কমিটির

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৫৩
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ঢাবিতে প্রায় ১১০০ আসন কমানোর সুপারিশ ভর্তি কমিটির

          ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ১ হাজার ৮৫টি আসন কমানোর সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটি৷ অবশ্য আসন কমানোর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) আসন্ন সভায় আলোচনার পর চূড়ান্ত হবে৷

          ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনব্যবস্থা ও শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে সর্বত্র অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপ আছে৷ গত দুই দশকে অপরিকল্পিতভাবে নতুন নতুন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট খোলা এবং একই অনুপাতে অবকাঠামো না বাড়ানোর ফলে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসন কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে৷ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোর মতামতের ভিত্তিতে গত ৫ জানুয়ারি এক বিশেষ সভায় ১ হাজার ১৫টি আসন কমানোর সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি৷

          এরপর আসনসংখ্যা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সাধারণ ভর্তি কমিটির বিশেষ সভা ডাকা হয়৷ উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদস্থ ব্যক্তিরা অংশ নেন৷

          সভা শেষে মুহাম্মদ সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, আসনসংখ্যা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ডিনস কমিটির সভার সুপারিশটি সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় পর্যালোচনা করা হয়৷ এরপর সভায় যৌক্তিক আসনসংখ্যা নির্ধারণের বিষয়ে ভর্তি কমিটির সুপারিশ তুলে ধরা হয়৷

          এই সুপারিশে ১ হাজার ৮৫টি আসন কমানোর কথা বলা হয়েছে৷ সুপারিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার পর চূড়ান্ত হবে৷ এরপর সিন্ডিকেট তা অনুমোদন করবে৷

          অবকাঠামো বাড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ‘ভৌত মহাপরিকল্পনা’ প্রস্তুত করেছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভৌত মহাপরিকল্পনার আগে একটি ‘একাডেমিক মহাপরিকল্পনা’ প্রস্তুতের আহ্বান জানান৷ এরপরই তারা আসনসংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নেয়৷ কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও যথোপযুক্ত দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও সামর্থ্য এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায়’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আসনসংখ্যা পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

          ঘ ইউনিট বাদ দেওয়ার উদ্যোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পাঁচটি ইউনিটের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়ে থাকে৷ এগুলো হলো বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর জন্য ক ইউনিট, কলার বিষয়গুলোর জন্য খ ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষার বিষয়গুলোর জন্য গ ইউনিট, চারুকলার বিষয়গুলোর জন্য চ ইউনিট আর সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর জন্য ঘ ইউনিট৷ এর মধ্যে ঘ ইউনিটটি বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট হিসেবে পরিচিত৷

          ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২০ সাল থেকে বলে আসছে, ঘ ইউনিট বাতিল হবে৷ এর পেছনে ‘পরীক্ষার বোঝা ও ভোগান্তি’ কমানোর যুক্তি দিয়ে আসছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান৷ গত বছরের নভেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেছিলেন, ‘একটি ইউনিট কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ এখন কৌশল বের করতে হবে কীভাবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় আসতে পারেন৷ একই সঙ্গে কলার শিক্ষার্থী কীভাবে ব্যবসায় শিক্ষায় যেতে পারেন অথবা ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা কীভাবে কলায় আসতে পারেন৷ এই নীতি ও কৌশল বের করতে পারলে আমরা একটি পরীক্ষার বোঝা কমাতে পারব৷’

          ঘ ইউনিট বাতিলের বিষয়টি নিয়েও আজ সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় আলোচনা করা হয়৷ বলা হয়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে চারটি ইউনিটের (ক, খ, গ, চ) অধীনে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ইউনিট পরিবর্তনের নীতিমালা প্রণয়নের জন্য ডিনস সাব–কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷

          প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জিয়া রহমান এ বিষয়ে সরাসরি কোনো আপত্তি জানাননি৷ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় আমি বলেছি যে ঘ ইউনিট বাতিলের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে কনফিউশন (সংশয়) আছে৷ তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে কি না৷ পরে আমাকে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত আগের ডিনের সময়েই হয়ে গেছে৷’

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত